গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান? ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়? জানতে হলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
কারণ, আজকে আমরা আলোচনা করব গর্ভকালীন সময়ে ভাতের মাড়ের বিভিন্ন উপকারী দিক ও মাড় খেলে মোটা হয় কিনা সে সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করব ত্বক ও চুলের যত্নে ভাতের মাড় এর উপকারিতা সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারি দিক
- ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
- ভাতের মাড় আপনি কিভাবে খাবেন?
- ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়?
- ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- চুলে আপনি ভাতের ফ্যান কিভাবে ব্যবহার করবেন
- চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
- ভাতের মাড়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান
- ভাতের মাড়ের কিছু ঔষধি গুনাগুন
- লেখকের বক্তব্য
ভাতের মাড় খাওয়ার উপকারি দিক
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা আমাদের প্রায় কম-বেশি অনেকেরই অজানা। সাধারণত ভাত রান্নার পরে মাড়টা আমরা ফেলেই দিই। এতে চালের যা গুনাগুন রয়েছে তার সিংহভাগই সেই পানির সাথে বেরিয়ে যায়। কিন্তু আপনার শরীর এবং ত্বককে সতেজ চাঙ্গা করতে ভারতের কোন বিকল্প নেই। ফেলনা এই ভাত এর মাড়ের উপকারিতা কি কি হতে পারে চলুন তা জেনে নিন--
আরো পড়ুনঃ সাবুদানা খাওয়ার ২০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে তারা ভাতের মাড় সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনি যদি নিয়মিত দুই গ্লাস করে ভাতের মাড় খাওয়ার অভ্যাস করেন তাতে আপনার বাওয়েল মুভমেন্টে উন্নতি ঘটে। যার ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের উপশম হবে।
- ডায়রিয়া সারাতেঃ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় ভাতের মাড় বেশ কার্যকর। পাতলা পায়খানা বা ডায়রিয়া হলে আপনি এখন থেকেই ভারতের মাড় খাওয়া শুরু করুন। কারণ, ডায়রিয়ার সময় আপনি এক গ্লাস ভাতের মাড়ে অল্প লবণ মিশিয়ে খেলে তাতে আপনার শরীরে উপকারী খনিজ পদার্থের মাত্রা বাড়তে শুরু করবে এবং ডায়রিয়া রোগের প্রকোপও কমতে শুরু করবে।
- ব্রণ দূর করতে ভাতের মাড়ঃ আপনার ত্বকে ব্রণের সমস্যা থাকলে আপনি ভাতের মাড় প্রতিদিন দুবার ভালো করে আপনার মুখে লাগান। কারণ, ভাতের মাড়ে রয়েছেএন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা আপনার ত্বকের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই আপনার ত্বকের ব্রণ দূর হবে।
- ত্বককে সুন্দর রাখতেঃ ভাতের মাড় ত্বকের ক্ষেত্রে অনেকটা প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া বিভিন্ন কেস স্টাডি করার সময় একদম গবেষক লক্ষ্য করেছেন, প্রতিদিন মুখে ভাতের মাড় মেসেজ করলে ত্বকের ছিদ্র ছোট হয়ে যায় এবং সেই সাথে ত্বকের উপরি অংশে জমে থাকা মৃত কোষের আবরণও সরে যায়। ফলে ত্বক স্বাভাবিকভাবে সুন্দর এবং উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
- চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেঃ নিয়মিত ভাতের মাড় ব্যবহারে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আপনি গোসলের আগে ভারতের মাড় ভালো করে চুলে লাগান এবং কিছু সময় অপেক্ষা করার পর চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চুলের গোড়ার পুষ্টি অভাব দূর হবে এবং চুল পড়াসহ স্ক্যাল্পজনিত রোগের প্রকোপও কমতে শুরু করবে।
- শরীরের এনার্জি ঘাটতি দূর করতেঃ ভাতের মাড়ে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট যে শরীরের এনার্জি দূর করে। নিয়মিত ভাতের মাড় সেবনে এটি আপনার শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে সক্ষম। তাছাড়া শরীরচর্চার আগে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে শরীরের আট ধরনের উপকারে অ্যামাইনো এসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা এক্সারসাইজের সময় বেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ ভাতের মাড়ে রয়েছে একাধিক পরিমাণ পুষ্টি উপাদান।যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- হজমক্রিয়া উন্নত করেঃ খাবার খাওয়ার পর অনেকের বদহজমের সমস্যা হয়,খাবার হজম হতে চায় না। আপনার এই হজম সমস্যা দূর করতে আপনি খেতে পারেন ভাতের মাড়। কেননা ভাতের মাড় খাবার হজম করতেও বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে।
- গাছের সার হিসেবেঃ গাছের গোড়ার সার হিসেবে ভাতের মাড় বেশ উপকারী। গাছের গোড়ায় সার হিসেবে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
- ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ নিয়মিত ভাতের মাড় সেবনে এটি আপনাকে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি থেকেও রক্ষা করতে পারে।
- আলট্রা ভায়োলেট রশ্মিকে বাধা প্রদানঃ সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি যাতে শরীরে প্রবেশ করতে না পারে সে ক্ষেত্রে ভারতের মার বাধা দানকারী হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া মানবদেহে মেলানিন ছড়িয়ে পড়াও রোধ করে এই ভাতের মাড়।
- মাংসপেশী শক্তিশালী করতেঃ ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রাকৃতিক স্টেরয়েড যা আপনার মাংসপেশিকে অধিক শক্তিশালী এবং কর্মক্ষম করে তুলতে পারে। রণদ
- তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদানঃ ভাতের মাড় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ একটি পানীয়। ফলে এটি খুব দ্রুত গতিতে আপনার শরীরে শক্তি প্রদান করতে সক্ষম।
- জ্বরের উপশমেঃ আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের ভাইরাল ইনফেকশন বা জ্বর হয় এই সময় আপনি ভাতের মার খেলে আপনার শরীরে যেমন জলের ঘাটতি হবে না, তেমনি আপনার শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পেতেই থাকবে। যা আপনাকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
- ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে এটি মেটাবলিজম এর রেট বাড়িয়ে আপনার বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
- ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধে ভাতের মাড়ঃ প্রচন্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে প্রচুর ঘাম নির্গত হয়। যার ফলে আমাদের শরীর থেকে জল ডিহাইড্রেশন আকারে বেরিয়ে আসে। এই সময় আপনি ভাতের মাড় খেলে এটি আপনার শরীরের জলের ক্ষয় রোধ করতে পারে।
- হাড় ও পেশির উন্নতিতেঃ ভাতের ফ্যানের রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার হাড় এবং পেশির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- পাকস্থলী সুস্থ রাখতেঃ নিয়মিত ভাতের মাড় খেলে এটি আপনার পাকস্থলীকে সুস্থ রাখে। শুধু পাকস্থলী নয় বরং পাকস্থলীকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং পেটের ব্যাথা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। তাছাড়া ভাতের মাড় শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়ানোর ক্ষেত্রেও বেশ কার্যকর।
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক
ভাতের মাড়ের ক্ষতিকর দিক তেমন একটা নেই বললেই চলে। গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় এর উপকারিতা বিবেচনা করলে এর অপকারিতা একেবারেই নগণ্য। তবুও অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে। যেমন--
- প্রোটিনঃ মুখের অল্পতা থাকা গ্লুটেন সহ অন্যান্য প্রোটিনের অস্তিত্বের কারণে এটি কিছু কিছু মানুষের মধ্যে মুখের অল্পতা এবং অতি সহনশীলতার কারণ হতে পারে।
- পাচন সমস্যাঃ অতিরিক্ত মাড় খাওয়ার ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বাচনের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
- গ্যাস এবং পেটের ব্যথাঃ অধিক পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে এটি আপনার পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করতে পারে এবং তাতে পেট ব্যথাও হতে পারে।
- প্রজনন তাত্ত্বিক সমস্যাঃ অতিরিক্ত ভাতের মাড় খাওয়া আপনার শরীরে অভিবাসন পূর্ণ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- ফ্যাট বৃদ্ধি করেঃ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পরিমাণে ভাতের মাড় খেলে এটি আপনার রক্তে চর্বির মাত্রাকে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং সেই সাথে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পেতে পারে।
- এলার্জির সমস্যাঃ ভাতের মাড় খাওয়ার ফলে অনেকের শরীরে এলার্জির উদ্রেগ হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি ভাতের মার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
ভাতের মাড় আপনি কিভাবে খাবেন?
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা পেতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে ভাতের মাড় খেতে হবে। নিয়ম মেনে ভাতের মাড় খেলে এর থেকে আপনি উপকারিতাই বেশি পাবেন। চলুন আপনি কি নিয়মে ভাতের মাড় খাবেন তা জানিয়ে দিই --
আরো পড়ুনঃ সূর্যমুখী বীজের ২০টি কার্যকরী উপকারিতা
- ভাতের মাড়ের সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন
- অনেকেই আবার ভাতের মাড়ের সাথে জলপাই বা তেতুলের টক গুড়ো চিংড়ি সমেত ডালের মতো রান্না করেও খেতে পছন্দ করেন। এতেও ভাতের মাড়ের পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
- আপনি বাড়িতে ঝটপট স্যুপ রান্না করতে চাইলে ভাতের মাড় কখনো ফেলবেন না। স্যুপ যেভাবে রান্না করেন ঠিক একইভাবে রান্না করবেন। শুধুমাত্র স্যুপ ঘন করার জন্য আপনি কর্নফ্লাওয়ার না দিয়ে তাতে দিয়ে দিন ভাতের মাড়। তাছাড়া সাধারণ স্যুপ এর মতো ভাতের মাড়ের সাথে চিংড়ি বা মুরগির গোশত যোগ করে এটাকে আরো মজাদার করা যায়।
- আপনি গরম ভাতের মাড়ের সাথে সামান্য লবণ এবং ঘি মিশিয়েও খেতে পারেন। এটিও স্বাদ এবং স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ভালো।
- অনেকে ভুনা খিচুড়ির পরিবর্তে তরল খিচুড়ি পছন্দ করেন এবং এটি হজমের ক্ষেত্রেও বেশ উপকারী। আর এই তরল খিচুড়ি তৈরি করতে আপনি পানির পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়।
- টমেটো সস ছোট-বড় কমবেশি সকলেরই পছন্দের একটি খাবার। এই টমেটো সস তৈরি করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাদ।)ক। এক্ষেত্রে আপনি কয়েকটি টমেটো সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেবেন এবং তার সাথে ভাতের মাড় ও প্রয়োজনীয় মসলা, সিরকা যোগ করে নিন। এভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভাতের মাড় দিয়ে বেশি পরিমাণে তৈরি করে নিতে পারবেন টমেটো সস।
- আপনার যদি ভাজাপোড়া খাবার অভ্যাস থাকে তাহলে ভাতের মাড় অবশ্যই ফেলবেন না। না ফেলে তা ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন।কারণ বেগুনি কিংবা পাকোড়া জাতীয় ভাজাপোড়া তৈরি করতে বেসন দিয়ে যে ব্যাটার তৈরি করতে হয় তাতে আপনি পানির পরিবর্তে ব্যবহার করুন ভাতের মাড়। এতে আপনার বেসন যেমন কম লাগবে তেমনি খাবারের স্বাদও দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যাবে।
ভাতের মাড় খেলে কি মোটা হয়?
ভাতের মাড় খেলে মোটা হয় কিনা এই প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনেই। আমরা কমবেশি সকলেই শুধু ওজন কমিয়ে স্লিম হতে চাই। আবার কেউ কেউ আছেন যারা অতিরিক্ত স্লিম হওয়ার কারণে ওজন সামান্য বাড়াতে চান। অনেকেই আবার জানতে চান, ভাতের মাড় খেয়ে মোটা হওয়া যায় কিনা। আবার, আপনার পরিচিত জনদের মধ্যে অনেকেই দেখবেন ওজন নিয়ে তারা বেশ চিন্তিত।
তবে, এই অতিরিক্ত ওজন শরীরের জন্য যেমন ক্ষতিকর তেমনি অত্যাধিক কম ওজনও শরীরের জন্য ক্ষতিকর। আবার হঠাৎ করে শরীরের ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া যেকোন জটিল রোগের লক্ষণও হতে পারে। তাই ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে আপনাকে সর্ব প্রথমে পর্যবেক্ষণ করতে হবে আপনার ওজন কেন কমে যাচ্ছে? অনেক সময় থাইরয়েডের সমস্যা, লিভারের সমস্যা বা হজমের সমস্যা থাকার কারণে ওজন কমে যেতে পারে।
তাই আপনার ওজন ধীরে ধীরে কমছে নাকি হঠাৎ করে কমে যাচ্ছে সেটিও পর্যবেক্ষণ করা ভীষণই জরুরী। যাদের ওজন একেবারেই কম কিন্তু ওজন বাড়াতে চান, তারা ইচ্ছা করলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নিজের ওজন বাড়াতে পারবেন না। এতে আপনার শরীরের ক্ষতি হবে। আর তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আপনাকে নিয়ম মেনে সকাল , দুপুর এবং রাতের খাবারের পাশাপাশি এমন কিছু পুষ্টিকর খাবার যোগ করতে হবে যা থেকে আপনি অতিরিক্ত ক্যালরি পাবেন।
সে হিসেবে ওজন বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার খাদ্য তালিকার ডায়েটে যোগ করতে পারেন ভাতের মাড়। কারন, ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। সুতরাং প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার ওজন বাড়াতে চাইলে আজ থেকেই তরল ক্যালরি হিসেবে ভাতের মাড় খাওয়া শুরু করুন।
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড় এর উপকারিতাও কম নয়। এই ভাতের ,মাড় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যতটা উপকারী ঠিক ততটাই আপনার ত্বকের জন্যও উপকারী। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন ভাতের মাড় আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে কি কি উপকার বয়ে আনতে পারে এবং আপনি কিভাবে ভাতের মাড় ত্বকে ব্যবহার করবেন তা জানিয়ে দিচ্ছি--
- রোদে পোড়া দাগ দূরীকরণঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে ঘরের বাইরে কাজে বের হতেই হয়। ফলে রোদে পুড়ে অনেক সময় আমাদের ত্বকে কালো ছোপ দাগ পড়ে যায়। আপনার ত্বকের এই কালো ছোপ দাগ দূর করতে পারে ভাতের মাড়। এই কালো ছোপ দাগ দূর করতে আপনি ১ টেবিল চামচ আলুর রসের সাথে ১ টেবিল চামচ ভাতের মাড় ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে 15 মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠিক পনের মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে আপনার ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এভাবেই বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বক থেকে রোদে পোড়া দাগ খুব সহজেই দূর হবে।
- ত্বকের কালচে দাগ দূর করতেঃ ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে আমরা অনেক সময় নানা ধরনের প্রসাধনী বা কসমেটিক্স ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এতে উপকার তো হয়ই না বরং একটা সময় পরে আপনার ত্বকের স্কিনের ক্ষতিসাধন হয়। এমনকি ত্বকে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায়। আর তাই প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি আপনার ত্বকের কালচে তার দূর করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়।
- এক্ষেত্রে আপনি ভাতের মাড় সংগ্রহ করে 48 ঘন্টা পর্যন্ত রেখে দিন। অতঃপর ভাতের মাড় এক কাপ পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পাঁচ মিনিট গরম করুন। মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে আপনার ত্বকে লাগান এবং ত্বক শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করেই দেখুন না!! খুব নিমিষেই আপনার ত্বকের কালচে দাগ গায়েব হয়ে যাবে।
- স্ক্রাব হিসেবে ভাতের মাড়ঃ অনেক সময় আমাদের ত্বকের উপরে ধুলাবালি জমে একটা আস্তরণ তৈরি হয় এবং ত্বকে জমে থাকে মরা চামড়া। দূর করতে আপনি এক টেবিল চামচ চালের গুড়োর সাথে ১ টেবিল চামচ দই এবং কয় ফোটা আমল্ড অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ভাতের মাড় যোগ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
- এই পেস্ট আপনার ত্বকে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠিক ৩০ মিনিট পরে আপনার ত্বক ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের মরা চামড়া এবং ধুলাবালির আস্তরণ দূর করতে ভাতের মাড়ের এই ফেসপ্যাকটি বেশ কার্যকর।
- ব্রণ দূরীকরণেঃ ব্রণের সমস্যা আমাদের কম বেশি সকলেরই। ব্রনের ফলে আমাদের ত্বকে দাগের সৃষ্টি হয় যা সহজে উঠতেও চায় না। ত্বক থেকে এই ব্রন দূর করতে আপনি এক টেবিল চামচ ভাতের মাড়ের সাথে পাঁচ ফোঁটা ট্রি ওয়েল এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- তুলার সাহায্যে এই মিশ্রণটি আপনার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করে লাগান। লাগানোর পর ত্বক শুকিয়ে টান টান হয়ে আসলে ঠান্ডা জলে তা ধুয়ে ফেলুন। ভাতের মাড়ের এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের ব্রণ এবং ব্রনের দাগ থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে।
- প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ভাতের মাড়ঃ ত্বকে জমে থাকা ধুলোবালি, ময়লা প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে ভাতের মাড়। এর জন্য আপনি হালকা কুসুম গরম ভাতের মাড় সংগ্রহ করে তাতে কয়েক ঘণ্টায় এসেন্সিয়াল ওয়েল এবং হাফ কাপ পরিমাণ পানি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।
- কুসুম গরম থাকা অবস্থায় এই মিশ্রণটি দি আপনার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল করবেন, এই ফেসপ্যাক টি ব্যবহারের পর আপনার ত্বক থেকে ধুলাবালি ময়লা দূর হয়ে গেছে ত্বকের! উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।
- টোনার হিসেবে ভাতের মাড়ঃ ভাতের মাড় ত্বকের ক্ষেত্রে টোনার হিসেবেও দারুন কাজ করে। আপনি আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে একটি তুলার সাহায্যে ভাতের মাড় নিয়ে আপনার ত্বকে ভালো করে মেসেজ করুন। এরপর ১৫ মিনিট পর সাধারণ তাপমাত্রার ঠাণ্ডা জলে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বকের যে তৈলাক্ত ভাব ছিল সেটি দূর হবে।
এছাড়াও ভাতের মাড়ের শক্তিশালী অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আপনার ত্বককে টানটান করে এবং ত্বকের কালো ছোপ রোদে পোড়া দাগ দূর করে। আবার ভাতের মাড়ের ভিটামিন ও মিনারেল আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করার পাশাপাশি ত্বকে নিয়ে আসে সতেজতা এবং উজ্জ্বলতা।
চুলে আপনি ভাতের ফ্যান কিভাবে ব্যবহার করবেন
ভাতের মাড় খেয়ে যেমন মোটা হওয়া যায় তেমনি চুলের যত্নেও ভাতের মাড় একইভাবে উপকারী। বাজারে হয়তো চুলের যত্নের প্রসাধনীর কোন অভাব নেই। কিন্তু এসব প্রসাধানির থেকে প্রাকৃতিক প্রসাধনী দিয়ে চুলের যত্ন নিলে চুলের স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে তেমনি আপনার চুলও অনেক মজবুত হয়। ভাতের মাড় আপনি আপনার চুলে দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এবার চলুন চুলের যত্নে আপনি ভাতের ফ্যান কোন দুই উপায়ে ব্যবহার করবেন তা জানিয়ে দিচ্ছি--
- ভাতের মাড় স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করতে পারেন এবং
- সরাসরি চুলে ঢেলেও ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবহার পদ্ধতিঃ
প্রথমে আপনি চুল শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধরে নিন। আপনি চাইলে কন্ডিশনের ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো একবার করে ব্যবহারের পর ভাতের মাড় দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভারতের মাড় ব্যবহার করতে অসুবিধা হলে আপনি স্প্রে বোতলে ভরেও ভারতের মাড় ব্যবহার করতে পারেন। এরপর হাতের তালু এবং আঙ্গুলের সাহায্যে আপনার পুরো মাথার চুলে এবং মাথার ত্বকে ভাতের মাড় ভালোমতো মেসেজ করুন।
এই কাজে আপনি চিরুনিও ব্যবহার করতে পারেন। ভাতের মাড় মেসেজ করা হয়ে গেলে আপনি ২০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং হালকা কুসুম গরম জলে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। ব্যাস এভাবে কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার চুল গোড়া থেকে হবে মজবুত এবং শক্তিশালী সেই সাথে চুলের সিল্কি ভাব অনেকটাই বেড়ে যাবে।
চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। চুলের যত্নে ভাতের মাড় আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন তা খানিক আগেই জেনেছেন। এবার আপনাকে জানাবো চুলের যত্নে ভাতের মাড় ব্যবহার করলে আপনি এর কি কি উপকারিতা পাবেন--
- ভাতের মাড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্টার্চ এবং অ্যামিনো এসিড যা আপনার রুক্ষ শুষ্ক চুলকে করে তোলে নরম এবং সিল্কি। তাছাড়া নিয়মিত ভাতের মাড় ব্যবহার করলে আপনার চুলের আগা ফাটাও দূর হবে।
- ভাতের মাড়ে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই যা আপনার চুলকে নরম ও চকচকে করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভাতের মাড়ে থাকা ভিটামিন আপনার চুলকে উজ্জ্বল করতেও বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
- অনেক সময় চুলে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের ফলে আপনার মাথার ত্বকে জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি হতেই পারে। এক্ষেত্রে মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া,চুলকানি দূর করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন হাতের মাড়। যা আপনার মাথার ত্বককে আলতো করে পরিষ্কার করতেও সাহায্য করবে।
- অনেক সময় মাথার ত্বকে বেশি পরিমাণে সিবাম বা প্রাকৃতিক তেল তৈরি হয় যার ফলে মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে এবং খুশকির প্রকোপও বেড়ে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি আজ থেকেই শুরু করুন ভাতের মাড় ব্যবহার করা। কারণ, ভাতের মাড়ে রয়েছে জিংক যা আপনার মাথার ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে এবং চুলকানি দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।
- তাছাড়া ভাতের মাড়ে আরেকটি যৌগ উপাদান ইনসিটল যা আপনার চুলকে মজবুত করে এবং সেই সাথে চুল পড়াও রোধ করে।
- এছাড়াও শ্যাম্পুর পর আপনি কন্ডিশনের এর পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের মাড়। এতে করে আপনার চুলের গোড়া যেমন মজবুত হবে তেমনি চুল পড়াও কমে যাবে।
আরেকটি কথা না বললেই না চুলের যত্নে ভাতের মাড়ের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ফলে আপনি নিশ্চিন্তে চোখ বন্ধ করে আজ থেকেই আপনার চুলের যত্নে ব্যবহার শুরু করুন বাপের বাড়ির
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড় খেলে এটি আপনাকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা দিতে পারেন। যা আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ ভ্রূণের সুস্বাস্থ্যের জন্য জরুরী। ফেলনা এই ভাতের মাড় গর্ভকালীন সময় কতটা উপকারী তা হয়তো আপনি নিজেও জানেন না। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন গর্ভাবস্থায় আপনি ভাতের মাড় খেলে কি কি উপকারিতা পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন--
- প্রোটিন সমৃদ্ধঃ ভাতের মাড়ে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন যা গর্ভাবস্থার সময় আপনাকে গর্ভধারণের উপকারিতা দিতে পারে। তাছাড়া এই প্রোটিন আপনার গর্ভস্থ শিশুর ভৌতিক এবং মস্তিষ্কের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- ফোলেটঃ ভাতের মাড় বিদ্যমান ফলিক অ্যাসিড যা একজন গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্যের জন্য এবং গর্ভস্থ শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট সম্ভাবনার ঝুঁকি কমায়।
- মিনারেলসঃ ভাতের মাড় মিনারেল সমৃদ্ধ যা মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
- ভিটামিন বি১২ঃ ভাতের মাড়ে ভিটামিন বি১২ অনেকটাই পাওয়া যায় যা আপনার অনাগত শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
- আয়রনঃ গর্ভকালীন সময়ে প্রায় কম বেশি সকল গর্ভবতী মা-বোনরা অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগতে থাকেন। এই ভাতের মাড়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। ফলে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ভাতর মাড় সেবন করলে আপনি রক্তাল্পতা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় যেহেতু খাদ্য তালিকার দিকে বিশেষ নজর দিতে হয় এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হয় সেই হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় ডায়েটে যোগ করতে পারেন ভাতের মাড়।
ভাতের মাড়ের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান
গর্ভকালীন সময়ে ভাতের মাড়ের উপকারিতা জেনেছেন। ভাতের মাড়ে রয়েছে নানান রকম পুষ্টি উপাদান। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভাতের মাড়ে উল্লেখযোগ্য হারে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই। চিনা বিজ্ঞানী মি. লিন ভাতের মাড় গবেষণা করে দেখেছেন এতে রয়েছে দশ গুণ লৌহ, ক্যালসিয়াম ৪ গুণ,ম্যাঙ্গানিজ ১২গুণ,কপার 6 গুন এবং মেলেনিয়াম ২ গুণ। আসুন এবার দেখে নিই নিংড়ানো ভাতের মাড়ে কি পরিমান পুষ্টি উপাদান থাকে-
পুস্টি উপাদান | পরিমান (শতকরা হিসেবে) |
---|---|
ক্যালরি | ১৫% |
আমিষ | ১৫% |
শর্করা | ১০% |
আয়রন | ৫০% |
ফসফরাস | ৫০% |
আয়োডিন | ৪০% |
ক্যালসিয়াম | ৫০% |
রিবোফ্লাভিন | ২৫% |
নায়াসিন | ২৩% |
এছাড়াও ভাতের মাড়ে রয়েছে শর্করা,ফসফরাস এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান
ভাতের মাড়ের কিছু ঔষধি গুনাগুন
প্রেগন্যান্সিতে ভাতের মাড়ের উপকারিতা অনেক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও ভাতের মাড়ে রয়েছে বিস্ময়কর কিছু ঔষধি গুনাগুন যা হয়তো আপনার অজানাই রয়ে গেছে। এবার চলুন ভাতের মাড়ের ঔষধি গুনাগুন গুলো কি কি হতে পারে তা জানিয়ে দিচ্ছি--
- যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ভাতের মাড় হতে পারে উপাদেয় একটি খাবার। নিয়মিত নিয়ম করে ভাতের মাড় খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর হয়।
- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও ভাতের মাড় বেশ কার্যকর। কারণ ভাতের পারে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজ, যা আপনার রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ শর্করা বহন করে।
- ভাতের মার অতি সহজপ্রাচ্য হওয়ায় এটি গ্যাস্ট্রিক রোগীদের জন্যও বেশ উপকারী এবং এটি আলসারের ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে লেখকের বক্তব্য
গর্ভাবস্থায় ভাতের মাড়ের উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই এতক্ষণে অবগত হয়েছেন। শুধু রূপচর্চা নয়, বরং আপনার শরীরের নানান সমস্যার ঘরোয়া টোটকা হিসেবেও বাবহারিত হয় ভাতের মাড়। সম্মানিত পাঠক, ভাত রান্নার পর আপনি ভাতের মাড় ফেলে দিচ্ছেন তো!! এর ফলে মাড়ের সাথে চালের যা গুনাগুন আছে তার সিংহভাগই বেরিয়ে যাচ্ছে।
ফলে ভাতের প্রয়োজনীয় যে পুষ্টি উপাদান সেটা আমাদের শরীরে প্রবেশ তো করছেই না বরং ভাত খেয়ে শুধু ওজনই বেড়ে চলেছে। তাই আজ থেকে ভাতের মাড় ফেলনা মনে না করে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করুন এবং আপনার প্রতিদিনের ডায়েটে ভাতের মাড় অন্তর্ভুক্ত করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url