আখরোটের ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা বর্তমান সময়ে অনেকেই জানেন। কিন্তু আপনি কি জানেন, প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত? না জেনে থাকলেও চিন্তা নেই।
আখরোটের-২০-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
কারণ, আজকে আমরা আপনাকে জানিয়ে দিব আখরোটের নানান উপকারিতা, অপকারিতা এবং প্রতিদিন আপনি ঠিক কতটি আখরোট খাবেন সে সম্পর্কে। সাথে আরো জানাবো আখরোট বাদাম খাওয়ার বিশেষ কিছু নিয়ম। আর পুরোটা জানতে হলে আপনাকে আর্টিকেলটি পড়ে নিতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আখরোটের ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা

আখরোটের অনেকগুলো স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং গুটিকতক অপকারিতা রয়েছে। আখরোট ফলটি অনেকেই এখনো চেনেন না। আখরোট আসলে একটি বাদাম জাতীয় গোলক আকৃতি একটি ফল। যার ভেতরে একটি মাত্র বীজ থাকে। আর এই বীজটিই আপনি আখরোট হিসেবে খেতে পারেন। প্রচুর পুষ্টিগুণে ভরপুর আখরোটে রয়েছে প্রোটিন, স্নেহ পদার্থ, ফাইবার, 
অ্যামিনো এসিড, ম্যাগনেসিয়াম এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এর মত গুরুত্বপূর্ণ সব পুষ্টি উপাদান। ফলে আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে এই পুষ্টি উপাদান গুলি আপনি খুব সহজেই পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, হৃদরোগের ঝুকি কমাতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে এবং আপনার ত্বক ও চুল ভালো রাখতেও আখরোট বিশেষভাবে কার্যকরী একটি খাদ্য উপাদান।
 
সুস্থ থাকার জন্য এই আখরোট অনেকে অনেক ভাবেই খেয়ে থাকেন। কেউবা খান সকালে খালি পেটে। আবার কেউবা খান ড্রাই ফ্রুটস এর সাথে মিশিয়ে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আখরোট খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নিঃসন্দেহে বলা যায়। তবে অতিরিক্ত আখরোট খেলে আপনার শরীরে ক্যালরি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
 
যার ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আর ঠিক সে কারণেই প্রতিদিন আপনার কি পরিমান আখরোট খাওয়া উচিত সেটিও জানা জরুরী। আর এই সবটাই জানতে পারবেন আজকের এই আর্টিকেল থেকে। তো চলুন আজকের মতো আলোচনা শুরু করি।

আখরোটের উপকারিতা

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক। যারা বাদাম খেতে পছন্দ করেন আখরোট তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি নাম। এটি নানা ধরনের পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ যা আপনার শরীরের জন্য উপকারী। আজকে আলোচনার শুরুতেই চলুন জেনে আসি এই আখরোট বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে--
  • হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ আখরোটে রয়েছে অমেগা ৩ এসিড এবং আলফা লিনোলেনিক এসিড যা আপনার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এটি রক্তচাপ কমাতে, আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের স্তর ঠিক রাখতে ভালো কাজ করে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত আখরোট খেলে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে আপনার শরীর খুব সহজেই রক্ষা পায়।
  • প্রদাহ কমাতেঃ আখরোটে থাকা অ্যান্টি উপাদান আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। শুধু তাই নয়, এটি প্রদাহ জনিত রোগ যেমন অস্টিওআর্থাইটিস এর লক্ষণ কমাতে কাজ করে
  • ওজন নিয়ন্ত্রণ করেঃ আপনারা যারা বাড়তি বুঝেন কমাতে চান তারা আখরোট খেতে পারেন। কারন, আখরোট খেলে এতে থাকা থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ রাখে। এতে করে খাবারের প্রতি চাহিদা কমে এবং ওজনও নিয়ন্ত্রিত হয়।
  • হজমে সাহায্য করেঃ আখরোটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা খাদ্য আঁশ যা আপনার হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।
  • ত্বক ভালো রাখতেঃ আখরুটি থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই আপনার ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত আখরোট খেলে এই উপাদানগুলি আপনার ত্বক ভালো রাখে এবং সেই সাথে ত্বকের বয়স জনিত চাপ দূর করে।
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ নিয়মিত খেলে এটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। আপনার যারা রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তারা আজ থেকেই আখরোট খাওয়া শুরু করুন। কারন, আখরোটে যে পটাশিয়াম রয়েছে তা খুব সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। 
আখরোটের-২০-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
  • হাড় ভালো রাখেঃ আখরোটে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস যা আপনার হাড়ের শক্তি বজায় রাখে এবং হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
  • গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করেঃ আখরোটে থাকা ফাইভার এবং প্রোটিন আপনার রক্তে গ্লুকোজের স্তর খুব সহজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে আপনার ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
  • অ্যানিমিয়া প্রতিরোধেঃ নিয়মিত আখরোট খেলে আখরোটে থাকা আয়রন আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের স্তর বাড়িয়ে দেয়। ফলে আখরোট খেলে আপনি রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া থেকেও রক্ষা পেতে পারেন।
  • চুল ভালো রাখেঃ আখরোটের প্রোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার চুলের জন্য উপকারী। নিয়মিত আখরোট খেলে এই উপাদানগুলি আপনার চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
  • স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করেঃ আখরোটে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আপনার স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • মানসিক চাপ কমায়ঃ যারা প্রচন্ড রকমের মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগেন তারা আখরোট খেতে পারেন। কারণ, আখরোটে থাকা মেলাটোনিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার মানসিক উদ্বেগ ও চাপ কমাতে কাজ করে।
  • চোখ ভালো রাখেঃ ভিটামিন এ এবং জিংক এই দুটি উপাদান চোখের জন্য উপকারী। আখরোটে এই দুটি উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণ রয়েছে। ফলে চোখের যে কোন সমস্যা এবং দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে আপনি আখরোট খেতেই পারেন।
  • গর্ভস্থ শিশুর জন্য উপকারীঃ গর্ভাবস্থায় আপনার গর্ভের শিশুর জন্যও আখরোট ভীষণই উপকারী। গর্ভাবস্থায় আখরোট খেলে এর পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার গর্ভের শিশুর এলার্জির সমস্যা দূর করে।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ আখরোটে রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিফেনলস, ইউরোলিথিন আন্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য। ফলে নিয়মিত খেলে আপনি স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার থেকে রেহাই পেতে পারেন।
  • শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায়ঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে আখরোটে থাকা ভিটামিন এ, মেলাটোনিন, অমেগা ৩ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে। তাই ছোট বয়স থেকেই আপনার শিশুকে আপলোড খাওয়ানোর অভ্যাস করুন।
  • অনিদ্রা দূর করেঃ যারা অনিদ্রা রোগে ভুগছেন তারা আখরোট খেতে পারেন। কারণ আখরোট খেলে এতে থাকা মেলাটোনিন আপনার ঘুম ভালো করে। এর জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি আখরোট খেতে পারেন।
  • কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়ঃ নিয়মিত আক্রোট সেবনে এটি আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত উপকারিতা পেতে আপনি আখরোট হওয়ার অভ্যাস করুন। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, ক্যালোরি পরিমাণ বেশি থাকে তাই অতিরিক্ত না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে খাবেন।

আখরোটের অপকারিতা

আখরোটের উপকারিতার পাশাপাশি এর আবার কিছু অপকারিতাও রয়েছে। শুধু আখরোট নয় বরং প্রত্যেকটি খাদ্য উপাদানেরই উপকারের পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে। আখরোটের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই প্রযোজ্য। চলুন অতিরিক্ত আখরোট খেলে আপনার কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে জেনে রাখুন--
  • যারা ওজন কমাতে চান তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট না খাওয়াটাই ভালো। কারণ মাত্রাতিরিক্ত আখরোট খেলে এর উচ্চ ক্যালোরি আপনার শরীরে জমতে থাকে। যা কিনা আপনার ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • প্রয়োজনের অতিরিক্ত আখরোট খেলে অনেক সময় আপনার এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এলার্জির প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুলকানি, ফুসকুড়ি, পেটে ব্যথা, চোখে পানি আসা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি হতে পারে।
  • অত্যধিক পরিমাণে আখরোট খেলে আপনার পেটে গ্যাস, পেট ফাঁপা, এসিডিটি এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
  • আখরোটে থাকা এন্টিকোয়াগুলেন্ট আপনার শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে। এতে করে আপনার রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। ফলে যারা রক্ত পাতলা করার ঔষধ ব্যবহার করছেন ইতিমধ্যেই তারা আপলোড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • আক্সটে থাকা বেশিরভাগ ফ্যাট স্বাস্থ্যসম্মত। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এই ফ্যাট আপনার হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে।
  • আখরোটে এমন কিছু উপাদান রয়েছে বিশেষ করে পলিফেনলস। যা অতিরিক্ত খেলে আপনার পেটে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • আখরোট দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি কালো এবং অপরটি বাদামি বর্ণের। কালো আখরোটে থাকা ফাইটেটস আপনার শরীরের আয়রন শোষণ করে ফেলে। ফলে অতিরিক্ত পরিমাণে কালো আখরোট খেলে আপনার আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
  • অত্যধিক আখরোট গ্রহণের ফলে আপনার লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে আপনার লিভারের সমস্যা থাকলে আখরোট সীমিত পরিমানে খান।

আখরোট খাওয়ার নিয়মাবলী

আখরোট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যেই আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। এবার আপনাদের জানাবো আখরোট খাবার নিয়ম। অনেকেই আছেন যারা জানেন না আখরোট কিভাবে খেতে হয়। তো চলুন আপনি আখরোট কিভাবে খাবেন সে নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন--
  • প্রথমেই বলি, আখরোট খাওয়ার সর্বোত্তম নিয়ম হলো ভিজিয়ে খাওয়া। কারণ, আখরোটের খোসার মধ্যে এমন কিছু আন্টি নিউট্রিশনাল উপাদান থাকে যা আপনার হজমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। আর ঠিক এই কারণেই আখরোট ৫-৬ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে তবেই খাবেন।
  • শুধু আখরোট যারা খেতে অভ্যস্ত নন তারা চাইলে অল্প তেলে আখরোট রোস্ট করেও খেতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি কথা মাথায় রাখবেন রোস্ট করার সময় এতে অতিরিক্ত তেল, নুন বা চিনি ব্যবহার করবেন না। এতে করে আখরোট এর পুষ্টিগুণ কমে যেতে পারে।
  • আখরোট যদি অনেক দিনের পুরনো হয়ে যায় বা কুঁচকে সেক্ষেত্রে ওই আখরোট না খাওয়াটাই ভালো। আপনি আখরোট সিল করা পাত্রে শুষ্ক এবং ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।
  • আপনি আখরোট টুকরো করে কেটে সালাদের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সালাদের স্বাদ এবং পুষ্টিগণ উভয়ই বেড়ে যাবে।
  • আপনি চাইলে স্মুদি বা জুসের সাথেও আখরোট ব্যবহার করে খেতে পারেন। বিশেষ করে কলা, বেরি জাতীয় ফল এগুলোর সাথে আপলোড খেতে খুবই ভালো লাগে।
  • ওটমিলের সাথে আপলোড মিশিয়ে খেলে এটি আরো বেশি পুষ্টিকর হয়ে ওঠে। শুধু তাই নয়, আপনার সকালের নাস্তার জন্য হতে পারে এটি একটি উৎকৃষ্ট খাদ্য উপাদান।
  • আপনি আখরোট দিয়ে মাখন তৈরি করে এটি রুটি, ব্রেড ইত্যাদির সাথে খেতে পারেন। আখরোটের মাখন অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।
  • অনেকেই আছেন যারা বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস এর সাথে আখরোট খেতে পছন্দ করেন। আপনি চাইলে কাজুবাদাম, কিসমিস ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে আখরোট খেতেই পারেন।
  • মিষ্টি যাতে বিভিন্ন খাবার যেমন ধরুন- হালুয়া, বরফি, পায়েস ইত্যাদিতে আপনি আখরোট ব্যবহার করে খেতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ আরও দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে যাবে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়মাবলী অনুসরণ করে আপনি খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে ভালো ফল পাবেন।

প্রতিদিন কয়টি আখরোট খাওয়া উচিত

আখরোট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ কথা ঠিক। কিন্তু অতিরিক্ত আখরোট খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই আপনাকে পরিমাণ বুঝে আখরোট খেতে হবে। সাধারণভাবে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৮-১০ টি বা ৩০-৪০ গ্রাম আখরোট খাওয়া উচিত। এই পরিমাণে আখরোট খেলে আপনি এর বিভিন্ন পুষ্টিগুন যেমন- ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ইত্যাদি সঠিকভাবে পাবেন। 
 
আবার অতিরিক্ত আখরোট খেলে আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। এতে করে আপনার ওজন বৃদ্ধি সহ আরো নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফলে প্রতিদিন ৮-১০টি আখরোট খাওয়াই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট হবে এবং তাতে আপনার শরীরে ক্যালরির মাত্রাও ঠিক থাকবে। তাহলে আপনার প্রতিদিন ঠিক কতটি আখরোট খাওয়া উচিত আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

আখরোট খাওয়ার সময়

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা আপনি ইতিমধ্যেই জেনেছেন। অনেকেই আখরোট খাওয়ার সময় সম্পর্কে জানতে চান। আসলে আখরোট খাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আপনি দিনের যেকোনো সময় আখরোট খেতে পারেন। তবে সঠিক সময়ে খেলে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আপনার সুবিধার্থে আখরোট খাওয়ার কিছু সঠিক সময় জানিয়ে দিচ্ছি---
  • সকালে খালি পেটেঃ আখরোট খাওয়ার সব থেকে উত্তম সময় হল সকাল বেলা খালি পেটে। এর জন্য আপনি আগের রাতে আখরোট সারা রাতভর ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে খেতে পারেন।
  • সকালে নাস্তার সাথেঃ আপনি আপনার দিনের শুরুতে সকালবেলা নাস্তার সাথেও আখরোট খেতে পারেন। এতে করে আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ থাকবে।
  • দুপুরে খাবারের সাথেঃ আপনি চাইলে দুপুরের খাবারের আগে কিংবা পরে আখরোট খেতেই পারেন। তাছাড়া দুপুরে খাবারের পরে আখরোট খেলে এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
  • ওয়ার্ক আউট এর আগে বা পরেঃ আপনি জিম করার আগে বা পরে আখরোট খেতে পারেন। এতে করে এটি আপনার পেশি পুনর্গঠনে ভালো কাজ করে।
  • রাতে খাবারের পরঃ রাতে খাবারের পর যদি হালকা কিছু খেতে চান তাহলে কয়েকটি আখরোট খেয়ে নিন। এটি সারা রাতভর আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।
সম্মানিত পাঠক, আখরোট খাওয়ার সময় এটি মূলত নির্ভর করবে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যভাসের উপর। অর্থাৎ এই সময় গুলো ছাড়াও আপনি আপনার সুবিধামত যে কোন সময় আখরোট খেতে পারেন। তাতে কোন বিধি-নিষেধ নেই।

খালি পেটে আখরোট খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে  আখরোট খাওয়ার উপকারিতা কি? জানতে চান। আখরোট খালি পেটেও খাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, আপনি জানলে অবাক হবেন খালি পেটে আখরোট খাওয়া সবচেয়ে উপকারী। এবার চলুন খালি পেটে আখরোট খেলে আপনি কি কি উপকারিতা পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
  • খালি পেটে নিয়মিত আখরোট খেলে এটি আপনার শরীরে মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। তাছাড়া আখরোটের উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট আপনার শরীরের ক্যালরি ঝরাতে এবং শক্তির স্তর বাড়াতে কাজ করে।
  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আক্রোশ খেলে এটি আপনার পেটের কার্যক্রম খুব দ্রুত শুরু করে দেয়। এতে করে আপনার হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
  • নিয়মিত নিয়ম করে খালি পেটে আপলোড খেলে আখরোটে থাকা ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ অন্যান্য উপাদান আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
  • খালি পেটে আখরোট খাওয়ার ফলে আপনার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় এবং স্মৃতিশক্তিও দিন দিন বাড়তে থাকে। কারণ, আক্রোটে রয়েছে ওমেগা৩ ফ্যাটি এসিড ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে বেশ উপকারী।
  • আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজ থেকে খালি পেটে আখরোট খাওয়া শুরু করুন। কারণ, সকাল বেলা খালি পেটে আখরোট খেলে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম উপাদান আপনার শরীরে খুব দ্রুত শোষিত হতে পারে। আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে খালি পেটে আখরোট খেলে এটি সারা দিনের জন্য আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও শক্তি সরবরাহ করতে থাকে।
  • খালি পেটে আখরোট খাওয়ার ফলে এটি দীর্ঘক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রতি আপনার চাহিদা কমে এবং এতে করে আপনার ওজন ও প্রাকৃতিক ভাবে কমতে থাকে।
  • নিয়মিত সকালে খালি পেটে আখরোট খাওয়া আপনার ত্বকের জন্যও উপকারী। কারণ, আখরোটে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। সেই সাথে আপনার ত্বক থেকে বয়সের ছাপও দূর করতে পারে।

আখরোট খেলে কি ওজন বাড়ে

আখরোটের এতসব উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পর আপনার মনে এখন নিশ্চয়ই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। তা হলো আখরোট খেলে ওজন বাড়ে, নাকি কমে। সম্মানিত পাঠক, আখরোট একটি পুষ্টিকর বাদাম হলেও এতে ওজন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমাণে আখরোট দীর্ঘদিন ধরে খেতেই থাকেন সেক্ষেত্রে আপনার ওজন কিছুটা হলেও বাড়বে।
 
কারন, আখরোটে উচ্চ মাত্রার ক্যালোরি এবং ফ্যাট থাকে। আর অতিরিক্ত আখরোট খাওয়ার ফলে এই ক্যালোরি এবং ফ্যাট আপনার শরীরে জমতে শুরু করে। এতে করে আপনার ওজনও বেড়ে যেতে পারে। তবে সীমিত পরিমাণে অর্থাৎ দিনে ১০-১২ টি আখরোট খেলে তাতে ওজন বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না বরং এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 
 
সুতরাং আপনারা যারা ওজন কমাতে চান অতিরিক্ত আখরোট গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন এবং পরিমিত পরিমাণে আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাছাড়া আপনি যদি সুষম খাদ্যের অংশ হিসেবে আখরোট ব্যবহার করেন সে ক্ষেত্রে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না। এ কথা হলফ করে বলতে পারি। আখরোট খেলে ওজন বাড়ে নাকি কমে আশা করছি এর উত্তর আপনি পেয়ে গেছেন।

মধু মিশ্রিত আখরোট খাওয়ার নিয়ম

যারা শুধু শুকনো আখরোট খেতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না, তারা চাইলে মধুর সাথে মিশিয়েও আখরোট খেতে পারেন। এবার চলুন মধুর সাথে আখরোট আপনি কিভাবে, কোন নিয়মে খাবেন সে সম্পর্কে জানিয়ে দিই ---
  • মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে খাওয়ার জন্য প্রথমেই আপনি আখরোটের খোসা ছাড়িয়ে নিন। আখরোটের গায়ে কোন রাসায়নিক পদার্থ বা পেস্টিসাইড থাকলে তা ভালোভাবে ধুয়ে নিন। সবচেয়ে ভালো হয় আখরোট খাওয়ার আগে যদি ৫-৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখেন।
  • এবার একটি পরিষ্কার পাত্রে আখরোট গুলো রাখুন এবং এতে পরিমাণ মতো মধু যোগ করুন। এ ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, মধুর পরিমাণ যেন ঠিকঠাক থাকে এবং আখরোট মধুর সাথে যেন খুব ভালোভাবে মিশে যায়।
  • আরেকটি কথা, ১০-১২ টি আখরোটের জন্য ১-২ চামচ মধুই যথেষ্ট। অতিরিক্ত মত ব্যবহার করবেন না তাতে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে।
  • ব্যাস, আখরোট মধুর মিশ্রণ তৈরি। এবার এই মিশ্রণ আপনি বায়ুরোধী একটি পাত্রে রেখে সংরক্ষণ করতে পারেন এবং বেশ কিছুদিন ধরে খেতে পারেন।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়মে মধুর সাথে আখরোট মিশিয়ে খেলে আপনি এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পেতে পারেন।

আখরোট ও মধুর উপকারিতা

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এবার আপনাকে জানাবো আপলোড ও মধুর উপকারিতা সম্পর্কে। অর্থাৎ আখরোট ও মধু একসাথে খেলে আপনি যে ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন সেগুলো হল--
আখরোটের-২০-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
  • পুষ্টির ভালো উৎসঃ আখরোট ও মধু একসাথে খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। কারণ, আখরোটে থাকা প্রোটিন, ফাইবার, ওমেগা ৩ ফাটি অ্যাসিড এবং মধুতে মধ্যে থাকা ভিটামিন, মিনারেলস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সব উপাদান একসাথে মিলে একটি শক্তিশালী পুষ্টির উৎস তৈরি করে। যা আপনার শরীরে উচ্চমাত্রার পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে।
  • শারীরিক ক্লান্তি কমায়ঃ আখরোট ও মধু একসাথে মিশিয়ে খেলে আখরোটের প্রোটিন এবং মধুর সুগার আপনার শরীরের দ্রুত শক্তি সরবরাহ করতে পারে। এতে করে আপনার শরীরের শারীরিক দুর্বলতাও দূর হয়।
  • হজমে সাহায্য করেঃ আখরোট মধু একত্রে ছেলে আকফ্রুটে থাকা ফাইবার এবং মধুর প্রাকৃতিক এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আপনার হজম ক্রিয়া সহজ করে। এই মিশ্রণটি আপনার পেটের কোষ্ঠকাঠিন্য সহ অন্যান্য সকল সমস্যা খুব সহজেই দূর করতে পারে।
  • হৃদরোগ প্রতিরোধেঃ আখরোট মধুর মিশ্রণ হৃদরোগ প্রতিরোধেও বেশ কার্যকরী। কারণ, আখরোটে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। অপরদিকে মধুর এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার রক্তচাপ এবং হৃদরোগ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ মধুর এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং আখরোটের ভিটামিন ই আপনার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে। শুধু ত্বক নয় আপনার চুলের গুণগত মান উন্নত করতে এবং চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করে আখরোট-মধুর এই মিশ্রণটি।
  • রোগ প্রতিরোধ বাড়াতেঃ আখরোট মধুর মিশ্রণ আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। এতে করে আপনার শরীর সাধারণ সর্দি কাশি ছাড়াও বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে খুব সহজেই রক্ষা পায়।

বাচ্চাদের আখরোট খাওয়ার নিয়ম

আখরোটের নানাবিধ উপকারিতা ও অপকারিতা বাচ্চাদের জন্যও কম নয়। তবে বাচ্চাদের আক্রোট খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম মেনে খেলে আপনার শিশু আখরোটের পূর্ণ উপকারিতা পাবে। এবার চলুন বাচ্চাদের আখরোট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনে রাখুন--
  • প্রথমেই বলি, বাচ্চাদের আখরোট খাওয়ানোর ক্ষেত্রে এর পরিমাণ সীমিত রাখবেন। অর্থাৎ একদিনে ৩-৪ টি আখরোট আপনার শিশুর জন্য যথেষ্ট হবে।
  • আখরোট সাধারণত শক্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। ফলে এটি আপনার শিশুর জন্য চিবানো কঠিন হতে পারে। আর তাই আপনার শিশুকে আখরোট ছোট ছোট টুকরো করে খেতে দিন। যাতে সহজে চিবোতে পারে এবং এতে গলায় আটকে যাওয়ার ঝুঁকিও কম থাকে।
  • বিভিন্ন খাবারের সাথে আখরোট কুচি করে মিশিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ বাড়বে এবং আপনার শিশুর জন্য উপকারী হবে।
  • আপনি আখরোট গুঁড়ো করে দই, ওটমিল এবং স্যুপ ছাড়াও আরো অন্যান্য খাবারের সাথে মিশিয়ে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
  • আপনার শিশুকে একই খাবার বারবার না দিয়ে চেষ্টা করুন প্রতিদিন একেক রকম খাবারের সাথে আখরোট মিশিয়ে খাওয়াতে। এতে আপনার শিশুর খাবারের স্বাদ এ বৈচিত্র্যতা আসবে এবং একঘেয়েমি দূর হবে।
  • আপনি মধুর সাথে আখরোট মিশিয়েও আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। তবে আপনার শিশুর বয়স যদি ১ বছরের কম হয় সেক্ষেত্রে মধু পরিহার করা উচিত. কারণ এতে বটুলিজমের ঝুঁকি থাকে।
  • বাচ্চাদের আখরোট খাওয়ানোর ক্ষেত্রে সতর্কতা
  • বাচ্চাদের আখরোট খাওয়ানোর ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলবেন। যেমন ধরুন-
  • আপনি যদি প্রথমবার আপনার শিশুকে আখরোট খাওয়ান সেক্ষেত্রে সীমিত পরিমাণে দিন। কারণ, অনেক সময় এতে এলার্জির সম্ভাবনা থাকে।
  • অনেকদিনের পুরনো আপলোড কখনোই আপনার শিশুকে খাওয়াবেন না। এতে আপনার শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। সর্বদা চেষ্টা করবেন তা যা এবং সতেজ আখরোট খাওয়ানোর।
  • আপনার শিশুকে প্রতিদিন ৩-৪ টির বেশি আখরোট খাওয়াবেন না।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়ম মেনে আপনার শিশুকে ছোট থেকেই আখরোট খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। আপনার শিশুর সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।

আখরোট এর দাম ২০২৪

সম্মানিত পাঠক, প্রতিদিন আপনার কি পরিমান আখরোট আপনার খাওয়া উচিত তা কিছুক্ষণ আগেই জেনেছেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা আখরোটের সঠিক দাম সম্পর্কে জানেন না। আর সঠিক দাম না জানলে অনেক সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আপনাকে ঠকিয়েও দিতে পারে। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি আখরোটের দাম সম্পর্কে ধারণা পেয়ে যাবেন। আখরোটের  দাম সাধারণত এর কোয়ালিটির উপর নির্ভর করে কম বেশি হয়ে থাকে। 
 
যেমন ধরুন- আপনি যদি সাধারণ বা নিম্ন মানের আখরোট কিনতে চান সেক্ষেত্রে এর দাম পড়বে ৬০০-১০০০ টাকা। আবার আপনি যদি খুব ভালো মানের আখরোট নিতে চান সেক্ষেত্রে প্রতি কেজি আখরোটের দাম পড়বে ২০০০-২২০০ টাকা। তবে স্থানভেদে এই দামের কিছুটা তারতম্য হতে পারে। আশা করছি আখরোটের দাম সম্পর্কে আপনি পূর্ণাঙ্গ ধারণা পেয়েছেন।

আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমার মন্তব্য

সম্মানিত পাঠক, আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা আজকে আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আখরোট এতটাই পুষ্টিগুণে ঠাসা যে বর্তমানে এটি একটি সুপারফুডে পরিণত হয়েছে। আপনার হার্ট থেকে শুরু করে হাড়ের স্বাস্থ্য এবং চুল থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। প্রতিদিন আখরোট খাওয়ার ফলে আপনি বিভিন্ন রকম রোগবালাই থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আখরোট আপনার শরীরের জন্য অবশ্যই ভালো।
 
কিন্তু এটিকে নিয়ম মেনে পরিমান মত খেতে হবে। তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই বলব আপনি যদি আখরোট এখনো না খেয়ে থাকেন, তাহলে আজ এখন থেকেই আপনার খাদ্য তালিকায় আখরোট বাদাম যোগ করে নিন। আর পেতে থাকুন আখরোটের সব উপকারিতা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটা এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url