মুলতানি মাটি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
মুলতানি মাটি চেনার উপায় সম্পর্কে আপনি জানতে চান? মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি? জানতে হলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
কারণ, আজকে আমরা আলোচনা করবো মুলতানি মাটি আপনি কিভাবে চিনবেন এবং মুলতানি মাটি কিভাবে ব্যবহার করে ফর্সা হওয়া যায়। সাথে আরো আলোচনা করবো চুলের যত্নে মুলতানি মাটি ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আসল মুলতানি মাটি চেনার উপায়
- মুলতানি মাটির ইতিকথা
- মুলতানি মাটি চেনার উপায়
- মুলতানি মাটির দাম
- মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহারের নিয়ম
- চুলের যত্নে মুলতানি মাটি
- চোখের নিচে কালি দূরীকরণে মুলতানি মাটি
- ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটির ব্যবহার
- মুলতানি মাটির উপকারিতা
- মুলতানি মাটির অপকারিতা
- মুলতানি মাটি চেনার উপায় সম্পর্কে আমার মন্তব্য
মুলতানি মাটির ইতিকথা
মুলতানি মাটি চেনার উপায় সম্পর্কে জানবেন। কিন্তু তার আগে মুলতানি মাটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিন। মুলতানি মাটি এক বিশেষ ধরনের মাটি যা পৃথিবীর সব জায়গায় পাওয়া যায় না তবে অল্প কিছু জায়গায় পাওয়া যায় যেখানে প্রাকৃতিকভাবে মুলতানি মাটির সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানে মুলতান নামে একটি শহর রয়েছে। সেই মুলতান শহরে ১৮০০ শতাব্দীতে সর্বপ্রথম এই মুলতানি মাটির সন্ধান পাওয়া যায়।
বিভিন্ন প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সিলিকা, আইরন, ক্যালসাইট ইত্যাদিতে ভরপুর এই মুলতানি মাটি।মুলতান শহরে এই মাটি সর্বপ্রথম পাওয়া যায় বিধায় মুলতান শহরের নামানুসারে এর নাম দেওয়া হয় মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করতেন পাকিস্তানের মুলতান শহরের অধিবাসীরা।
তারা মুলতান শহরে মাটি খোড়ার সময় চুনযুক্ত কাদামাটির দলা পেয়েছিল। আবার তখনকার সময়ে তারা কোন পশম বা উল পরিষ্কার করতে তাতে নানা রকম গাছের রস এবং মাটি মেশাতেন।হঠাৎই একদিন তারা লক্ষ্য করলেন যে একটি বিশেষ ধরনের মাটি যাতে পশম ভিজিয়ে রাখলে সেগুলো খুব দ্রুত পরিষ্কার হয়। সেইসাথে পশমের নোংরা পদার্থ ভেতর থেকে অপসারিত হয়।
সেই থেকে মুলতানি মাটির প্রচলন শুরু হয়। পরবর্তীকালে ত্বকের যত্নে, ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাব দূর করতে ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে এবং শরীরের ক্ষতস্থান বা পোড়া জায়গায় এই মুলতানি মাটি লাগালে বিশেষ উপকার পাওয়ায় দিনকে দিন মুলতানি মাটির জনপ্রিয়তা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। সৌন্দর্য চর্চায় এই মাটিতে ব্যবহার করা হয় বলে একে Bleaching Clay বলা হয়ে থাকে। আবার ইংরেজিতে মুলতানি মাটি Fullers Earth নামেও পরিচিত।
আসল মুলতানি মাটি চেনার উপায়
মুলতানি মাটি চেনার উপায় জানা ভীষণই জরুরী। মুলতানি মাটি আমাদের দেশের প্রায় সব ধরনের প্রসাধনীর দোকানে গেলেই পাওয়া যায়। মুলতানি মাটি আসে মূলত পাকিস্তান থেকে তাই এর বাজার চাহিদাও অনেক বেশি। এই সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল মুলতানি মাটি বিক্রি করে থাকে। যা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়
আরো পড়ুনঃ লেবু দিয়ে ওজন কমানোর কার্যকরী ৭টি উপায়
এবং আপনার ত্বকের জন্য এই মুলতানি মাটি যথেষ্ট ক্ষতিকারক। তাই আপনি যদি আসল মুলতানি মাটি নিতে চান তাহলে অবশ্যই কোন স্বনামধন্য প্রসাধনীর দোকান থেকে নেবেন।সাধারণত দুই ধরনের মুলতানি মাটি বাজারে পাওয়া যায় এর মধ্যে একটি হলুদ রংঙের এবং অন্যটি ধূসর রংঙের। তবে ত্বকের যত্নে হলুদ রঙ্গের মুলতানি মাটির ব্যবহার বেশি ধূসর বর্ণের মুলতানী মাটির চেয়ে।
তবে হ্যাঁ,বাণিজ্যিকভাবে যখন মুলতানি মাটি প্যাকেজিং করা হয় তখন কোম্পানিগুলো নানা ধরনের ঘ্রাণ মুলতানি মাটির সাথে যুক্ত করে দেয়। এক্ষেত্রে আপনাকে বলে রাখি খুব ভালোভাবে প্যাকেট করা মুলতানি মাটির ঘ্রাণ নকল মুলতানি মাটি থেকে গুণগত মান সম্পন্ন এবং উৎকৃষ্ট হবে। আবার আপনি যদি মুলতানি মাটি হাতে নিয়ে আঠালো ভাব অনুভব করেন,
তাহলে বুঝবেন এটি আসল। কারণ, আসল মুলতানি মাটিতে কিছুটা আঠালো ভাব লক্ষ্য করা যায়। আপনি বাজারে যেকোন ভালো কসমেটিকস বা প্রসাধনীর দোকান বা বড় শপিং কমপ্লেক্স থেকে মুলতানি মাটি কিনলে আশা করছি প্রতারিত হবেন না। সম্মানিত পাঠক, মুলতানি মাটি আপনি উপরিউক্ত নিয়মে খুব সহজেই চিনে নিতে পারবেন।
মুলতানি মাটির দাম
মুলতানি মাটি চেনার উপায় আপনাকে আমরা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। সাধারণত মুলতানি মাটির দাম নির্ভর করে এর পরিমাণ এবং প্যাকিং এর উপরে। তাই পরিমাণ এবং প্যাকিং ভেদে এর দামও ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। আবার বাজারে গোটা মুলতানি মাটির পাশাপাশি গুড়ো মুলতানি মাটিও কিনতে পাওয়া যায়। বর্তমানে ১০০ গ্রাম আস্ত গোটা মুলতানি মাটির দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা এবং ১০০ গ্রাম গুড়ো মুলতানি মাটির দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
মুলতানি মাটি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
মুলতানি মাটি দিয়ে কিভাবে ফর্সা হওয়া যায় অনেকেই জানতে চান। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে বাতাসের আদ্রতা বেড়ে যায় ফলে আমাদের ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে ওঠে। এসময় আমাদের অনেকেরই ত্বকে ঘামের পরিমাণ স্বাভাবিক ভাবেই বেরে যায় আবার সেই সাথে বেড়ে যায় ব্রণ ওঠার প্রবণতা। অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে দেখবেন অনেক সময় আপনার ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
বিশেষ করে আমাদের যাদের তৈলাক্ত ত্বক রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি প্রকট সমস্যা ধারণ করে।এ সময় আপনার ত্বককে শুষ্কতা ও রুক্ষতার হাত থেকে বাঁচাতে ফেসপ্যাক ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। তাই ত্বকের সুরক্ষার জন্য আপনাকে আজ জানাবো মুলতানি মাটির কিছু অসাধারণ ফেসপ্যাক। যা ব্যবহারে একদিকে যেমন বাড়বে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা
তেমনি ত্বকের তৈলাক্ত ভাবও দূর হয়ে যাবে অনেকটাই। তাছাড়া মুলতানি মাটি ত্বকের ময়লাকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের বাহ্যিক অংশে জমে থাকা মৃত কোষের স্তর সরিয়ে দিয়ে আপনার ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতাকে ফিরিয়ে দেয়। সেই সাথে মুলতানি মাটির এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের অভ্যন্তরের প্রদাহ কে কমিয়ে দিবে
এবং সেই সাথে সেবাম উৎপাদনও নিয়ন্ত্রণে রাখবে। আপনার স্কিন যেমনি হোক না কেন আপনি মুলতানি মাটি ব্যবহার করতেই পারেন তবে ত্বক ভেদে এর ব্যবহারটা আবার একটু ভিন্ন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেয়া যাক মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক গুলো সম্পর্কে। এই ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যাবহারে আপনার ত্বক হবে ফর্সা।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আপনাদের যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের জন্য মুলতানি মাটি গোলাপ জল এবং লেবুর রসের মিশ্রণের ফেসপ্যাকটিস বেশ কার্যকর হবে। কারণ এটি আপনার ত্বকের এইচের মাত্রা কে ঠিক রাখবে এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করবে। এই ফেসপ্যাকটি কিভাবে তৈরি করবেন চলুন জেনে নিই।
উপকরণ
- মুলতানি মাটির পরিমাণ-এক থেকে ২ চা চামচ।
- গোলাপ জলের পরিমাণ- ২ চা চামচ এবং।
- লেবুর রস- ১ থেকে ২ ফোঁটা।
প্রস্তুত প্রণালী এবং ব্যবহার
আপনি প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্র নিবেন। তারপর পাত্রে ২ চা চামচ মুলতানি বাটি এক থেকে দুই ফোঁটা লেবুর রস এবং দুই চা চামচ পরিমাণ গোলাপ জল নিয়ে এই তিনটি উপাদান একসাথে ভালো করে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন।এবার মুলতানি মাটি লেবুর রস এবং গোলাপজলের পেস্টটি একটি ব্রাশের সাহায্যে ত্বক এবং গলায় ব্যবহার করুন।
মিশ্রণটি ত্বকে লাগানোর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে আপনার ত্বকে যদি একটা টান টান ভাব চলে আসে তখনই পরিষ্কার জল দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি আপনার সময় মতো এই ফেসপ্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করবেন। খেয়াল করবেন তাতে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমে যাবে এবং ত্বকের চিটচিটে ভাবও দূর হবে।
সতর্কতা
- এই মিশ্রণটি ব্যবহারের সময় লেবুর রস বেশি ব্যবহার করবেন না এবং
- ফেসপ্যাক লাগানো অবস্থায় অবশ্যই সূর্যের আলোতে যাবেন না।
শুষ্ক ত্বকের জন্য মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করেন যে,যেহেতু মুলতানি মাটি তৈলাক্ত ত্বকে তেলতেলে ভাব দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয় তাই শুষ্ক ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি হয়তো বা তেমন উপযোগী নয়। কিন্তু আপনাদের এই ধারণা একেবারেই ভুল। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে শুষ্ক ত্বকেও মুলতানি মাটি ব্যবহার করা যায়।
মুলতানি মাটির ব্যবহারের ফলে শুষ্ক ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে সেই সাথে আপনার ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করার পাশাপাশি আপনার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে। তাহলে চলুন, সম্মানিত পাঠক আপনার শুষ্ক ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহারের ফেসপ্যাকটি জেনে নিন।
উপকরণ
- মুলতানি মাটির পরিমাণ- ১ চা চামচ।
- অ্যালোভেরা জেল এর পরিমাণ- ১ চা চামচ।
- নিমের গুড়োর পরিমাণ- ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার
ঠিক আগের মতোই আপনি একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে দুই চা চামচ এলোভেরা জেল এবং দুই চা চামচ নিমের গুঁড়ো মিক্স করে ভালো করে নাড়িয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এক্ষেত্রে ভালোমতো তৈরি করার জন্য প্রয়োজন হলে আপনি সামান্য পানিও যোগ করতে পারেন।
অতঃপর আপনার শুষ্ক ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে 10 থেকে 15 মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার শুষ্ক ত্বককে হাইড্রেটেট রাখতে সাহায্য করবে।
সতর্কতা
- মুখে লাগিয়ে অবশ্যই সূর্যের আলোতে যাবেন না।
- মুখ ধুয়ে ফেলার পর আপনি অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নেবেন।
ট্যানিং দূরীকরণে মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
সম্মানিত পাঠক অনেক সময় রোদে পুড়ে আমাদের ত্বক ঝলসে যায়। আবার প্রয়োজনের তাগিদে রোদে বের না হওয়ারও কোনো উপায় থাকে না। আপনার এই রোদে পোড়া ত্বকে নতুন করে দাগ ছোপের সৃষ্টি করে যা আপনার মনের অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ত্বকের এই পোড়া দাগ চোখ তুলতে আপনি বিভিন্ন ধরনের ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করলেও তাতে দাগ সহজে উঠেনা। এক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিন্তে মুলতানি মাটির উপর ভরসা রাখতে পারে। কিভাবে ব্যবহার করবেন মুলতানি মাটির এই ফেসপ্যাক চলুন দেখে নেয়া যাক-
উপকরণ
- অ্যালোভেরার জেলের পরিমাণ- ১ চা চামচ।
- মলতানি মাটি- ১ থেকে ২ চা চামচ এবং
- টক দই- ১চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার
আপনি পরিষ্কার পাত্রে ১ চা চামচ পরিমাণ টক দই, ১ চা চামচ পরিমাণ মুলতানি মাটি এবং অ্যালোভেরা জেল 1 থেকে 2 চা চামচ নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মিশ্রণটি ব্রাশের সাহায্যে আপনার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন এবং ত্বক শুকিয়ে গেলে 10 থেকে 15 মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের অনেক দিন আগের পড়ে থাকা পুরোনো দাগ দূর হবে সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে প্রাকৃতিকভাবে।
সতর্কতা
- আপনি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করবেন।
ত্বকের রং এর উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের রং এর ভারসাম্য বজায় থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে। তাহলে চলুন জেনে নেই ফেস প্যাকটি কিভাবে ব্যবহার করবেন
উপকরণ
- দই- ১ চা চামচ।
- ডিম- ভালোমতো ফেটে নেওয়া ডিমের সাদা অংশ এবং
- মুলতানি মাটি- ১ থেকে ৩ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রনালি ও ব্যবহার
মুলতানি মাটির সঙ্গে দই এবং ডিমের সাদা অংশ ভালো মতো মিশে একটি পেস্ট তৈরি করুন। অতঃপর সেটি লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে কুসুম গরম পানিতে আপনার ত্বক ভালোমতো ধুয়ে ফেলুন।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়মে মুলতানি মাটি ব্যবহার করলে আপনার ত্বক হবে ফর্সা এবং উজ্জ্বল। সেই সাথে ত্বকে ব্রনের দাগ, কালো দাগ ছোপ ইত্যাদি দূর হবে।
মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহারের নিয়ম
আসল মুলতানি মাটি কিভাবে চিনবেন সে উপায় ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এবার চলুন মুলতানি মাটি আপনি মুখে কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন-
- যেহেতু মুলতানি মাটি প্রাকৃতিকভাবে ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে তাই ফেসওয়াশ বা সাবানের পরিবর্তে আপনি এটি নিশিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।
- মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই আপনার মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেবেন। এক্ষেত্রে বলে রাখি আপনি যদি সারাদিন ধুলোবালির সংস্পর্শে না যান তাহলে সাধারণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়েই এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহার করতে পারবেন।
- আবার আপনি যদি ফেসওয়াশ এর পরিবর্তে শুধু মুলতানি মাটি দিয়ে মুখ ধুতে চান সেক্ষেত্রে আপনি একটি পরিষ্কার পাত্রে ২ থেকে ৩ চা চামচ পরিমাণ মুলতানি মাটি নিয়ে সামান্য পানি মিশিয়ে তাদের মধ্যে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর মুখে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ব্যাস এতটুকুই যথেষ্ট।
- মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক লাগিয়ে আপনি চেষ্টা করবেন সূর্যের আলোতে না যেতে।
- দিন অথবা রাত যেকোনো সময়ই আপনি এই মাটি ব্যবহার করতে পারবেন।
- আপনি আপনার ত্বকে মুলতানি মাটি ব্যবহারের সময় অবশ্যই কথা বলবেন না। কেননা এতে আপনার মুখে বলিরেখার ছাপ পড়তে পারে।
- আপনাদের যাদের শুষ্ক ত্বক রয়েছে তারা সপ্তাহে অন্তত দুইবার মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন।
- যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মুলতানি মাটির এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন।
চুলের যত্নে মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি চেনার বেশ কিছু উপায় আপনি খানিক আগেই জেনেছেন। আমরা অনেকেই চুলের বিভিন্ন রকম সমস্যা যেমন- মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়া, চুলের ডগা ফেটে যাওয়া, চুলের গ্রোথ কমে যাওয়া এ সমস্ত সমস্যায় বিচলিত হয়ে উঠি। আর এই সব কিছুরই প্রতিকার আপনি পাবেন মুলতানি মাটি ব্যবহারে। তাহলে চলুন চুলের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার জেনে নেই
চুলের ডগা ফাটা রোধ করতে
সাধারণত চুলের ডগা ফেটে থাকলে চুলের স্বাভাবিক গ্রোথ কমে যায়। চুলের এই ডগা ফাটা রোধ করতে চাইলে আপনি আপনার চুলে টক দই এবং মুলতানি মাটির মিশ্রণ ব্যবহার করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
সাধারণত চুলের ডগা ফেটে থাকলে চুলের স্বাভাবিক গ্রোথ কমে যায়। চুলের এই ডগা ফাটা রোধ করতে চাইলে আপনি আপনার চুলে টক দই এবং মুলতানি মাটির মিশ্রণ ব্যবহার করুন এবং শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
চুল বৃদ্ধির জন্য
অনেক সময় দেখা যায় চুল কাটার পর চুল আর বাড়তেই চায় না। তাই চুল বৃদ্ধির জন্য আপনি এলোভেরা জেল, লেবুর রস এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে চলে ব্যবহার করুন এবং শুকিয়ে গেলে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
চুল পড়া কমাতে
সাধারণত পানিতে অতিরিক্ত পরিমাণ আয়রন আর বেশি তেল মশলাযুক্ত খাবার খেলে মাথার চুল পড়ে যাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। আপনি যদি আপনার মাথার চুল পড়া কমাতে চান তাহলে মুলতানি মাটির সাথে টক দই ও গোলমরিচের গুঁড়ো মিশে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি আপনার মাথার ত্বক এবং চুলে ভালো করে মেসেজ করে মাখিয়ে নিন। অবশেষে শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন।
খুশকি প্রতিরোধে
আপনার চুলের খুশকি দূর করতে আপনি ১ চা চামচ মেথি বেটে তার সাথে লেবুর রস এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে নিন। গোড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর হালকা গরম জলে ধুয়ে নিন। ব্যাস এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনি খুশকির প্রকোপ থেকে রেহাই পেতে পারেন।
চুলকে ঝলমলে ও মসৃণ করতে
চুলকে ঝলমলে মসৃণ এবং চুলের সিল্কি ভাব ফিরিয়ে আনতে আপনি মুলতানি মাটি মধু এবং পাতিলেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিয়ে চুলে লাগান এবং কিছুক্ষণ পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এতে করে আপনার চুলের মসৃণতা ঝলমলে ভাব অনেকটাই বেড়ে যাবে।
মাথার ত্বকের তৈলাক্ত দূরীকরণে
আপনার মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতে রিঠার গুড়া, পানি এবং মুলতানি মাটিতে একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে আপনি আপনার চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে 20 থেকে 30 মিনিট অপেক্ষা করুন এবং চুল ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে খুব সহজে আপনার মাথার তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে এবং মাথার ত্বকও পরিষ্কার থাকবে।
মুলতানি মাটি চুলের ক্ষেত্রে খুব ভালো ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। তাই আপনি শ্যামপুর পরিবর্তে মুলতানি মাটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা, আপনার স্ক্যাল্পে বা চুলে যদি আগে থেকেই কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ সাপেক্ষে তবেই মুলতানি মাটি ব্যবহার করবেন।
চোখের নিচে কালি দূরীকরণে মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি কিভাবে চিনতে পারবেন সে উপায় জেনেছেন। সম্মানিত পাঠক,আপনি কি জানেন আপনার চোখের নিজের কালি দূর করতেও সক্ষম এই মুলতানি। এটি আপনার চোখের নিচের কালি দূর করার পাশাপাশি চোখের ফোলা ভাবকে কমিয়ে দিবে অনেকটাই। তবে চলুন এবার চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে কিভাবে মুলতানি মাটি ব্যবহার করবেন তা জানা যাক-
- আপনি আপনার চোখের কালচে ভাব দূর করতে শসার রসের সাথে মুলতানি মাটির একটি মিশ্রণ তৈরি করে আপনার চোখের চারপাশে লাগাবেন। এটি ১০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে আসলে সাধারণ ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহারের পর আপনার চোখের কালচে বা কালো ভাব অনেকটাই দূরীভূত হবে।
- মুলতানি মাটির সাথে টক দই ও মধু মিশেও একটি মিশ্র তৈরি করে সেটি চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। টক দই ও মুলতানি মাটির এই ব্যবহার আপনার চোখের চারপাশের ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে।
- আপনি আপনার চোখের চারপাশের ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে মুলতানি মাটির সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সেটি চোখের চারপাশে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে আপনার চোখের যে রুক্ষ ভাব সেটি দূর হয়ে যাবে।
- মুলতানি মাটির সাথে সামান্য গ্লিসারিন ও কাজুবাদাম পেস্ট মিশিয়ে সেটি চোখের চারপাশে ব্যবহার করুন এবং শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। চোখের নিচে কালো দাগ দূর করতে এটি বেশ কার্যকর একটি প্যাক।
ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটির ব্যবহার
আসল মুলতানি মাটি কিভাবে চেনা যায় সে উপায় আজকের আলোচনায় জেনেছেন। সম্মানিত পাঠক, গরমকাল পড়লে ঘামাচি সমস্যা নিয়ে আপনারা অনেকেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কারণ ঘামাচির চুলকানি অনেকের কাছে অসহ্যকর এবং অনেকে বাইরে চলাফেরার সময় ঘামাচির চুলকানিতে একটা বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন।
মাত্রাতিরিক্ত গরমে আমাদের পিঠ,গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। অনেকে আবার অনেক রকম পাউডার ব্যবহার করেন ঘামাচির উপদ্রব থেকে বাঁচতে, তাতেও কোন প্রতিকার মেলে না। আপনি কি জানেন এই ঘামাচি দূর করতে মুলতানি মাটির ভূমিকা অনবদ্য। আসুন জেনে নি মুলতানি মাটি দিয়ে কিভাবে ঘামাচি দূর করব।
- আপনি দুই টেবিল চামচ টক দইয়ের সাথে চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ফেলুন এবং ঘামাচি আক্রান্ত জায়গায় ঠিক একদিন পরপর 20 মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। এতে আপনার ঘামাচির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
- আবার চার টেবিল চামচ মুলতানি মাটির সাথে পরিমাণ মতো গোলাপজল মিশিয়ে সেটি ঘামাচির উপর লাগান এবং শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন এতে বেশ ভালো ফল পাবেন।
মুলতানি মাটির উপকারিতা
মুলতানি মাটির উপকারিতা যা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাহলে চলুন জেনে নিই মুলতানি মাটির উপকারিতা গুলো কি কি--
- প্রথমেই বলি, ত্বকের মৃদু প্রায় কোষ কে মুলতানি মাটি পরিষ্কার করে ত্বককে ভালো রাখে।সেই সাথে ত্বকের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে এই মুলতানি মাটি।
- এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মুলতানি মাটি ভীষণ উপকার। মুলতানি মাটির সাথে গোলাপজলের ব্যবহার যা আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে। তৈলাক্ত ত্বক থেকে নিজেকে রক্ষা করুন কারণ তৈলাক্ত ত্বক ব্রণের সমস্যাকে অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
- ত্বককে টানটান রাখতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এটি বেশ উপকারী।
- এর ব্যবহারে ত্বকের বলি রেখা দূর হয় এবং ত্বক প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল দেখায়।
- ব্রণের কালো দাগ সহ শরীরের যেকোনো স্থানের কালো দাগ দূর করে এই মুলতানি মাটি।
- শুধু তাই নয় আপনার রোদে পোড়া ত্বক, ত্বকের ট্যানিং সারিয়ে তুলতে পারে এই মুলতানি মাটি। বিশেষ করে রোদে পোড়া ত্বকের ক্ষেত্রে এটি ম্যাজিক এর মত কাজ করে।
- ব্ল্যাকহেডস বলুন আর হোয়াইটহেডস বলুন এ দুটি দূর করতেও দারুণভাবে উপকারী এই মুলতানি মাটি।
- মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে দূর করে ঝলমলে,সিল্কি এবং রেশমের মতো মসৃণ করে এই মুলতানি মাটি।
- মুলতানি মাটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে থাকে।
- আপনার ত্বকে ব্যাকটেরিয়াজনিত বা ফাঙ্গাস জনিত কোন ইনফেকশন হলে তা সারিয়ে তুলতে মুলতানি মাটির ভূমিকা অনবদ্য।
মুলতানি মাটির অপকারিতা
মুলতানি মাটির অপকারিতাও রয়েছে কিছু। এর সঠিক ব্যবহার যেমন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতাকে বাড়িয়ে দেয় তেমনি অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে আপনি কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীনও হতে পারেন । যেমন-
- মুলতানি মাটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি আবহাওয়া ও তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখবেন। কেননা খুব ঠান্ডা আবহাওয়ায় শুধুমাত্র পানিতে ভিজিয়ে আপনি যদি মুলতানি মাটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে উঠবে।
- যাদের খুব শুষ্ক ত্বক তারা মুলতানি মাটির পেস্ট ব্যবহারের সময় অবশ্যই প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার যেমন বাদাম তেল, মধু ,অ্যালোভেরার জেল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন। কারণ শুধু মাটি ত্বকে লাগালে ত্বক টানটান শুষ্ক হয়ে উঠবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আপনার ত্বকে একটা বুড়ো ভাব চলে আসবে।
- আপনাদের যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা মুলতানি মাটি এড়িয়ে চলবেন কারণ সংবিধানশীল ত্বকে মুলতানি মাটির ব্যবহার ফুসকুড়ি হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়।
- অত্যধিক পরিমাণে মুলতানি মাটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকে নিস্তেজতা চলে আসতে পারে।
- আবার যাদের সর্দি-কাশি সমস্যা রয়েছে তাদের মুলতানি মাটি থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকা উচিত কারণ মুলতানি মাটিতে শীতল প্রভাব থাকার কারণে তা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা গুলোকে আরো বাড়িয়ে দেয়।
সুতরাং মাত্রাতিরিক্ত মাটি ব্যবহার না করে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বক শরীর উভয়ের জন্যই উপকার বয়ে নিয়ে আসবে।
মুলতানি মাটি চেনার উপায় সম্পর্কে আমার মন্তব্য
যুগে যুগে সৌন্দর্য চর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে এই মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটি আয়রন ক্যালিসাইট ও ডলোমাইট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি যেমন আপনার ত্বকের ভেতর থেকে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে তেমনি টক্সিন উপাদানের মাত্রাও বেশ কমিয়ে দেয় এবং প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে। আর তাই আপনার স্কিনকে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখতে সঙ্গে রাখুন মুলতানি মাটি।
সম্মানিত পাঠক আশা করছি আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনি মুলতানি মাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং উপকৃত হয়েছেন। এই ধরনের তথ্যনির্ভর আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে প্রতিনিয়ত আমাদের পিন পয়েন্ট মাক্স ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। আর আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url