দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার  উপায় সম্পর্কে জানতে আপনি কি ইচ্ছুক? দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি অবগত আছেন? যদি না  থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই।
দাঁতের পাইরিয়া-দূর-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
কারণ, আজকে আমরা আলোচনা করবো আপনি দাঁতের পাইরিয়া কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে দূর করবেন এবং সেইসাথে মাড়ি শক্ত করার উপায় সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করব  দাঁতের পাইরিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়ে।

পোস্ট সুচিপত্রঃ  দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায়

দাঁতের পাইরিয়া রোগ

দাঁতের পাইরিয়া রোগ দূর করার আগে আপনাকে জানতে হবে দাঁতের পায়রিয়া আসলে কি? দাঁত ও মাড়ির একটি প্রদাহ জনিত রোগ হল পাইরিয়া। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষদের মধ্যে পাইরিয়া রোগটি বেশি দেখা যায়। পাইরিয়া একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ যা আপনার দাঁতের মাড়ির কলা সমূহকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। আপনি যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করেন 
সে ক্ষেত্রে এটি প্রায়শই  আপনার দাঁতের ক্ষয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর ফলে দাঁতের গোড়ায় পূজের সৃষ্টি হয়। দাঁত ও মাড়ি এই দুইয়ের সংযোগস্থলে থুতুর মিনারেল থেকে তৈরি টার্টার নামক পাথুরে পদার্থ এবং খাদ্যের উচ্ছিষ্ট অংশ জমা হয়ে এই রোগের সূত্রপাত ঘটায়। শুধু তাই নয়, পাইরিয়া হলে দাঁতের মাড়ি ক্রমেই সংকুচিত হতে থাকে এবং আপনার চোয়ালের অস্থিকে ধ্বংস করে দিতে পারে।

দাঁতে পাইরিয়া কেন হয়

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় জানার আগে জেনে রাখুন পায়রিয়া রোগ কেন হয়। দাঁতে পাইরিয়া হওয়ার প্রধান  কারণ হলো দাঁতের যত্ন কম নেওয়া এবং অবহেলা করা। আমাদের দেশের দরিদ্র আর্থসামাজিক অবস্থা বিশাল জনগোষ্ঠীর সিংহভাগকে দাঁতের ব্রাশ এবং দাঁত মাজার পেস্ট ব্যবহার থেকে বিরত রাখে। ফলে তারা পেস্ট এর পরিবর্তে আঙ্গুল আঙ্গুলের ডগায় ছাই নিয়ে দাঁত ঘষে। 
ফলে দাঁতের এনামেল এবং মাড়ি উভয়েরই ক্ষতি সাধন হয়। সাধারণত রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ না করলে এবং দাঁতের ফাঁক থেকে নিয়মিত ময়লা গুলোকে পরিষ্কার না রাখলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। আবার অনেকের দাঁতের সারি সমান থাকে না এবং এলোমেলোভাবে সজ্জিত থাকে ফলেে দাঁত সবসময় পরিস্কার রাখাটা কষ্টসাধ্য হয়। তাতে পাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটাই বেড়ে যায়।

দাঁতের পাইরিয়া রোগের লক্ষণ

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। প্রাথমিকভাবে পাইরিয়া রোগের লক্ষণ তেমন একটা পরিলক্ষিত না হলেও চিকিৎসা করার পূর্বে এই রোগটি ব্যাপক মাত্রায় পৌঁছে যায়। আবার সময় মতো চিকিৎসা না করলেও দাঁতে ইনফেকশন হয়ে যায়। আপনি কি কি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার দাঁত পাইরিয়ায় আক্রান্ত চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
  • মানবদেহে পাইরিয়া সাধারণত তিনটি ধাপে পরিলক্ষিত হয়। প্রথম ধাপে মাড়ির হালকা অন্তর্টিশ হয় এবং মাড়ির প্রান্তটা চুলা থেকে বের হতে শুরু করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এই রোগটি বেড়ে যায় এবং দাঁতের শক্তি বিলীন হতে শুরু করে দেয় এবং মাড়ি থেকেও পান দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। তৃতীয় পর্যায়ে এই রোগটি আরো ক্ষিপ্ত আকার ধারণ করে এবং এই পানীয়টি পেটের মধ্যে শুরু করে যার ফলে অন্যান্য রোগ সেখানে বাসা বাঁধে।
  • আপনি দাঁত ব্রাশ করার সময় অথবা শক্ত কোন খাবারে কামড় দেওয়ার সময় যদি মাড়িতে ব্যথা অনুভব করেন তাহলে বুঝবেন আপনি পাইরিয়ায় আক্রান্ত।
  • হঠাৎ করে অস্বাভাবিক রূপে ফুলে যাওয়া।
  • পাইরিয়া রোগের আরেকটি লক্ষণ হল আপনার নিঃশ্বাস হবে দুর্গন্ধযুক্ত এবং আপনি মুখের মধ্যে একটি ধাতব স্বাদ অনুভব করতে পারবেন।
  • আপনার দাঁতের নিচের মাড়িতে ঘা হয়ে সেটি ফেটে যেতে পারে।
  • আপনার দাঁতের মাড়ি ধীরে ধীরে দাঁত থেকে সরে গিয়ে নিচের দিকে নেমে যেতে পারে এবং আপনার দাঁতকে আপনার কাছে স্বাভাবিকের তুলনায় বড় মনে হতে পারে।
  • আপনার দাঁত পাইরিয়ায় আক্রান্ত হলে তাদের মাড়ি লাল হয়ে ফুলে উঠবে।
  • আপনার দাঁত ও মাড়ির মাঝে পুঁজের সৃষ্টি হবে।
  • ফ্লসিং বা ব্রাশ করার সময় আপনার দাঁতে রক্তপাত হতে পারে।
  • আপনার দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে ঘা বা পকেটের সৃষ্টি হতে পারে।
  • আপনার মুখের ভিতরে হাড়ের ক্ষয় হতে পারে।

পাইরিয়া রোগ দূর করার ১০ টি প্রাকৃতিক চিকিৎসা

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। যা আমরা অনেকেই জানিনা। পাইরিয়া রোগের উপরিউক্ত লক্ষণ গুলি যদি আপনার দাঁতে আপনি অনুভব করেন তাহলে অতিসত্বর চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। এবার চলুন প্রাকৃতিক ভাবে আপনি পাইরিয়া রোগের চিকিৎসা কিভাবে করবেন সে উপায় সম্পর্কে জেনে নিন।
পাইরিয়া-দূর-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
  • হলুদের সাথে সামান্য গুড়া ফিটকির পাউডার মিক্স করে সেই পেস্টটি আপনার দাঁতে ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার দাঁত পরিষ্কার থাকবে এবং মাড়ি থেকে রক্তপাতও বন্ধ হবঅ।
  • আবার আপনি অমৃতধারা ভিজিয়ে সেটি তুলা দিয়েও দাঁতে দিলে উপকার হবে এবং ব্যথা উপশম হবে।
  • দারচিনি তেল লাগালেও দাঁতের বেশ আরাম হয়।
  • আপনি কিছু তুলসী পাতা শুকিয়ে সেটি খুব ভালোভাবে গুড়ো করে নিন । গুঁড়ো তুলসী পাতার সাথে সাথে সর্ষের তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এই পেস্ট দিয়ে আপনি যদি ব্রাশ করেন তাহলে বেশ উপকার পাবেন এটি দাঁতের পাইরিয়া রোগের জন্য ভীষণ উপকারী।
  • প্রতিদিন সকালে আপনি দাঁত পরিষ্কারের পর কালো তিলের বীজ চিবিয়ে খাবেন তারপর অল্প জল পান করবেন। রাতে ঘুমানোর আগে তিলের বীজ চিবিয়ে খাবেন এতে করে আপনার দাঁত শক্ত হবে।
  • আপনি সামান্য লবঙ্গ তেলে তুলো ভিজিয়ে দাঁতের ক্ষতস্থানে লাগান । এতে করে আপনার দাঁত ভালো পরিষ্কার থাকবে।
  • লবণের মধ্যে দুই চার ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে খেতে আমরা সবাই জানি এটি খুব সহজ এবং উপকা্রি  একটি টুথপেস্ট হবে আপনার দাঁতের জন্য।
  • আপনি যদি টমেটো এবং গাজরের রস পান করেন প্রতিনিয়ত তাহলে দাঁতের রোগ থেকে রেহাই পাবেন।
  • আপনি দিনে তিন থেকে চারবার নিমপাতা সেদ্ধ করক। পটাশিয়াম প্যারাগানিয়েট পানিতে মিশিয়ে খেলে এবং মাড়িতে নিম তেল প্রয়োগ করে এবং কুনকুনে জল দিয়ে কিছু লালা ক্ষরণ করলে আপনার মাড়ির ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
  • আপনি গাওয়া ঘি এর সাথে কর্পুর মিশিয়ে সকাল বিকাল রাতে যদি দাঁতে মালিশ করেন তাহলে আপনার দাঁতের পাইরিয়া যন্ত্রণা অনেকটাই কমে যাবে।
  • আবার বটের নরম বাকল বেটে সেটি জ্বলে ফুটিয়ে সেই জল দিয়ে যদি আপনি কূলকুলি বা গারগল করেন এ ক্ষেত্রে পাইরিয়া প্রশমিত হয়।
  • এছাড়াও পটলের পাতা, পিপুল, গোলমরিচ এবং কচু একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটিয়ে একটা পাচন তৈরি করে ছেকে নিতে হবে। তারপর ঠান্ডা হলে সেই জল দিয়ে দুইবেলা আপনাকে কুলকুচি করতে হবে। এতে দেখবেন এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার পাইরিয়া ঠিক হয়ে গেছে।
  • আবার লেবুর রস মাড়িতে মালিশ করলেও পাইরিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
  • অনেক সময় পেয়ারার কচি পাতা চিবিয়ে খেলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
  • আপনি যদি পারেন একটি ডালিমের শুকনো চামড়ার গুড়োর সাথে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে টুথ পাউডার হিসেবে প্রতিদিন ব্যবহার করুন। এতে করে আপনার দাঁত এবং মাড়ি পাইরিয়া থেকে রেহাই পাবে।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কে। উপরিউক্ত নিয়মগুলো কিছু দিন ব্যবহার করেই দেখুন না! এতে খুব সহজেই  আপনার দাঁতের পায়রিয়া সমসসা দূর হবে।

দাঁতের মাড়ি শক্ত করার উপায়

আপনি যদি আপনার দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে চান তাহলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন- ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস জাতীয় খাবার খেতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করে মাড়িকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ধূমপানের অভ্যাস থাকলে সেটি আপনাকে পরিত্যাগ করতে হব। দাঁতের মাড়ি ভালো না থাকলে আপনাকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়
পাইরিয়া-দূর-করার-উপায়-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
ঠিক মত খেতে পারেন না, চিবোতে পারেন না, তাছাড়া আরও নানান রকম সমস্যা তে রয়েছেই। তাই দাঁত কে সুস্থ রাখতে হলে প্রথমে আপনাকে দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে হবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক আপনি কিভাবে আপনার তাদের মাড়িকে শক্তিশালী করবেন

ফ্লস ব্যহার করবেন- আপনি যদি দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনাকে ফ্লস ব্যবহার করতে করতে হবে। এক্ষেত্রে দাঁত ব্রাশ করার থেকে দাঁতের ফ্লস ব্যবহার করা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ব্রাশ করার পরেও অনেক সময় দাঁতে আটকে থাকে খাবার আটকে থাকে। খাদ্যের এই উচ্ছিষ্ট অংশগুলো দুই দাতের

মাঝখান থেকে কোনক্রমেই বের হতে চাই না এবং দুই দাঁতের মাঝে এক সময় গর্ত হয়ে যায় যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ডেন্টাল ক্যারিজ, সুতরাং দুই দাঁতের মাঝখান থেকে এই খাদ্য কণাগুলো বের করার জন্য ডেন্টাল ফ্লস  ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডেন্টাল ফ্লস হল এক ধরনের 

পাতলা ফিলামেন্টের একটি পর্ট বা সুতা যা দাঁতের মাঝখানে থাকা খাবার অপসারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি ব্যবহারের ফলে দাঁতের ফাঁকের খাবার এবং জীবানু দূর হয় যার ফলে মাড়ি এবং দাঁতের কোনো রোগ হওয়ার প্রবণতা থাকে না এবং মাড়িও শক্তিশালী হয়।

প্রতিদিন দুইবার দাঁত ব্রাশ করতে হবে- দাঁতের মাড়ি শক্ত করার ক্ষেত্রে নিয়মিত ব্রাশ করার কোন বিকল্প নেই আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে দুই মিনিট সময় নিয়ে ঘুম থেকে উঠার পরে একবার এবং রাতে ঘুমানোর আগে একবার মানে দুইবার ব্রাশ করবেন। এতে আপনার দাঁত ও মাড়ি সুস্থ থাকবে। দাঁত ব্রাশ করার সময় আপনি অবশ্যই ক্লোরাইড টুথপেস্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। এভাবে প্রতিদিন দুইবার ব্রাশ করে আপনি আপনার মাড়িকে শক্তিশালী করে তুলতে পারেন।

যেসব খাবার দাঁতের মাড়িকে শক্ত রাখে-- আপনার দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবারের কোন বিকল্প নেই। দাঁতের মাড়িকে শক্ত রাখার জন্য আপনি নিয়মিত ফাইবার যুক্ত খাবার বা আর ভিটামিন 'সি' জাতীয় খাবার, শাকসবজি ভিটামিন ডি বেশি করে খাবেন এবং চিনি জাতীয় খাবার কে এড়িয়ে চলবেন কারণ তিনি দাঁতের ক্ষয় এবং মাড়ির রোগকে দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়।

মাড়িকে শক্তিশালী করতে আরো অন্যান্য খাবার যেমন বাদাম, টাটকা সবজি,  আপেল, স্ট্রবেরি, পেঁয়াজ, রসুন বিভিন্ন প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ-মাংস, ডিম ইত্যাদি খাবেন যা দাঁতের মাড়ির উন্নতি সাধন করে। দাঁতের মাড়ি শক্তিশালী করার আরেকটি উপায় হচ্ছে বেশি বেশি পানি পান করা কারণ পানি মুখের ব্যাকটেরিয়া বের করে দিতে বেশ সাহায্য করে। ফলে দাঁতের মাড়ি স্বাভাবিকভাবেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
প্রতিবেলা খাওয়ার পরে মুখের ভেতর ধুয়ে ফেলুন-- দাঁতের সুস্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য প্রতিবেলা খাওয়ার পরে আপনি শুধুমাত্র পানি দিয়ে মুখের ভেতরটা ধুয়ে ফেলবেন। কেননা খাবার পর মুখের ভেতরে অনেক সময় খাবার দাতের ফাঁকে আটকে থাকে।
ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে-- আপনি যদি স্বাস্থ্যকর দাঁত চান তাহলে আপনাকে ধূমপানের অভ্যাস অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে। কারণ মাড়ির রোগ হওয়ার বিশেষ একটি কারণ হচ্ছে তামাক বা ধূমপান। এছাড়া এটি আপনার শরীরের এমিউন সিস্টেমকে দুর্বল করে দেয়।

দাঁতের চেকআপ করুন- উপরে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করে যদি আপনার দাঁত সুস্থ হয়ে যায় তাহলে এ ঘরোয়া পদ্ধতিগুলোই মেনে চলতে পারেন। আর যদি আপনার দাঁতে অতিরিক্ত ব্যথা হয় মাড়ি ফুলে যায় রক্ত পড়ে সে ক্ষেত্রে আপনি একজন ভালো ডেন্টিস্টের সাহায্য নিতে পারেন।

দাঁতের পাইরিয়া প্রতিরোধে যা এড়িয়ে চলবেন

দাঁতের পাইরিয়া দূর করতে আপনাকে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।  আপনি কি জানেন কফি, চা, তামাক, অ্যালকোহল, বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড, চকলেট এগুলো দাঁতের জন্য এবং দাঁতের মাড়ির জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই সমস্ত খাবার আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে দাঁতকে যদি সুস্থ রাখতে চান। সেই সাথে প্রক্রিয়াজাত এবং প্যাকেটজাত খাবার কেও এড়িয়ে চলতে হবে। দাঁতের পাইরিয়া প্রতিরোধে আরো কিছু উপায় চলুন জেনে নেওয়া যাক --

  • আপনি যখন দাঁত ব্রাশ করবেন তখন অবশ্যই ওপর থেকে নিচের দিকে ব্রাশ করবেন। 
  • দুই দাঁতের মাঝখানে পরিষ্কার রাখতে অবশ্যই ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করবেন। 
  • সম্ভব হলে জীবাণুননাশক মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করবেন। 
  • ভারি কোন খাবার খাওয়ার পরে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে নেবেন। 
  • কোন কিছু খাওয়ার পরে কুলকুচি করে দাঁত পরিষ্কার করে নেবেন। 
  • এছাড়াও দাঁতের পাইরিয়া রোগ দূর করতে আপনার নিয়মিত দন্ত পরীক্ষা এবং দাঁত পরিষ্কার রাখাটাও জরুরী।
  • তাছাড়া দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় আপনাকে ইতিমধ্যেই আমরা জানিয়ে দিয়েছি। যে নিয়ম মেনে চললে আপনি খুব সহজেই পায়রিয়া থেকে রেহাই পাবেন।

পাইরিয়া দূর করতে যা খাবেন

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন পায়রিয়া দূর করতে রোজকার খাবারের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আপনি আপনার দাঁতকে সুস্থ এবং দাঁতের মাড়িকে শক্তিশালী করতে প্রতিনিয়ত নিয়ম করে সবুজ শাকসবজি, সিদ্ধ শাকসবজি, বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার, ভুট্টা, লেবু, সালাদ, রুটি ইত্যাদি খাবেন।
 
কাঁচা ফল যেমন- পেয়ারা, আপেল যখন খাবেন তখন সেটি ভালো করে চিবিয়ে খাবেন। এতে দাঁতের মাড়ি অনেকটা শক্তিশালী হবে। প্রতিবার খাবার পর পানি দিয়ে মুখের ভেতর গর্গাল করে নিতে হবে যেন মুখের ভেতরে কোন খাবার জমে না থাকে। আরেকটি কথা রাতে ঘুমের আগে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে তবেই ঘুমাবেন।

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কে লেখকের অভিমত

দাঁতের পাইরিয়া দূর করার উপায় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি আর্টিকেলটি পরে উপকৃত হয়েছেন। আমরা অনেকেই মনে করি, যত জোরে ব্রাশ করা যাবে দাঁত ঠিক ততটাই বেশি পরিষ্কার হবে। কিন্তু এই কথাটা একেবারেই ভুল। আপনি জেনে রাখুন দু'মিনিট সাধারণভাবে ব্রাশ করলেই আপনার দাঁতের জন্য তা যথেষ্ট।বেশি জোর দিয়ে ব্রাশ করতে গেলে অনেক সময় দাঁত এবং মাড়ির সংযোগস্থল ক্ষয়ে যায় যার ফলে স্থানগুলো সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।

ফলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই পাইরিয়া রোগটির প্রবণতা আমাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। যেটি ডাক্তারি ভাষায় জিঞ্জিভাইটিস নামে পরিচিত। আর এই জিঞ্জিভাইটিসের সমস্যা দূর করতে সব থেকে ভাল উপায় হল দাঁত স্ক্যালিং করা। দাঁতের এই পাইরিয়া সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সবাই দাঁতের যত্ন নিন।ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url