কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর ১০ উপায় জেনে নিন
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান? ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম সম্পর্কে আপনি কি অবগত আছেন? যদি না থেকে থাকেন তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
কারণ, আজকের এই আর্টিকেল থেকেই আপনি আপনার শরীরের যে কোন ক্ষতস্থান, কাটা জায়গা এবং পায়ের ঘা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে জেনে যাবেন। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর ১০ উপায় জেনে নিন
- কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়
- কাটা জায়গা শুকানোর ঘরোয়া উপায়
- ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম
- পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঘরোয়া চিকিৎসা
- পায়ের আঙ্গুলের ফাঙ্গাস এর ঔষধ
- পায়ের ঘা শুকানোর ঔষধ
- পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর হোমিও চিকিৎসা
- কাটা জায়গা ড্রেসিং করার ঔষধ
- কাটা জায়গা শুকানোর খাবার
- ঘা শুকানোর ক্রিম
- ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের ঘা শুকানোর উপায়
- কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে আমার মন্তব্য
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায়
অনেক সময় অসাবধানতার কারণে আমাদের নানান দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে হয় শরীরের কোন স্থান কেটে যায়, না হলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আর এই ক্ষতস্থানে অনেকের আবার ঘা হয়। যা তাড়াতাড়ি শুকাতে চায় না এবং ঘা এর যন্ত্রণা আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে পীড়া দিতে থাকে। আবার সঠিক চিকিৎসা এবং পরিচর্যা না হলে এই ঘা অনেক সময় বিপদজনক হয়ে উঠতে পারে।আরো পড়ুনঃ দাঁতের পাইরিয়া দূর করার ১০ টি উপায়
আর তাই সঠিক সময়ে যেকোনো ক্ষতস্থানের সঠিক চিকিৎসা বা পরিচর্যা অত্যন্ত জরুরী। সম্মানিত পাঠক, আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব কাঁটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর কিছু কার্যকর পদ্ধতি এবং ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আশা করবো কাটা জায়গা বা ঘা শুকানোর এই উপায়গুলো আপনাকে অতি দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করবে।
কাটা জায়গা শুকানোর ঘরোয়া উপায়
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় হিসেবে আপনি কিছু ঘরোয়া পন্থা অবলম্বন করতে পারেন। কারণ অনেক সময় বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে এই ঘরোয়া পদ্ধতি ক্ষতস্থান শুকাতে খুব ভালো কাজ করে। তো চলুন আজকে আলোচনার শুরুতেই জেনে নিন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ক্ষত সারানোর কিছু উপায় সম্পর্কে--- লবণ জলের ব্যবহারঃ শরীরের যেকোনো ক্ষতস্থান সারাতে লবণ জল খুব ভালো কাজ করে। এর জন্য আপনি ১ চা চামচ লবণ গরম পানিতে মিশিয়ে তা আপনার কাটা জায়গায় লাগান। মনে রাখবেন যেকোনো ক্ষতস্থান সারাতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং এতে সংক্রমণ কমে।
- হলুদের ব্যবহারঃ আমরা সকলেই জানি হলুদে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান রয়েছে। যা শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং যে কোনো কাটা জায়গা শুকাতে সহায়তা করে। সুতরাং আপনার কাটা জায়গায় আপনি হলুদ গুঁড়োও লাগিয়ে রাখতে পারেন।
- মধুর ব্যবহারঃ ক্ষতস্থান সারাতে লবণ জলের মতো মধুও প্রাকৃতিক এন্টিসেন্টটিক এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। এর জন্য আপনি সামান্য মধু আপনার ক্ষতস্থানে লাগিয়ে ব্যান্ডেজ করে ঘন্টাখানেকের জন্য রেখে দিন। প্রায় ১ ঘন্টা পর আপনার কেটে যাওয়া জায়গাটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন। কাটা জায়গা শুকাতে বেশ কয়েকদিন এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
- ক্ষতস্থান সারাতে রসুনঃ যে কোন ক্ষতস্থান সারাতে রসুন খুব ভালো কাজ করে। এর জন্য আপনি কয়েক টুকরো রসুন মধুর সাথে মিশিয়ে আপনার ক্ষতস্থানে লাগান। ঠিক ১০ মিনিট পর পানিতে আপনার ক্ষতস্থান ধুয়ে ফেলুন। সারাদিনে আপনি অন্তত দুইবার এই কাজ করুন। এতে আপনার ক্ষতস্থান দ্রুত শুকিয়ে যাবে।
- এলোভেরা জেলঃ কাটা জায়গা শুকানোর আরেকটি ঘরোয়া পদ্ধতি হলো এলোভেরা জেল এর ব্যবহার। এলোভেরা জেল অত্যন্ত সহজলভ্য একটি উপাদান এবং হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। কাটা জায়গা শুকাতে আপনি ক্ষতস্থানে এলোভেরা জেল লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। এটা কিছুদিনের মধ্যে আপনার কাটা জায়গা শুকিয়ে যাবে।
- কলা পাতার ব্যবহারঃ শরীরের যে কোন ক্ষতস্থান সারাতে কলা পাতা ম্যাজিক এর মত কাজ করে। এর জন্য আপনি কিছুটা কলাপাতা হাতে ঘষে আপনার ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিন।
- পেঁয়াজ এর ব্যবহারঃ আপনার ক্ষতস্থানে পেঁয়াজও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি ব্যান্ডেজ করে বেঁধে রাখুন। এতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার কাটা জায়গায় শুকিয়ে যাবে।
- চা গাছের তেলঃ চা গাছের তেল বা ট্রি টি অয়েল যে কোন ক্ষতস্থান সারাতে শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। আপনার ঘরে এটি থাকলে কাঁটা জায়গায় ১-২ ফোটা আলতো করে লাগাতে পারেন। এতে আপনার কাটা জায়গা দ্রুত শুকাতে সহায়ক হবে।
- সিরকা বা ভিনেগারঃ কাটা জায়গায় শুকাতে ভিনেগার খুব ভালো কাজ করে। তাছাড়া যে কোনো কাটা জায়গায় সিরকা লাগালে জীবাণুতে দূর হয় এবং সেইসাথে শুকানোর প্রক্রিয়াও ত্বরান্বিত হয়।
- দই এর ব্যবহারঃ আপনি কি জানেন দইয়ের প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য কাটা জায়গা দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। সুতরাং আপনি আপনার ক্ষতস্থানে দইও ব্যবহার করতে পারেন।
- লেবুর রসঃ লেবুর রসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য। এটি কাটা জায়গায় লাগালে আপনার সংক্রমণ কমাবে এবং শুকাতেও সাহায্য করবে।
- ল্যাভেন্ডার তেলঃ এই তেল আপনার ক্ষতস্থানে লাগালে সাথে সাথে ম্যাজিকের মত যন্ত্রণা কমে যাবে। একটি কথা আপনার ক্ষতস্থানে কখনোই সরাসরি এই তেল ব্যবহার করবেন না তাতে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হতে পারে। জন্য আপনি সামান্য অলিভ অয়েলের সাথে ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে কাটা জায়গায় লাগাতে পারেন।
- কাটা জায়গা শুকাতে আলুঃ যেকোনো কাটাছেঁড়া ছাড়িয়ে তুলতে আলুর জুড়ি মেলা ভার। এর জন্য আপনি এক টুকরো আলু ধুয়ে কুঁচি করে একটু পরিষ্কার কাপড়ে নিয়ে ওই কাপড়টি আপনার ক্ষতস্থানে পেঁচিয়ে রাখুন। প্রতি চার ঘন্টা অন্তর আপনি কাপড় এবং আলুর কুচি চেঞ্জ করুন।
- নারিকেল তেলের ব্যবহারঃ আপনার শরীরের যে কোন কাটা জায়গার ক্ষত সারাতে নারিকেল তেল দারুন এক কার্যকরী ঘরোয়া সমাধান হতে পারে। এর জন্য আপনি আপনার ক্ষতস্থানে সরাসরি নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতেই কাটা জায়গার সংক্রমণ অনেকটা কমে যাবে।
- গাঁদা ফুলের পাপড়ির ব্যবহারঃ আপনি কয়েকটি গাঁদা ফুলের পাপড়ি পানিতে মিশে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ঠান্ডা হলে এই পানি আপনি আপনার ক্ষতস্থানে লাগান। কিছুদিন এই পানি ব্যবহারে দেখবেন আপনার কাটা জায়গা শুকিয়ে গেছে।
ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম
কাটা ঘা শুকানোর অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ পাওয়া যায়। Ssss ৪৪ অনেকেই আছেন যারা ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম জানেন না। আপনাদের সুবিধার্থে পরিচিত কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম জানিয়ে দিচ্ছি--- সিপ্রোফ্লক্সাসিনঃ সিপ্রোফ্লক্সাসিন এক ধরনের ফ্লুরোকুইনোলন অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এটি আপনি যেকোন ফার্মেসিতে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল বা সিরাপ আকারে পেয়ে যাবেন।
- সিলভার সুলফাডিয়াজিনঃ সিলভার সুলফাডিয়াজিন এক ধরনের অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম। এটি আগুনে পোড়া ক্ষতস্থান এবং গুরুতর ঘা এর চিকিৎসায় বেশি ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস এর বিরুদ্ধেও এটি বেশ কার্যকর।
- আমোক্সিসিলিনঃ আমোক্সিসিলিন হল একটি পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক। এটিও বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার জনিত সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, জীবাণু ট্যাবলেট এবং সিরাপ আকারে যে কোন ফার্মেসি থেকে এই অ্যান্টিবায়োটিকটি আপনি সংগ্রহ করতে পারেন।
- ট্রেট্রাসাইক্লিনঃ এটি এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম, যা আপনি আপনার ত্বকের বিভিন্ন ক্ষত স্থানে সংক্রমণের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
- নিওস্পোরিনঃ এটি একটি এন্টিবায়োটিক মলম। যা পলিমিক্সিন বি, নিওমাইসিন গঠিত। এই মলমটি আপনার যে কোন ঘায়ে ব্যাকটেরার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে কাজ করে।
- ব্যাকট্রোবানঃ এটি মুকোপিরোসিন নামক একটি অ্যান্টিবায়োটিক মলম। যা সাইনোসাইটিস এবং অন্যান্য চর্ম রোগের সংক্রমণের চিকিৎসার ব্যবহৃত হয়।
- টপিক্যাল ব্যাকট্রিসিনঃ ব্যাকট্রিসিন হলো এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক মলম। যা আপনি আপনার ক্ষতস্থানে ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঘরোয়া চিকিৎসা
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এবার আপনাকে জানাবো পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে। তার আগে জেনে নিন পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা কি কারনে হতে পারে--- সাধারণত যাদের পা সবসময় ভেজা থাকে বা প্রতিদিন একই মোজা ব্যবহার করেন তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
- আপনার দৈনন্দিন অফিসে সারাদিন আটসাট জুতো পড়ে থাকার কারণে অনেক সময় পা ঘেমে তাতে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটে এবং ঘা হয়।
- পা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না রাখলে তাতে ফাঙ্গালের সংক্রমণ ঘটে এবং ঘা সৃষ্টি হয়।
- যেকোনো আঘাত জনিত কারণে আপনার আঙ্গুলের ফাঁকে কাটা ছেঁড়া বা ঘা হতে পারে এবং তাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে ইনফেকশনও হতে পারে।
- ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে পায়ের ঘা বা আঘাত খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারে।
- অনেক সময় সংক্রমিত ব্যক্তির কাপড়-চোপড়, মোজা ইত্যাদি ব্যবহারেও আপনি আক্রান্ত হতে পারেন।
- যারা অধিক সময় খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করেন তাদের এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়।
- পায়ের এই ঘা এর কারণে প্রচন্ড চুলকায়, জায়গাটি লাল হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো ফেটে যায় এবং ফুসকুড়ির মত হয়। এটিকে বলা হয় টিনিয়া পেডিস বা অ্যাথলেটস ফুট।
এবার চলুন পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা দূর করতে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন--
- নিম পাতার নির্যাসঃ নিম পাতার নির্যাস যেকোনো ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমনের নিরাময়ে বেশ কার্যকরী। এর জন্য আপনি আপনার পায়ের ঘা এর স্থানে দিনে ২-৩ বার মিমের তেল বা নির্যাস ব্যবহার করতে পারেন।
- লবণ জলঃ একটি গামলায় কুসুম গরম পানি নিন এবং এতে ১ কাপ পরিমাণ লবণ মিশিয়ে আপনার পায়ের আঙ্গুলগুলো ২০ মিনিটের মত এর মতো লবণ পানিতে ডুবিয়ে রাখুন। এরপর পা ভালোভাবে মুছে ফেলুন।
- মধুর ব্যবহারঃ পায়ের ঘা দূর করতে আপনি আপনার পায়ে ক্ষতস্থানে সরাসরি মধু ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, মধু যে কোন ধরনের সংক্রমণে প্রাকৃতিক এন্টি সেপটিক হিসেবে কাজ করে।
- আলোর পাতাঃ আপনার পায়ের ফাঁকে ঘা দূর করতে আলোর পাতা গরম করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। কিছু সময় পর আপনার পা ঠান্ডা পানিতে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত আলোর পাতা ব্যবহারে আপনার পায়ের প্রদাহ কমবে এবং ঘা দ্রুত সেরে যাবে।
- ট্যালকম পাউডারঃ আপনার পায়ের ঘা সারাতে আপনি বেবি পাউডার বা ট্যালকম পাউডারও ব্যবহার করতে পারেন। এই পাউডার ব্যবহার করলে এটি আপনার পায়ের ফাঁকের ঘাম ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণে রেখে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধ করতে পারে। তাই আপনি মোজা পরার সময় আঙ্গুলের ফাঁকে ফাঁকে পাউডার লাগিয়ে তবেই মোজা পরুন।
- রসুন এর ব্যবহারঃ অ্যাথলেট পায়ের ঘরোয়া চিকিৎসায় আপনি রসুনও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য আপনি টানা সাত দিন আপনার আক্রান্ত স্থানে দুবার করে রসুনের নির্যাস ব্যবহার করুন।
- টি ট্রি অয়েলঃ টি ট্রি অয়েলে রয়েছে এন্টিফাঙ্কাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য ছত্রাক, দাদ ইত্যাদির চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। আপনি নারিকেল তেলের সাথে সামান্য পরিমাণে টি ট্রি অয়েল ভালো করে মিশিয়ে দিনে দুবার আপনার পায়ের ফাঁকের ঘা এ ব্যবহার করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।
- মাউথ ওয়াশ এর ব্যবহারঃ মাউথ ওয়াসে এ মেন্থল, থাইমল ও ইউক্যালিপাটাস এর মত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে যা ব্যাকটেরিয়া এবং ফাঙ্গাস প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। ব্যবহার করতে আপনি একটা বাটিতে মাউথ ওয়াশ নিয়ে তাতে পায়ের আঙ্গুল ঢুকিয়ে রাখুন এবং কিছুক্ষণ পরে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
পায়ের আঙ্গুলের ফাঙ্গাস এর ঔষধ
ঘা শুকানোর এন্টিবায়োটিক ওষুধের নাম আপনাকে ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছি। এবার চলুন আপনাকে জানাবো পায়ের আঙ্গুলের ফাঙ্গাস এর ঔষধ সম্পর্কে। পায়ের আঙ্গুলের ফাংগাল সংক্রমণ সাধারণত আথলেটস ফুট নামে পরিচিত। যা আপনি সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে খুব সহজেই সারিয়ে তুলতে পারেন। এই ফাংগাইল প্রতিরোধে কিছু ঔষধ হলো--টেরবিনাফিন (Terbinafine)
- কাজঃ টেরবিনাফিন যেকোনো ফ্রাঙ্গাস এবং ছত্রাক জনিত রোগের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দ্রুত কাজ করে। এটি আপনি ট্যাবলেট, ক্রিম বা জেল আকারে পেয়ে যাবেন।
- ব্যবহারবিধিঃ যদি ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে দিনে ২-৩ বার আপনার পায়ের ফাঙ্গাস আক্রান্ত স্থানে স্থানে লাগাবেন।
- কাজঃ এটি একটি ব্রড স্পেকট্রাম এন্টিফাঙ্গাল ঔষধ যা আপনার ফাংগাল সংক্রমণ খুব সহজেই দূর করতে। এটি সাধারণত ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে পাওয়া যায়।
- ব্যবহারবিধিঃ ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল হিসেবে প্রতিদিন ২০০-৪০০ মিগ্রা সাধারণত ১-২ সপ্তাহের জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
- কাজঃ এটি আপনার পায়ের ত্বক এবং আঙ্গুলের ফাংগাল সংক্রমনের চিকিৎসায় ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি ক্রিম পাউডার অথবা স্প্রে আকারে যেকোনো ফার্মেসিতে পেয়ে যাবেন।
- ব্যবহারবিধিঃ আক্রান্ত স্থানে আপনি দিনে ২-৩ বার এটি ব্যবহার করুন। ফাংগাইল প্রতিরোধে আপনি টানা চার সপ্তাহ পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে পারেন।
পায়ের ঘা শুকানোর ঔষধ
কাটা জায়গা অতি দ্রুত শুকানোর উপায় সম্পর্কে আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এবার পায়ের ঘা শুকানোর কিছু ঔষধ সম্পর্কে আপনাকে ধারণা দেবো। যা আপনার উপকারে আসবে। তো চলুন পায়ের ঘা শুকানোর জন্য কিছু সাধারণ ঔষধ এবং তাদের ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিন--- বেটাডিন (Betadin): এটি একটি অ্যান্টিসেপটিক যা আপনার পায়ের ঘা জীবাণমুক্ত করতে সাহায্য করে। আপনার পায়ের ঘা যদি ত্বকের গভীর পর্যন্ত ইনফেক্টেড হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন। বেটাডিন ব্যবহারের পূর্বে আপনার পায়ের ঘা ভালো করে ক্লিনিং প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এরপর আক্রান্ত স্থানে বেটাডিন লোশন বা পাউডার লাগান।
- ফুসিডিক এসিডঃ এটি এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম যা আপনার পায়ের ঘা এর সংক্রমণ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে। এই ক্রিমটি আপনার পায়ের ঘা এ দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন।
- এলোভেরা জেলঃ পায়ের ঘাস শুকাতে এলোভেরা জেল প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে এবং ত্বককে সুরক্ষা দেয়। আপনার পায়ের ঘা এ সরাসরি অ্যালোভেরা জেল লাগান এবং দিনে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করুন এই জেলটি। ভালো ফল পাবেন।
- সিলভার সালফাডিয়াজিনঃ এটি এক ধরনের মাইক্রোবিয়াল ক্রিম যা আপনার ঘায়ের সংক্রমণ কমাতে কাজ করবে। এই ক্রিম আপনার পায়ের ঘা এর উপরে দিনে এক দুইবার ব্যবহার করুন।
পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর হোমিও চিকিৎসা
Ppp ৭৭ কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় জানার পর এবার আপনি নিশ্চয়ই আপনার পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর হোমিও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? হ্যাঁ আপনি আপনার পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা বা ফাটলে হোমিওপ্যাথিতেও চিকিৎসা করতে পারেন। তো চলুন এবার পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ঘা এর হোমিও চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে রাখুন-- রুটা গ্রাভে গ্রাভেলন্স (Ruta Graveolens): আপনার আঙ্গুলের ফাঁকে ব্যথা যদি তীব্র হয় এবং আঙ্গুলের ত্বক শুকিয়ে গেছে এমনটা মনে হলে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সাধারণত ৩০সি পাওয়া যায়। দিনে ২-৩ বার জলের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
- সলসেলসা (Sulphur): আপনার পায়ের ঘা এ চুলকানি এবং জ্বালাপোড়ার জন্য এটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি ব্যবহারে আপনার পায়ের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এটিও আপনি ৩০সি সিস্টেমে প্রতিদিন দুই তিন বার ব্যবহার করতে পারেন।
- ইউফর্বিয়া হিয়ালিফক্স(Euphorbia Helioscopia): এটি আপনার পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ফাটল ঘা জ্বালাপোড়া এবং চুলকানি কমাতে কাজ করে।
- কালকারিয়া ফসফরিকা ( Calcarea Phosphorica): এটি আপনার পায়ের ত্বকের সুরক্ষার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
- এসিট নিট ( Asit Nit): যাদের হাতে পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে দীর্ঘদিনের পুরাতন ক্ষত মুখে দুর্গন্ধ ঠোঁটের কোণে ঘা রয়েছে তারা এই এসিট নিট ব্যবহার করতে পারেন।
কাটা জায়গা ড্রেসিং করার ঔষধ
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে তো জেনেছেন। এবার আপনি নিশ্চয়ই কাটা জায়গায় ড্রেসিং করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান। সদর ক্ষেত্রে ড্রেসিং করার সময় কিছু ঔষধ বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করা হয়। চলুন সে সম্পর্কে জেনে নিন--- পোপিওডিনঃ এটি একটি অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন যার সাধারণত আপনার ক্ষত স্থানের জীবানু ধ্বংস করতে কাজ করে। এটি তুলার সাহায্যে আপনি আপনার ক্ষতস্থানে চারপাশে ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু ক্ষতের মাঝখানে ব্যবহার করা যাবে না।
- হাইড্রোজেন পারকক্সাইডঃ এটি সাধারণত আপনার ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে ড্রেসিং এর সময় ব্যবহার করা হয়। এটি আপনি তুলার সাহায্যে আপনার ক্ষতস্থানের ওপর ব্যবহার করুন এবং কিছুক্ষণ পর পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ক্ষতস্থান শুকিয়ে ফেলুন।
- পেট্রোলিয়াম জেলিঃ আপনার ক্ষতস্থানে পেট্রোলিয়াম যদি ব্যবহার করলে তৈরি করে যাতে আদ্রতা বজায় থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
- বেসট্র্যাক্সঃ এটি ড্রেসিং এর সময় এন্টিবায়োটিক মলম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আপনার ক্ষতস্থানকে জীবাণু মুক্ত রাখে। আপনার ক্ষতস্থান পরিষ্কার করার পর ক্ষতের উপরে পাতলা স্তরে প্রয়োগ করুন এবং স্টেরাইল গজ প্যাড দিয়ে ঢেকে দিন।
- যেকোনো অ্যান্টিসেপটিক ঔষধ ব্যবহার করবে আপনার ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার হাতে ধুয়ে নেবেন।
- পরিষ্কার করার পরে অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন ব্যবহার করুন।
- প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক মলম ও ব্যবহার করতে পারেন।
- ড্রেসিং এর জন্য আপনি স্টেরাইল গজ প্যাড এবং ব্যান্ডেজ দিয়ে ক্ষতস্থান ঢেকে দিন।
- প্রতিদিন যত দ্রুত সম্ভব আপনার ক্ষতস্থানের আদ্রতা দূর করার জন্য ড্রেসিং পরিবর্তন করার চেষ্টা করুন।
কাটা জায়গা শুকানোর খাবার
কাটা জায়গা শুকাতে আপনি বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। যা আপনার কাঁটা বা ক্ষত দ্রুত শুকানোর জন্য কাজে দেবে। কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো ক্ষতস্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে এবং ত্বককে সুরক্ষা দেয়। এবার এমন কিছু খাবার সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দেবো--- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারঃ ভিটামিন সি আপনার ত্বক পুনর্গঠনে এবং শরীরের যে কোন ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে কাজ করে। এটি আপনার ত্বকে কোলাজের উৎপাদনও বাড়ায়। ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে আপনি ভিটামিন সি জাতীয় বিভিন্ন ফল যেমন- কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, আমলকি ইত্যাদি খেতে পারেন।
- প্রোটিন জাতীয় খাবারঃ যেকোনো প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনার শরীরের কোষ পুনর্গঠন এবং ক্ষত সারাতে খুব ভালো কাজ করে। আর প্রোটিনের অংশ হিসেবে আপনি মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, দই, পনির, বাদাম, আমন্ড বাদাম, আখরোট ইত্যাদি খেতে পারেন।
- এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারঃ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে এটি আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালস থেকে রক্ষা করতে পারে এবং ত্বকের ক্ষতও দ্রুত সেরে যায়। অ্যান্ট অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ বিভিন্ন খাবার যেমন সবুজ রং সহ বিভিন্ন রঙিন শাকসবজি, টমেটো, গাজর, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলি খেতে পারেন।
- জিংক সমৃদ্ধ খাবারঃ আপনার ত্বক সুস্থ রাখে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত মেরামতে কাজ করে। জিংক সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে আপনি মাংস, সিম, চিড়া ইত্যাদি খেতে পারেন।
- হাইড্রেটিং খাবারঃ কিছু কিছু খাবার রয়েছে যেগুলিতে যদি অংশের পরিমাণ বেশি থাকে। এই খাবারগুলো খেলে এটি আপনার ত্বককে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। যেমন ধরুন শসা, তরমুজ, ডাবের জল।
ঘা শুকানোর ক্রিম
Pmm ৫৫ আপনার শরীরের কাটা জায়গা অতি দ্রুত সারিয়ে তুলতে কিছু ক্রিম বা মলম ব্যবহার করতে পারেন। আর ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য সঠিক মলম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরী। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন ঘা শুকানোর কিছু কার্যকর মলমের নাম সম্পর্কে জেনে নিন--- বেকট্রোসিন (Bectrosin)
- বায়োডিন ( ভায়োডিন)
- নেবানল (Nebanol)
- ট্রেগো (Trego)
- বিটাডিন অয়েন্টমেন্ট ( Betadin Ointment) এবং
- মোপি অয়েন্টমেন্ট ( Mopi Ointment)
ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের ঘা শুকানোর উপায়
ঘা শুকানোর বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ঔষধের নাম জানার পর আপনি এবার নিশ্চয়ই ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের ঘা শুকানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের ঘা শুকানোর বেশ কিছু উপায় রয়েছে। চলুন এবার তা জেনে নিন--- প্রথমেই বলি, ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের ঘা দ্রুত শুকাতে চাইলে ঘা ভালোভাবে সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন এবং একটি নরম কাপড়ের সাহায্যে মুছে ফেলুন।
- আপনি আপনার ক্ষতস্থানের ত্বক পরিষ্কার রাখবেন যাতে করে কোন সংক্রমণ না হয়।
- ঘা শুকানোর জন্য আপনি বিভিন্ন এন্টিসেপটিক ক্রিম বা অ্যান্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ক্ষতস্থানে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
- আপনি আপনার পায়ের ঘা শুকানোর জন্য পায়ের ত্বক আদ্র না রাখতে চেষ্টা করুন। কারণ অতিরিক্ত আদ্রতা আপনার পায়ের ক্ষতস্থানের সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
- ক্ষতস্থান সবসময়ই ঢেকে রাখুন এবং ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে মেডিকেল ড্রেসিং বা ব্যান্ডেজ ব্যবহার করুন। ব্যান্ডেজ নিয়মিত পরিবর্তন করুন এবং ড্রেসিং এ কোন নোংরা অংশ থাকলে তা চেঞ্জ করে ফেলুন।
- আপনি নিয়মিত এমন সব সুষম খাদ্য গ্রহণ করার চেষ্টা করুন যা আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে এবং সাথে ক্ষতস্থান শুকাতেও কাজ করবে।
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে আমার মন্তব্য
কাটা জায়গা তাড়াতাড়ি শুকানোর উপায় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি ভালো মতো জানতে পেরেছেন। দেখুন বাঁচতে গেলে, চলতে গেলে চোট আঘাত তো জীবনে আসবেই। এর জন্য সব সময় অ্যান্টিবায়োটিকের উপর নির্ভরশীল হওয়া একেবারেই উচিত। আপনার শরীরের যেকোন ছোট খাটো আঘাতে উপরিউক্ত ঘরোয়া টোটকা গুলো দারুন কাজে লাগে। তাই বলবো হাজারো কেমিক্যালে ভরা অয়েনমেন্ট ব্যবহার না করে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো একটু পরখ করুন।এর পাশাপাশি আপনি ঘা শুকানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে থাকুন। আমি আপনাকে হলফ করে বলতে পারি, আপনার চেষ্টা বিফলে যাবে না এবং ক্ষতস্থানও দ্রুত সেরে যাবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url