ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে বিস্তারিত জেনে নিন
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে জানেন কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে তা অনেকেই জানতে চান। তাহলে বলবো চটজলদি করে আর্টিকেলটি একবার পড়ে নিন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
- ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
- ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
- ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
- মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে
- মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
- ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এ সম্পর্কে আমার মন্তব্য
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে। যারা ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চান তারা প্রায়শই এই প্রশ্নটি করে থাকেন। আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সময়কাল আপনার আগ্রহ, ইচ্ছা, ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে পূর্ববর্তী জ্ঞান এবং শেখার পদ্ধতির উপর অনেকটাই নির্ভর করে। সাধারণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার কমপক্ষে ১-৩ মাস সময় লাগবে।
আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট নিন
যদি আপনি নিয়মিত ভাবে কাজে সময় দিতে পারেন। এই ৩ মাস নিয়ম মাফিক মনোযোগ সহকারে কাজ শিখে আপনি ন্যূনতম আয়ের পথ বেছে নিতে পারেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে পুরোপুরি ভাবে কাজে দক্ষ হতে হলে আপনার সময় লাগবে কমপক্ষে ২ বছর। কারণ, এই সময়ে আপনি এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং,
কন্টেন্ট মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানবেন। শুধু তাই নয়, এরপর আপনি বিভিন্ন অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন বই পড়ার মাধ্যমে আপনার দক্ষতাকে আরো সমৃদ্ধ করবেন। একটি কথা আপনাকে মনে রাখতে হবে, একজন ডিজিটাল মার্কেটের কখনোই শেখার নির্দিষ্ট সীমার গণ্ডিতে আবদ্ধ থাকলে চলবে না।
বরং প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বিষয়ের সাথে তাকে পরিচিত হতে হবে, শিখতে হবে এবং সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। সর্বোপরি নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং প্রতিনিয়ত নতুন ট্রেন্ডগুলোর সাথে পরিচিতি আপনাকে দিনকে দিন আরো দক্ষ করে তুলবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার এই যাত্রা অনেকটাই নির্ভর করছে আপনার প্রচেষ্টা, ধৈর্য এবং উৎসাহের উপর।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার কি কি বিষয় শেখার আছে তা কি জানেন? হয়তোবা এখনো জানেন না। যারা ফ্রিল্যান্সিং জগতে একেবারেই নতুন বা আসতে চান তাদের এই বিষয়ে জানা ভীষণই জরুরী। তাহলে চলুন আজকে আলোচনার শুরুতেই জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনার কি কি শেখা প্রয়োজন-
আরো পড়ুনঃ গুগল থেকে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০ উপায়
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্রথমে আপনাকে যে বিষয়ে জানতে হবে সেটি হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে আপনাকে মূলত বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল প্লাটফর্ম যেমন- ফেইসবুক, ইনস্ট্রাগ্রাম, লিঙ্কডিন ইত্যাদি বিভিন্ন প্লাটফর্মে কন্টেন্ট তৈরি এবং এর প্রচারের কৌশল সম্পর্কে জানতে হবে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসিওঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসিও পুরোপুরি ভালোমতো আয়ত্ব করতে এবং শিখতে প্রায় এক বছর লেগে যায়। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে আপনাকে মূলত সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে শেখা, অন পেইজ ও অফ পেইজ এসিও এবং অন্যান্য সাইট থেকে আপনি কিভাবে ব্যাকলিঙ্কিং পাবেন ইত্যাদি বিষয়ে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
- কনটেন্ট মার্কেটিংঃ কনটেন্ট মার্কেটিং এ আপনাকে বিভিন্ন ধরনের মানসম্মত ব্লগ কনটেন্ট কিভাবে তৈরি করা যায় সে সম্পর্কে জানতে হবে। সেই সাথে ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ব্লগ, ভিডিও এবং নিউজ লেটার তৈরি ও প্রচারের কৌশল সম্পর্কে শিখতে হবে।
- এনালিটিক্স এবং ডেটা বিশ্লেষনেঃ এনালিটিক্স এবং ডেটা বিশ্লেষণে আপনাকে ওয়েব সাইটের ট্রাফিক এবং তাদের আচরণবিধি সম্পর্কে বিশ্লেষণ করা শিখতে হবে।
- পে-পার-ক্লিক মার্কেটিংঃ পে-পার-ক্লিক মার্কেটিংয়ে আপনাকে গুগলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন পরিচালনার কৌশল রপ্ত পড়তে হবে।
- ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টঃ একটি ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করা যায়, কিভাবে ডিজাইন করা যায় এবং কিভাবে কাজ করে সে বিষয়ে আপনার পূর্ণাঙ্গ ধারণা রাখতে হবে। শুধু তাই নয়, কিভাবে একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করবেন সেটিও জানতে হবে এই সেক্টরে।
- নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনাকে সর্বদা নিত্য নতুন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। যেমন ধরুন- বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ (AI) এ আই অটোমেশনের ব্যবহার জানতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য ঠিক কত দিন সময় লাগে তা আপনি ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগবে তা কি জানেন? না জানলে জেনে রাখুন,
আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যান ব্যাংক লোন নিয়ম
- ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য প্রথমেই আপনার যা লাগবে তা হলো একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এবং সেই সাথে ব্রডব্যান্ড সংযোগ। যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর পুরো কাজই অনলাইন ভিত্তিক। তাই একটি শক্তিশালী ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং করা আপনার পক্ষে কখনোই সম্ভব না।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করতে দ্বিতীয় যে বিষয়টি জরুরি সেটি হল আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। যেখান থেকে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
- শুধু তাই নয়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কৌশল সঠিকভাবে জেনে বুঝে সেই কৌশল প্রয়োগ করে অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে হবে।
- এছাড়াও কনটেন্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনাকে মানসম্মত ও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে। যাতে করে গ্রাহকরা আপনার কন্টেন্টের প্রতি আকৃষ্ট হন।
সসম্মানিত পাঠক, ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে প্রথমেই উপরিউক্ত বিষয়গুলোর উপর বেশি জোর দিতে হবে। তবেই একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটের হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার কত সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে আপনি ইতিমধ্যেই অবগত হয়েছেন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে আপনি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবেন। তো চলুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিন-
- প্রথমেই বলি, আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর মৌলিক বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী।
- ডিজিটাল মার্কেটিং শুরুর প্রথমেই আপনি একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যে আপনার উদ্দেশ্য কি? পণ্য বিক্রি, ব্রান্ড সচেতনতা নাকি লিড জেনারেশন কোনটি।
- এরপর আপনি একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করুন। যেখানে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবার তথ্য প্রতিনিয়ত লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
- এরপর আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে নিন। যাতে করে আপনার সাইট সার্চ ইঞ্জিনে খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
- শুধুমাত্র ওয়েবসাইটেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন ধরুন- ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং লিঙ্কডইন ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে যোগাযোগ করুন
- আপনার অডিয়েন্স কি ধরনের কনটেন্ট চায় তাদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে আপনি মানসম্মত ও তথ্যসমৃদ্ধ কন্টেন্ট তৈরি করার চেষ্টা করুন।
- এরপর আপনি ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড এডভার্টাইজিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার দিন দিন আরো বিস্তৃত করুন ।
- এভাবে নিয়মিত অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের প্রচার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে শিখুন।
সবশেষে বলবো আপনি কাজের প্রতি ধৈর্য না হারিয়ে নিয়ম মেনে কাজ করুন। তাতে সময়ের সাথে সাথে আপনার সফলতা আসবেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে তা ইতিমধ্যেই আমরা আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি অনেকেই জানতে চান। দেখুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যে সেক্টরেই কাজ করতে চান না কেন আপনাকে দুটো জায়গায় সবচেয়ে বেশি কাজ করতেই হবে।
কারণ, এই দুটো জায়গায় কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকে। তা হল অর্গানিক মার্কেটিং এবং পেইড মার্কেটিং। এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে আরও কিছু কাজের চাহিদা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি বেশি থাকে। তন্মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয়। যেখানে আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এর মত প্লাটফর্মে আপনার ব্রান্ডের পরিচিতি বাড়াতে পারেন।
এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ। যা কিনা আপনার ওয়েবসাইটের অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধি করবে। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং এ কনটেন্ট মার্কেটিংয়েরও জনপ্রিয়তা ব্যাপক। গুণগত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করে আপনি খুব সহজেই পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এছাড়াও পেইড অ্যাডভোকেসি এবং ডাটা এনালাইসিসও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
যা আপনার বিজ্ঞাপনের কার্যকারিতা বিশ্লেষণে সাহায্য করবে। বর্তমান সময়ে এই কাজগুলোর মাধ্যমে ব্র্যান্ড গুলি তাদের পাঠক বা গ্রাহকদের সাথে একটি সুসম্পর্ক করার সুযোগ পায়। সম্মানিত পাঠক, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এই ক্ষেত্রগুলোতে আপনার বিশেষ দক্ষতা থাকলে ভবিষ্যতে চাকরির সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে। এখন নিশ্চয়ই আপনি বুঝতে পেরেছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এ কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি।
ফ্রিল্যান্সিং এ কতগুলো সেক্টর আছে কি কি
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কত মাস সময় লাগতে পারে তা খানিক আগেই আজকের আলোচনায় জেনেছেন। অনেকের আবার ফ্রিল্যান্সিং এ কাজের সেক্টর সম্পর্কে জানতে চান। তো চলুন এবার আপনি জেনে নিন ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের জন্য ঠিক কতগুলো সেক্টর রয়েছে-
- লেখালেখি ও কনটেন্ট ক্রিয়েশনঃ আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ, আর্টিকেল এবং ওয়েব কন্টেন্ট লিখতে পারেন। এটি পাঠকের জন্য তথ্যপূর্ণ কনটেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে।
- গ্রাফিক ডিজাইনঃ গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রধান কাজ হল কোন ব্র্যান্ডের জন্য একটি ইউনিক লোগো তৈরি করা। এছাড়াও রয়েছে প্যাকেজিং বিজনেস কার্ড এবং ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ডিজাইন ইত্যাদি। একটি ব্র্যান্ডের ভিসুয়াল পরিচিতি বাড়াতে এবং যোগাযোগের সাহায্য করে
- ওয়েব ডেভেলপমেন্টঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মূলত ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ অন্তর্ভুক্ত। এটি আপনার ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশনের কাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
- ডিজিটাল মার্কেটিংঃ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে এসইও, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং পেইড এডভোকেসি বিশেষ ভাবে অন্তর্ভুক্ত।
- ভিডিও অডিও প্রোডাকশনঃ এই সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং, ডিজাইন ইত্যাদি করা হয়ে থাকে। এটি তথ্য এবং বিনোদনের মাধ্যমে দর্শকদের আকৃষ্ট করে থাকে।
- ডাটা এন্ট্রি ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসঃ বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কাজে এবং তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ডাটা এন্ট্রি ও ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট সেবার প্রয়োজন পড়ে।
- আইটি ও সাইবার সিকিউরিটিঃ আইটি ও সাইবার সিকিউরিটিতে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং এর সুরক্ষার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- অনলাইন প্রশিক্ষণঃ বর্তমানে অনলাইন টিউটরিং এ বিভিন্ন ধরনের ভাষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই শেখার সুযোগ পায়।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের সেক্টর গলোউ। উপরিক্ত প্রত্যেকটি সেক্টরই একজন ফ্রীল্যান্সারের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিয়ে আসে। যা তার ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করে।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা অত্যন্ত সুবিধা জনক। বর্তমান সময়ে কম বেশি প্রায় সকলের হাতে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন রয়েছে। এই অ্যান্ড্রয়েড ফোন দিয়ে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। এবার চলুন জেনে নেই মোবাইল দিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে করবেন-
- মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্স চিহ্নিত করতে হবে। যাতে করে আপনি সঠিক সময়ে সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন।
- এরপর আপনি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, ফেসবুক এবং লিঙ্কডিনে প্রচারণা চালিয়ে আপনার পণ্য বা পরিষেবার প্রমোশন করাতে পারেন।
- মোবাইল এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক এবং গুগল এডস এর মত প্ল্যাটফর্মে মোবাইল ফ্রেন্ডলি বিজ্ঞাপন তৈরি করতে শিখুন। সেই সাথে আপনার বিজ্ঞাপন গুলো স্থানীয় লোকেশন অনুযায়ী টার্গেট করেন যাতে সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো যায়।
- শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট ভিডিও এবং ফটো শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরতে পারেন। যা আপনি মোবাইল ব্যবহার করেই করতে পারেন।
- আবার ইমেইল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এসএমএস ক্যাম্পেইনও খুব সহজেই মোবাইলের মাধ্যমে আপনি পরিচালনা করতে পারেন। যেখানে আপনি সরাসরি গ্রাহকদের কাছে যেকোনো ধরনের আপডেট বা অফার পাঠাতে পারেন। গ্রাহকদের আগ্রহ ধরে রাখার ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে।
- এছাড়াও এনালিটি টুলের মাধ্যমে আপনি আপনার মার্কেটিং কার্যক্রমের ফলাফল ট্র্যাক করতে পারেন যেমন ধরুন প্রতিদিন কতটি ক্লিক রেট কত, অর্গানিক ট্রাফিক কত ইত্যাদি সকল বিষয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয় এ এক্সপার্ট হতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কেমন সময় লাগতে পারে এতক্ষণে আপনি জেনে গেছেন। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হলে কোন কোন বিষয়ে আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে জানেন কি? হয়তো জানেন না। ডিজিটাল মার্কেটিং করতে আপনাকে বিশেষ করে ৫টি বিষয়ের উপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। তা হলো-
- প্রথমতঃ আপনাকে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া চালানোতে পারদর্শী হতে হবে। বিশেষ করে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার মতো প্লাটফর্ম এর কৌশল বুঝতে হবে যাতে আপনি গ্রাহকদের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন।
- দ্বিতীয়তঃ স্যার ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও সম্পর্কে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং পূর্ণ জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমিনেশন এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে পারেন।
- তৃতীয়তঃ কনটেন্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে আকর্ষণীয় এবং তথ্যসমৃদ্ধ কনটেন্ট তৈরিতে পারদর্শী হতে হবে। যাতে করে আপনার কন্টেন্ট করে দর্শকরা আপনার কনটেন্টের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং আপনার ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
- চতুর্থতঃ আপনার ডেটা এনালিটিসের দক্ষতা থাকতে হবে। যাতে করে মার্কেটিং কার্যক্রম আপনি খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
- পঞ্চমতঃ এছাড়াও ইমেইল মার্কেটিং এবং পেইড এডভার্টাইজিং এর বিষয়েও আপনার সমান জ্ঞান থাকা উচিত। যেখানে সঠিক অডিয়েন্স টার্গেট করার কৌশল আপনাকে রপ্ত করতে হবে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত এই বিষয়গুলোর ওপর আপনি যদি এক্সপার্ট হন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে অতি অল্প সময়ে আরো বেশি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে আপনার কতদিন লাগবে জানার পরিবার আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন। তাহলে চলুন মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শেখার কিছু উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-
- বিভিন্ন অনলাইন কোর্সঃ মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে আপনি ইউটিউব, ফেসবুক থেকে বিভিন্ন প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত কোর্স নিতে পারেন। যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপরে বিস্তারিত ভিডিও পাওয়া যায় যেমন ধরুন- গ্রাফিক্স ডিজাইনের ওপর, কনটেন্ট রাইটিং এর ওপর, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ওপর ইত্যাদি।
- বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মের অ্যাপঃ মোবাইল ব্যবহার করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মের বিভিন্ন অ্যাপ যেমন- ফাইবার আপওয়ার্ক, ফ্রীল্যান্সার ইত্যাদি ডাউনলোড করুন। শুধু ডাউনলোড করলেই হবে না এই অ্যাপগুলো ব্যবহার করতে শিখুন এবং সেখান থেকে আপনি আপনার কাজের সুযোগ খুঁজতে পারেন এবং ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
- ক্লায়েন্টের চাহিদা বুঝতে পারাঃ আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প এবং ঠিক বুঝে নিতে পারবেন বর্তমানে ক্লায়েন্টদের কি ধরনের কাজের প্রয়োজন, ক্লাইন্ট কি চায়। ফলে খুব সহজেই ক্লায়েন্টের চাহিদা আপনি বুঝতে পারবেন। এই অ্যাপগুলোর মাধ্যমে আপনি বর্তমান বাজারের চাহিদা সম্পর্কে ধারণা পাবেন।
- অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে নেটওয়ার্কিংঃ আপনি মোবাইল ব্যবহার করে ফেসবুক, লিঙ্কডিন, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন। সেখান থেকে খুব সহজেই আপনি অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথেও যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন।
- পোর্টফোলিও তৈরি করুনঃ আপনি শুরুতেই ছোটখাটো প্রকল্পগুলোতে কাজ করতে শুরু করুন। ইতি আপনার কাজের প্র্যাকটিস হবে এবং সেই সাথে পোর্টফোলিও তৈরি করতেও সাহায্য করবে। তাছাড়া আপনি আপনার কাজ গুলো একটি ডিজিটাল পোর্টফোলিওতে লিপিবদ্ধ করুন। যেখান থেকে ক্লাইন্টরা আপনার কাজ দেখতে পাবে।
- ব্লক ও ওয়েবসাইট পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্লক এবং ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত পড়তে হবে। যার মাধ্যমে আপনি অনেক অজানা তথ্য এবং টিপস পেয়ে যাবেন। যা আপনার কাজে আসবে। মাধ্যমগুলো থেকে আপনি একটি ভালো প্রোফাইল কিভাবে তৈরি করতে হয়, একজন ক্লায়েন্টের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে জানতে পারবেন।
- বিভিন্ন ধরনের টুলস ও অ্যাপসঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের টুলসের প্রয়োজন পড়ে। যেমন ধরুন- ক্যানভা, গুগল ডক্স ইত্যাদি মোবাইলে ব্যবহার করতে শিখুন। টুলস গুলি আপনার কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।
- সময় মেনে কাজ করুনঃ আপনার কাজ সময়মতো করতে মোবাইল ক্যালেন্ডার বা অন্যান্য প্লানার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে একটি সময় সূচি তৈরি করে নিন। যে সময় মেনে আপনি প্রতিদিন কাজ করবেন। এতে করে আপনার কাজের প্রতি মনোযোগ বাড়বে।
- ধৈর্য ধরে কাজ করুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শেখা মূলত একটি সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। আপনি প্রথমে হয়তো এই কাজে সফল নাও হতে পারেন। কিন্তু ধৈর্য এবং অধ্যবসায় নিয়ে একটানা কাজ করতে থাকুন। তাতে দেখবেন সফলতা আপনার দোরগড়ায় চলে এসেছে।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত এই কৌশল গুলি অবলম্বন করে আপনি একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমেই ফ্রিল্যান্সিং খুব সহজেই শিখতে পারেন। প্রথমে হয়তোবা কিছুটা সময় লাগতে পারে। কিন্তু নিয়মিত কাজের চর্চা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে একটা সময় এসে ঠিক সফলতা পেয়ে যাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে এ সম্পর্কে আমার মন্তব্য
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ে তা বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত একটি ডিজিটাল মিডিয়া। যেখানে আপনি ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে যে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং ক্যাম্পেইন খুব সহজেই পরিচালনা করতে পারেন। মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং একটি গতিশীল ও পরিবর্তনশীল বিষয়।
প্রতিনিয়ত টেকনোলজির আপডেটের কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং এ পরিবর্তন চলে আসে। তাই আপনাকেও সময়ের সাথে সাথে আপডেট থাকতে হবে। আর নিয়মিত ধৈর্য ধরে সময় দিয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফলতা পাবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটে। আর্টিকেলটি এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url