চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে আপনি নিশ্চয়ই আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। কিন্তু চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় কোনটি জানেন কি? হয়তো জানেন না। তাহলে বলব পুরো আর্টিকেলটি চটজলদি একবার পড়ে নিন। 

চিনা-বাদামের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
কারণ, চিনা বাদামের উপকারী অপকারী দিক জানার পাশাপাশি সঠিক সময়ে চিনা বাদাম খাওয়াটাও ভীষণ জরুরি। যা আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে আলোচনা করব। তাহলে চলুন আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু এই বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আপনি আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় চিনা বাদাম রাখতে চাইবেন। চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট, মিনারেল এবং প্রোটিন রয়েছে। 

আরো পড়ুনঃ  আখরোটের ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

চিনা বাদামের উপকারিতা গুলোর মধ্যে প্রধান হলো এটি প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। যা আমাদের পেশী গঠনে বিশেষভাবে সহায়ক। তাছাড়া নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে, ত্বক ভালো রাখতে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে, রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে, ওজন কমাতে এবং শরীরের শক্তি বাড়াতে কাজ করে।

শুধু তাই নয়, এই বাদামে রয়েছে মনো আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা আপনার কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। এছাড়াও এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ভিটামিন জাতীয় পদার্থ যেমন- থায়ামিন, নিয়াসিন, পেন্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ ও ফোলেট রয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি আরো রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন পটাশিয়াম এবং দস্তা। 

আর এই প্রত্যেকটি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু এই বাদামের আবার কিছু অপকারিতা রয়েছে। যেমন অতিরিক্ত খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত চিনা বাদাম না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খাওয়াটাই স্বাস্থ্যসম্মত।

চিনা বাদামের উপকারিতা

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা দুটো দিকই রয়েছে। আজকে আলোচনা শুরুতেই আপনাকে চিনা বাদামের বিশেষ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়ে দেব। যা জানলে আপনিও অবাক হবেন। তাহলে চলুন জেনে আসি চিনা বাদামের উপকারিতা-

আরো পড়ুনঃ  কালোজিরা তেলের ১০ উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • চিনা বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাদ্য উপাদান। এতে উচ্চমাত্রায় প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।
  • চিনা বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণ মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং পলি আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে যা আমাদের হার্ট ভালো রাখে। ফলে নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
  • ওজন কমাতে আপনি আজ থেকেই চিনা বাদাম খাওয়া শুরু করুন। কেননা চিনা বাদাম খেলে এটি অতি দ্রুত ক্ষুধা কমাতে কাজ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা রাখে। যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  • চিনা বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা খেলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং সেই সাথে শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি পাবে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও চিনা বাদাম অত্যন্ত উপকারী। কারণ চিনা বাদামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ার কারণে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফলে ডায়বেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।
  • চিনা বাদামী থাকা ভিটামিন ই এবং উপাদান আপনার ত্বক ভালো রাখে এবং সেইসাথে চুলের বৃদ্ধিও ত্বরান্বিত করে। সুতরাং ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে আপনি চীনা বাদাম খেতেই পারেন।
  • আপনি কি জানেন ক্যান্সার নামক মরণ ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পারেন একমাত্র চিনা বাদাম খেয়ে! কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখে।
  • চিনা বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। ফলে আপনি হাড়ের ব্যথার জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে আজ থেকেই চীনা বাদাম খাওয়া শুরু করুন। কারণ, এই ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আপনার হাড় মজবুত করতে পারে।

চিনা-বাদামের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

  • আপনি কি দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগছেন? তাহলে বলবো আজ এখন থেকেই নিয়ম করে চিনা বাদাম খান। কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আশ আপনার পাঁচজন তন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিনের মত সমস্যা দূর করে।
  • আপনার স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতেও চিনা বাদাম খুব ভালো কাজ করে। কারণ, এতে রয়েছে মনো আন স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফোলেট যা আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
  • আপনি কি শরীরে সব সময় একটা শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করেন? তাহলে বলবো চীনা বাদাম খাওয়া শুরু করুন। কারণ, চিনা বাদাম শক্তির একটি দুর্দান্ত উৎস। যা খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি বৃদ্ধি পায়।
  • চিনা বাদাম এলার্জির সমস্যা দূর করতে পারে। কারণ, এতে থাকা উপাদান গুলি অ্যালার্জি কমাতে সহায়ক। এলার্জি জনিত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আপনি চিনা বাদাম খেতেই পারেন।
  • চিনা বাদামে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা আপনার লিভার ভালো রাখে এবং লিভারের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এতে করে আপনার লিভার জনিত রোগের ঝুঁকি কমে।
  • চিনা বাদামে থাকা ভিটামিন বি-৩ আপনার মস্তিষ্ককে সুরক্ষা দেয়।
  • নিয়মিত চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল এবং ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে।
  • শুধু তাই নয়, চিনা বাদাম আপনার দাঁতও ভালো রাখে। ফলে দাঁত ভালো রাখতে আপনি নিয়মিত এক মুঠো করে চিনা বাদাম খান। তাতে উপকার পাবেন।

চিনা বাদামের অপকারিতা

চিনা বাদামের উপকারিতার পাশাপাশি বেশ কিছু স্বাস্থ্য অপকারিতা রয়েছে। শুধু চিনা বাদাম নয় অন্যান্য বাদামের উপকারিতা রয়েছে। তবে এই অপকারিতা এড়াতে আপনাকে নিয়ম মেনে পরিমান মত খেতে হবে। এবার চলুন অতিরিক্ত চিনা বাদাম খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

আরো পড়ুনঃ  মধু খাওয়ার কার্যকরী ২০ উপকারিতা ও ৬ অপকারিতা

  • অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফাইটিক এসিড তৈরি করে। আর শরীর যেহেতু ফাইটিক এসিড সরাসরি হজম করতে পারেনা সেক্ষেত্রে আপনার হজমে বাধার সৃষ্টি হয়। এতে করে আপনার বদহজম হতে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর মত অন্যান্য খনিজ শোষণ বাধাগ্রস্থ হতে পারে।
  • আপনাদের যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের চিনা বাদাম খুবই সীমিত খাওয়া উচিত। কারণ, অতিরিক্ত পরিমাণে চিনা বাদাম পেলে তাতে আপনার গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, হজমের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।
  • চিনা বাদাম ওজন কমাতে ভালো কাজ করে। তাই যাদের ওজন কম তারা অতিরিক্ত চিনা বাদাম খেলে ওজন আরো কমে যেতে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চীনা বাদাম খেলে আপনার পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস অম্বল হতে পারে।
  • চিনা বাদামে কিছু স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে আপনার হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
  • আপনারা ইতিমধ্যেই যারা লিভারের অসুখে ভুগছেন তারা চীনা বাদাম সীমিত পরিসরে খান। কেননা এটি লিভারের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে একটানা চিনা বাদাম খেতেই থাকলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট জমতে পারে। যা কিনা আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

সম্মানিত পাঠক, চিনা বাদাম স্বাস্থ্যকর হলেও পরিমিত পরিমাণে খাওয়াটাই শ্রেয়। আর পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার মাধ্যমে উপরিউক্ত এই অপকারিতা গুলো আপনি খুব সহজেই এড়াতে পারেন।

চিনা বাদাম খাওয়ার সঠিক সময়

চিনা বাদাম খাওয়ারও একটা সঠিক সময় রয়েছে তা কি জানেন? চিনা বাদামের উপকারিতা পেতে আপনাকে নিয়ম মেনে সময় মতো চিনা বাদাম খেতে হবে। তবেই এর থেকে পূর্ণ উপকারিতা পাবেন। চলুন এবারে বাদাম খাওয়ার সঠিক সময় জেনে নিন--

আরো পড়ুনঃ  চিড়া খাওয়ার ১০টি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য উপকারিতা জানুন

  • সকালের নাস্তার সাথেঃ চিনা বাদাম খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো সকালবেলা। কারণ, সকালে চিনা বাদাম খেলে আপনি শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি পাবেন। তাছাড়া এটি প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের একটি দুর্দান্ত উৎস। যা দিনের শুরুতে আপনার কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
  • বিকেল বেলাঃ আপনি বিকেলে যখন শরীরে খানিকটা ক্লান্তিবোধ অনুভব করবেন ঠিক তখন একমুঠো চিনা বাদাম খেয়ে নিন। আপনার ক্লান্তি দূর হবে। সেই সাথে বাদামে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখবে।
  • ব্যায়ামের পূর্বেঃ শরীর চর্চা বা ব্যায়ামের পূর্বে চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য সহায়ক হবে। কারণ, এতে থাকা প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট আপনাকে অতিরিক্ত শক্তি যোগাবে।
  • শরীর চর্চার করে আপনি শরীরচর্চার পরেও চিনা বাদাম খেতে পারেন। শরীর চর্চার পরে চিনা বাদাম খেলে এটি মূলত আপনার পেশী পুনর্গঠনে খুব ভালো কাজ করে।
  • রাতের বেলাঃ আপনি রাতের বেলায় খাবারের পর চিনা বাদাম খেতে পারেন। এতে আপনার পেট ভরা থাকবে রাতে এবং ক্ষুধা লাগবে কম। তবে একটি কথা, রাতে চিনা বাদাম খেলে আপনি কম পরিমাণে খাবেন।

প্রতিদিন চিনা বাদাম খাওয়ার পরিমাণ
আপনি প্রতিদিন কতটুকু চিনা বাদাম খাবেন তা মূলত নির্ভর করবে আপনার স্বাস্থ্য এবং প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসের ওপর। বাদাম স্বাস্থ্যকর ভালো কিন্তু তা বলে আপনি মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে যাবেন তা কিন্তু মোটেও না। বরং আপনাকে আপনার স্বাস্থ্য বুঝে পরিমাণ মতো চিনা বাদাম খেতে হবে। তবে একজন সুস্থ স্বাভাবিক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি 

প্রতিদিন ৩০ গ্রামের মতো বা ২০ টির মত বাদাম অনায়াসে খেতে পারেন। এতে কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না। আবার আপনি যদি সকালে পাউরুটির স্লাইসে পিনাট বাটার মাখিয়ে খান সেক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ খাওয়াটাই স্বাস্থ্যকর।  এর বেশি খেলে উপকারের পরিবর্তে হিতে বিপরীত হতে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা আপনাকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছি। এবার আপনাকে জানাবো কিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। চিনা বাদাম খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম মেনে খেলে আপনি ভালো ফল পাবেন। তো এবারে চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন-

  • প্রথমেই বলি, চিনা বাদাম খাওয়ার জন্য আপনি সঠিক সময় নির্বাচন করুন যেমন ধরুন- সকালে নাস্তার সাথে কিংবা বিকেলের নাস্তার সাথে।
  • চিনা বাদাম খাওয়ার আগে আপনার স্বাস্থ্য বুঝে পরিমাণমতো অর্থাৎ ৩০ গ্রামের মতো চিনা বাদাম খাবেন। কারণ, বেশি পরিমাণে খেলে তাতে আপনার শরীরে ক্যালরি এবং ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে। যা আপনার ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা ও সৃষ্টি করতে পারে।
  • আপনি যতটা পারবেন খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়া এড়িয়ে চলুন। আপনার পিঠ ছাপার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই খালি পেটে না খেয়ে বিভিন্ন খাবারের সাথে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • চিনা বাদাম খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। বাদামি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা পানি পান করলে খুব সহজেই হজম হয়।
  • আপনি চাইলে চিনা বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেতে পারেন। এটিকের স্বাস্থ্যসম্মত এবং ভেজানো বাদাম খেলে হজম ক্রিয়া সহজ হয়।
  • অনেকেই আছেন যারা চিনা বাদাম লবণ দিয়ে ভেজে দেখতে পছন্দ করেন। কিন্তু এটি মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। আপনি চেষ্টা করুন বাদাম না ভেবে লবন ছাড়া খেতে।
  • যারা গোটা চিনা বাদাম খেতে পছন্দ করেন না, তারা চাইলে বাদামের পেস্ট তৈরি করেও রুটি বা পাউরুটির সাথে খেতে পারেন।
  • আপনি চিনা বাদাম থেকে দুধ তৈরি করেও খেতে পারেন। এর জন্য চিনা বাদাম ও জল একসাথে ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে দুধ তৈরি করুন। এই দুধ আপনি চায়ের সাথে কিংবা সরাসরি পান করতে পারেন।
  • আপনি চিনা বাদাম বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস এর সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন।

সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম চিনা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। এই নিয়ম মেনে আপনি চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাতে বাদামের ভালো উপকার পাবেন।

খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। যা হয়তো আপনি নিজেও জানেন না না। এবার চলুন জেনে নিই খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা গুলো--

  • সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে দিনের শুরুতে এটি আপনাকে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। যা আপনার দৈনন্দিন কাজে এনার্জির সঞ্চার করে।
  • সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট পরিপূর্ণ রাখে। ফলে দুপুরে খাওয়ার আগে আপনার অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে।
  • নিয়মিত নিয়ম করে সকালে কেনা বাদাম খেলে এতে থাকা ফাইবার আপনার পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। হলে আপনার হজম ক্রিয়া সহজ হয় এবং সেই সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
  • সকালবেলা চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
  • চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে।
  • খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়া আপনার মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। এতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
  • নিয়মিত নিয়ম করে সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে এটা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। শুধু ত্বক নয়, সকালে চিনা বাদাম খাওয়া আপনার চুলের জন্য উপকারী।
  • খালি পেটে চিনা বাদাম খেলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা কিনা ওজন কমাতে সাহায্য করে। 
  • আপনার রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খান। কারণ, চিনা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
সম্মানিত পাঠক, সকালে খালি পেটে চিনা বাদাম খাওয়া নিঃসন্দেহে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু আপনার যদি পেট ফাঁপা বা হজমের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা বুঝে অল্প পরিমাণে খাবেন।

গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চিনা বাদাম খাবার স্বাস্থ্য উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খাওয়ারও বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। তো চলুন গর্ভাবস্থায়ী চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন--

  • পুষ্টির দুর্দান্ত উৎসঃ বাদামি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম ফলেট স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং প্রোটিন। এই উপাদান গুলির প্রত্যেকটি গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মা এবং তার শিশুর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খেতে পারেন চিনা বাদাম। কারণ, এই বাদামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন- ভিটামিন ই আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।
  • হার্ট ভালো রাখেঃ চিনা বাদামে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট বিশেষ করে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গর্ভকালীন সময়ে আপনার হৃদরোগের ঝুকি কমায়। ফলে গর্ভাবস্থায় হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে আপনি চীনা বাদাম খেতেই পারেন।
  • সঠিক ওজন ধরে রাখতেঃ গর্ভাবস্থায় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা বেশ কষ্টসাধ্য একটি কাজ। কিন্তু চিনা বাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রার পুষ্টি এবং কম ক্যালরি। যা খেলে দীর্ঘক্ষন আপনার পেট ভরা থাকবে এবং অতিরিক্ত খাবারের চাহিদা কমবে। যা গর্ভকালীন সময়ে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত জরুরী।
  • শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশেঃ গর্ভাবস্থায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আপনার শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে গর্ভাবস্থায় চিনা বাদাম খেলে আপনার গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
  • গর্ভাবস্থার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ গর্ভাবস্থায় অনেকেই রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনি খেতে পারেন চিনা বাদাম। কারণ, এই বাদামে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে গর্ভকালীন সময়ের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
  • হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেঃ গর্ভাবস্থায় নিয়ম করে চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। যা আপনার এবং আপনার গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
  • শরীরের শক্তি ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টি এবং শক্তির প্রয়োজন পড়ে। আপনি চিনা বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে খুব সহজে পেতে পারেন।

চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

চিনা বাদাম ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা জানেন কি? চিনা বাদাম ভিজিয়েও খাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, ভিজিয়ে খেলে আপনি এর থেকে অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। যেমন ধরুন-

চিনা-বাদামের-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

  • শরীরের পুষ্টি শোষণ বাড়াতেঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে এর পুষ্টি উপাদান গুলি আপনার শরীরে খুব সহজেই শোষিত হতে পারে। কারণ, চিনা বাদাম ভেজালে এতে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
  • ডাইজেস্টিভ এনজাইম সক্রিয় করতেঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে রাখলে এর ডাইজেস্টিভ এনজাইম অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে ওঠে। যা আপনার হজম প্রক্রিয়াকে আরও সহজতর করে তোলে। ফলে আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
  • আন্টিঅক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়ঃ ভিজিয়ে রাখলে এতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মাত্রা বেড়ে যায়। আর এই এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর থেকে খুব সহজেই রক্ষা করতে পারে।
  • অতিরিক্ত টক্সিন অপসারণ করেঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে খেলে এর ওপরের অংশে মধ্যে থাকা টক্সিন এবং অ্যান্টি নিউট্রিয়েন্টস বের হয়ে যায়। ফলে বাদাম আপনার জন্য আরও বেশি স্বাস্থ্যকর হয়।
  • শরীর হাইড্রেটেড রাখতেঃ ভিজিয়ে রাখা চিনা বাদাম খেলে চিনা বাদামের জলীয় পদার্থ বৃদ্ধি পায়।। যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। ফলে আপনার অতিরিক্ত পিপাসা দূর হয় এবং শরীরের আর্দ্রতা ঠিক থাকে।
  • সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণেঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে রাখলে কি পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। যা খেলে আপনার পেট দ্রুত ভরে যায় এবং দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত ক্ষুধা ভাব থাকেনা। এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • শরীরের শক্তি বাড়াতেঃ চিনা বাদাম ভিজিয়ে রেখে খেলে শরীরের দ্রুত এনার্জি পাওয়া যায়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় এবং ব্যায়াম করার সময় এটি শরীরকে বেশি কর্মক্ষম রাখে।

ভাজা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি খানিক আগেই জেনেছেন। এই চিনা বাদাম শুধু কাঁচা নয় বরং আপনি ভেজেও খেতে পারেন। অনেকেই আছেন যারা ঘি দিয়ে ভেজে বাদাম খেতে পছন্দ করেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, ভাজা বাদামেও পর্যাপ্ত পরিমাণে কোলেস্টেরল, প্রোটিন এবং ফাইবার থাকে। 

যা আপনার হজমের সমস্যা দূর করতে পারে। পাশাপাশি রক্তে শর্করের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে আপনি নিয়মিত ভাজা বাদাম খেতে পারেন। শুধু কি তাই, ভাজা বাদাম খেলে আপনার দাঁতের ক্ষয় ও অনেকটাই কম হবে। তবে একটি কথা, অতি উচ্চ তাপমাত্রায় বাদাম ভাজলে এর পুষ্টিগুণ কিছুটা নষ্ট হতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা ইতিমধ্যেই আজকের আলোচনা থেকে জেনে গেছেন। সাথে বাদাম ভেজে খাওয়ার উপকারিতাও জেনেছেন। এবার চলুন কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার ফলে আপনি কি কি উপকার পাবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন--

  • চিনা বাদাম কাঁচা খেলে এতে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ফ্যাট এবং ভিটামিন ই তাৎক্ষণিকভাবে আপনার শরীরে শক্তি যোগায়।
  • কাঁচা চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফলে হৃদ রোগের ঝুঁকি কমে।
  • নিয়মিত নিয়ম করে কাঁচা চিনা বাদাম খেলে এতে থাকা ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
  • চিনা বাদামে উচ্চ প্রোটিন ও ফাইবার থাকার কারণে কাঁচা চিনা বাদাম খেলে আপনার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমে। অতিরিক্ত খাওয়ার চাহিদা কমে। যা আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
  • কাঁচা চিনা বাদাম খেলে এটি আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা আরো বাড়িয়ে দেয় কারণ এতে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড।

সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম কাঁচা চিনা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা। আপনি চিনা বাদাম কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি ভেজেও খেতে পারেন। তাতেও স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আবার চাইলে পানিতে ভিজিয়ে রেখেও কাঁচা চিনা বাদাম খেতে পারেন। এটিও বেশ স্বাস্থ্যসম্মত।

১০০gm চিনা বাদামে কত প্রোটিন

চিনা বাদামের নানাবিধ উপকারিতা অপকারিতা জানার পর এবার আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান প্রতি ১০০ গ্রাম চিনা বাদামের ঠিক কতটা পরিমাণ প্রোটিন থাকে? তাহলে জেনে রাখুন প্রতি ১০০ গ্রাম চিনা বাদামে প্রায় ২৫-৩০ গ্রাম পরিমাণ প্রোটিন থাকে। প্রোটিন ছাড়াও চিনা বাদামে আরো যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে সেগুলি নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখে নিন-

পুষ্টি উপাদান
পরিমাণ
ক্যালরি ৫৮২ কিলোক্যালরি
সেলেনিয়াম ২.৪ মাইক্রোগ্রাম
ক্যালসিয়াম ১০৪ মিলিগ্রাম
জিংক ৩.০ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ৭০৫ মিলিগ্রাম
থায়ামিন ০.৩ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই ৮.৩ মিলিগ্রাম
ফাইবার ৮-১০ গ্রাম
সুগার ৫ গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ২৭০ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৪৮০ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি-৫ ০.৪ মিলিগ্রাম
ফোলেট ৪৯ মাইক্রোগ্রাম
নিয়াসিন ৩.৪ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লাভিন ০.২ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ২০ মিলিগ্রাম
ফ্যাট ৫৫ গ্রাম
প্রোটিন ৩০ গ্রাম

লেখক এর মন্তব্য

চিনা বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যা পড়ে আপনি নিশ্চয়ই উপকৃত হয়েছেন। যেকোনো বাদাম সেটি হোক চিনা বাদাম, কাঠবাদাম অথবা কাজুবাদাম সবটাই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। প্রত্যেকটি বাদামেরই রয়েছে বিশেষ কিছু স্বাস্থ্যগুণ। তবে চিনা বাদামের সবথেকে বড় সুবিধা হল এটি অনেকটা সহজলভ্য। ফলে সকলেই কিনে খেতে পারেন। 

আবার পুষ্টির দিক থেকেও এই বাদামের উপকারিতা অন্যান্য বাদামের থেকে কোন অংশেই কম নয়। তাই বলবো নিজেকে সুস্থ, সবল এবং শক্তিশালী রাখতে আপনি নিয়মিত এক মুঠো করে চিনা বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url