বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম জানতে চান? বিটরুট এর উপকারিতা কি? তা এখনো আমাদের অনেকেরই অজানা। অনেকেই আছেন যারা বিট ফল না খেয়ে বিটরুটের পাউডার খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন।
বিটরুট-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করবো বিট পাউডার খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম এবং বিটরুট  ফলের উপকারিতা সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করবো বিট ফল খাওয়ার নিয়ম। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট এর উপকারিতা

বিটরুট খাওয়ার নানবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। টকটকে গাঢ় লাল রংয়ের এই সবজিটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা কি জানেন? হয়তোবা জানেন না। বিটরুটে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণভাবে উপকারী। তাহলে চলুন আজকে আলোচনার শুরুতেই জেনে আসি বিট ফলের উপকারিতা সম্পর্কে--
  • প্রথমেই বলি, আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই বিটরুট খাওয়া শুরু করুন। কারণ, বিটরুটে থাকা নাইট্রেট আপনার রক্তনালী প্রসারণ ঘটায়। যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ফলে নিয়মিত বিটরুট খেলে এটি আপনার উচ্চ রক্তচাপে সমস্যা দূর করবে।
  • বিট ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান যেমন- বিটালাইনস। যা কিনা আপনার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্ত চলাচল উন্নত করে। এতে করে আপনার হৃদরোগের ঝুকি কমে।
  • আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে বিটরুট খেতে পারেন। কারণ, বিটরুটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ। যা আপনার হজম সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দূর করে।
  • বিটরুটের এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণ আপনার শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং যেকোনো ধরনের রোগ প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকরী।
  • নিয়মিত বিট খেলে এটি আপনার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
  • নিয়মিত বিট খেলে এটি আপনার লিভারের জন্য ডিটোক্সিফায়িং উপাদান হিসেবে কাজ করে। ফলে লিভার সুস্থ থাকে।
  • বিটরুটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিটা ক্যারোটিন এবং লুটেইন। যা আপনার চোখ ভালো রাখে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত বিটরুট খেলে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তিও বাড়বে।
  • আপনি কি জানেন বিটরুটে থাকা আন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং ত্বকের দাগ ছোপ দূর করে।
  • নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার ফলে আপনার মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। এতে করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে আপনার স্মৃতিশক্তিও বাড়তে থাকে।
  • আপনাদের যাদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে তারা আজ থেকেই বিট খাওয়া শুরু করুন। কারণ, বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন এবং ফোলেট থাকে। যা আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিন এর স্তর বাড়াতে সহায়তা করে এবং সেই সাথে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ করে।
বিটরুট-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
  • আপনি জানলে অবাক হবেন যে, বিটরুট খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার অতিরিক্ত ওজনও ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। কারণ, বিটরুটে সবচেয়ে কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার থাকে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়ক।
  • গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা এবং তার গর্ভস্থ ভ্রূণের জন্য এই বিট ফল অত্যন্ত উপকারী। কারণ, এতে থাকা ফোলেট গর্ভস্থ শিশুর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  • বিটরুটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বিটরুট বিশেষভাবে কার্যকরী।
  • রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে আপনি খেতে পারেন বিটের জুস।
  • নিয়মিত নিয়ম করে বিটরুট খেলে এটি আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বিটরুট ভীষণই উপকারী। কারণ, বিটরুটে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকার কারণে এটি আপনার রক্তে খুব সহজেই শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • কিডনি এবং লিভার উভয়ের জন্যই বিটরুট অত্যন্ত উপকারী এবং ডিটক্সিফাইং হিসেবে কাজ করে। ফলে আপনার লিভার ও কিডনি সুরক্ষিত থাকে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত উপকারিতা ছাড়াও নিয়মিত বিটরুট খেলে এটি আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে। তাই আপনি সুস্থ থাকতে চাইলে নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বিট খাওয়ার অপকারিতা

নিয়ম মেনে খেলে বিটরুট পাউডার এর যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মাত্রায় দীর্ঘদিন ধরে বিটরুট খেতে থাকলে এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো আপনার শরীরে দেখা দিতে পারে। এবার চলুন বিট খাওয়ার ফলে আপনার কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নিন-
  • রক্তচাপ কমে যাওয়াঃ যেহেতু বিটে থাকা নাইট্রেট উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, সেহেতু অত্যধিক বিট খেলে আপনার রক্তচাপ আরো কমে যেতে পারে। যা আপনার মাথা ঘোরা এবং শারীরিক দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • পেটের প্রদাহঃ অতিরিক্ত পরিমাণে বিটরুট খেলে এটি আপনার পেটে গ্যাস অম্বলের সৃষ্টি করতে পারে। এতে করে আপনার ডায়রিয়াও হতে পারে।
  • গ্লুকোজের স্তর বৃদ্ধি করেঃ বিটে স্বাভাবিকভাবেই গ্লুকোজ এর পরিমাণ বেশি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ অতিরিক্ত বিট খেলে আপনার রক্তে শর্করার স্তর অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
  • কিডনি পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়ঃ আপনাদের যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত বিট খাওয়া পরিহার করুন। কারণ, বিটে থাকে অক্সালেট যা অতিরিক্ত খেলে আপনার কিডনিতে পাথর সৃষ্টির ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
  • এলার্জিক প্রতিক্রিয়াঃ অতিরিক্ত বিট খাওয়ার ফলে আপনার অ্যালার্জি জনিত সমস্যা যেমন ধরুন- চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ত্বকে লালচে চাকা চাকা দাগ ইত্যাদি হতে পারে। বিশেষ করে আপনার শরীর যদি অতিরিক্ত এলার্জি প্রবণ হয়।
  • রং এর পরিবর্তনঃ অতিরিক্ত বিট খেলে আপনার প্রসাব বা মলের রং কিছুটা স্বাভাবিকের থেকে আলাদা হতে পারে। যা অনেক সময় আপনার মানসিক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। যদিও এটি সাধারন ভাবে বিপদজনক নয়।
  • আয়রনের অভাবঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন রয়েছে তবে এটি খুব সহজে শরীরের শোষিত হতে চায় না। আর তাই অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে।
  • হরমোনের ভারসাম্যহীনতাঃ বিটরুটে থাকা কিছু রাসায়নিক উপাদান আপনার হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যা কিনা আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, বিটরুটের উপরিউক্ত অপকারিতা এড়াতে আপনি নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমানে বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস করুন। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট পাউডার খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে বিটরুটের পাউডার খেলে আপনি এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পেতে পারেন। তো চলুন এবারে এর পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন -
বিটের পাউডার খাওয়ার নিয়মঃ
  • অনেকেই আছেন যারা কাঁচা বিটরুট খেতে পছন্দ করেন না। তারা চাইলে বিটরুট পাউডারও খেতে পারেন। এই বিটরুট পাউডার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
  • আপনি যদি বিটরুট পাউডার খেতে চান তাহলে প্রতিদিন ১-২ চা চামচ বিটরুট পাউডার খাওয়াটাই আপনার জন্য যথেষ্ট। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে তাতে শারীরিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • আপনি বিটরুট পাউডার গরম বা ঠান্ডা জলের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। যা আপনার হজমে সহায়ক হবে।
  • বিটরুট পাউডার খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি নিয়ম মেনে অর্থাৎ প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে ভালো ফল পাবেন।
  • বিটরুট পাউডার খাওয়ার সব থেকে উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা। কারণ, সকালে এই পাউডার খেলে এটি দিনের প্রথম অংশে আপনার শরীরে অতিরিক্ত এনার্জি প্রদান করে। এতে করে আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়।
বিটরুট পাউডার খাওয়ার বিভিন্ন উপায়ঃ
  • স্মুদির সাথে আপনি বিভিন্ন ফলের সাথে যেমন- ধরুন আপেল, কলা এবং দুধের সাথে বিটরুট পাউডার মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
  • জুস হিসেবে আপনি চাইলে বিটরুট পাউডার পাকা ফলের জুসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন। যেমন ধরুন- কমলার জুসের সাথে বিটরুট পাউডার মিশিয়ে খেলে এটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়।
  • দুধের সাথে আপনি দুধের সাথেও বিt পাউডার মিশিয়ে খেতে পারেন। এর জন্য দুধ বা বাদামের দুধে আপনি বিটরুট পাউডার মিশিয়ে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি করে খেয়ে ফেলুন।
  • সালাদের সাথে বিভিন্ন সালাদের সাথে আপনি বিটরুট পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে সালাদের প্রোটিন ও ভিটামিন আরো বেড়ে যাবে।
  • দইয়ের সাথে ওটমিল বা দইয়ের সাথে বিটরুট পাউডার মিশিয়ে আপনি খেতেই পারেন। এটিও বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়ম মেনে আপনি পাউডার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনি বিটরুট পাউডারের সর্বাধিক উপকারিতা পাবেন।

বিট ফল খাওয়ার নিয়ম

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম  আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। কিন্তু বিট ফল খাওয়ার নিয়ম কি? জানতে চান। অনেকেই আছেন যারা বিট ফল খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। কারণ, আমাদের দেশে বিটফল এখনো খুব একটা পরিচিত সবজি নয়। তো চলুন বিট ফল আপনি কিভাবে খাবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন- 
  • প্রথমেই বলি বিটরুট খাওয়ার আগে আপনি এটি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেবেন। কারণ, এর গায়ে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে।
  • বিটরুট খাওয়ার আগে আপনি সঠিকভাবে পাকা এবং শক্ত বিটরুট বেছে নিন এবং নরম বিটরুট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিটাইন ও অক্সালেট থাকে। যা অতিরিক্ত খেলে আপনার স্বাস্থ্যঝুঁকি হতে পারে। তাই অতিরিক্ত বিটরুট না খেয়ে আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মতো ১-২ কাপ খান।
  • আপনি বিটরুট কাঁচা সবজি হিসেবে রান্না করেও খেতে পারেন। তবে রান্নার সময় অতিরিক্ত তাপে রান্না করবেন না। রান্না করলে অনেকটাই কমে যায়।
  • আপনি চাইলে বিটরুট শুধু সেদ্ধ করেও খেতে পারেন। এটিও বেশ স্বাস্থ্য সম্মত।
  • আবার কাঁচা বিটরুট আপনি শসা, টমেটো, গাজর ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন।
  • আপনি যদি কাঁচা বিটরুট খেতে অভ্যস্ত না হন সেক্ষেত্রে বিটরুট দিয়ে রস তৈরি করেও খেতে পারেন। বিটরুটের এই রসের সাথে কমলা বা গাজরের রস মিশালে এটি খেতে আরও বেশি সুস্বাদু হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা বিটরুট ভেজে খেতে পছন্দ করেন। এর জন্য আপনি বিটরুট স্লাইড করে কেটে সামান্য তেল বা ঘি দিয়ে ভেজেও খেতে পারেন।
  • বিটরুট পাতলা করে কেটে রোদে শুকিয়ে আপনি চিপস বানিয়েও খেতে পারেন।
  • বিটরুটের রস বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে আপনি বিট রুটের রস দিয়ে পাটিসাপটা তৈরি করেও খেতে পারেন।
  • মিষ্টান্ন জাতীয় বিভিন্ন খাবার যেমন ধরুন- কেক বা লাড্ডু তৈরি করতেও এর সাথে বিটরুট ব্যবহার করতে পারেন। তাতে খাবারের স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।

বিট কি কাঁচা খাওয়া যায়

বিট কি কাঁচা খাওয়া যায়? বিট পাউডার খাওয়ার বেশ কয়েকটি নিয়ম আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। আপনারা অনেকেই জানতে চান বিট কাঁচা খাওয়া যায় কিনা। হ্যাঁ সম্মানিত পাঠক, আপনি বিটরুট কাঁচা সবজি হিসেবেও খেতে পারেন। কাঁচা বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন, ভিটামিন সি, ফোলেট পটাশিয়াম, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, মিনারেল এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
 
যা আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাছাড়া কাঁচা বিটরুট খেলে আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বাড়ে এবং হৃদযন্ত্রও ভালো থাকে। আপনি কাঁচা বিটরুট সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে পারেন। আবার টমেটো, শসা, গাজর ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, কাঁচা বিটরুট দিয়ে আপনি জুস, 
 
স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন। যা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। তবে কাঁচা বিটরুট খাওয়ার সময় আপনি আপনার স্বাস্থ্য বুঝে পরিমাণ মতো খাবেন। কারণ, অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে কাঁচা বিটরুট খেলে আপনার পেটের অস্বস্তি হতে পারে। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন বিট কাঁচা খাওয়া যায় কি যায় না।

বিটরুট পাউডারের উপকারিতা

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম খানিক আগেই আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আপনি  চাইলে বিটরুট গুড়ো করে পাউডার হিসেবেও খেতে পারেন। অনেকেই আছেন যারা কাঁচা বিটরুটের থেকে বিটরুট পাউডার খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এই বিটরুট পাউডারেরও রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এবার চলুন বিটরুট পাউডারের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেবেন -
  • বিটরুট পাউডারে উচ্চমাত্রায় নাইট্রেটস থাকে যা আপনার রক্তনালীর প্রসারণে সাহায্য করে। যা আপনার রক্তচাপ কমাতে কাজ করে।
  • বিটরুট পাউডার খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরের সঞ্চালিত রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে শারীরিক ব্যায়াম করার সময় অত্যন্ত উপকারী।
  • বিটরুট পাউডারের রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি রেডিকেল থেকে খুব সহজেই রক্ষা করতে পারে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়।
  • নিয়মিত বিটরুট পাউডার খেলে এতে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দূর হয়।
  • নিয়মিত বিটরুট পাউডার খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ফলে আপনার লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • শুধু কি তাই, নিয়ম মেনে বিটরুট পাউডার খেলে এতে থাকা নাইট্রেট আফটার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
  • আবার কাঁচা বিটরুটের মতো বিটরুট পাউডারে কম ক্যালরি ও উচ্চফাইবার থাকার কারণে এটি আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফলে আপনার ওজন প্রাকৃতিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।

বিট খেলে কি হয়

বিটরুট পাউডার কিভাবে খাওয়া যায় সে নিয়ম আপনি ইতিমধ্যেই আজকের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন। আবার অনেকেই আছেন যারা বিটরুট সবজিটির সাথে খুব একটা পরিচিত নয়। ফলে বিটরুট খেলে কি হয় তা জানতে চান। আপনারা এখনো যারা বিটরুট খাননি তারা জেনে রাখুন বিটরুট খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী।
 
কারণ, বিটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা আপনার রক্তচাপ কমাতে, শরীরের শক্তি বাড়াতে এবং হজমে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে নাইট্রেট উপাদান রয়েছে যা আপনার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও নিয়মিত বিট খেলে এটি আপনার লিভারের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং শরীর থেকে টক্সিন অপসারণে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। 
 
শুধু কি তাই, এই বিট ফলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, ত্বকে ব্রনের দাগ দূর করতে, ত্বকের বলিরেখা এবং ত্বকের পুরোনো দাগ-ছোপ দূর করতে পুষ্টিবিদরা বিটরুট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সম্মানিত পাঠক, বিট খেলে কি হয় আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

বিটরুট পাউডার এর দাম কত ২০২৪

বিটরুট পাউডার এর দাম কত জানেন কি? বিট পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানার পর আপনি এবারই নিশ্চয়ই বিটরুট পাউডারের দাম সম্পর্কে জানতে চান। দেখুন বিটরুট পাউডারের দাম সাধারণত ব্র্যান্ড, এর গুণগত মান এবং বাজারে সরবরাহের ওপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়। সাধারণত ভালো মানের ৫০ গ্রাম বিটরুট পাউডার আপনি ২৪৭ টাকায় পেয়ে যাবেন। 
 
সে হিসেবে প্রতি ২০০ গ্রাম প্যাকেজের বিটরুট পাউডার এর কোয়ালিটি ভেদে আপনি ২০০-১৫০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন। আবার কিছু প্রিমিয়াম ব্র্যান্ড এবং অর্গানিক পণ্যগুলির দাম তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে কেনার আগে আপনি এর দাম যাচাই-বাছাই করে তবেই কিনবেন। এতে করে আপনার ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।

বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায়

বিটরুট পাউডার কোথায় পাওয়া যায় অনেকেই জানেন না। ফলে বিটরুট পাউডার কেনার ইচ্ছা থাকলেও আপনি কিনতে পারেন না বিটরুট পাউডার আপনি বিভিন্ন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন। প্রথমেই বলি আপনার হাতের নাগালে থাকা বিভিন্ন সুপারমার্কেট এবং স্থানীয় বাজার থেকে আপনি এই পাউডার খুব সহজেই পেতে পারেন। 
 
তাছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইন বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ধরুন- আমাজন, ফ্লিপকার্ট, দারাজ, ফেসবুক পেজ ইত্যাদি থেকেও আপনি বিদ্যুৎ পাউডার খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। তবে বিটরুট পাউডার কেনার পূর্বে আপনি এই পাউডারের গুনগত মান এবং দাম যাচাই বাছাই করে তবেই কিনবেন।

বিটের রস কখন খাওয়া উচিত

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম  কি তা জেনেছেন। অনেকেই আছেন যারা বিট দিয়ে এর রস বা জুস তৈরি করেও খেতে পারেন। কিন্তু বিটের রস খাওয়ারও একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যে সময় খেলে আপনি এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পাবেন আশা করা যায়। তাহলে চলুন এবার বিটের রস আপনি কখন খাবেন সে সময় সম্পর্কে জেনে নিন-
  • বিটের রস খাওয়ার উপযুক্ত সময় হলো সকাল বেলা খালি পেটে। কারণ, খালি পেটে বিটের রস খেলে এটি আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
  • আপনি ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করার আগে বিটের রস খেতে পারেন। এতে আপনার শরীরের শক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • দুপুরে খাবারের পরেও আপনি বিটের রস খেতে পারেন। কারণ, দুপুরে খাওয়ার পর বিটের রস খেলে এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে। ফলে আপনার পাচনতন্ত্র সুস্থ থািলতআপনি চাইলে বিকেলের নাস্তার সাথেও এক গ্লাস স্বাস্থ্যকর বিটের রস পান করতেই পারেন। এতে আপনার সারাদিনের কাজের পর শারীরিক দুর্বলতা দূর হবে।
বিটের রস পান করার ক্ষেত্রে সতর্কতা
  • আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে নিয়ম করে ১-২ কাপ রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। এর বেশি কখনোই খাবেন না। কারন, বেশি পরিমাণে খেলে আপনার পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি বিটের রস তৈরি করে সাথে সাথেই তাজা বিটের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। কেননা অনেকক্ষণ থাকলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।
  • ব্রবিটের রস খেলে অনেকের মূত্রের রং গাঢ় হতে পারে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সম্মানিত পাঠক, বিটের রস ঠিক কখন খাওয়া উচিত আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। উপরিউক্ত নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ে আপনি বিটের রস খাওয়ার অভ্যাস করুন। যা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হবে।

বিটের রসের উপকারিতা

বিটরুটের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন বিটের রসেরা রয়েছে অসাধারণ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা। এবার চলুন বিটের রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানবেন--
বিটরুট-পাউডার-খাওয়ার-নিয়ম-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
  • বিটের রসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা খেলে আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়। সেই সাথে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
  • নিয়মিত বিটের রস পান করলে এটি আপনার মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। এতে করে আপনার স্নায়ুতন্ত্র ভালো থাকে এবং অ্যালজাইমার রোগের মত ডিজেনারেটিভ রোগের ঝুঁকি কমে।
  • প্রতিদিন বিটের রস খাওয়ার ফলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুন আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ফ্রি রেডিকেলস এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। যা কিনা ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
  • শুধু কি তাই, নিয়মিত বিট রস পান করলে এটি আপনার লিভার পরিষ্কার রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়।
  • আপনি জেনে আরো অবাক হবেন, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে পারেন এই বিটের রস খেয়ে।
  • তাছাড়া বিটের রস খেলে আপনার শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ফলে শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম বিটের রস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করব এই উপকারিতা গুলো আপনি শুধু জেনেই ক্ষান্ত হবেন না। বরং আপনার রোজকার খাদ্য তালিকায় এক কাপ বিটের রস যোগ করে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

বিটরুট এর দাম কত ২০২৪

বিটরুটের দাম কত হয় অনেকেই জানেন না। এর একটাই কারণ তা হল বিটরুট সবজিটি এখনো আমাদের দেশে সর্বজন পরিচিত না।  আর দাম না জানার কারণে এবং নতুন সবজি হিসেবে অনেকেই কিনতেও চান না। আজকে আপনাকে জানিয়ে দেবো এই বিটরুটের দাম সম্পর্কে। সাধারণভাবে বিটরুটের দাম প্রতি কেজি ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
 
আবার কিছু জায়গায় এটি ২০০ টাকা  কেজি দরেও বিক্রি করা হয়।   তবে এই দাম স্থান এবং সময় ভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। বিটরুট মূলত শীতকালীন একটি সবজি। কিন্তু বর্তমানে প্রায় সারা বছরই পুষ্টিগুণে  ভরপুর এই সবজিটি বাজারে দেখতে পাওয়া যায়।  আশা করছি  বিট রুটের দাম সম্পর্কে  ধারনা পেয়েছেন।

বিট দিয়ে রূপচর্চা

বিট দিয়ে রূপচর্চাও করা যায় তা কি জানেন? আপনি শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন! অবাক হওয়ারই মত কথা। কারণ, আজকাল ত্বক এবং চুলের যত্নে বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। নিয়মিত বিট ব্যবহারে আপনার ত্বকের গ্লো যেমন ফিরে আসে তেমনি চুলও হয়ে ওঠে উজ্জ্বল ঝলমলে। এবার চলুন ত্বক ও চুলের যত্নে বিট কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন--
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ প্রথমেই বলি ত্বকের যত্নে আপনি একটি কাঁচা বিটরুট স্লাইস করে কেটে আপনার মুখ এবং গলার ত্বকে ১৫ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কিছুদিন ব্যবহারে আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
  • ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করতেঃ আপনার ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করতে বিটরুটের রসের সাথে দুধ এবং মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিতে তুলা ডুবিয়ে আপনার ডার্ক সার্কেল এর স্থানে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ঠিক ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  • ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতেঃ ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে আপনি রুটের রসের সাথে সামান্য চিনি মিশিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাব করুন। এভাবে টানা বেশ কিছুদিন ব্যবহার করুন। তাতে দেখবেন আপনার ঠোঁটের কালকে ভাব অনেকটাই কমে গেছে।
  • ত্বকের বলিরেখা দূর করতেঃ ত্বকের বলিরেখা নিয়ে আপনি কি চিন্তিত! তাহলে বলবো আপনি বিটরুটের রসের সাথে মধু ও দুধ মিশিয়ে ত্বকে লাগান। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুইবার এটি ব্যবহারের চেষ্টা করুন। তাতে আপনার ত্বকের বলিরেখা দূর হবে।
  • ত্বকের ব্রণ দূর করতে বিটঃ আপনার ত্বকের ব্রণ দূর করতে আপনি বিটের রস এবং টমেটোর রস একসাথে মিশিয়ে ব্রণ আক্রান্ত স্থানে লাগান। এতে অচিরেই ব্রণ এবং ব্রনের কালো দাগ দূর হবে
  • চুল পড়া রোধ করতেঃ আপনার মাথার অতিরিক্ত চুল পরা বন্ধ করতে বিটরুটের রসের সাথে কফি গুঁড়ো মিশিয়ে চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এর কিছুক্ষণ পর সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চুলের খুশকি দূর করতেঃ আপনি চুলের খুশকি দূর করতে মিমের রস ও ভিনেগার এর সাথে বিটরুটের রস ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায়। লাগানোর ২০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুলের খুশকি চিরতরে দূর হবে।
  • চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বিটঃ আপনার চুলের উজ্জ্বলতা প্রাকৃতিকভাবে বৃদ্ধি করতে চাইলেআপনি ১ কাপ গাজরের রসের সাথে আধা কাপ বিটরুট রস মিশিয়ে চুলে লাগান। প্রায়ই ২ ঘন্টা পর আপনার চুল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে আপনার চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে এবং চুল হবে সিল্কি ঝলমলে।
সম্মানিত পাঠক, বিট দিয়ে আপনি কিভাবে রূপচর্চা করবেন তা জানিয়ে দিলাম। বিট শুধু উপকারী তাই নয়, যারা প্রতিনিয়ত রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন তারা স্কিন কেয়ার এবং হেয়ার কেয়ার এর পণ্যগুলোর মধ্যে যোগ করেছেন এই বিটরুট।

বিটরুট পাউডার খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

বিটরুট পাউডার কিভাবে কোন নিয়মে আপনি খাবেন তা আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। আসলে বিটরুট সবজিটি এখনো আমাদের দেশে খুব একটা পরিচিত নয়। ফলে বাজারে দেখা মিললেও অনেকেই কিনতে চান না। অথচ প্রচুর পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণসম্পন্ন এই সবজিটিকে সুপারফুড হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়। আর বিটরুটে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
 
এটি এমন একটি সবজি আপনি রান্না করে খেতে পারবেন। আবার যারা সবজি হিসেবে খেতে চান না তারা বিটের পাউডারও খেতে পারেন। শুধু তাই নয়, সালাদ হিসেবেও খেতে পারবেন। তাই বলবো আপনার খাবারের তালিকায় যদি ভালো কিছু অন্তর্ভুক্ত করতে চান তাহলে নিশ্চিন্তে বিটরুট যোগ করুন। তাতে আপনি একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url