করলার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু করলার জুস খাওয়ার নিয়ম কি আপনার জানা আছে? না জানা থাকলে আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি জেনে নিতে পারবেন।
আজকে আমরা মূলত আলোচনা করব করলার বিভিন্ন রকম উপকারিতা ও অপকারিতা এবং এর জুস খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। সাথে আরো আলোচনা করব করলা পাতার উপকারিতা। সম্মানিত পাঠক, তাহলে চলুন আজকের মত আলোচনা শুরু করা যাক।
পোস্ট সূচিপত্রঃ করলার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- করলার উপকারিতা কি
- করলা খাওয়ার অপকারিতা
- করলার জুস খাওয়ার নিয়ম
- খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা
- করলার রস খেলে কি সত্যিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
- করলা খাওয়ার নিয়ম
- কাঁচা করলার উপকারিতা
- করলা খেলে কি গ্যাস হয়
- করলার বিচির উপকারিতা
- করলা পাতার উপকারিতা
- করলা পাতার রসের উপকারিতা
- করলার জুস খেলে কি ওজন কমে
- করলার পুষ্টিগুণ
- করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য
করলা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
সুস্বাস্থ্যের জন্য করলার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। করলা খেতে তিতা হলেও অনেকের কাছেই প্রিয়। তাছাড়া ভাজি বলুন আর ভর্তা বলুন, ডালের সাথে রান্না কিংবা মুচমুচে করলা ভাজা, চিংড়ি মাছের সাথে করলা ভাজি যেভাবেই রান্না করেন না কেন এটি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। করলাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে শর্করা, আমিষ,ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং ফাইবার। আর এই প্রত্যেকটি উপাদান আপনার শরীরের জন্য উপকারী। এটি আপনার শরীরের হজম শক্তি থেকে শুরু করে রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও করলা আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
তবে অতিরিক্ত পরিমাণে করোলা খেলে এটি আবার আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এমনকি গর্ভকালীন সময়েও করলা খাওয়া খুব একটা উপকারী নয়। সম্মানিত পাঠক আজকে আমাদের পুরো আর্টিকেল জুড়েই থাকবে করলার নানান গুণের কথা। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক।
করলার উপকারিতা কি
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেকেই জানেন, আবার অনেকেই জানেন না। তিতা স্বাদ এর কারণে অনেকেই করলা থেকে মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। আবার অনেকে খান ভালোবেসে। এর স্বাদ যতই পিতা হোক না কেন উপকারিতায় কিন্তু করলা অনন্য। আজকে আলোচনার শুরুতেই আপনাকে জানিয়ে দিব উপকারী এই সবজির বিশেষ কিছু গুণের কথা। তাহলে চলুন জেনে আসি করলার উপকারিতা সম্পর্কে---- পুষ্টিগুণে ভরপুরঃ করলাতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফোলেট এবং আয়রন সহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। ফলে প্রতিদিন এই শক্তিটি খেলে আপনি বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।
- রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেঃ যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য করলা বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, করলা খেলে এটি রক্তের চিহ্নের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে এতে থাকা পলিপেপটাইড পি ইনসুলিন এর মত কাজ করে। যা আপনার রক্তে সুগার কমাতে সাহায্য করে।
- হজমতন্ত্র সহজ করেঃ আপনার পাচনতন্ত্র এবং খাদ্যনালীর সুস্থতায় করলা দারুন কাজ করে। নিয়মিত করলা খেলে এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- ওজন কমাতে সহায়কঃ যারা অতিরিক্ত ওজন কমাতে চান তারা আজ থেকেই নিয়মিত করলা খাওয়া শুরু করুন। কারণ, করলায় রয়েছে সবচেয়ে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার। যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ করলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অন্যান্য এন্টিঅক্সিডেন্ট। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অতীব গুরুত্বপূর্ণ। যা আপনি করলা খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে পেয়ে যাবেন।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমানোঃ করলা হার্টের জন্য বেশ উপকারী। কারণ, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাজ করে। ফলে করলা খেলে আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেও রক্ষা পেতে পারেন।
- ত্বক ভালো রাখতে করলাঃ আপনার ত্বকের জন্য করলা ভীষণই উপকারী। থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বককে সুস্থ রাখে। নিয়মিত করোলা খেলে এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, ত্বকের ব্রণ দূর করে।
- পেটে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেঃ নিয়মিত নিয়ম মেনে করলা খেলে করোনার মধ্যে থাকা একটি ক্যান্সার উপাদান গুলো আপনার পেটের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। কেননা করলাতে থাকা ফাইটোকেমিক্যাল ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি থেকে খুব সহজেই রোধ করতে পারে।
- মেটাবলিজম বাড়ায়ঃ করলা আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে পারে। যা শরীরের ক্যালরি পুড়ে আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে।
- লিভার ভালো রাখেঃ নিয়মিত করলা খেলে এটি আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। ফলে আপনার শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকে এবং লিভার ও ভালো থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন করলা আপনার শরীরে প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে।
- শক্তি সহনশীলতা বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত করলা খেলে এটা আপনার শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি ভাব দূর করে।
- হরমোনের ভারসাম্য ঠিক রাখেঃ আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য ঠিকঠাক বজায় রাখতে করলা ভীষণই উপকারী।
- পিরিয়ডের সমস্যা দূর করেঃ মা বোনদের পিরিয়ডের সময় পেটের নানা রকম অস্বস্তি দেখা দেয়। এই অস্বস্তি দূর করতে পারে একমাত্র করলা।
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখেঃ করলা চোখের দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখে। আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে এবং চোখ ভালো রাখতে আজ থেকে করলা খাওয়া শুরু করুন।
- তারুণ্যতা ধরে রাখেঃ নিয়মিত করোল্লা খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার তরফ থেকে বার্ধক্যের ছাপ দূর করতে পারেন। করলার সব থেকে বড় গুণ হলো এটি আপনার বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে পারেন। তাই বলবো করো না খেয়ে আপনি আপনার তারুণ্য ধরে রাখুন।
- খাবারে রুচি আনেঃ করলা অনেক সময় খাবারের প্রতি আমাদের একটা অরুচি ভাব চলে আসে। ফলে কোন খাবারই খেতে ইচ্ছা করে না। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি করলা খান। কারণ, করলা খেলে খুব তাড়াতাড়ি মুখে রুচি চলে আসে।
- রক্তশূন্যতা দূর করেঃ যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য করোলা হতে পারে একটি উত্তম পথ্য। কারণ আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তের উপাদান বাড়াতে করলা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই।
- ক্ষত ও আঘাত নিরাময়েঃ আপনার শরীরের যেকোনো ধরনের ক্ষত নিরাময়ে করলার এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য খুব ভালো কাজ করে।
করলা খাওয়ার অপকারিতা
করলার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এবার চলুন অতিরিক্ত করলা খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে জেনে রাখুন-- করলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। ফলে আপনাদের যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের করলা সীমিত পরিমানে খাওয়া উচিত। কেননা এটি আপনার কিডনি জনিত জটিলতা আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে।
- মাত্রাতিরিক্ত করলা খেলে এটি আপনার লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে। ফলে লিভার রোগের লক্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় করলা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। কারণ, এতে থাকার কিছু উপাদান আপনার গর্ভাবস্থায় প্রভাব ফেলতে পারে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে করলা খেলে অনেক সময় অনেকের আবার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যাদের ত্বক অতি সংবেদনশীল।
- অনেকেই ঢেড়স এবং করোলা একসাথে খান। ভুলেও এই কাজ করবেন না। কারণ, ঢেড়স করলা একসাথে খেলে আপনার পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
- আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে করলা খান সেক্ষেত্রে আপনার পেটের সমস্যা যেমন ধরুন গ্যাস্ট্রিক, পেট ব্যাথা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হতে পারে।
- করোলা খাবার পর পরই আপনি মুলা খাবেন না। এতে করে আপনার শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, করলা খাওয়ার পর মূলা খেলে আপনার গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এবং বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে।
- করলা যেহেতু রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে কাজ করে। তাই আপনি যদি ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করা অবস্থায় অতিরিক্ত করলা খান, সেক্ষেত্রে এটি আপনার ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করে আপনার রক্তের মাত্রা আরো কমে দিতে পারে।
- করলা খাওয়ার আগে কিংবা পরে দুধ খেলে আপনার শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। এমনকি দুধ করলা একসাথে খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই বলবো, ভুল করেও কম সময়ের ব্যবধানে এই দুটি খাবার কখনোই খাবেন না।
- শিশুরা অতিরিক্ত করেলা খেলে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
করলার জুস খাওয়ার নিয়ম
অনেকেই আছেন যারা করলা সবজি হিসেবে রান্না করে খেতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। কিন্তু জুস হিসেবে খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, করলার এই জুস খাওয়ারও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে? যে নিয়ম মেনে করলার জুস খেলে আপনি এর সর্বাধিক উপকারিতা পেতে পারেন। তার আগে জেনে নিন এই জুস আপনি কিভাবে তৈরি করবেন-করলার জুস তৈরির পদ্ধতিঃ
- করলার জুস তৈরির ক্ষেত্রে প্রথমে করলাগুলো পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন। কর্নার বাইরের আস্তরণ যদি অতিরিক্ত আঁশযুক্ত হয় সেক্ষেত্রে আপনি ফেলে দিতে পারেন।
- এবার করলা গুলোকে স্লাইস করে কেটে এর ভেতর থেকে বীজগুলো বের করে ফেলুন।
- এবার স্লাইস করার করলা গুলো ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে নিন। প্রয়োজন হলে আপনি এতে সামান্য পানি যোগ করতে পারেন ব্লেন্ড করার সুবিধার্থে।
- করলা ব্লেন্ড হয়ে গেলে এবার একটি পরিষ্কার কাপড় বা ছাঁকনির সাহায্যে ভালো করে এর নির্যাসটুকু বের করে নিন।
- ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার করলার জুস। এবার আপনি এই জুসের সাথে স্বাদ মতো লেবুর রস বা মধু যোগ করতে পারেন।
- জুস তৈরি করার পর অতি দ্রুত এই জুস পান করুন। যাতে জুসের পুষ্টিগুণ পুরোপুরি অক্ষুন্ন থাকে।
- করলার জুস খাওয়ার সব থেকে উত্তম সময় হলো সকাল বেলা খালি পেটে। কারণ, সকালে খেলে এটি আপনার শরীরের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী হতে পারে।
- আপনি যদি প্রথম করলার জুস খেয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে শুরুতে অল্প করে এক কাপ পরিমাণ জুস পান করুন। পরবর্তীতে আপনি আপনার শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে এই জুসের পরিমাণ বাড়াতে বা কমাতে পারেন।
- করলার জুস প্রতিদিন ১-২ বার খাওয়া আপনার শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত হবে। যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিটা না দেখা দেয় সেক্ষেত্রে।
- করলার জুসের সাথে হালকা যে কোন খাবার যেমন ধরুন- ফল কিংবা দই খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেটের সমস্যা কমবে।
- আপনি পানির সাথে করলার জুস ও মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে করে আপনার ব্রংকাইটে শ্বাসকষ্ট এবং গলার প্রদাহের উপশম হবে।
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে করলার জুস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। এবার চলুন খালি পেটে করলার এই জুস খেলে আপনি কি কি উপকার পাবেন তা জেনে নিন --- প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার জুস খেলে এটি আপনার ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এটি টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
- করোলার জুস ফাইবার এবং এনজাইম সমৃদ্ধ হওয়ায় খালি পেটে খেলে এটি আপনার পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দূর হয়।
- আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে খালি পেটে করলার জুস খাওয়া শুরু করুন। জুসে রয়েছে সবচেয়ে কম ক্যালরি এবং উচ্চ ফাইবার। যা খেলে আপনার পেট পরিপূর্ণ থাকে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- নিয়ম করে সকালবেলা খালি পেটে করলার জুস খেলে এটি আপনার ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর করে। তাছাড়া করলার এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও কাজ করে।
- নিয়মিত খালিপেটে করলার জুস খেলে এটি আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখ। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
- সকাল বেলা করোনার জুস খেলে এতে আপনার পেট পরিষ্কার হয় এবং হজম শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমাধানে এটি ভালো কাজ করে।
- করলার জুসে থাকা বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ আপনার চোখের জন্য খুবই উপকারী। দুটি উপাদান আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে।
- প্রতিদিন নিয়ম করে খালি পেটে করলার জুস খেলে কি আপনার ওজন কমানোর জন্য উপকারী হতে পারে। কারণ, করলার রস ফ্যাট সেল বার্ন করে নতুন সেল তৈরিতে বাধা দেয়।
- উচ্চ রক্তপাতই আপনি প্রতিদিন সকালবেলা খালি পেটে করনের জুস খান। এতে করে আপনার রক্তচাপ তো কমবেই এবং সেই সাথে রক্ত পরিষ্কারও হবে।
করলার রস খেলে কি সত্যিই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে
সম্মানিত পাঠক, আপনারা অনেকেই জানতে চান করলার রস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে কিনা। দেখুন করলার রস খাওয়া আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছুটা সহায়ক হতে পারে। কারণ করলার রসের মধ্যে রয়েছে পলিপেপটাইড-p এবং আরো কিছু অন্যান্য উপাদান যা আপনার ইনসুলিনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারে। ফলে করলার জুস খেলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা কিনা টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী।তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে শুধুমাত্র করলার জুস খাওয়া চিকিৎসার বিকল্প ভাবা একেবারেই ঠিক নয়। বরং সম্পূর্ণরূপে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনার একটি সুস্থ জীবন ধারা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন। তাছাড়া করলার জুস আপনি কিভাবে খাবেন সেই নিয়ম আপনাকে কিছুক্ষণ আগেই জানিয়ে দিয়েছি।
করলা খাওয়ার নিয়ম
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এবার আপনাকে জানাবো করলা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা জানেন না করলা খাওয়ার নিয়ম। তো চলুন করলা খাওয়ার নিয়ম গুলি জেনে নিন --- করলা ভাজিঃ করলা ভাজি আমাদের দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খাবার। এটি খেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। এর জন্য আপনি করোলা পাতলা পাতলা করে কেটে পেঁয়াজ, রসুন, শুকনো লঙ্কা দিয়ে ভেজে খেতে পারেন।
- করলা চচ্চড়িঃ আপনারা যারা করলা ভাজি খেতে পছন্দ করেন না তারা চাইলে করলা চচ্চড়ি করেও খেতে পারেন। করলে চচ্চড়ির জন্য করোলা কেটে তাতে পেঁয়াজ, আলু, টমেটো এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে রান্না করুন। এভাবে রান্না করলে তরলের পুষ্টিগুণ অপূর্ণ থাকে এবং তিক্ততা অনেকটাই কম হয়।
- করলা সালাদ হিসেবেঃ পাতলা টুকরো টুকরো করে নিন এবং এর সাথে লেবুর রস, লবণ ও অন্যান্য সালাদের উপাদান যেমন- টমেটো, শসা ইত্যাদি যোগ করে সালাদ বানিয়েও খেতে পারেন।
- করলা জুস হিসেবেঃ আপনি চাইলে কাঁচা করলা দিয়ে জুস বানিয়েও খেতে পারেন। এর জন্য করলার টুকরো করে কেটে এর বীজ বের করে নিন। একটি ব্লেন্ডারে করলা ব্লেন্ড করে এর থেকে নির্যাসটুকু বের করে নিন। ব্যাস এবার এই রসের সাথে স্বাদমতো লেবুর রস এবং কয়েক ফোটা যোগ করে খেতে পারেন।
- করলার বড়াঃ আপনি করলার বড়া তৈরি করেও খেতে পারেন। এর জন্য করলা স্লাইস করে কেটে এর সাথে মশলা এবং বেসন দিয়ে মেখে তেলে ভেজে বড় তৈরি করে ফেলুন। এই পদ্ধতিতে করলা খেলে এর তিক্ততা একেবারেই কম হয় এবং খেতেও সুস্বাদু হয়।
- করলা স্যুপ হিসেবেঃ অনেকেই আছেন যারা করলা দিয়ে স্যুপ বানিয়ে খেতে পছন্দ করেন। স্যুপ হিসেবে করলা খেলে এটি আপনার হজমে সাহায্য করে এবং আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে থাকে।
কাঁচা করলার উপকারিতা
করলার উপকারিতা পেতে এবং অপকারিতা এড়াতে আপনি কাঁচা করলাও খেতে পারেন। কাঁচা করলা খাওয়ার ফলে আপনি যে ধরনের উপকারিতা পাবেন সেগুলো হলো --- কাঁচা করলা আপনার ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো কাজ করে।
- কাঁচা করলাতে উচ্চ মাত্র মাত্রার ফাইবার থাকে। যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে সমস্যা দূর করতে পারে।
- নিয়মিত কাজে করলা খেলে এতে আপনার রক্ত পরিষ্কার হয় এবং এটি আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্তর বাড়াতে কাজ করে।
- কাঁচা করলা খেলে এটি আপনার শরীরের টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে। ফলে আপনার শরীর ভেতর থেকে সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
- কাঁচা করলায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার ত্বক ভালো রাখে এবং সেই সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
- কাঁচা করলা আপনার শরীরের মেটাবলিজম রেট বৃদ্ধি তো করেই এবং সেইসাথে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে পারে।
- কাঁচা করলাতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি থাকে যা আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে।
- কাঁচা করলায় ক্যালরির পরিমাণ সব থেকে কম থাকে। যা আপনার ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত উপকারী।
করলা খেলে কি গ্যাস হয়
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি আজকের আলোচনায় জেনেছেন। অনেকে আবার জানতে চান করলা খেলে পেটে গ্যাস হয় কিনা। দেখুন, করলা খেলে আপনার পেটে গ্যাস হওয়ার মত সমস্যা হতে পারে। কারণ, করলা একটি তিক্ত স্বাদ যুক্ত সবজি। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের সপোনিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান থাকে। যা আপনার পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সৃষ্টি করতে পারে।এছাড়া করলাতে উচ্চমাত্রার ফাইবার বা খাদ্য আঁশ থাকার কারণেও আপনার পেটে গ্যাস হতে পারে। আরেকটি কথা, করলা খেয়ে আপনার গ্যাসের সমস্যা তখনই হবে, যখন আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে এটি খাবেন। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণে করলা খেলে আপনার ফাইবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা কিনা পেটে গ্যাস বদহজমের মতো প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
করলার বিচির উপকারিতা
করলার যেমন উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে তেমনি করলার বিচিরও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।করলার বিচিও একেবারে ফেলনা নয়। এবার চলুন করলার বিচির উপকারিতাগুলো জেনে নিন --- করলার বিচিতে থাকে ফিনোলিক কম্পাউন্ড এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার রক্তে গ্লুকোজের স্তর নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের রোগীদের রক্তে গ্লুকোজ এর ইফতার কমাতে এটি সাহায্য করে।
- করলার বিচিতে থাকা আশ আপনার পাকস্থলী এবং পাঁচন তন্ত্রের জন্য উপকারী। করলার বিচি আপনার হজম শক্তি বাড়াতে এবং পেটের সকল প্রদাহ দূর করতে কাজ করে।
- করলার মতো করলার ব্যতীত পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা আপনার ইমিউন সিস্টেমক শক্তিশালী করতে পারে।
- করলার বিচির এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি আপনার ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে এবং চুলের বৃদ্ধিতেও কাজ করে।
- করলার বিচি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি গুণ আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ খুব সহজে রোধ করতে পারে।
- করলার বীজ খেলে এটি আপনার লিভারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
- করলা বীজের অ্যান্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সেইসাথে ভাইরাস জনিত রোগের প্রকোপ থেকে খুব সহজেই আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারে।
করলা পাতার উপকারিতা
করলার উপকারিতা ও অপকারিতার পাশাপাশি করলা গাছের পাতার উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন তাইতো!! তাহলে চলুন করলা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন--- করল্লা পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য করলা পাতা খুবই উপকারী।
- করলা পাতা আপনার অম্লতার সমস্যা দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে।
- করলা পাতার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বক ভালো রাখে এবং ত্বক থেকে ব্রনের সমস্যা দূর করে।
- করলা পাতা ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং বিভিন্ন মিনারেলসের একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে তোলে।
- করলা পাতাতে ক্যালরি এবং ফ্যাট নেই বললেই চলে। ফলে এটি আপনার ওজন কমানোর জন্য কার্যকরী একটি উপাদান হতে পারে।
- করল্লা পাতার ডিটক্সিফাইং বৈশিষ্ট্য আপনার যকৃতে ভালো রাখে এবং এর কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
করলা পাতার রসের উপকারিতা
শুধু করলার উপকারিতা ও অপকারিতা নয় বরং করলা পাতার জুসেরও রয়েছে বেশ কিছু অবাক করা স্বাস্থ্য উপকারিতা। অনেকেই আছেন যারা করলা পাতার রস খেতে পছন্দ করেন। তো চলুন এবার করলা পাতার রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো জেনে নিন --- করলা পাতার রস পান করলে শরীরের বিভিন্ন উপকারিতা পাওয়া যায়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি অত্যন্ত উপকারী। করলা পাতার রস প্রাকৃতিকভাবে রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে পারে।
- আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে দূরে রাখতে শরীরের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে হবে। আর এর জন্য খেতে পারেন করলা পাতার রস। কারণ করল্লা পাতার রসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই দুটি উপাদান আপনার ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- যারা দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা আজ থেকেই করলা পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। এতে করে আপনার পেটের সকল সমস্যা দূর হবে।
- আপনারা যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত, তারা এই করলা পাতার রস পান করে খুব সহজেই আপনার বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। কারণ করলা পাতার রস কম ক্যালরি ও ফ্যাট যুক্ত হয়ে থাকে।
- আপনি যদি চান আপনার শরীর ভেতর থেকে জন্ম নে সতেজ হয়ে উঠুক তাহলে বলবো করনা পাতার রস খান। কেননা করলে পাতার রস আপনার শরীরে প্রাকৃতিক ডিটোক্সীফায়ার হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় এবং রক্তের গুণগতমান উন্নত করে।
- লিভারকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে আজ থেকে আপনি করোনা পাতার রস খাওয়া শুরু করুন। কারণ, করলা পাতার রস লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়। এতে করে লিভার সুস্থ থাকে।
করলার জুস খেলে কি ওজন কমে
করলার জুস খেলে কি ওজন কমে? অনেকেই জানতে চান। করলার জুস যেহেতু তিক্ত স্বাদের তাই এই জুস খেলে ওজন কমে কিনা এ প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। তাহলে জেনে রাখুন করলার জুস পান করলে আপনার ওজন কিছুটা কমতে পারে। কারণ, করলার জুসে সবচেয়ে কম ক্যালোরি এবং উচ্চ ফাইবার থাকে। এই ফাইবার দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখে।ফলে স্বাভাবিকভাবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রতি চাহিদা আপনার অনেকটাই কমে যায়। এতে করে আপনার ওজন ও প্রাকৃতিকভাবে কমতে থাকে। তাছাড়া করলার জুসে বিশেষ কিছু উপাদান যেমন- বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং ফ্লাভোনয়েডস রয়েছে আপনার শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে। ফলে আপনার শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি ঝরতে থাকে।
পাশাপাশি এই জুসের এন্টি ইনফ্লামেটরি গুণাবলী আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে। কিন্তু একটি কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর হাতিয়ার হিসেবে শুধুমাত্র করলার জুসের উপর নির্ভর হয়ে থাকলে চলবে না। বরং করলার জুস খাওয়ার পাশাপাশি আপনার নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম, সুষম খাদ্যাভ্যাস,
সুস্থ জীবন যাপন, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি আপনার ওজন কমাতে পারেন। আর করোলার জুসকে কেবলমাত্র সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে আপনার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
করলার পুষ্টিগুণ
করলার এতসব উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পর এবার নিশ্চয় এর পুষ্টিমান সম্পর্কে জানতে চান।সম্মানিত পাঠক, এবার আপনাকে জানাবো এর পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। প্রতি ১০০ গ্রাম করলাতে যে পরিমাণ পুষ্টি উপাদান রয়েছে তার নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখে নিন--পুষ্টি উপাদান | পরিমাণ |
---|---|
খাদ্য শক্তি | ৩১ কিলো ক্যালরি |
প্রোটিন | ১.০ গ্রাম |
ভিটামিন সি | ৮৩ মিলিগ্রাম |
আয়রন | ৩.৮ মিলিগ্রাম |
সোডিয়াম | ১২০ মিলিগ্রাম |
কার্বোহাইড্রেট | ৭.৫ গ্রাম |
ফাইবার | ২.৮ গ্রাম |
ফ্যাট | ০.১ গ্রাম |
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য
করলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি আপনার নিকট বেশ বোধগম্য হয়েছে। করলার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ছাড়াও এর ঔষধি গুণের কথা বলেও শেষ করা যাবে না। আপনার শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়তে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে করলার ভূমিকা অনবদ্য। আর যদি একটু কষ্ট করে করলার জুস খেতে পারেন তাহলে তো কোন কথাই নেই।এতে আপনার হজমের সমস্যা সহ শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ হবে। তাহলে ভাবুন তো এতগুলো উপকার পেতে একটু তেতো স্বাদ নেওয়া যেতেই পারে তাই না! আর ঠিক সে কারণেই আপনি আজ থেকে আপনার নিজের এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থতার কথা ভেবে প্রতিবেলা খাবার পাতে করলা খান। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url