ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি জানেন কি? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি? জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি একবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন। 
ফ্রিল্যান্সিং-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি-বিস্তারিত-জানুন
আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু হল ২০২৪ সালে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি এবং এর ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি। তাহলে চলুন আজকের মত আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কোন কাজের চাহিদা সব থেকে বেশি অনেকেই জানতে চান। তাছাড়া ঘরে বসে থেকে টাকা উপার্জন করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং। আজকে আলোচনার শুরুতেই চলুন জেনে আসি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজের কিছু ক্ষেত্র সম্পর্কে-
ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক। তাছাড়া বর্তমানে অনলাইনে যে সকল কাজ রয়েছে তার প্রত্যেকটি ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া কোনভাবেই কল্পনা করা যায় না। আবার আমাদের দেশে লোকাল মার্কেটেও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর। সে হিসেবে বলতে গেলে দিনকে দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
 
তবে একটি কথা মনে রাখবেন, ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্র বা কাজকে বুঝায় না। বরং ডিজিটাল মার্কেটিং এ বেশ কিছু কাজের ক্ষেত্র বা ক্যাটাগরি রয়েছে। এই ক্যাটাগরি গুলোর মধ্যে আপনি যেকোনো একটি ক্যাটাগরিতে খুব ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করলেই সেই সেক্টর থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
 
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটি বা একাধিক কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করলে আপনার ইনকামের পথ অনেকটাই উন্মোচন হয়ে যাবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে যেমন ধরুন- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
আপনি কি জানেন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট অনেক বড় একটা জায়গা দখল করে রয়েছে। তাছাড়া বর্তমানে অনলাইনে যে কোন ধরনের ছোট বড় ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে একটি ওয়েবসাইট। ফলে ওয়েবসাইট তৈরি এবং ডেভেলপমেন্টের কাজের চাহিদাও অন্যান্য কাজের থেকে তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। 
 
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ক্ষেত্রে বিশেষ করে ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক, জাভা স্ক্রিপ্ট, সি.এস.এস, এর দক্ষতা বেশি প্রয়োজন পড়ে।। আবার ক্লাইন্টরা ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং রেসপন্সিভ ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করতেও অনেক সময় আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। সুতরাং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি নিশ্চিন্তে এই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সেক্টরটিকে আপনার কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
আর্টিকেল রাইটিং
ফ্রিল্যান্সিংয়ে যে সকল জনপ্রিয় কাজ রয়েছে তার মধ্যে বর্তমান সময়ে আরেকটি কাজের ক্ষেত্র হল কন্টেন্ট রাইটিং বা আর্টিকেল লিখা। বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কনটেন্ট রাইটার হিসেবে সেবা প্রদান করে সেখান থেকে মোটা অঙ্কের আয় উপার্জনের পথ বেছে নিতে পারেন।
 
এই সেক্টরে আপনি সবথেকে বেশি আয় করতে পারবেন ইংরেজি আর্টিকেল লিখে। এর জন্য আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। আর্টিকেল রাইটিং এ ইংরেজি ছাড়াও আরো বেশ কিছু কাজের ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন- ব্লক পোস্ট রাইটিং, কপিরাইটিং ইত্যাদি। সুতরাং আপনি যদি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন তাহলে পেশা হিসেবে চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং।
ফ্রিল্যান্সিং-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি-বিস্তারিত-জানুন
গ্রাফিক্স ডিজাইন
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজের আরেকটি বড় ক্ষেত্র হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপরে ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে শুধু দেশেই নয় বরং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বাইরেও বড় বড় নামি দামি কোম্পানিতে চাকরি করে খুব সহজেই মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনে প্রতিটি ব্যবসা বা কোম্পানি পরিচালনার জন্য
 
তাদের নিজস্ব লোগো ডিজাইন, ব্রান্ডের বিজ্ঞাপন এবং ব্যানার ডিজাইন করার প্রয়োজন পড়ে। আর ঠিক এই কারণেই দিনকে দিন গ্রাফিক ডিজাইনারদের কাজের চাহিদাও বেড়েই চলেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মধ্যে বিশেষ করে লোগো ডিজাইন, ফ্যাশন ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডিজাইন বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া আপনি অনলাইনে আরও বিভিন্ন রকম প্লাটফর্ম যেমন ধরুন- ফাইবার, আপ ওয়ার্ক এই সেক্টর গুলোতেও কাজ করে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার
বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া আমরা অনেকটাই বাক বধির। ঠিক এই কারণেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর জনপ্রিয়তা তুমুল বেড়েছে। সাথে বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজও। এর কারণ কি জানেন? এর কারণ হল বিভিন্ন দেশে এমন সব ব্যক্তি কিংবা সংস্থা রয়েছে যারা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় পান না।
 
ফলে তারা অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে পেইড মার্কেটিং সহ বেশ কিছু কাজে জরুরী ভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এই কাজে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার প্রতি ঘন্টায় কাজ হিসেবে ২০-৩৫ ডলার বা তারও বেশি চার্জ নিয়ে থাকে। তাহলে ভাবুন এই কাজের গুরুত্ব কতখানি। তাই বলবো আপনাদের যাদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম সহ আরো অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের বিশেষ দক্ষতা রয়েছে তারা চাইলে এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন।
ডাটা এন্ট্রি
আপনারা যারা মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা অনেক কঠিন তারা সহজ কাজ হিসেবে বেছে নিতে পারেন ডাটা এন্ট্রিকে। এই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যান্য কাজের তুলনায় বেশ সহজ। ডাটা এন্ট্রি কাজ সহজ ঠিক আছে। কিন্তু এই কাজের জন্য আপনাকে এর বিভিন্ন টুলস এর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে
 
এবং সেইসাথে আপনার টাইপিং স্পিড ভালো হতে হবে। এই সেক্টরে কাজ করতে আপনাকে মাইক্রোসফট এক্সেল এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন সফটওয়্যারে কাজ করার বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হবে। তাই বলব আপনি যদি ন্যূনতম দক্ষতা নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে চান তাহলে ডাটা এন্ট্রি সেক্টরটি নির্বাচন করতেই পারেন।
এ.আই এবং মেশিন লার্নিং
ফ্রিল্যান্সিং জগতে বর্তমান প্রযুক্তির কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সেক্টর হলো এ.আই এবং মেশিন লার্নিং। এই দুটি হল প্রযুক্তির সব চেয়ে শক্তিশালী শাখা। এ.আই (AI) কম্পিউটারের এমন একটি শাখা যেখানে আপনার চিন্তা, চেতনা, ভাবনা সহ সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে। অর্থাৎ এ,আই এর প্রধান উদ্দেশ্য হল মানুষের মত চিন্তা ও সিদ্ধান্ত নেওার ক্ষমতা।
 
অপরদিকে মেশিন লার্নিং হল এ.আই এর একটি উপশাখা যেখানে কম্পিউটার গুলো প্রতিনিয়ত ডেটা বিশ্লেষণ করতে থাকে। বর্তমানে এই প্রযুক্তি গুলোর ব্যবহার স্বাস্থ্য সেবা থেকে শুরু করে অর্থনীতি এবং আরো অনেক ক্ষেত্রে দারুন বিপ্লব ঘটাচ্ছে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর এ.আই সেক্টরটিও কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত আলোচিত প্রত্যেকটি সেক্টরই ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বেশ উপযুক্ত। সুতরাং আপনার দক্ষতা এবং আগ্রহ অনুযায়ী এই সেক্টর গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি বা একাধিক সেক্টর আপনার কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিতেই পারেন।

 বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান অনেকেই কিন্তু ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি জানেন কি? বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য ডিমান্ডেবল সেক্টর গুলোর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের একটি নিজস্বতা রয়েছে। এবার চলুন ফ্রিল্যান্সিংয়ে ডিমান্ডেবল সেক্টর সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিন- 
ভিডিও এডিটিং ও প্রোডাকশন
ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিং অত্যন্ত ডিমান্ডেবল এবং সৃজনশীল একটি ক্ষেত্র। যেখানে আপনি আপনার কল্পনা এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা একসাথে কাজে লাগাতে পারেন। ভিডিও এডিটিং করতে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও প্রজেক্ট যেমন ধরুন- ইউটিউব ভিডিও, মার্কেটিং প্রোমোশনের ভিডিও, টিউটোরিয়াল 
এবং সামাজিক মিডিয়ার কন্টেন্টের জন্য ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি সম্পর্কে বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। এই ভিডিও এডিটিং কাজের মধ্যে সাধারণত ফুটেজ কাটাকাটি করার ট্রানজেকশন, ভয়েজ ওভার যুক্ত করা, মিউজিক যুক্ত করা, টেক্সট এনিমেশন তৈরি করা ইত্যাদি বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া আপনি ভিডিও এডিটিং এর বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার যেমন- এডোবি প্রিমিয়ার প্রো,
 
ফাইনাল কাট প্রো ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিপুণভাবে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনি যেমন আপ ওয়ার্ক, ফাইবার এবং ফ্রিল্যান্সারে আপনার কাজের মাধ্যমে ক্লাইন্টদের আকৃষ্ট করতে পারেন, ঠিক তেমনি আজকাল ভিডিও কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হারে বাড়ার কারণে ভিডিও এডিটিং করেও ক্লাইন্টদের আকৃষ্ট করতে পারেন।
অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
বর্তমানে প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন অ্যাপ তৈরি হচ্ছে। যার ফলস্বরূপ অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের চাহিদাও প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। এর ফলে বিশেষ করে মোবাইল অ্যাপ ডেভলপাররা বেশি কাজের সুযোগ পেয়ে থাকেন। অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে আপনাকে অ্যান্ড্রয়েড এবং আই.ও.এস (IOS) প্লাটফর্মে অ্যাপ তৈরির বিশেষ দক্ষতা থাকতে হবে। এই প্লাটফর্মে Swift এবং kotlin এর মত ভাষা বেশি ব্যবহৃত হয়।
ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট হিসেবে
ফ্রিল্যান্সিংয়ের আরেকটি জনপ্রিয় ক্ষেত্র হলো ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যেখানে প্রতিটি ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক কাজ করে এবং গ্রাহক সেবার মাধ্যমে ক্লাইন্টদের সহায়তা করে থাকেন। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে কাজে দক্ষ হতে হবে।ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট কাজের মধ্যে ইমেইল পরিচালনা, 
 
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাধারণত ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার বিশেষ কোনো ডিগ্রির প্রয়োজন পড়বে না। তবে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞান থাকা আবশ্যক। বর্তমান সময়ে বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর প্রবণতা বাড়ছে।

সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত সেক্টর গুলো ছাড়াও আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং ইত্যাদি সেক্টরেও কাজ করতে পারেন। যা আমরা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ২০২৪

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি। জানার পর এবার আপনি নিশ্চয়ই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী? যারা ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কিভাবে শুরু করবেন। তাদের জন্য এবার জানাবো আপনি কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। তো চলুন আপনি ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শেখা শুরু করবেন সেই সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা নিন -
  • প্রথমেই বলি, ফ্রিল্যান্সিং শেখার পূর্বে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন ক্ষেত্রে কাজ করতে আগ্রহী বা কোন কাজের প্রতি আপনার দক্ষতা রয়েছে।
  • হতে পারে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং এই প্রত্যেকটি সেক্টরের মধ্যে যেকোনো একটিতে ভালো দক্ষতা রয়েছে। তাহলে আপনি সেই একটি ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রই বেছে নিতে পারেন আপনার কাজের জন্য।
  • ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষণ প্লাটফর্ম থেকে প্রফেশনাল কোর্স সম্পূর্ণ করতে পারেন। কারণ, এই অনলাইন কোর্সগুলো সাধারণত হাতে-কলমে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এছাড়াও বিনামূল্যে ইউটিউব থেকেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরনের টিওটোরিয়াল এবং ওয়েবিনারও পেয়ে যাবেন। যা আপনার শেখার ক্ষেত্রে কাজে আসবে।
  • শুধুমাত্র অনলাইন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে হবে না। সেই সাথে আপনাকে দক্ষতা অর্জন করার জন্য নিয়মিত সময় দিয়ে কাজটি প্র্যাকটিস করতে হবে।
  • আপনি নিজস্ব একটি প্রকল্প তৈরি করুন যেখানে বন্ধুদের জন্য কম মূল্যে কাজ করতে পারেন। এতে আপনার স্কিল ডেভেলপ হবে এবং সেই সাথে একটি পোর্টফলিও তৈরি করতে পারেন। যা কিনা পরবর্তীতে ক্লাইন্টের কাছে আপনার কাজ প্রদর্শিত হবে খুব সহজেই।
  • ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম যেমন- আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, টপটাল এ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সেখানে আপনি একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। যেখানে আপনার কাজের দক্ষতা থাকবে।
  • ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে একটি প্রোফাইল খোলার পর প্রাথমিকভাবে আপনি ছোট ছোট প্রকল্পগুলিতে বিড করুন। যাতে করে ক্লাইন্টদের সাথে খুব সহজেই একটি যোগাযোগ এর মাধ্যম গড়ে তুলতে পারেন এবং কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে সফল হতে হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটি সেটি হল নটওয়ার্কিং। অর্থাৎ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সাথে আপনার একটি সুসম্পর্ক তৈরি করুন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে যোগ দিন এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ফোরামে প্রত্যক্ষভাবে অংশ গ্রহণ করুন। এভাবে আপনি নতুন নতুন কাজের সুযোগ এবং বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা পেয়ে যাবেন।
  • সবশেষে বলবো কাজ করার পরে আপনি ক্লায়েন্টস এর কাছ থেকে অবশ্যই কাজের ফিডব্যাক বা রিভিউ নিন। কারণ ভালো রিভিউ ভবিষ্যতে আপনাকে নতুন ক্লাইন্ট আকর্ষণ করতে সাহায্য করবে।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রাথমিক কিছু ধাপ সম্পর্কে। উপরিউক্ত এই ৯টি ধাপ অনুসরণ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ অবশ্যই দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন। যদি আপনি ধৈর্য ও অধ্যবসায় বজায় রেখে কাজ করেন।

ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত

ফ্রিল্যান্সিং এ বর্তমানে কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আপনি ইতিমধ্যেই আজকের আলোচনায় জেনেছেন। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ আই এর দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান কত জানেন কি? জেনে অবাক হবেন যে, ফ্রিল্যান্সিং এ বাংলাদেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশই দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে।
 
সম্প্রতি সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগের শীর্ষ ৩০ দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০টি দেশের মধ্যে ২৯ তম। এই ৩০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৪৬.৯২ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ ২৯তম অধিকার লাভ করেছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিংয়ে ৬০০ মিলিয়ন ডলার অর্থ উপার্জন করেছে।
 
যা দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট গ্রাফিক্স ডিজাইন কন্টেন্ট রাইটিং সহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে বিশেষজ্ঞ হয়ে উঠছে । যার ফলে আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টদের কাছেও তাদের কাজের মান ও চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 
তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারও ফ্রিল্যান্সিংয়ে তরুণদের জন্য নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রকল্প জব ফ্রিল্যান্সিং খাতে আরও সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সার্বিকভাবে বলতে গেলে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং খাত দিন দিন উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। যা কিনা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অর্থ উপার্জনের পথ উন্মোচন করে দিচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যেসব কাজের চাহিদা খুব বেশি তা ইতিমধ্যেই আপনি জানতে পেরেছেন। এবার আপনাকে জানাবো ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে। অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ আজ আছে কাল নেই। কিন্তু না এটি একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা। কারণ, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং দিন দিন এই কাজ বিকশিত হতে চলেছে। 
 
তাছাড়া বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের সাথে সাথে বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান ব্যবস্থা পরিবর্তিত হচ্ছে। সাথে সাথে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে কাজ করার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাছাড়া বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, আগামী দশকে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং, 
 
গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং কন্টেন্ট রাইটিং এর মত এই সমস্ত কাজের ক্ষেত্র গুলোতে। এর প্রধান এবং একমাত্র কারণ হলো বর্তমানে কোম্পানি গুলো স্থায়ী কর্মচারীর তুলনায় ফ্রিল্যান্সারদের নিয়োগকে বেশি লাভজনক মনে করছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর পর থেকে কর্মীদের ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। যা কিনা ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা বাড়িয়েছে।
 
আবার ফাইবার ও আপওয়ার্ক এর মত বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম ফ্রিল্যান্সিংকে আরও সহজতর করে তুলেছে। যেখানে একজন ক্লায়েন্ট খুব সহজেই দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। সুতরাং সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এর বিকাশ ভবিষ্যতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে এবং এটি সকলের কাছে বৈচিত্র্যময় ক্যারিয়ার হিসেবে পরিচিত হবে।

অনলাইনে কোন কাজের চাহিদা সবচেয়ে বেশি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন ধরনের কাজের চাহিদা বেশি তা খানিক আগেই আপনি জেনেছেন। অনলাইনে বর্তমানে যে কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি তার মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কনটেন্ট মার্কেটিং এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ে অন্তর্ভুক্ত।
 
তাছাড়া বর্তমান সময়ের অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা গুলো অধিকাংশই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কারণ, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বিজ্ঞাপন প্রচার এবং সেই আলোকে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা তাদের গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম স্থাপন করছে।
 
এই ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনকারী ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচুর পরিমাণে কাজ পাচ্ছেন এবং অর্থ উপার্জনও করছেন। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এবং কোভিড-১৯ মহামারীর পর থেকে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন শপিং এবং ডিজিটাল পরিষেবার সংখ্যা দ্বিগুণ পরিমাণে বেড়ে গেছে। 
 
ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কৌশল গুলি ছোট থেকে বড় প্রতিটি ব্যবসার জন্যই আজকাল অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সুতরাং এই কথা হলফ করে বলতে পারি, আপনারা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষতা অর্জন করবেন তাদের কাজের সুযোগের কোনো অভাব হবে না। কারণ, বর্তমান বাজারে এই ধরনের পেশাদারের চাহিদা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয়

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় তা অনেকেই জানতে চান। তাহলে জেনে রাখুন ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে প্রথমেই যা করতে হবে তা হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কন্টেন্ট রাইটিং কিংবা ডিজিটাল মার্কেটিং এই তিনটি সেক্টরের যেকোনো একটি সেক্টরে কাজের দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং-কোন-কাজের-চাহিদা-বেশি-বিস্তারিত-জানুন
এরপর আপনি একটি পোর্টফোলিও তৈরি করবেন যেখানে আপনার কাজের নমুনা থাকবে। যা দেখে আপনার প্রতি ক্লাইন্টদের আকর্ষণ বাড়বে। এর জন্য আপনি বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মেও নিবন্ধন করে একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন। প্রোফাইলে আপনার কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উল্লেখ করবেন।
 
আপনি কাজের জন্য বিড করার সময় ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তা বুঝে সঠিকভাবে তাদের সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করুন। শুধু তাই নয় ,কাজ পাওয়ার পর আপনি প্রতিনিয়ত আপনার ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই কাজ শেষে আপনি আপনার ক্লায়েন্টের কাজ থেকে কাজের রিভিউ নিন।
 
যা আপনার ভবিষ্যৎ কাজের জন্য সহায়ক হবে। সবশেষে বলবো আপনি বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং কাজের অভিজ্ঞতা বাড়ান। সেই সাথে ফ্রিল্যান্সিং নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন কাজের সন্ধান খুঁজে বের করুন। ঠিক এভাবেই আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন। কাজ কিভাবে করতে হয় আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম কোনটি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা পাওয়ার বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো পাইওনিয়ার (Payoneer). এটি একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট প্রসেসিং প্লাটফর্ম। যা কিনা বিভিন্ন দেশের ক্লাইন্টদের কাছ থেকে খুব সহজেই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফ্রিল্যান্সারদের টাকা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়। এটি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অর্জিত অর্থ স্থানীয় ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তর করতে পারেন। 
 
আবার আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি টাকা উত্তোলন করতেও পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশে পেপাল (paypal) সরাসরি ব্যবহার না হওয়ার কারণে পায়োনিয়ার ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেকটাই নিরাপদ। শুধু তাই নয়, পায়োনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা পাঠানো যেমন সহজ তেমনি খরচও কম। তবে পাইওনিয়ার ছাড়াও টাকা উত্তোলনের জন্য স্ক্রিল, লোকাল ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারও বেশ জনপ্রিয়।

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে কোন কোন কাজের চাহিদা সবথকে বেশি হয় তা ইতিপূর্বেই জেনেছেন। কিন্তু যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেছেন সেই সব নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস কোনটি বলুনতো? হয়তো আপনিও জানেন না। তাহলে জেনে রাখুন, নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেটা মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক।

এটি বহুল পরিচিত একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যা বিভিন্ন ধরনের কাজের যেমন- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি কাজের সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। তাছাড়া নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার প্রধান সুবিধা হল, এখানে ক্লায়েন্টদের সংখ্যা বেশি থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে। 
 
যা আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ পেতে আপনাকে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, এই ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মটি ব্যবহার করা যেমন সহজ। তেমনি এখানে একটি প্রোফাইল তৈরি করা এবং বিড করাও সহজ। পাশাপাশি নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য শুরুতেই ছোট প্রকল্পে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জনের একটা সুযোগ থাকে এই প্লাটফর্মে।
 
যা পরবর্তীতে বড় প্রকল্পের জন্য আপনার রেটিং এবং ফিডব্যাক বাড়াতে সাহায্য করবে। সুতরাং সব দিক থেকে বিবেচনা করে বলা যেতেই পারে নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক। আশা করছি আপনি  নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এ সম্পর্কে আমার মন্তব্য

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তা আজকে আমরা আমাদের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন। অনেকেই আছেন যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং এর কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করবেন তা হয়তো বুঝতে পারেন না। এতে কি হয়?
 
আপনি না বুঝেই যে কোন একটি কাজ দিয়ে শুরু করেন এবং কিছুদিন পর কাজ শেষে হতাশ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এমনটা যেন না হয় ঠিক সে কারণেই আপনার জন্য আজকের আর্টিকেলটি লিখা। আশা করছি আজকের আর্টিকেল পড়ার পর আপনি আলোচিত ক্ষেত্র গুলোর মধ্যে একটি বা একাধিক ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করলে অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url