এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন জানতে বিস্তারিত পড়ুন
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন জানেন কি? খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয় জানতে চান? তাহলে বলবো এক্ষুনি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
কারণ, আজকে আমরা আলোচনা করবো এলোভেরা মুখে দিলে চুলকানোর কারন এবং খালি পেটে খেলে কি হয় সে সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করবো ত্বকের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা।
পোস্ট সুচিপত্রঃ এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন
- মুখে এলোভেরা মাখলে কি হয়
- এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন
- পুরুষের ত্বকের যত্নে এলোভেরার উপকারিতা
- ঘৃতকুমারী খাওয়ার উপকারিতা
- ঘৃতকুমারীর পুষ্টিগুণ
- ঘৃতকুমারীর রস খাওয়ার উপকারী দিক
- এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম
- খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়
- ঘৃতকুমারী দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- ত্বকের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার
- এলোভেরার ক্ষতিকর দিক সমূহ
- এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন সম্পর্কে আমার মন্তব্য
মুখে এলোভেরা মাখলে কি হয়
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন তা অনেকেই জানেন না। দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের প্রতিনিয়তই বাইরে যেতে হয় । কিন্তু বাইরে বেরোলেই ধুলাবালি তে আমাদের ত্বকের অবস্থা নাজেহাল হয়ে পড়ে। ব্যস্ততার কারণে অনেকে হয়তো পার্লারে গিয়ে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ও সুযোগ টুকু পান না। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে ত্বকের যত্নে সব থেকে ভালো হলো প্রাকৃতিক উপাদান।
আরো পড়ুনঃ চিরতরে মেছতা দূর করার ২০টি উপায়
কারণ প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না।এক্ষেত্রে আপনি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে আপনার ত্বকের যত্নে নিঃসন্দেহে বেছে নিতে পারেন এলোভেরা । কারণ এলোভেরার ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যামিনো এসিড এর মত নানা উপকারী যৌগ রয়েছে যেগুলো ত্বকের সমস্যা কমাতে বেশ সহায়তা করে।
আবার এলোভেরার এই বিশেষ অ্যান্টি অক্সাইডিং ক্ষমতা যা আপনার ত্বকের রোদেপোড়া ভাবকে অনেকটাই কমাতে সাহায্য করবে। এখন রোদের যা দাপট তাতে আপনার ত্বকে সান বার্নও হতে পারে। আপনার ত্বকে সান বার্ন হয়ে গেলে সেই নির্দিষ্ট স্থানে নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল লাগাতে পারেন কারণ এলোভেরার জেল ত্বকে একটি সুরক্ষিত স্তর তৈরি করে।
আপনার ত্বকের বলিরেখা মলিন করার ক্ষেত্রে এবং ত্বকের বয়সকে রুখে দিতে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর ভূমিকা অনন্য। ভাবছেন কিভাবে তাহলে শুনুন ,এলোভেরার এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের গভীরে যায় এবং ত্বকের গভীরে পুষ্টির যোগান দেয়, যার ফলে ত্বক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় এবং ভালো থাকে।
এছাড়া প্রতিদিন এলোভেরা জেল ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বকের শুষ্কতাকে যেমন দূর করবে তেমনি আপনার ত্বকের গ্লামারকেও বাড়িয়ে দিবে। আপনারা যারা ত্বকের ব্রনের জ্বালায় অতিষ্ঠ তাদের জন্য অ্যালোভেরা হতে পারে একটি উপকারী উপাদান। কারণ, ব্রণ এবং ব্রণ পরবর্তী সময় ত্বকের দাগ দূর করতে এলোভেরা বেশ কার্যকরী।
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন
এলোভেরা মুখে দিলে কেন চুলকায় তা অনেকেরই অজানা। প্রথমেই বলে রাখি অ্যালোভেরা জেল কিন্তু সব ধরনের স্কিনের জন্যই ছবিটা এবং একটি প্রোডাক্ট। আপনার স্কিন যেমনি হোক না কেন যেমন শুষ্ক তৈলাক্ত সংবেদনশীল ব্রণ প্রবন যে টাইপের স্ক্রিনে হোক না কেন প্রত্যেকটি স্কিনের জন্য অ্যালোভেরা একটি সুইটেবল প্রোডাক্ট।
আবার অনেকের ত্বকে এক থেকে দুইবার অ্যালোভেরা ব্যবহারের পর তা আর শুট
করতে চায় না। কারণ, আমরা অনেকেই সরাসরি গাছ থেকে তুলে এনে সরাসরি মুখে বা
চুলে এলোভেরা জেল দি। আবার অনেক সময় দেখা যায় অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে মুখে এলার্জির সৃষ্টি হয় কিংবা চুলকায়। এক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে অ্যালোভেরার বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে।
তাই এলোভেরার সকল প্রজাতি আমাদের ত্বকের জন্য বা চুলের জন্য সুইটেবল নয়।
আবার এলোভেরা তে ল্যাটিক্স নামে এক ধরনের উপাদান রয়েছে যার ফলে আমাদের
ত্বকে বিভিন্ন ধরনের রেস চুলকানির সৃষ্টি হয়। আপনাদের যাদের সরাসরি
এলোভেরা মুখে ব্যবহারের ফলে এই ধরনের এলার্জি বা চুলকানির প্রবণতা দেখা দেয়, তারা বাজার থেকে কেনা দুদিন জেল ব্যবহার করতে পারেন।
এখন হয়তো আপনি ভাবছেন বাজার থেকে যে সুদিং জেলগুলো পাওয়া যায় সেটি তো
আমরা যে প্রাকৃতিক যে এলোভেরা জেল ব্যবহার করি সেটি দিয়েই তৈরি করা
হয়েছে। তাহলে আমার হাতের কাছে প্রাকৃতিক এলোভেরা জেল থাকতে আমি কেন বাজার
থেকে অ্যালোভেরার সুদিং জেল কিনে ব্যবহার করব। এক্ষেত্রে বলে রাখি বাজার থেকে কেনা অ্যালোভেরা জেলের
প্রত্যেকটির গায়ে একটি পারসেন্টেজ লেখা থাকে। যেমন- কোন কোন এলোভেরা জেল এর
গায়ে 92% 97% আবার কখনো কখনো ১০০% লেখা থাকে। এর কারণ হলো কোন
অ্যালোভেরার জেলের গায়ে যদি ৯২% লেখা থাকে তাহলে বুঝতে
হবে তাদের ৯২% এলোভেরা আছে এবং বাকি যে ৮% ছিল সেটি ল্যাটিক্সসহ অন্যান্য
ক্ষতিকর উপাদান যা ছিল তা দূর করে দেওয়া হয়েছে।
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকানোর কারন
আর ওই ৮ শতাংশের জায়গায় মিনারেল অয়েল, গ্লিসারিন সহ বিভিন্ন উপকারী যে উপাদানগুলো আছে আমাদের স্কিনে সেগুলো যোগ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে এটিতে ক্ষতিকর উপাদান না থাকায় আপনার স্কিনে চুলকানি হওয়ার প্রবণতা খুবই কম। এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন আশা করছি তা বুঝতে পেরেছেন।
এলোভেরার রস খাওয়ার উপকারী দিক
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন তা ইতিমধ্যেই আজকের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন। এবার চলুন এলোভেরার রস খাওয়ার উপকারি দিক সম্পর্কে জেনে নিন--
- আপনি যদি প্রতিদিন প্রতিবার খাওয়ার ঠিক চৌদ্দ মিনিট আগে এক চামচ করে অ্যালোভেরার জুস পান করতে পারেন তাহলে এতে করে আপনার ওজন দ্রুত কমে যাবে।
- আপনি আপনার ওজন কমানোর জন্য মধুর সঙ্গে মিশিয়েও অ্যালোভেরার জুস খেতে পারেন।
- সুষম খাদ্যের পাশাপাশি এলোভেরার জুস পান করলে কষ্টকাঠিন্য দূর হয়ে যায়।
- আপনাদের অনেকেই অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন। যারা এনিমেলছেন তাদের জন্য এলোভেরা প্লান্টের রস খাওয়া অত্যাবশ্যক কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে বিদ্যমান একাধিক উপকারী উপাদান যা দেহে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে।
- এলোভেরার জুস খাওয়া মাত্র আপনার শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রভাব বেড়ে যায় যে কারণে শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গের পাশাপাশি আপনার হার্টের কার্যক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে। হলে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আপনার যেমন কমে যায় তেমনি হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও দূর হয়।
- প্যানক্রিয়াস সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের চিকিৎসাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহৃত হয়।
এলোভেরা খাওয়ার নিয়ম
এলোভেরা মুখে দিলে কি কারনে চুলকায় তা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। আমরা অনেকেই জানিনা অ্যালোভেরা কিভাবে খেতে হয়। অ্যালোভেরা সাধারণত জুস হিসেবে খাওয়া হয়। আপনি প্রথমে অ্যালোভেরা গাছ থেকে পাতার একটি অংশ ভেঙ্গে নিন। তারপর পাতার ভেতর থেকে শ্বাস বের করে নিন এবং সেটি সাধারণ তাপমাত্রায় জলের সাথে গুলে নিন। এতে খুব সামান্য পরিমাণ পাতিলেবু মিশিয়ে নিতে পারেন।
অতঃপর জুসটি একদম খালি পেটে সকালে খেয়ে নিন। আবার আপনি চাইলে এটিকে সালাদ হিসেবে খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে আপনি যদি এক গ্লাস এলোভেরার জুস পান করেন তাহলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এছাড়া আপনি আপনার খাদ্য তালিকায় এলোভেরা কে কিউব করে কেটে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন।
খালি পেটে এলোভেরা খেলে কি হয়
খালি পেটে এলোভেরা খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সারারাত খালি পেটে থাকার পরে আপনি সকালে কি খাচ্ছেন এবং এমন কিছু খাওয়া উচিত যা আপনি শরীরকে সুস্থ রাখবে। আপনি সকালে উঠে প্রথমে এলোভেরার শরবত খেতে পারেন। এতে করে এলোভেরায় যে ভিটামিন মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অ্যালোভেরার শরবত হতে পারে
আপনার জন্য একটা উপাদেয় পানীয়। আবার আপনার শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্স ঠিক রাখতেও অ্যালোভেরার শরবত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এলোভেরা তে ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই থাকার কারণে সকালে খালি পেটে এলোভেরা খেলে আপনার যেমন একদিকে পুষ্টির ঘাটতি হবে তেমনি নিজেকেও সুস্থ রাখতে পারবেন।
এলোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
এলোভেরা মুখের ত্বকে দিলে চুলকায় কেন তা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এলোভেরা জেল আপনারা অনেকভাবে ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরাই বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ফর্সা হতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি ২ চামচ এলোভেরার জেলের সঙ্গে এক চামচ মধু এবং হাফ চামচ লেবুর রস আতপ চালের গুড়া একসাথে ভালোভাবে পেস্ট করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
এরপর আপনার সমস্ত ত্বকে এটি ভালোভাবে মেসেজ করে লাগিয়ে নিন এবং আধাঘন্টা পর্যন্ত শুকিয়ে নিন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জলে আপনার মুখটি ভালোভাবে মেসেজ করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন যদি আপনি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার দল ফর্সা হতে শুরু করবে।
ত্বকের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার
ত্বকের যত্নে এলোভেরা ব্যবহার করলে আপনার ত্বক থাকবে ঠান্ডা এছাড়া ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ব্রণের দাগ ও অন্যান্য কালচে দাগু দূর করতে সাহায্য করবে এই অ্যালোভেরা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যায় কিভাবে ত্বকের যত্নে আপনি এলোভেরা ভেষজটি ব্যবহার করবেন--
লেবু ও অ্যালোভেরার ব্যবহার- লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি এটি এলোভেরার সাথে মিশালে এই দুই উপাদান ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আপনি দুই চা চামচ এলোভেরা জেল এর সাথে ১-৪ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে মেসেজ করুন ৫ মিনিটের মত। এরপর কুসুম গরম পানিতে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি যদি নিয়মিত ব্যবহার করেন তাহলে খুব দ্রুত ফল পাবেন।
ত্বকের যত্নে টক দই ও অ্যালোভেরার ব্যবহার- আমাদের ত্বককে প্রাকৃতিকভাবেই ময়শ্চারাইজার করে। আপনি একটি পরিষ্কার পাত্রই দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল ও এক চা চামচ টক দই একসাথে মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি খুব তৈলাক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ১ চামচ লেবুর রস ও মিশিয়ে নিতে পারেন। মিশ্রণটি ১৫ মিনিটের মতো ত্বকে লাগিয়ে তারপরে ধুয়ে ফেলুন।
এলোভেরা জেল ও গোলাপ জলের ব্যবহার- আপনি এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল এর সাথে এক চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে আপনার ত্বকে লাগান এবং 20 মিনিট অপেক্ষা করে তারপর ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং মসৃণ হবে।
নারিকেল তেল ও অ্যালোভেরা জেল এর ব্যবহার- আপনি পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে কয়েক ঘন্টা নারিকেলে তেল মিশে ত্বকে লাগান । কিছুক্ষণ রেখে তা ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করতে থাকলে আপনার তক হবে উজ্জ্বল এবং মোলায়।
এলোভেরার ক্ষতিকর দিক সমূহ
এলোভেরারর যেমন উপকারী দিক রয়েছে এমনি এর কিছু ক্ষতিকর দিক রয়েছে ক্ষতিকর দিকগুলো হলো
- খুব বেশি পরিমাণে এলোভেরা খাওয়া উচিত নয় এতে করে আপনার কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
- ভেতরের রসালো পদার্থটি বের হয় তখন এর সঙ্গে ভুলবশত শুধু ল্যাটেক্স বের হতে পারে যে শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর ।এটি যদি শ্বাসের সাথে মিশে যায় এবং খাওয়া হয় তবে এটি শরীরের বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে যেমন পেট ব্যথা, কাশি প্রভৃতি দেখা দিতে পারে।
- দীর্ঘদিন ধরে এলোভেরা ব্যবহার করলে প্রসাব, ডায়রিয়া বা শারীরিক দুর্বলতা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
- আবার গর্ভবতী মায়েদের জন্য অতিরিক্ত এলোভেরা লেটিক্স ব্যবহারের ফলে গর্ভের বাচ্চা নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
- শিশুদের ক্ষেত্রে ত্বকে ব্যবহারের জন্য এলোভেরা যে ব্যবহার করা যেতে পারে কিন্তু অ্যালোলেটেক্স খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়া।
- অতিরিক্ত অ্যালোভেরা ব্যবহারের ফলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
এলোভেরা মুখে দিলে চুলকায় কেন সম্পর্কে আমার মন্তব্য
আয়ুর্বেদিক ভাষায় এলোভেরা কে জাদুকরী ভেষজ বলা হয়ে থাকে ।এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যেমন ভাল উপকারী তেমনি আপনার ত্বকের জন্যও এটি উপকারী। এই গরমে আপনি যদি এলোভেরা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ত্বক থাকবে ঠান্ডা। এছাড়াও ত্বক উজ্জ্বল করার পাশাপাশি ত্বকের ব্রণের দাগ এবং অন্যান্য কালচে দাগ দূর করতে সাহায্য করবে এই এলোভেরা।
অ্যালোভেরার উপকারিতা এবং অপকারিতা এই দুইটি দিকই রয়েছে সুতরাং সঠিকভাবে এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে এর উপকারিতা আপনি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন। আর তা না হলে অতিরিক্ত সেবনের ফলে এর অপকারিতা প্রতিফলিত হবে।তাই উপকারিতা এবং অপকারিতার এই দুটি কথা মাথায় রেখেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url