গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির ৬টি কার্যকরী উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে চান? গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা জানেন কি? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন। 
গর্ভাবস্থায়-ডাবের-পানির-৬-টি-কার্যকরী-উপকারিতা
কারণ, আজ আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করবো গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া কতটা নিরাপদ এবং এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে। তো চলুন আজকের মত আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্র: গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার ৬কি কার্যকরী উপকারিতা

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য ডাবের পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা অনেক। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েদের জন্য একটি অপরিহার্য পুষ্টি সমৃদ্ধ পানীয় হলো ডাবের পানি। গর্ভবতী মা এবং তার ভ্রূণের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ডাবের পানিকে সুপারফুডও বলা হয়ে থাকে। এছাড়া ডাবে বিদ্যমান ভিটামিন ই। যা একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য ডাবের পানির স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে তা আমরা জেনে নিই---
  • ইলেক্ট্রোলাইটের যোগানঃ একজন গর্ভবতী নারীর প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইটের দরকার পড়ে। কারণ, গর্ভকালীন সময়ে একজন গর্ভবতী মায়ের মর্নিং সিকনেস, ডায়রিয়া এবং বমির কারণে অনেক সময় শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ডাবের পাস। 
  • কেননা ডাবের পানি এই উপাদানটি আপনার শরীর গর্ভাবস্থায় হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের পানির সোডিয়াম ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়াম আপনার শরীরে প্রয়োজনীয়তা প্রদান করে থাকে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেঃ গর্ভাবস্থায় সব মায়েদের খুব সাধারণ একটি সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। গর্ভাবস্থায় সাধারণত প্রজেস্টেরন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার কারণে এই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি পুষ্টি সমৃদ্ধ ডাবের পানি পান করেন তাহলে এই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
  • বুকের জ্বলাপোড়া কমাতেঃ গর্ভাবস্থায় আরেকটি প্রচলিত সমস্যা হল বুকে জ্বালাপোড়া করা এবং অস্বস্তি বোধ করা। গর্ভাবস্থায় এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনাকে খেতে হবে ডাবের পানি। কেননা ডাবের পানি পান আপনার শরীরে এসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে ।ফলে গর্ভাবস্থায় আপনার হজমের সমস্যা এবং বুক জ্বালাপোড়া সমস্যাও দূর হয়।
  • হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করতেঃ অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের গর্ভকালীন সময়ে হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। আর এই হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ গর্ভবতী মা এবং তার গর্ভজাত সন্তান উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি যদি ডাবের পানি খান তাহলে ডাবের পানি আপনার উচ্চ রক্তচাপকে কমিয়ে দিয়ে আপনার হাইপারটেনশন কে হ্রাস করতে পারে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ ডাবের পানিতে রয়েছে লিউকিক এসিড যার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি করে দেয়। ডাবের পানির এই লিউরিক অ্যাসিড আপনার শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়া গুলোকে দমন করে এবং উপকারী ব্যাকটেরিয়া গুলোর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  •  ফলে আপনি বিভিন্ন ধরনের ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। তাছাড়া ডাবের পানি এন্টিভাইরাস, এন্টিফাঙ্গাল, আন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি প্যারাসাইটিক উপাদান সম্পন্ন হওয়ায় এটি একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
  • গর্ভাবস্থায় ওজন ঠিক রাখতেঃ গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সঠিক ওজন ধরে রাখা কারণ । এই সময় ওজন হুট করে বেড়ে যায় আবার কারোআর ওজন হুট করে কমে যায়। এই সমস্যা দূর করতে আপনি ডাবের পানি খেতেই পারেন । কারণ, ডাবের পানিতে রয়েছে জিরো ফ্যাট এবং কোলেস্টেরল। ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধির কোন ভয় নেই। বরং গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি আপনার সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • পটাশিয়ামঃ ডাবের পানিতে রয়েছে পটাশিয়াম যা আপনার শরীরের ইলেকট্রোলাইটিক এর ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও এটি গর্ভাবস্থায় লেগ ক্রাম্প এবং শরীরে পানি আসা প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে।
  • ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামঃ গর্ভকালীন সময়ে আপনার শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এ দুটি উপাদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ডাবের পানিতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এই দুটি উপাদান গর্ভাবস্থায় আপনাকে স্বাস্থ্যকর ও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে গর্ভাবস্থায় আপনি নির্ভয়ে ডাবের পানি খেতে পারেন।
  • মাতৃদুগ্ধ তৈরিতেঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খেলে তা আপনার শরীরে আপনার শিশুর জন্য পুষ্টিকর মাতৃদুগ্ধ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আবার নারিকেল তেলে লরিক এসিড থাকে যা আপনার ল্যাকটেশন চলাকালীন স্তন্য দুগ্ধ তৈরিতে প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
  • শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতেঃ গর্ভাবস্থায় অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের শরীরে রক্তের আয়তন বেড়ে যায় প্রায় ৫০ শতাংশ। যার ফলস্বরূপ পা এবং পায়ের পাতা ফুলে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্ত চলাচল কম হলে পায়ে ব্যথা হয়। ডাবের পানি খেলে শরীরের রক্ত চলাচলের গতি বেশি হয় এবং পা ব্যথা এবং পা ফোলা এগুলো থেকে আপনি গর্ভাবস্থায় মুক্তি পেতে পারেন।
  • শিশুর মস্তিষ্ককে ভালো রাখেঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করলে গর্ভের শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে। ফলে এই ডাবের পানি গর্ভাবস্থায় থাকা মা এবং শিশু দুজনের শরীরের পক্ষেই ভালো। আপনি যদি গর্ভাবস্থায়ী প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে অনেক কিছুর ঘাটতিই পূরণ হবে।
  • গর্ভাবস্থায় ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতেঃ ডাবের জল গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড করে যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং এর ফলে গর্ভধারণের সময় হওয়া আপনার স্ট্রেচ মার্ক গুলি হ্রাস করে।
  • ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ ডাবের পানিতে চিনির পরিমাণ কম থাকায় এটি আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকিকে অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
  • শরীরের পিএইচ স্তর নিয়ন্ত্রিত হয়ঃ ডাবের পানিতে পাঁচটি ইলেকট্রোলাইটের অন্তর্নিহিত উপস্থিতির কারণে গর্ভাবস্থায় এটি আপনার শরীরের পিএইচ এর স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তন গুলি আপনার হৃদরোগের কারণ হতে পারে যা ডাবের পানির সাথে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
  • ফসফরাস এবং পটাশিয়ামের উপস্থিতিঃ ফসফরাস এবং পটাশিয়াম এই দুটি গর্ভকালীন সময় একজন মায়ের জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান । ডাবের পানিতে রয়েছে ফসফরাস এবং পটাশিয়াম আপনার শরীরে শক্তির মাত্রাকে বাড়িয়ে দেয়।
  • কিডনিতে পাথর প্রতিরোধেঃ ডাবের পানিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ। তাই গর্ভাবস্থায় আপনি যদি ডাবের পানি খান তাহলে এই সমস্ত খনিজ পদার্থের উপস্থিতিতে আপনার প্রস্রাবের বৃদ্ধি হয় যা গর্ভাবস্থায় অতীবও গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনার কিডনিতে পাথরে হওয়ার ঝুঁকিও অনেকটাই কমে যায়।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি কতটা নিরাপদ

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির নানাবিধ উপকারিতা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। গর্ভাবস্থায় আপনাকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে এবং সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করলে গর্ভকালীন সমযে যে সমস্ত অসুবিধা গুলি থাকে সেগুলি অনেকটাই হ্রাস পায়। গর্ভাবস্থায় সাধারণত শারীরিক ক্লান্তি একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। আর আপনি এই শারীরিক ক্লান্তির অনুভূতি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রতিদিন এক গ্লাস ডাবের পানি পান করতে পারেন।
গর্ভাবস্থায়-ডাবের-পানির-৬-টি-কার্যকরী-উপকারিতা
কারণ, ডাবের পানিতে রয়েছে প্রয়োজনীয় অপরিহার্য খনিজ পদার্থ যেগুলি আপনার শারীরিক দুর্বলতা কে দূর করবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ডাবের পানি কখন খাওয়া উচিত? হ্যাঁ তাহলে জেনে রাখুন, গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করার সবথেকে সেরা সময়টি হল সকাল বেলা। কারণ, ডাবের পানিতে থাকা পুষ্টি এবং ইলেক্ট্রোলাইট গুলি খালি পেটে খুব সহজেই শোষিত হয়ে যায়। 
 
ডাবের পানি অধিক মূত্র উৎপাদনকারী হিসেবেও পরিচিত, আর তাই গর্ভবতী মহিলাদের বেশি বেশি ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হবে। আবার যারা উচ্চ রক্তচাপের জন্য ঔষধ সেবন করছেন সে সমস্ত গর্ভবতী মায়েদের ডাবের পানি পান করার বিষয়ে আরো সচেতন হওয়া উচিত। কারণ, ডাবের জল আপনার রক্তের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। 
 
আপনার গর্ভাবস্থার একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে সকালের অসুস্থতার কারণে ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে এই ডাবের পানি। শুধু তাই নয়, ডাবের পানির উচ্চতর ফাইবার সামগ্রিক কারণে আপনি যদি সকালে এক গ্লাস ডাবের পানি খান সেক্ষেত্রে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরীভূত হবে। আবার ডাবের পানি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় 
 
গর্ভাবস্থার পরবর্তী সময়ে এটি আপনার রক্তচাপ মোকামেলায় বেশ সহায়ক হতে পারে। সুতরাং গর্ভাবস্থায় নিজেকে সুন্দর, সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখতে আপনি আজ থেকেই প্রতিদিন এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা কতখানি আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায়  শুধু ডাবের পানি নয় বরং ডাবের শাঁস খাওয়ারও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আমাদের সুস্বাস্থ্য কিংবা উজ্জ্বল ত্বকের জন্য ডাবের পানির বেশ উপকারিতা রয়েছে। তাছাড়া, প্রচন্ড গরমেও তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির কোন জুড়ি নেই। ডাবের পানি একেবারে প্রাকৃতিক বলে এর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। অনেকে আছেন যারা ডাবের পানিটুকু তৃপ্তি সহকারে খান কিন্তু ডাবের ভেতরের শাঁস টুকু ফেলে দেন।
 
আপনি যদি এই ডাবের শাঁসের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতেন তাহলে তা আর ফেলে দিতেন না। একজন গর্ভবতী মায়ের ডাবের পানি পান করার পাশাপাশি  এর শাঁসও  ভীষণ উপকারী। তো চলুন এখন আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস কতটা উপকারী হতে পারে। তার আগে চলুন জেনে নিন ডাবের শাঁসে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে--
প্রতি ১০০ গ্রাম ডাবের শাঁসে রয়েছে
  • ক্যালোরি ৩৫৪
  • ফ্যাট ৩৩ গ্রাম
  • সোডিয়াম ২০ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম ৩৫৬ মিলিগ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট ১৫ গ্রাম এবং
  • প্রোটিন ৩.৩ গ্রাম।
  • ভিটামিন সি
  • ক্যালসিয়াম
  • আয়রন
  • ম্যাগনেসিয়াম
  • ভিটামিন বি৬ এবং
  • ভিটামিন বি১২।
অনেকে গর্ভাবস্থায় ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ডাবের শাঁস ফেলে দেন। এর কারণ ডাবের শাঁস ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু ডাবের শাঁস রয়েছে অনেকগুলো উপকারিতা। ডাবের পানি, নারিকেল তেল অথবা নারিকেলের দুধের মতোই ডাবের শাঁসও গর্ভাবস্থায় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সমান উপকারী। এবার তাহলে চলুন জেনেই গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো কি কি হতে পারে--
গর্ভাবস্থায়-ডাবের-পানির-৬-টি-কার্যকরী-উপকারিতা
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে ডাবের শ্বাসঃ আপনাদের অনেকেরই ধারণা গর্ভাবস্থায় ডাবের  শাঁস খেলে শরীরে ক্যালরি বেড়ে যায় ফলে। তবে আপনি যদি পরিমিত ডাবের শাঁস খান তাতে কোন ভয় নেই। কারণ এতে আপনার শরীরে ফ্যাট জমে না এবং ওজনও বাড়ে না। বরং ডাবের সাহস দীর্ঘ সময় আপনার পেটকে ভরিয়ে রাখে। 
  • ফলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার ক্ষুধা লাগবে কম এবং বারবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। আর তাইতো আপনার ওজন বৃদ্ধিরও কোনো ভয় থাকবে না।
  • হজম ক্রিয়ায় সাহায্য করেঃ গর্ভাবস্থায় কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলি খেতে সুস্বাদু হলেও সেগুলো আপনার হজম ক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে । কিন্তু গর্ভাবস্থায় আপনি যদি ডাবের শাঁস খান সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নেই। কেননা ডাবের শ্বাসে রয়েছে প্রচুর ফাইবার যা আপনার হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি আপনার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে এবং হজমে সাহায্য করে।
  • ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করেঃ গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খেলে আপনার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। কারণ, ডাবের শাঁস রক্তের ইনসুলেট এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডাবের শাঁস আপনার অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি রোধ করে, 
  • আপনার হাড় শক্ত করে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং দাঁত ভালো রাখে। এমনকি আপনার কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতেও সাহায্য করে এই ডাবের শাঁস।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। তাহলে, এখন থেকে আপনি ডাবের পানি খাওয়ার পর নিশ্চয়ই ডাবের শাঁস আর ফেলে দেবেন না।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার বিষয়ে কিছু ভ্রান্ত ধারণা

গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার অসাধারন সব উপকারিতা আমরা আপনাকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের অনেকের মধ্যেই গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত রয়েছে। কিছু কিছু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ আছেন যারা গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা কে সমর্থন করলেও, গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা পোষণ করে থাকেন। তো চলুন গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়া নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা গুলো কি কি সেগুলি এক নজরে জেনে নিন--
  • অনেকেই ভাবেন গর্ভবতী মা যদি প্রতিদিন ডাবের পানি পান করেন তাহলে গর্ভের শিশুর চুল ঘন হয়ে বাড়বে। এই কথাটির কোন বৈজ্ঞানিক সমর্থন নেই।
  • ডাবের পানি একজন গর্ভবতী মায়ের মধ্যে অম্লতা সৃষ্টি করে কথাটি একেবারেই সঠিক নয়। কেননা এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ক্রমবর্ধমান পেট অম্লতার প্রধান কারণ। আর এর জন্য সবচেয়ে ভালো প্রতিকার হল আপনাকে নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করা। মনে রাখবেন, গর্ভাবস্থায় আপনার প্রতিটি কার্যকলাপই মাঝারি হওয়া উচিত অতিরিক্ত হওয়া একদমই উচিত নয়।
  • আবার অনেকের ধারণা, গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করলে সেটি শিশুকে সুদৃঢ় করে তোলে। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কারণ আপনার গর্ভের শিশু কোন বাহ্যিক পদার্থের ব্যবহার দ্বারা পরিবর্তিত হয় না।

ডাবের পানির পুষ্টিমান

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা জানার পর এবার নিশ্চয়ই এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে চান।ডাবের পানি শুধুমাত্র সুষম পুষ্টিকর পানীয়ও নয় বরং এটি শরীরে সতেজ কারক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে কর্মজীবী মহিলাদের ক্ষেত্রে যারা নিজেদের খেয়াল খুব কম রাখতে পারেন, তারা গর্ভাবস্থায় প্রতিদিন যদি এক গ্লাস তাজা ডাবের পানি খান। 
তাহলে শরীরের সমস্ত ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নিতে পারেন। কারণ, এক গ্লাস ডাবের পানি আপনার সকল ক্লান্তি দূর করে দিতে পারে নিমিষের মধ্যে। এবার চলুন ডাবের জলের পুষ্টি উপাদান গুলো কি কি সেগুলো জেনে নেওয়া যাক--

প্রতি এক কাপ ডাবের পানি পুষ্টিগুণ হলো:
  • ক্যালরি- ৪৬
  • শর্করা 1.3 গ্রাম
  • পটাশিয়াম- ৬০০ মিলিগ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট- ৮.৯ গ্রাম
  • সোডিয়াম- ২৫২ মিলিগ্রাম
  • আশ- ২.৬ গ্রাম
  • সুগার- ৬.২৬ গ্রাম
  • ক্যালসিয়াম- ৬%
এছাড়াও ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালিসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট রয়েছে। শুধু তাই নয়, ডাবের পানিতে আরো রয়েছে ফাইবার সোডিয়াম প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চিনি। এই একটি মাত্র পানীয় থেকে একজন গর্ভবতী মা তার শরীরের প্রয়োজনীয় সকল উপাদান পেতে পারেন, 
 
যদি গর্ভাবস্থায় আপনি ডাবের পানি পান করেন। সুতরাং একজন গর্ভবতী মায়ের অবশ্যই গর্ভকালীন সময়ে ডাবের পানি খাওয়া উচিত। শুধু পানি নয়, গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতাও অনেক। যা আমরা ইতিমধ্যেই আমাদের আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি।

গর্ভাবস্থায় কি পরিমান ডাবের পানি পান করা উচিত

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা জানার পাশাপাশি আপনি রোজ কি পরিমান ডাবের জল পান করবেন সেটিও জানা প্রয়োজন। গর্ভাবস্থায় আপনি কি পরিমান ডাবের জল পান করবেন সেটি নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার শারীরিক অবস্থার ওপর। তবে আদর্শ পরিমান হিসেবে প্রতিদিন একজন গর্ভবতী মায়ের ১ গ্লাস করে ডাবের পানি পান করা উচিত। 
 
এই পরিমাণ একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য আদর্শ এবং প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান প্রদান করতে পারে। তবে আপনার যদি বমি বমি ভাব বা অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় অথবা ডাবের পানির স্বাদ অপছন্দনীয় হয় সে ক্ষেত্রে ডাবের পানি এড়িয়ে চলাটাই উত্তম। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি থেকে পরিপূর্ণ উপকারিতা পেতে আপনি এই নিয়মে ডাবের পানি খেতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কখন থেকে ডাবের পানি পান করা উচিত

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। কথিত আছে ডাবের জল পান করলে শিশুর মস্তিষ্ক ভালো থাকে। ফলে গর্ভাবস্থায় ডাবের জল মা এবং শিশু দুজনের পক্ষেই উপকারী। গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের নিজের এবং গর্ভের ভ্রুণ দুজনের স্বাস্থ্য ধরে রাখতেই বেশ মনোযোগী হতে হয়। ফলে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রেও একজন গর্ভবতী মাকে সর্বোচ্চ সচেতন থাকতে হয়। 
 
আবার গর্ভকালীন সময়ে মহিলারা অনেকটা পরিমাণ পানি পান করেন তার দিকেও নজর রাখতে হয়।সাধারণত গর্ভাবস্থায় মহিলাদের ডায়েটের জন্য একাধিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং তার মধ্যে ডাবের পানি অন্যতম। কারণ, ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ক্লোরাইড। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডাবের পানি পান করলে একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে ইলেকট্রোলাইটিস ও তরল পদার্থের পরিমাণ তৈরি হয়।
 
গর্ভবতী মহিলাদের সাধারণত গর্ভধারণের তৃতীয় মাস থেকে ডাবের পানি পান করা উচিত। কারণ, এই সময় একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি থাকে। আর তাইতো গর্ভাবস্থায় নিয়মিত নিয়ম করে ডাবের পানি পান করলে মা এবং শিশু দুজনেই পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ হয়। গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার উপকারিতাও কিন্তু কম নয়।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পানের ক্ষেত্রে সতর্কতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির এতো উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও এই পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা মেনে চলা উচিত। সুস্থ সবল বাচ্চা জন্মদান এবং গর্ভকালীন সময়ের শারীরিক অসুস্থতা দূরে রাখতে ডাবের পানির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে এই ডাবের পানি শুধু খেলেই হবে না বরং ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
 
ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম বা সতর্কতা তেমন একটা নেই, তবুও আপনাকে কিছু বিষয় বিবেচনা করে খাওয়া উচিত। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি কি কি সতর্কতা মেনে চলবেন সেগুলো এবার জেনে নিন-
  • প্রথমেই বলি, আপনি গর্ভাবস্থায় খুব বেশি পরিমাণ ডাবের পানি পান করবেন না। এক্ষেত্রে সারাদিনে দুই গ্লাস ডাবের পানি পান করায় যথেষ্ট আপনার জন্য। কেননা গর্ভাবস্থায় বিশুদ্ধ পানিই প্রধান পানীয় হওয়া উচিত। ডাবের পানি বিকল্প হওয়া একদমই উচিত নয়।
  • আপনি ডাবের পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই কচি এবং সবুজ টাটকা ডাব বাছাই করবেন। কারণ, ডাব যত বয়স্ক হবে তার পানিতে চিনির পরিমাণ ঠিক ততটাই বেশি থাকবে যা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হবে।
  • ডাব কাটার কিছুক্ষণের মধ্যেই ডাবের পানি পান করবেন।
  • আপনার যদি আগে থেকে ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকে অথবা গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকে সেক্ষেত্রে ডাবের পানি অল্প পরিমাণ পান করবেন।
  • আপনি গর্ভকালীন সময়ে নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন কিন্তু চেষ্টা করবেন টাটকা ডাবের পানি পান করার। ডাবের পানি কখনো ফ্রিজে রেখে বা বাসি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
  • ডাবের পানিতে আপনি অন্য কোন উপকরণ যেমন চিনি, লবণ, গুড় ইত্যাদি মিশিয়ে কখনোই খাবেন না।
  • আরেকটি কথা, আপনার যদি ট্রি নাট অ্যালার্জি থেকে থাকে তাহলে ডাবের পানি পান থেকেও এই এলার্জি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনার ডাবের পানি এড়িয়ে যাওয়াটাই উত্তম হবে। 
  • জানিয়ে দিলাম গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পানের কিছু সতর্কতা সম্পর্কে। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় ডাবের শাঁস খাওয়ার নানাবিধ উপকারিতরাআপ্নি ইতিমধ্যেই জেনেছেন।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পানের অপকারিতা

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। তবে ডাবের পানির ক্ষেত্রে অপকারীর দিক থেকে উপকারীর দিকটাই বেশি। তাহলে চলুন গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির অপকারিতা গুলো কি কি সেগুলো জেনে নিন--
  • গর্ভাবস্থায় আপনাকে ডাবের পানি অবশ্যই নিয়ম করে পরিণত পরিমাণ খেতে হবে। আপনি যদি প্রয়োজনের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত ডাবের পানি পান করেন সেক্ষেত্রে আপনার উপকারের তুলনায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
  • খেয়াল রাখবেন, অতিরিক্ত ডাবের পানি পান করার ফলে কখনো কখনো ডায়রিয়াও হতে পারে। এমনটা হলে ডাবের পানিতে এড়িয়ে চলবেন।
  • যাদের এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা ডাবের পানি পানির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। কাজেই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডাবের পানি পান করবেন।
  • যাদের অল্পতেই ঠান্ডা লেগে যায় তাদের বুঝে শুনে ডাবের পানি পান করা উচিত।
  • সাধারণত ডাবের পানি গর্ভবতী মহিলাদের তেমন ক্ষতি করে না। তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে এবং ঔষধের অধীনে আছেন তারা এটির মাঝারি রোজ গ্রহণ করবেন।
  • ডাবের পানিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ফলে কিডনি রোগীদের জন্য ডাবের পানি ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তবেই ডাবের পানি খাবেন।
  • ডাবের জল যেহেতু রক্তচাপ কমায় তাই আপনার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকলে আপনি ডাক্তারের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তবেই ডাবের পানি পান করবেন।
  • আরেকটি কথা, অস্ত্র পাচারের সময় এবং অস্ত্রপাচারের পরে রক্তচাপের সাথে হস্তক্ষেপ হতে পারে। তাই প্রসবের অন্তত দুই সপ্তাহ আগ থেকে ডাবের পানি পান করা থেকে আপনি বিরত থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। সেই সাথে গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি খাওয়ার অপকারিতা গুলো কি হতে পারে সে সম্পর্কেও আপনি অবগত হয়েছেন। ডাবের পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না । তবে কোন কিছু থেকে প্রাকৃতিকভাবে উপকার পেতে হলে আপনাকে তা দীর্ঘদিন খেতে হয় বা ব্যবহার করতে হয়। 

আপনি হঠাৎ করে একদিন বা দুইদিন ব্যবহার করে কোন কিছু থেকেই ভালো উপকার পাবেন না। গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পান করে আপনি উপকার পেতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত নিয়ম করে তা পান করতে হবে । খুব বেশি পরিমাণ ডাবের পানি পান করার দরকার নেই। তাই আপনার গর্ভকালীন সময়ে আপনি আজ থেকেই ডাবের পানি খাওয়া শুরু করতে পারেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। শুভকামনা আপনার জন্য। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url