ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে আজকে আপনি নিশ্চয়ই আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে জানতে চান? তাহলে আর দেরি না করে এক্ষুনি মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি একবার পড়ে নিন।
ডেঙ্গু-রোগের-লক্ষণ-ও-চিকিৎসা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু রোগ চারিদিকে মহামারি আকার ধারণ করেছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা আলোচনা করব ডেঙ্গু রোগের নানা ধরনের লক্ষণ, চিকিৎসা পদ্ধতি এবং ডেঙ্গুজ্বর হলে তা ঠিক কতদিন পর্যন্ত থাকে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই। ডেঙ্গু রোগ সাধারণত ডেঙ্গু ভাইরাসধারী এডিস মশার কামড়ে হয়ে থাকে। ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হল উচ্চ মাত্রার জ্বর এবং এই জ্বরের মাত্রা ১০১-১০৪°F পর্যন্ত উঠতে পারে। যা স্বাভাবিক জ্বরের থেকে অনেকটাই বেশি হয়।
শুধু তাই নয়, জ্বরের পাশাপাশি শরীরের বিভিন্ন অংশে তীব্র ব্যথা, মাথা ব্যথা, পেশি ব্যথা, শরীরে রেশ পড়া সহ আরো বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। আবার জ্বরের পরে ডেঙ্গুর লক্ষণ হিসেবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মুত্রের সাথে রক্ত বের হওয়া কিংবা চামড়ায় রক্তের দাগ ইত্যাদি হতে পারে।
 
শুধু তাই নয়, গুরুতর অবস্থায় ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিনাটের সংখ্যা একেবারে নিচে নেমে যেতে পারে। যা কিনা ডেঙ্গু হেমরেজিক জ্বর বা ডেঙ্গু শক সিনড্রোম এর কারণ হতে পারে। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে করে শরীরের ডিহাইড্রেশন খুব সহজেই এড়ানো যায়।
ডেঙ্গু-রোগের-লক্ষণ-ও-চিকিৎসা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
আর জ্বর কমানোর জন্য উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার না করে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, ডেঙ্গু জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিক একেবারেই কার্যকরী নয়। তাই বলবো ডেঙ্গু প্রতিরোধে শুধুমাত্র চিকিৎসার উপর নির্ভরশীল না হয়ে বরং মশার কামড় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
আর মশা প্রতিরোধে আপনার বাড়ির আশপাশে জল জমতে না দেওয়া, ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা, মশা তাড়াতে স্প্রে ব্যবহার করা এবং মশার প্রজনন স্থান নির্মূল করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোটকথা সচেতনতা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ডেঙ্গু জ্বর কতদিন থাকে

ডেঙ্গু রোগের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর তা আমরা কম বেশি সকলেই জানি। কিন্তু এই ডেঙ্গু জ্বর ঠিক কতদিন থাকে তা আমাদের অনেকেরই অজানা। অনেক সময় সাধারণ জ্বর হলেও আমরা ডেঙ্গু জ্বর ভেবে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ি। তাই মনে রাখবেন, সাধারণ জ্বরের থেকে ডেঙ্গু জ্বরের সময়কাল কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বর ৩-৬ দিন পর্যন্ত শরীরে থাকে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার এই জ্বর ১০ দিন পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। প্রথম ৩ থেকে ৪ দিনের মধ্যে জ্বরের তাপমাত্রা খুব বেশি হতে পারে এবং পরবর্তীতে ধীরে ধীরে ক্রমশ জ্বর কমতে শুরু করে। ডেঙ্গু জ্বর সেরে যাওয়ার ৪৮-৭২ ঘন্টার সময় কালকে সংকটকাল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ, এই সময় ডেঙ্গু রোগের অন্যান্য জটিলতা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। 
 
শুধু তাই নয়, জ্বর সেরে যাওয়ার পর কিছু রোগীর আবার পুনরায় জ্বর উঠতে দেখা যায়। যা আরো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। আবার আমরা অনেকেই মনে করি, জ্বর হওয়ার তিন দিন পার না হলে ডেঙ্গু রোগের পরীক্ষা করা যায় না। এটি একেবারেই নিছক ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। বরং ডেঙ্গু পরীক্ষা জ্বরের প্রথম দিনই করা যায় এবং ডেঙ্গু হয়েছে কিনা সেটিও সনাক্ত করা যায়।

ডেঙ্গু জ্বরের ৭টি সতর্কীকরণ লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান সাতটি সতর্কীকরণ লক্ষণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের সম্মুখ ধারণা থাকা উচিত। যে লক্ষণ গুলো দেখে আমরা খুব সহজেই চিহ্নিত করতে পারব এটি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। তো চলুন এবার জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সম্পর্কে-
  • উচ্চ তাপমাত্রাঃ ডেঙ্গু জ্বরের প্রাথমিক এবং প্রধান লক্ষণ হল তীব্র জ্বর। যা সাধারণত ১০১°F-১০৪°F পর্যন্ত হতে পারে। এই জ্বর হঠাৎ করে শুরু হয় এবং বেশ কয়েকদিন ৩-৬ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়। কখনো কখনোবা ১০ দিন পর্যন্ত এই জ্বর থাকে।
  • মাথাব্যথাঃ ডেঙ্গু জ্বরের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ে মাথা ব্যথা। বিশেষ করে মাথার পেছনের দিকে এবং চোখের পেছনে তীব্র ব্যথা হতে পারে। এতে শারীরিক অস্বস্তি কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
  • মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথাঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে ডেঙ্গু রোগী শরীরে প্রচন্ড রকমের ব্যথা অনুভব করেন। যা ডেঙ্গু মর্নিং নামে পরিচিত। এই ব্যথার তীব্রতা এতটাই হয় যে সাধারণভাবে চলাফেরাও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
  • রক্তপাতের সমস্যাঃ ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল রক্তপাত। বিশেষ করে নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মূত্রের সাথে রক্ত বের হওয়া, চামড়ার রক্ত সঞ্চালন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এতে করে রক্তের ঘনত্ব অনেকাংশেই কমে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • রেশ পড়াঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর কি শরীরে লালচে রেস দেখা দিতে পারে। এই রেশ ডেঙ্গু চরে আক্রান্ত হওয়ার ৩-৪ দিন পর থেকে শুরু হয়। এই রেশ ওঠা ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেটের স্তর কমে যাওয়ার লক্ষণও হতে পারে।
  • শারীরিক দুর্বলতাঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগী শরীরে প্রচন্ড রকমের শারীরিক দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন। শারীরিক দুর্বলতা এতটাই হয় যে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ে।
  • অবসাদ ও অ্যাপেটাইট এর অভাবঃ ডেঙ্গু জ্বরের আরেকটি লক্ষণ হল খাবারের প্রতি রুচি হারানো। অর্থাৎ ক্ষুধা কমে যাবে কোন খাবারই খেতে ইচ্ছা করবে না এবং সেই সাথে অবসাদ বেড়ে যায়।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম ডেঙ্গু রোগের প্রধান সাতটি লক্ষণ সম্পর্কে। দেখা দিলে অতুত দ্রুত আপনার চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করা উচিত। তা নাহলে আপনার ডেঙ্গু জ্বর বেড়ে যেতে পারে এবং ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রাণনাশও হতে পারে।

২য় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

২য় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ আপনি কিভাবে বুঝবেন? ডেঙ্গু মূলত একটি ভাইরাসজনিত রোগ যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আপনি যদি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরের আক্রান্ত হন তবে বিশেষ কিছু শারীরিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন ধরুন-
  • ২য় বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে আপনার হঠাৎ করে জ্বর শুরু হবে এবং জ্বরের মাত্রা ১০১-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর মধ্যে থাকবে।
  • দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর জ্বরের পাশাপাশি আপনার শরীরে তীব্র ব্যথা হবে। এই ব্যথা আপনার শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে এবং পেশীতে সবচেয়ে বেশি হবে।
  • মারাত্মক মাথাব্যথা হবে এবং সেই সাথে চোখের পেছনে বা মাথার উপরে দিকে এই ব্যথা বেশি হবে।
  • ২য় বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আরেকটি প্রধান লক্ষণ হল আপনার পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে এবং খাবারের প্রতি একটা অরুচি ভাব চলে আসবে।
  • কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্বকে রেশ দেখা দিতে পারে। এই রেস সাধারণত জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহ পর থেকে শুরু হবে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জড়িয়ে পড়বে।
  • ২য় বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে আপনার হেমোরিজিক ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ আপনার মাড়ি থেকে রক্ত বের হতে পারে, নাক থেকে রক্ত পড়তে পারে কিংবা ত্বকের যে কোন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে।
  • সাধারণত দ্বিতীয়বার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে প্রথমবারের থেকে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং রক্তচাপ কমে যায়। ফলে রোগীর শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত লক্ষণগুলো যদি আপনার শরীরে পরিলক্ষিত হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে এটি ২য় বার ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ। তাই অহেতুক বসে সময় ক্ষেপণ না করে অতি দ্রুত চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে থাকুন।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ঔষধ খেতে হবে, যা খেলে দ্রুত ডেঙ্গু সেরে উঠবে এই প্রশ্ন আমাদের অনেকের মনেই। দেখুন ডেঙ্গু জ্বরের জ্বরের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা বা ঔষধ নেই বললেই চলে। ডেঙ্গু রোগীর প্রধান চিকিৎসা হলো পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার যেমন ধরুন- ডাবের পানি, ফলের জুস, গ্লুকোজ, স্যালাইন ইত্যাদি খেতে হবে।
 
এছাড়া জ্বর ও ব্যথা উপশমের জন্য শুধুমাত্র প্যারাসিটামল খাওয়া সম্পূর্ণরূপে নিরাপদ। প্যারাসিটামল জ্বরের মাত্রা অনুযায়ী ৬-৮ ঘন্টা পরপর খেতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ মোতাবেক গ্রহণ করতে হবে। আরেকটি কথা, ডেঙ্গু জ্বরে অ্যাসপিরিন বা নন স্পেরোয়েডাল এন্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগ ব্যবহার অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। কারণ, এগুলি রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ডেঙ্গু মশা কোথায় কামড়ায়

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার আজকের আলোচনা থেকে আপনি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। কিন্তু ডেঙ্গু মশা কোথায় কামড়ায় জানেন কি? অনেকেই মনে করেন ডেঙ্গু মশা শুধুমাত্র পায়ে কামড়ায়। কিন্তু না এটি নিছকই একটি ভুল ধারণা। ডেঙ্গু মশা পা ছাড়াও আপনার শরীরের উন্মুক্ত যে কোন অংশ যেমন ধরুন- হাত, কাঁধ, পিঠ এবং কনুই ইত্যাদি স্থানে কামড়াতে পারে। 
 
তবে হাঁটুর কাছে এবং বহুর অংশে কামড়ানোর প্রবণতা বেশি থাকে। কারণ, মশাগুলি পানি জমা স্থানে বসে থাকে এবং খুব সহজেই পায়ের উন্মুক্ত স্থানে কামড়ে দিতে পারে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে শরীরের উন্মুক্ত স্থানগুলো ঢেকে রাখলে আপনি মশার কামড় থেকে অনেকটাই নিজেকে রক্ষা করতে পারেন।

ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়

ডেঙ্গু রোগের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক লক্ষণ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে বেশকিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। তো চলুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে-
  • ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে প্রথমেই যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে তা হল আপনার বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। অর্থাৎ বাড়ির আশেপাশে যাতে অবাঞ্ছিত পানি জমে না থাকে এবং মশা প্রজনন করতে না পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • আপনার বাড়ির আশেপাশে ময়লা, আবর্জনা কিংবা ভাঙ্গা কোন পদার্থ যেমন- পরিত্যক্ত টায়ার, ভাঙ্গা বালতি, ডাবের খোসা, ব্যাটারি সেল, ইত্যাদি যেন না থাকে যাতে পানি জমার সম্ভাবনা থাকে সেদিকে নজর দিন। কারণ, এই সমস্ত পাত্রই এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযুক্ত স্থান।
  • আপনার পানির ট্যাংক বালতি ইত্যাদি ঢাকনা দিয়ে বন্ধ রাখুন যাতে ভিতরে মশা প্রবেশ করতে না পারে এবং এদের বংশবিস্তার না হয়।
  • রাতে ঘুমানোর সময় আপনি অবশ্যই মশারি ব্যবহার করবেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মশারি ব্যবহার ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায়।
  • আপনি মশা তাড়ানোর জন্য পিকারিডিন, মশা তাড়ানোর ইলেকট্রিক যন্ত্র যেমন- গুড নাইট, কোয়েল এবং অন্যান্য মশা প্রতিরোধক স্প্রে বা তেল ব্যবহার করুন।
  • মশার কামড় থেকে বাঁচতে আপনি সাদা বা হালকা রঙের পোশাক পরিধান করার অভ্যাস করুন। কারণ, অধিক গাঢ় রঙের পোশাক খুব সহজেই মশাকে আকৃষ্ট করে।
  • মশার প্রাদুর্ভাব যদি খুব বেশি হয় তাহলে আপনি সন্ধ্যা এবং ভোরবেলা বাইরে বের হওয়া এড়িয়ে চলুন। কারণ, এই সময় মশার কামড়ানোর সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে।
  • খাবারের মাধ্যমে সংক্রমণ কমাতে আপনি ফল শাক-সবজি খুব ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন।
  • শিশুদের মশা রোধক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন এবং তাদের সুরক্ষিত পোশাক পরান। যাতে করে মশা খুব সহজেই কামড়ে দিতে না পারে।
  • আপনার বাড়িতে থাকা পানির কণ্ঠে উনারগুলি নিয়মিত পরিবর্তন করুন। বিশেষ করে ফুলের টবে জমে থাকা পানি।
  • আপনার এলাকার মশার প্রজননী স্থানগুলো চিহ্নিত করুন এবং সেগুলিকে পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করুন।
  • আপনার শরীরে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
  • আপনার আশপাশের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলুন।
সম্মানিত পাঠক, উপনিউক্ত এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করে আপনি ডেঙ্গু রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারেন। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। যদি প্রতিটি ব্যক্তি সচেতন হয় এবং নিজ নিজ উদ্যোগ থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুর প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।

ডেঙ্গু মশা কামড়ালে কত সময় পর জ্বর আসে

ডেঙ্গু জ্বরের নানাবিধ লক্ষণ এবং এর চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জানাটা যেমন জরুরী, ঠিক তেমনি ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর ঠিক কত সময় পর জ্বর আসে সেটি জানাও জরুরী। ডেঙ্গু মশা কামড়ানোর পর সাধারণত ৪-১০ দিনের মধ্যে জ্বর হয়ে থাকে। এই সময়টাকে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড। অর্থাৎ এই সময়টাতে আমাদের শরীরে
 
ভাইরাস প্রবেশ করে এবং তাকে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু জ্বরে শরীরের তাপমাত্রা ১০১-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত ওঠে। যা স্বাভাবিক জ্বরের থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়ে থাকে। তবে জ্বরের মাত্রা ব্যক্তি ভেদে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি গোসল করা যাবে

ডেঙ্গু রোগের নানা রকম লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ জেনেছি। কিন্তু ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে কি যাবে না, এ নিয়ে আমরা অনেক সময় দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ, আমাদের দেশে একটা চল রয়েছে জ্বর হলে গোসল করা বারণ। যার বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো প্রমাণ নেই। তবে ডেঙ্গু জ্বরের সময় শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক জ্বরের থেকে অনেকটাই বেড়ে যায় এবং শরীরে ঘাম হয়।
 
এতে করে গোসল না করলে শরীরের অস্বস্তি আরো বেড়ে যায়। তাই ডেঙ্গু জ্বর হলে গোসল করা যাবে। কিন্তু গোসল করার সময় আপনাকে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন- অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল না করা। কারণ অতিরিক্ত গরম পানিতে গোসল করলে আপনার শরীরের তাপমাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। আবার অত্যধিক ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে
 
আপনার শরীরের তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে। এতে করে সর্দি-কাশির ঝুঁকিও বাড়তে পারে। তাই গোসলের সময় অধিক গরম জল কিংবা ঠান্ডা জল এড়িয়ে আপনি মৃদু উষ্ণ জলে গোসল করতেই পারেন। তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু গোসলের পর শরীর খুব ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। যাতে করে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা না থাকে।

ডেঙ্গু জ্বর হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানার পর এবার আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাওয়া যাবে এবং কি কি খাওয়া যাবেনা। তাইতো! সম্মানিত পাঠক ডেঙ্গু জ্বর হলে খাবার এবং পানীয়ের বিষয়ে আপনার বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন জেনে নেই ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনি কি খেতে পারবেন এবং এবং কি কি খাবার এড়িয়ে চলবেন-
ডেঙ্গু-রোগের-লক্ষণ-ও-চিকিৎসা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
ডেঙ্গু জ্বরের সময় যেসব খাবার খেতে পারবেন
  • পানিঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের ডিহাইড্রেশন এড়াতে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। অর্থাৎ দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতেই হবে।
  • ফলের জুসঃ শুধু পানি নয় বরং তরল জাতীয় যেকোন খাবার যেমন- ফলের জুস, ডাবের পানি, বিটরুটের জুস ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে করে আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকবে।
  • ফলমূলঃ ডেঙ্গু জ্বরে আপনি যেকোনো ধরনের ফলমূল আনারস, লেবু, পেয়ারা, কিসমিস, কলা, জলপাই, আপেল, খেজুর, কমলা, জাম্বুরা, ইত্যাদি খেতে পারেন। এতে শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল মজুদ থাকবে। ফলে শারীরিক ক্লান্তি কম হবে।
  • শাক-সবজিঃ ডেঙ্গু জ্বরে আপনি সেদ্ধ করা যেকোনো সবজি যেমন গাজর পালংসা কুমড়া খেতে পারেন। এতে আপনার কোষ্ঠকাঠিনের সমস্যা দূর হবে এবং হজম প্রক্রিয়ার সহজ হবে।
  • স্যুপঃ এই সময় আপনি যে কোন সবজির সুপ বা চিকেন সুপ খেতে পারেন তাতে শরীরে অতিরিক্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে।
  • নরম খাবারঃ তরল খাবারের পাশাপাশি আপনি বিভিন্ন নরম খাবার যেমন- জাউ ভাত, সাবুদানার খিচুড়ি, সুজি ইত্যাদি খেতে পারেন।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারঃ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সাধারণত প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বিশেষ করে ডাল, মুরগির মাংস, দুধ, ডিম, মাছ ইত্যাদি। কারণ, প্রোটিন জাতীয় খাবার এই সময় শরীরে শক্তি যোগায়।
ডেঙ্গু জ্বর হলে যেসব খাবার খাবেন না
  • জাঙ্ক ফুডঃ ফাস্টফুড জাতীয় যেকোন খাবার, প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার এবং তেল মসলা যুক্ত খাবার ডেঙ্গু জ্বরে অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। কারণ, এগুলো শরীরের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
  • ক্যাফিনযুক্ত পানীয়ঃ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর ক্যাফিন যুক্ত বিভিন্ন পানীয় বিশেষ করে চা, কফি, সফট ড্রিংস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। কারণ, এগুলো আপনার শরীরকে আরো ডিহাইড্রেট করে দিতে পারে।
  • মসলা যুক্ত খাবারঃ অতিরিক্ত তেল মশলা সহযোগে রান্না করা খাবার, চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি ডেঙ্গু জ্বরে কখনোই খাওয়া যাবেনা। কারণ এগুলো হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে।
  • অ্যালকোহলঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে আপনি অ্যালকোহল সেবন একেবারেই এড়িয়ে চলুন কারণ ডেঙ্গুর সময় অ্যালকোহল সেবন আপনার সাথে পক্ষে ভীষণই ক্ষতিকর।

ডেঙ্গু টেস্ট কোথায় করানো হয়

ডেঙ্গু টেস্ট কোথায় করানো হয়? বেশ কয়েকদিন জ্বরের পর যখন ডেঙ্গু টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে ঠিক তখনই আমরা একটু ঘাবড়ে যাই, যে কোথায় ডেঙ্গু টেস্ট করাবো। দেখুন ডেঙ্গু টেস্ট করানোর জন্য আপনি আপনার নিকটতম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলিতে যোগাযোগ করতে পারেন। 
 
যেখানে আপনি বিনামূল্যে বা কম খরচে খুব সহজেই ডেঙ্গু টেস্ট করাতে পারেন। এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতাল এবং ক্লিনিক গুলোতেও দ্রুত ডেঙ্গু টেস্ট করার ব্যবস্থা থাকে। সেখানেও আপনি ডেঙ্গু টেস্ট করাতে পারেন। তবে বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ডেঙ্গু টেস্ট করানোর জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফ্রি দিতে হয়। 
 
ডেঙ্গু টেস্টের জন্য সাধারণত দুটি প্রধান টেস্ট করতে হয়। যার একটি হল অ্যান্টিজেন টেস্ট বা এনএস১ এবং অপরটি হল আইজিএম বা অ্যান্টিবডি টেস্ট। আপনার এনএস১ বা অ্যান্টিজেন টেস্ট করাতে সরকারি হাসপাতালে খরচ পড়বে ১০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালে খরচ পড়বে ৩০০ টাকা।

ডেঙ্গু টেস্ট রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগে

ডেঙ্গু টেস্ট রিপোর্ট পেতে কত সময় লাগে জানেন কি? ডেঙ্গু টেস্ট করানোর এর রিপোর্ট পেতে ঠিক কতদিন সময় লাগতে পারে তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাহলে জেনে রাখুন, ডেঙ্গুটে স্টের রিপোর্ট পেতে সাধারণত ২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টা সময় লেগে যায়। তবে এই সময় পরীক্ষার ধরন এবং ল্যাবের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কিছুটা পরিবর্তিতও হতে পারে।
 
কারণ, ডেঙ্গুর জন্য প্রধানত দুটি পরীক্ষা পদ্ধতি রয়েছে। একটি হলো এনএস১ বা এন্টিজেন্ট টেস্ট এবং অপরটি হল আইজিএম বা এন্টিবডি টেস্ট। এনএস১ টেস্ট এর ফলাফল অতি দ্রুত সময়ে পাওয়া যায়। কিন্তু অ্যান্টিবডি টেস্ট অর্থাৎ আইজিএম এর জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট কত থাকে

ডেঙ্গু রোগীর প্লাটিলেট কত থাকে এ নিয়ে আমরা অহেতুক দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। কিন্তু আপনি জেনে অবাক হবেন যে, বিশেষজ্ঞদের মতে ডেঙ্গু রোগে প্লাটিলেটের ভূমিকা একেবারেই মুখ্য নয়। কারণ এই সময় প্লাটিলেট ২০০০০-১০০০০ এ নেমে আসলেও অনেক সময় রোগীর প্লাটিলেটের প্রয়োজন পড়ে না। 
 
তাই তাদের মতে এই সময় প্ল্যাটিলেট ছাড়াও রোগীর অন্যান্য বিষয়ে খেয়াল রাখাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। একজন স্বাভাবিক সুস্থ মানুষের প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে প্লাটিলেট থাকে ১.৫০ লাখ থেকে ৪.০০ লাখ পর্যন্ত। কিন্তু ডেঙ্গু রোগের ক্ষেত্রে এই প্লাটিলেটের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গু ইনফেকশনের কারণে প্লাটিলেট উৎপাদন তো কমেই সেই সাথে প্লাটিলেটের ভাঙনও বেড়ে যায়। 
 
সাধারণত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর প্লাটিলেট প্রতি মাইক্রোলিটারে ২০০০০-১০০০০০ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। আবার অনেক সময় প্লাটিলেট ২০০০০ এর নিচেও নেমে যেতে পারে। কিন্তু প্লাটিলেট যদি ১০০০০ এর নিচে নেমে আসে এবং রক্তপাত শুরু হয় সেক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা গুরুতর হয়ে যেতে পারে। ঠিক তখন প্ল্যাটিনেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা বিশদভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ যেমন বেড়েছে তেমনি তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যুর হার। কিন্তু সামান্য সচেতনতা এবং সঠিক প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করলেই আমরা ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। 
 
বিশেষ করে বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, মশারি ব্যবহার করা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কমাতে অনেকটাই সাহায্য করবে। তাছাড়া সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বাস্থ্য শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে সর্বসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা হলে ডেঙ্গু প্রকোপ প্রতিরোধে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনার বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url