কলমি শাকের ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনি জানতে চান? কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে জানেন কি? না জানলে আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কলমি শাকের ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা
- কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা
- কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
- কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
- কলমি শাক খেলে কি হয়?
- গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
- কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
- কলমি শাকের বৈশিষ্ট্য
- কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
- কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে
- কলমি শাকের রেসিপি
- কলমি শাকের বীজের দাম
- কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য
কলমি শাক খাওয়ার উপকারিতা
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু এই কলমি শাক একটি পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যকর সবজি যা বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন মিনারেলস এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। কলমি শাক খাওয়ার ফলে আপনি নানান ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। আজকের আলোচনার শুরুতেই,আপনাকে জানিয়ে দিব কলমি শাক খাওয়ার ফলে আপনি কি কি উপকারিতা পেতে পারেন--
আরো পড়ুনঃ সজনে ডাটার ১০টি কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা
- পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কলমি শাকঃ গ্রামবাংলায় কলমি শাক অবহেলিত হলেও এটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি শাক। কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ভিটামিন কে এবং ফোলেট সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কলমিঃ কলমি শাকের এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস থেকে রক্ষা করতে পারে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত কলমি শাক খেলে এটি আপনার হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। কারণ কলমি শাকে রয়েছে উচ্চ ফাইবার এবং পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফাইবার হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করেঃ কলমি শাক কলমি শাক খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। কারণ কলমি শাকের কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আপনার রক্তে শর্করাস স্তর নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তাছাড়া এটি ইনসুলিনের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়া উন্নত করে।ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ আপনার পেটে হজম জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকলে আজ থেকেই খাবার পাতে যোগ করে নিন কলমি শাক। কারণ কলমি শাক উচ্ছে ফাইবার সমৃদ্ধ যা আপনার হজম ক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়।
- অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধেঃ কলমি শাক খাওয়ার ফলে এর ভিটামিন কে আপনার হাড়ের শক্তি বজায় রাখে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
- অ্যানিমিয়া দূর করেঃ আপনি কি রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? তাহলে আর চিন্তা কিসের! আজ থেকেই কলমি শাক খাওয়া শুরু করুন। কেননা কলমি শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন যা আপনার রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে পারে এবং সেই সাথে শরীরের রক্তের হিমোগ্লোবিন উৎপাদনও বাড়াতে পারে।
- ওজন কমাতে কাজ করেঃ কলমি শাক আপনি আপনার বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে চাইলে,আজ থেকেই আপনার খাদ্য তালিকায় যোগ করুন কলমি শাক। কারণ কলমি শাকে রয়েছে সবথেকে কম ক্যালোরি এবং উচ্চফাইবার। যা কিনা আপনার পেট কে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে। এতে করে আপনার খাবারের প্রতি চাহিদা কমে এবং ওজনও প্রাকৃতিকভাবে কমতে থাকে।
- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ নিয়মিত কলমি শাক খেলে এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ এবং রোগ বালাই থেকে আপনি খুব সহজে নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।
- হৃদপিণ্ড ভালো রাখেঃ কলমি শাকের পটাশিয়াম এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা আপনার হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
- মাসল ফাংশন উন্নতিতেঃ কলমি শাক ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হয় এটি আপনার মাসল ফাংশন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
- গর্ভাবস্থায় উপকারী কলমি শাকঃ কলমি শাকে রয়েছে ফোলেট,যা গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী।কারণ,এই ফলে শিশুর স্নায়ু টিউবের বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক এবং গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
- মানসিক চাপ কমায়ঃ কলমি শাকে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার মানসিক দুশ্চিন্তা উদ্বেগ এবং মানসিক স্ট্রেস কমাতে সহায়ক হতে পারে।
- প্রাকৃতিক ডিটোক্সিফায়ার কলমি শাকঃ আপনি যদি নিয়মিত কলমি শাক খান তাহলে এটি আপনার শরীর থেকে নানান বিষাক্ত উপাদান বের করে দিতে পারে। ফলে কলমি শাক আপনার শরীরে প্রাকৃতিক ডিটোক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
- লিভার সুস্থ রাখেঃ লিভার ভালো রাখতে কলমি শাক বেশ কার্যকরী।এক গবেষণায় দেখা গেছে,কলমি শাক আপনার লিভার থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। সুতরাং লিভারের সমস্যায় ভুগলে আপনি আপনার খাবার তালিকায় কলমি শাক রাখতে পারেন।
- হার্টের সুস্থতায়ঃ কলমি শাক কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি যা আপনার হার্টের সুস্থতায় জরুরী। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যারা নিয়মিত কলমি শাক খান তাদের হার্টের রক্তনালীর ভেতরে প্লাক জমতে পারে না। ফলে হার্ট ভালো থাকে।
- ক্যান্সার থেকে দূরে রাখেঃ কলমি শাকে রয়েছে ১৩ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনাকে প্রাণভাতী ক্যান্সার রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে। তাই ক্যান্সার থেকে বাঁচতে হলেও আপনার কলমি শাক খাওয়া উচিত।
- দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র বয়সের কারণেই চোখের সমস্যা হচ্ছে না। বরং ছোট বড় সকলেরই কম বেশি চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনি নিজে তো কলমি শাক খাবেনই সেই সাথে আপনার শিশুকেও কলমি শাক খাওয়ানোর অভ্যাস করুন। কারণ কলমি শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে যা আপনার চোখের জন্য উপকারী।
কলমি শাকের ক্ষতিকর দিক
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকই রয়েছে। কলমি শাকের উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা তখনই পাবেন যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে কলমি শাক খাবেন। কিছু কিছু বিশেষ পরিস্থিতিতে কলমি শাক খেলে আপনার শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে। যেমন ধরুন-
আরো পড়ুনঃ রসুনের অজানা ২০টি স্বাস্থ্যকর উপকারিতা ও অপকারিতা
- এলার্জির সমস্যাঃ অতিরিক্ত কলমি শাক খাওয়ার ফলে কিছু কিছু মানুষের শরীরে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এর ফলে আপনার শরীরে চুলকানি চাকা চাকা লালচে দাগ ইত্যাদি এলার্জির উপসর্গ সৃষ্টি হতে পারে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ অধিক পরিমাণে কলমি শাক খাওয়ার ফলে আপনার পাঁচনতন্ত্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এর ফলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
- কিডনির সমস্যাঃ কলমি শাকে কিছু পরিমাণে অক্সালেট থাকে, যা কিনা আপনার কিডনিতে পাথর সৃষ্টি করতে পারে। তাই যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে বা কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা কলমি শাক সীমিত পরিমানে খাবেন।
- থাইরয়েড এর সমস্যাঃ আপনাদের যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে খাওয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে করে এই শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া না হয়। কারণ কলমি সাথে কিছু থাইরয়েড বিধ্বংসী উপাদান থাকতে পারে, যা আপনার থাইরয়েড গ্রন্থের কার্যক্রমে বাধা প্রদান করতে পারে।
- আয়রন শোষণ সমস্যাঃ কলমি শাকের যেহেতু অক্সালেট রয়েছে,সেহেতু এটি আপনার শরীরের আইরন শোষণকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। এর ফলে আপনার অ্যানিমিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- রক্ত পাতলা করেঃ যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ গ্রহণ করছেন তারা কলমি শাক খাওয়ার আগে অন্তত একবার একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করবেন। কেননা কলমি শাক আপনার রক্ত পাতলা করার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করতে পারে।
কলমি শাকের এই অপকারিতা গুলো উপকারিতার থেকে একেবারেই নগণ্য। তবে আপনি যদি নিয়ম মেনে পরিমিত মাত্রায় কলমি শাখান সেক্ষেত্রে এর উপকারিতাই বেশি পাবেন।
কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে
আপনারা অনেকেই জানতে চান কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়ে না কমে।দেখুন,কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়বে নাকি কমবে তা মুলত নির্ভর করবে আপনার রক্তচাপের উপর।কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়তে কিংবা কমতে পারে বিভিন্ন কারণের জন্য।যেমন ধরুন,আপনি কি পরিমান কলমি শাক খাচ্ছেন, আপনার বর্তমান শারীরিক অবস্থা ইত্যাদির ওপর।
সাধারণভাবে, কলমি শাকের মধ্যে পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার রয়েছে যা আপনার রক্তচাপ কমাতে সহায়ক হতে পারে।কারণ,পটাশিয়াম সোডিয়ামের প্রভাবকে অনেকটাই কমিয়ে দেয় এবং তরল ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া এই শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও বেশ কার্যকরী।
তবে,কলমি শাকের প্রভাব স্বাস্থ্য ভেদে একেকজনের একেক রকম হতে পারে। বিশেষ করে যাদের কিডনি সমস্যা,থাইরয়েড সমস্যা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে কলমি শাক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি তাদের রক্তচাপের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।তাই কলমি শাক সাধারণভাবে রক্তচাপ কমাতে সহায়ক হলেও
বিশেষ ক্ষেত্রে এর প্রভাব ভিন্ন রকম হতেই পারে। আর ঠিক এই কারণেই কলমি শাক রক্তচাপ কমালেও ব্যক্তি বিশেষ এটি একরকম কাজ নাও করতে পারে। তাছাড়া আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনি কলমি শাক খাওয়ার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে নেবেন।কলমি শাক খেলে প্রেসার বাড়বে না কমবে আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
কলমি শাক খেলে কি হয়?
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা আপনাকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। কলমি শাক খেলে নানা ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম।যা আপনার শরীরের নানা প্রয়োজনীয় কার্যক্রমে বিশেষভাবে সহায়তা করে। কলমি শাকের ভিটামিন এ আপনার চোখ ভালো রাখে, ভিটামিন সি আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়
এবং শরীরের বিভিন্ন ক্ষত সারাতে দ্রুত কাজ করে।শুধু তাই নয়,এই শাকের ক্যালসিয়াম আপনার দাঁত ও হাড়ের শক্তি ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং আয়রন আপনার শরীরে রক্তের সুষ্ঠ প্রবাহ নিশ্চিত করে। আবার যারা বদহজম বাপের খাবার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কলমি শাক অত্যন্ত উপকারী একটি শাক।
কারণ কলমি শাকের উচ্চ ফাইবার যা আপনার হজম ক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা নিমিষেই দূর করতে পারে। আবার কলমি শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে পারে এবং সেই সাথে আপনার বার্ধক্য জনিত রোগের ঝুঁকি কমাতেও ভালো কাজ করে।
এছাড়াও,কলমি শাকের পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম অপসারণ করে দেয়। এতসব উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও যারা কলমির সাথে পছন্দ করেন না তারা অন্তত একবার হলেও ভেবে দেখুন কলমি শাক আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী হতে পারে। কলমি শাক খেলে কি হয় আশা করি এর উত্তর পেয়ে গেছেন।
গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয়
কলমি শাকের উপকারিতা পেতে আপনি আপনার গর্ভকালীন সময়েও এই শাক খেতে পারেন। কারণ, গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খাওয়ারও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা রয়েছে। গর্ভাবস্থায় কলমি শাক খেলে কি হয় চলুন তা জেনে নিন--
আরো পড়ুনঃ ডুমুরের ১০টি কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা
- পুষ্টি বৃদ্ধির সহায়ক হিসেবেঃ কলমি শাক ভিটামিন এ,ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের একটি দুর্দান্ত উৎস। আর গর্ভাবস্থায় এই প্রত্যেকটি পুষ্টি উপাদানই আপনার শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি।
- গর্ভাবস্থার রক্তাল্পতা দূর করতেঃ গর্ভাবস্থায় অধিকাংশ গর্ভবতী নারী রক্তস্বল্পতায় ঘুরতে থাকে। এই রক্তস্বল্পতা থেকে আপনাকে মুক্তি দিতে পারে কলমি শাক।কেননা কলমি শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা আপনার গর্ভকালীন সময়ে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া সমস্যা দূর করতে পারে এবং সেই সাথে আপনার রক্তের ঘনত্ব বাড়াতেও কাজ করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ গর্ভকালীন সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আপনি খেতে পারেন উচ্চফাইবার সমৃদ্ধ এই কলমি শাক। এই শাকের ফাইবার আপনার হজমে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
- গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ গর্ভাবস্থায় অনেকেরই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। আপনার এই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতে পারে একমাত্র কলমি শাক। কারণ কলমি শাক পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হাওয়ায় এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
- শরীরের প্রদাহ কমাতেঃ কলমি শাকের কিছু এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে পারে। যা আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য উপকারী।
- গর্ভাবস্থায় শক্তি বৃদ্ধি করেঃ গর্ভাবস্থায় সাধারণত একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন পড়ে।আর আপনাকে এই শক্তির যোগান দিতে পারে কলমি শাক। কারণ কলমির সাথে এমন সব আইরন ভিটামিন রয়েছে যা আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে পারে।
- গর্ভস্থ শিশুর বিকাশেঃ কলমি শাকের পুষ্টিগুণ আপনার গর্ভস্থ শিশুর হাড় চোখ এবং নারায়ণগঞ্জের সঠিক বিকাশে বেশ কার্যকরী।বিশেষ করে, এই শাকের ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি আপনার শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
উপরে আলোচিত কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতার কথা মাথায় রেখে আপনি আপনার গর্ভকালীন সময়ে নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে এই শাক খাবেন। সেই সাথে আপনার খাদ্য তালিকার ডায়েটেও আপনি কলমি শাক রাখতে পারেন।
কলমি শাকে কি এলার্জি আছে
আপনারা অনেকেই জানতে চান কলমি শাকে এলার্জি আছে কিনা? আবার এলার্জির সমস্যার কারণে অনেকে কলমি শাক খেতেও চান না।তাহলে জেনে রাখুন,কলমি শাক খেলেই যে এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা কিন্তু নয়,যেমনটা গরুর মাংস হাঁসের ডিম খেলে হয়।তবে,কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে কলমি শাক এলার্জির কারণ হতে পারে যা খুবই নগণ্য।
কেননা কলমি শাকের মধ্যে যে প্রাকৃতিক উপাদান,প্রোটিন এবং অন্যান্য যৌগ রয়েছে তার প্রতি অতি সংবেদনশীলতা থাকলেই কেবলমাত্র আপনার অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আর এলার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপনার চুলকানি,ত্বকে লালচে ভাব বা ফুলে ওঠা,পেটের অস্বস্তি,বমি বমি ভাব বা ডায়রিয়া ইত্যাদি হতে পারে।
আরেকটি কথা, যাদের শাক সবজির প্রতি এলার্জি দুর্বলতা রয়েছে বা অন্যান্য খাদ্য এলার্জি সমস্যা ভুগছেন, তারা কলমি শাক খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদ বা চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তবেই খাবেন। তাহলে কলমি শাক খেয়ে অহেতুক এলার্জিতে আপনাকে ভুগতে হবে না।
কলমি শাকের বৈশিষ্ট্য
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা জানানোর পর এবার আপনাদের জানাব এই শাকের কিছু বিশেষ বিশিষ্ট সম্পর্কে। কলমি শাক একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং ঔষধি গুন সম্পূর্ণ শাক। এটি একটি বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ যা সাধারণত ২০-২৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়ে থাকে। ডাটা গুলো ২-৩ মিটার বা আরো বেশি লম্বা হয়।
কলমি গাছের ডাটার ইট থেকে শেকর বের হয় এবং এই শেকড় মাটি আঁকড়ে ধরে রাখে। কলমি শাক সাধারণত পানিতে কিংবা ভেজা মাটিতে ভালো জন্মে থাকে। এই শাকের ডাটা ফাঁপা বলে অনেক সময় পানির উপরে ভেসে থাকতেও দেখা যায়।কলমি শাকের পাতা অনেকটা লম্বাটে, ত্রিকোনাকার যা কিনা ৫-১৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং ২-৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত চওড়া হয়।
কলমি গাছের ফুল সাধারণত সাদা এবং ঘোড়ার দিকটা খানিকটা বেগুনি। এর ফুলে বীজ হয় এবং এই বীজ থেকেও কলমি শাকের চারা তৈরি করা যায়।সাধারণত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে কলমি শাকের ব্যাপক চাষাবাদ হয়।বিশেষ করে মালোই ও চীনা খাবারে এই শাক বহুল ব্যবহৃত হয়।বাংলাদেশেও কলমি শাক বেশ জনপ্রিয়
এবং আমাদের দেশে সাধারণত এই শাক ভাজি করেই বেশি খাওয়া হয়। কলমি শাকের বৈজ্ঞানিক নাম Ipomoea aquatica. ইংরেজিতে কলমি শাককে water spinach,river spinach,water morning glory,water convolvulus, Chinese spinach ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।আবার এশিয়ার কিছু অঞ্চলে কলমি শাক Kangkong নামে পরিচিত।
কলমি শাক চাষ পদ্ধতি
কলমি শাক সাধারণত গ্রাম বাংলার আনাচে-কানাচে, জলাধারে বা রাস্তার ধারে অগাধ পরিমাণে পাওয়া যায়।কলমি শাকের নানাবিধ উপকারিতা ও অপকারিতা থাকলেও গ্রাম বাংলার মানুষের কাছে এই শাক অনেকটাই অবহেলিত। কিন্তু আপনারা যারা শহর অঞ্চলে বসবাস করছেন তাদের কাছে টাটকা সতেজ কলমি শাক পাওয়াটা বেশ কষ্টসাধ্য।
তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়ির ছাদেও কলমি শাকের চাষ করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে কলমি শাক চাষের কিছু নিয়ম জানতে হবে। যেমন ধরুন- এই শাক চাষ করতে আপনি মাটি কিভাবে প্রস্তুত করবেন, কি কি সার ব্যবহার করবেন,কিভাবে পরিচর্যা করবেন ইত্যাদি বিষয়ে। এবার চলুন আপনি কিভাবে আপনার বাড়ির ছাদে কলমি শাক চাষ করবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
পাত্র ও মাটি প্রস্তুতকরণ
- পাত্র নির্বাচনঃ বাড়ির ছাদে কলবির সাথে চাষের জন্য আপনি একটি বড় পাত্র টপ বা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন।এই পাত্রে জল নিষ্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ছিদ্র করে নেবেন।
- মাটি প্রস্তুতকরণঃ বাপরে ভালোভাবে জল নিষ্কাশন নিশ্চিত করতে হালকা দোআঁশ বা কম্পোস্ট মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করবেন এবং খেয়াল রাখবেন মাটির পিএইচ এর মাত্রা যেন ৬-৭.৫ এর মধ্যে থাকে।
বীজ বপন ও পরিচর্যা
- বীজ বপনঃ এবার কলমি শাকের বীজ গুলি পাত্রে ১-২ সেন্টিমিটার গভীরতায় বপন করুন এবং প্রতি বীজের মধ্যে ১৫-২০ সেন্টিমিটার দূরত্ব বজায় রেখে বীজ বপন করুন।
- পরিচর্যাঃ বীজ বপনের পর নিয়মিত মাটি আদ্র রাখুন এবং অতিরিক্ত জল জমলে তা নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন,আপনার ছাদের তাপমাত্রা এবং আদ্রতার পরিবর্তন অনুযায়ী কিন্তু জলসেচন প্রয়োজন হতে পারে।
সার প্রয়োগ ও সুরক্ষা
- সার প্রয়োগঃ প্রতি তিন চার সপ্তাহে আপনি কম্পোষ্ট বা সাধারন স্যার এতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। আপনি চাইলে নাইট্রোজেন ফসফরাস ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সারও ব্যবহার করতে পারেন।
- পোকামাকড় দমনঃ আপনার ছাদের পরিবেশে পোকামাকড় এর প্রাদুরভাব থেকে রক্ষা করতে আপনি নিয়মিত তদারকি করুন এবং প্রয়োজনে অর্গানিক পেস্টিসাইড ব্যবহার করুন।
কলমি শাক সংগ্রহ
- কলমি চারা গজানোর প্রায় ৬-৮ সপ্তাহ পরে আপনি এর পাতা সংগ্রহ করতে পারেন এবং শাক হিসেবে খেতে পারেন। নিয়মিত কলমি শাকের পাতা কেটে এই শাক খেতে থাকুন। যাতে করে আরো নতুন পাতা গজাতে পারে।
উপরিক্ত এই পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি আপনার বাড়ির ছোট্ট ছাদেই কলমি শাক চাষ করতে পারেন এবং এবং যখন ইচ্ছা আপনার সুবিধা মত টাটকা সতেজ কলমি শাক তুলে খেতে পারেন।
কলমি শাকে কি ভিটামিন আছে
প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর কলমি শাকে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি,আইরন,ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম সহ আরো কিছু উপাদান যা আপনাকে এখন জানিয়ে দিব একটি ছকের মাধ্যমে। এবার চলুন প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকে কি কি উপাদান থাকতে পারে তা জেনে নিন--
পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
ক্যালরি | ২০ কিলোক্যালরি |
প্রোটিন | ২০ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.৫ গ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৩.৫ গ্রাম |
ফাইবার | ২ গ্রাম |
ভিটামিন এ | ৮৫০ IU |
ভিটামিন সি | ৮.৭ গ্রাম |
ক্যালসিয়াম | ১২৮ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ১.৫ মিলিগ্রা |
কলমি শাকের রেসিপি
আমাদের দেশে সাধারণত কলমি শাক ভাজি করেই বেশি খাওয়া হয়। কলমি শাকে ভাজি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে সহজেই কলমি শাকের এই ভাজি করে ফেলতে পারেন। আপনি কিভাবে এই শাক ভাজি করে খাবেন সেই রেসিপিটি জেনে নিন-
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ- কলমি শাক- ২ আটি
- পেঁয়াজ কুচি- ১ কাপ পরিমান
- রসুন- ৫-৬ কোয়া
- শুকনো লঙ্কা- ৩-৪ টি
- হলুদ গুঁড়ো- ১ চা চামচ
- তেল- পরিমাণ মতো এবং
- নুন- স্বাদ মতো
প্রস্তুত প্রণালী
কলমি শাক রান্না শুরুতে আপনি শার্টগুলো পরিষ্কার জলে ধুয়ে কেটে নিন।এবার, রান্নার জন্য প্রথমে আপনি একটি পরিষ্কার প্যানে নিন।এই প্যানে পরিমাণ মতো তেল দিন। তেল গরম হলে তাতে একে একে পেঁয়াজ কুচি,রসুন কুচি,শুকনো লঙ্কা দিয়ে খানিকটা সোনালী করে ভেজে নিন।এরপর কেটে রাখা কলমি শাক গুলো প্যানে মসলার সাথে মিশিয়ে রান্না করুন
যতক্ষণ না পর্যন্ত শাক নরম হয় এবং তেল ছেড়ে দেয়।এরপর স্বাদ অনুযায়ী লুন,হলুদ যোগ করে আরো কিছুক্ষণ শাক ভেজে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল কলমি শাক ভাজি রেসিপি। গরম গরম ভাবতে এবার পরিবেশন করুন।কলমি শাকের সর্বাধিক উপকারিতা পেতে আপনি এই শাক উপরিউক্ত নিয়মে রান্না করে খেতে পারেন।
কলমি শাকের বীজের দাম
কলমি শাকের বীজের দাম সাধারণত নির্ভর করে বীজের জাত গুণগত মান,প্যাকেজিং এর ওপর। এবার চলুন কলমি শাকের বীজের দাম সম্পর্কে আপনাকে কিছুটা ধারণা দেই-
- ভারতঃ ভারতে প্রতি ১০০ গ্রাম কলমি শাকের বীজের দাম সাধারণত ₹৫০-₹১৫০ পর্যন্ত হতে পারে। তবে কিছু অনলাইন প্লাটফর্মে ছোট প্যাকেটে যেমন ধরুন (১০-২৫ গ্রাম) ₹২০-#৫০ হতে পারে।
- বাংলাদেশঃ আমাদের দেশে প্রতি ১০০ গ্রাম কর্মী শাকের বীজ সাধারণত ১০০-২০০ টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। আর ছোট প্যাকেট গুলো বিশেষ করে ২০-২৫ গ্রামের প্যাকেট ৫০-১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
- আন্তর্জাতিক বাজারঃ বিশ্বব্যাপী অনলাইন কৃষি সরবরাহকারী সাইটে কর্মী সাথে বীজের দাম প্রতি ১০০ গ্রাম সাধারণত $১-$৫ পর্যন্ত হতে পারে। আবার ছোট প্যাকেটের দাম $১-$৩ পর্যন্ত হতে পারে।
তবে এই দাম সময় ভেদে এবং স্থানভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। তাই বাজারের বর্তমান মূল্য জানতে আপনি আপনার স্থানীয় কৃষি সরবরাহকারী বা অনলাইন স্টোর পরিদর্শন করতে পারেন।
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য
কলমি শাকের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই আজকের এই পোস্ট থেকে জানতে পেরেছেন আশা রাখছি।কলমি শাক গ্রাম বাংলার অতি সাধারণ সহজলভ্য এবং অবহেলিত শাক হলেও এর এর থেকে আপনি পাবেন দুর্দান্ত উপকারিতা। কারণ কলমি শাকে বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কলমি শাকের গুনাগুন এতটাই বেশি যে অনেক নামিদামি খাবার কেউ টেক্কা দিতে পারে এই শাক।
অনেকে আছেন যারা কলমি শা খেতে পছন্দ করেন না কিন্তু নিজের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে হলেও কলমি শাক খাওয়া উচিত।তাই আপনি আজ থেকেই আপনার এবং আপনার পরিবারের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্য তালিকায় যোগ করে নিন কলমি শাক। আর পেতে থাকুন কলমি শাকের অবিশ্বাস্য সব উপকারিতা। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url