এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আপনি কি অবগত আছেন? কোন কোন ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আছে জানতে চান? তাহলে দেরি না করে এক্ষুনি আর্টিকেলটি পড়ে নিন।

এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা-সম্পর্কে-জানুন
কারণ, আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি জেনে নিতে পারবেন এজেন্ট ব্যাংকিং এর বিভিন্ন ধরনের সুবিধা অসুবিধা এবং কোন কোন ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা রয়েছে সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন মূল আলোচনা শুরু করি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা জানার আগে আপনাকে জানতে হবে এজেন্ট ব্যাংকিং আসলে কি? এজেন্ট ব্যাংকিং হলো ব্যাংকিং সেবা প্রদানকারী একটি মাধ্যম, যা কিনা স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট অতি দ্রুত সেবা পৌছাতে পারে। এই সুবিধার মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ ও নগর অঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানো,
সহজ পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করার এবং কিস্তি পরিশোধের সুবিধা। বিশেষ করে যেখানে মূল ধরার ব্যাংক শাখা গুলোর উপস্থিতি সীমিত রয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরেকটি বড় সুবিধা হল এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক ব্যাংকের শাখায় সরাসরি না গিয়ে স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা যেমন ধরুন- হিসাব খোলা, টাকা জমা বা উত্তোলন, ফান্ড ট্রান্সফার, বিল পরিশোধ ইত্যাদি সেবা খুব সহজেই পেতে পারেন।
 
আবার যারা শহরের বাইরে থাকেন বা শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলোতে ব্যাংকিং সেবা সঠিকভাবে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে তাদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং প্রচেষ্টা হলো এজেন্ট ব্যাংকিং। সময় এবং দূরত্বের ব্যবধান ঘুচিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
 
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ যেমন পথশিশু, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ,তৃতীয় লিঙ্গের নাগরিক সকলের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্যই করা হয় এই এজেন্ট ব্যাংকিং। তবে এজেন্ট ব্যাংকিং এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন ধরুন নিরাপত্তা ঝুঁকি, সঠিক প্রশিক্ষণের অভাব এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে যেকোনো সময় সেবা প্রদান বিঘ্নিত হতে পারে। 
 
শুধু তাই নয় নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং প্রতারণার সম্ভাবনাও একটি বড় সমস্যা এজেন্ট ব্যাংকিং এ। বিশেষ করে যদি এজেন্টদের পর্যাপ্ত মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকে। এর ফলে গ্রাহকদের মধ্যেযে আর্থিক সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া এজেন্টদের ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিং যদি সঠিকভাবে না হয় সেক্ষেত্রে প্রতারণার সম্ভাবনা অনেকাংশেই বেড়ে যায়।

এজেন্ট ব্যাংকিং সেক্টরের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ

আবার কখনো কখনো কিছু এজেন্ট গ্রাহকদের সঠিক পরামর্শ না দিয়ে অতিরিক্ত ফি বা চার্জ নিয়ে সেবা প্রদান করে থাকে। যা গ্রাহকদের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর একটা কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর ঠিক এই কারণেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর সাফল্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন সঠিক নিয়ম ও নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ইতিহাস

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ইতিহাস সম্পর্কেও আমাদের সম্মুখ ধারনা থাকা উচিত। দেখুন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে সম্পূর্ণ সন্তুষ্টি মূলক ব্যাংকিং সার্ভিসের অপ্রতুলতা রয়েছে সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। পুরো বিশ্বে ব্রাজিলকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর পাইওনিয়ার বলা হয়ে থাকে। এছাড়া কলম্বিয়া, মালয়েশিয়া, কেনিয়া, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, মেক্সিকো, ইকুয়েডর, আর্জেন্টিনা,
বলিভিয়া এবং ফিলিপাইনস এর মত উন্নয়নশীল দেশগুলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে তাদের ফিনান্সিয়াল সিস্টেমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য একটি প্রাথমিক নির্দেশিকা জারি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশিকা অনুযায়ী যোগ্য, দক্ষ অথবা বিভিন্ন কোম্পানি বা তাদের কো-অপারেটিভ সোসাইটিকে
 
তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং এর পার্টনার হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে। বাংলাদেশে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে এজেন্ট ব্যাংকিং এবং সামগ্রিকভাবে দেশে কার্যক্রম শুরু করে ২০১৪ সাল থেকে। বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিং এর উদ্ভাবক হলেন ব্যাংক এশিয়ার সম্মানিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আরাফান আলী।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে অনেকেই এখনো জানেন না। অথচ এজেন্ট ব্যাংকিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং মডেল যা গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য সহজেই ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়। এবার চলুন এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর প্রধান সুবিধা হল এটি গ্রাম ও শহরের বাইরে থাকা মানুষদের জন্য ব্যাংকিং সেবা কে সহজলভ্য করে তোলে। মোটকথা যেখানে বড় কোন ব্যাংকের শাখা কিংবা ব্যাংক নেই সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরেকটি অন্যতম প্রধান সুবিধা হল এটি ব্যাংক এবং ব্যাংকের আওতাধীন গ্রাহকের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি ব্যাংকের শাখায় না গিয়ে নিজের এলাকার যেকোনো এজেন্ট এর মাধ্যমেই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এতে করে ব্যাংক শাখার খরচ কম হয় এবং ব্যাংকের গ্রাহকদের জন্য সেবা সহজলভ্য হয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবাদে আপনাকে দূর দূরান্ত থেকে সরাসরি ব্যাংকে যেয়ে সময় নষ্ট করতে হয় না। বরং এই ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আপনি আপনার  নিকটস্থথ যেকোনো জায়গাা থেকে  কম সময়ে সেবা পেতে পারেন, যদি সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবস্থা থাকে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের জন্য ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার পদ্ধতি আরও সহজ করে তুলেছে। বর্তমানে একজন গ্রাহক কেবলমাত্র তার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং আইটি রিটার্ন আপলোড করেই সরাসরি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন।
  • গ্রাহকরা তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট থেকে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন এবং এতে করে ব্যাংকিং সেবা আরো সুবিধা জনক হয়ে উঠেছে। 
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক সঞ্চয়, ঋণ এবং বিনিয়োগ সেবা কোন প্রকার বিড়ম্বনা ছাড়াই খুব সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর আরেকটি সুবিধা হল এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক খুব সহজেই অর্থ জমা বা উত্তোলন করতে পারেন। এতে ব্যাংকিং ট্রানজেকশনের জন্য আপনাকে ব্যাংকের শাখায় যেয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না। 
এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা-সম্পর্কে-জানুন
  • বর্তমান সময়ে একজন গ্রাহক মোবাইল ব্যবহার করেও এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা গ্রহণ করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টাকা পাঠানো, রিচার্জ করা, বিল পে করা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
  • বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার অনেক। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এই বেকারত্ব কিছুটা হলেও ঘুচতে পারে। কারণ, এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ব্যবসায় প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। বিশেেষ করে গ্রামাঞ্চলে স্থানীয় উদ্যোক্তরা এজেন্ট হিসেবে কাজ করে ব্যাংকিং সেবার সরবরাহ করতে পারেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নগদ অর্থ লেনদেন করতে পারেন।
  • শুধু তাই নয়, এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা যেমন তাদের চেক জমা দিতে পারেন তেমনি চেক পরিশোধের কাজও এজেন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারেন।
  • কৃষকদের জন্য কৃষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণপ্রাপ্তির সুযোগ প্রদান করে থাকে কেবলমাত্র এজেন্ট ব্যাংকিং। ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং এ কৃষকেরাও খুব সহজেই এই সুবিধা পেতে পারেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক খুব সহজেই সঞ্চয় করতে পারেন এবং ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনা করতে পারেন। যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে ব্যবসায়ীরাও তাদের লেনদেন, পেমেন্ট এবং অন্যান্য আর্থিক কার্যক্রম সহজ ভাবে পরিচালনা করতে পারেন।
  • আপনি কি জানেন বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ বা রেমিটেন্স গ্রহণ করার সুবিধা কেবলমাত্র এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমেই সম্ভব।
  • এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও লেনদেনের সুযোগ রয়েছে যেমন- বিদেশি রেমিটেন্স, আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার ইত্যাদি।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা এখন তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট খুব সহজেই লেনদেন করতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা অতি সহজে কাস্টমার সার্ভিসে যোগাযোগ করতে পারেন এবং যেকোনো ধরনের সমস্যার সমাধান পেতে পারেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি হিসেবে পেনশন, ভাতা ইত্যাদি বিতরণ করা হয়।
সর্বোপরি, এই ব্যাংকিং সিস্টেম বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় আপনার লেনদেন এখন অনেকটাই নিরাপদ।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধা

এজেন্ট ব্যাংকিং এর যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যদিও তা খুবই নগণ্য। এবার চলুন এজেন্ট ব্যাংকিং এর অসুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে জেনে নিন-
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এ সাধারণত পল্লী অঞ্চলের গ্রাহকরা বেশি সুবিধা পান। যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ঠিক মতো গড়ে ওঠেনি। ফলে একদিকে যেমন গ্রাহকদের বড় অংকের অর্থ সঞ্চিত রাখা হয়, অন্যদিকে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খুব একটা শক্তিশালী নয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মান সব সময় একরকম থাকে না। কারণ, কিছু এজেন্ট সঠিকভাবে সেবা প্রদান করতে পারলেও আবার কিছু এজেন্টের সেবার মান খারাপ হতেই পারে। যা গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেম সাধারণত সম্পূর্ণটাই বর্তমান সময়ের প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রযুক্তিগত কোন সমস্যা বিশেষ করে ইন্টারনেট সংযোগের অভাব, সিস্টেম ডাউন, সফটওয়্যার এর সমস্যা ইত্যাদি দেখা দিলে গ্রাহকরা সেবা থেকে বঞ্চিত হতে পারে।
  • অনেক সময় পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে এজেন্টরা যথাযথভাবে গ্রাহকদের সঠিক সেবা দিতে পারে না। কারণ, তাদের সেভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়াই হয়নি।
  • কখনো কখনো আবার এজেন্টরা গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণাও  করতে পারে। বিশেষ করে একজন গ্রাহকের যদি ব্যাংকিং সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকে। অথবা তারা অনিচ্ছাকৃতভাবে ভুল লেনদেন করতে পারে। যা এজেন্টরা তাদের বিশ্বাস ভেঙ্গে লেনদেনের সময় অর্থ আত্মসাৎ করতে পারে।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সাধারণত সীমিত পরিসরে সেবা প্রদান করে থাকে। ফলে বড় ব্যাংক শাখার মত সব সেবা এজেন্ট ব্যাংকিং এ পাওয়া কখনোই সম্ভব নয়।
  • এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ক্ষেত্রে অনেক সময় কাগজপত্র এবং লেনদেনের রেকর্ড সঠিকভাবে সংরক্ষিত করে রাখা হয় না। আর রেকর্ড না থাকলে তাতে লেনদেনের সময় যেকোনো ধরনের ভুল তথ্য আসতেই পারে। এ বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
  • কিছু কিছু এজেন্ট রয়েছে যারা ব্যাংকিং প্লাটফর্মে গ্রাহকদের থেকে অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে থাকে। বিশেষ করে নগদ জমা বা উত্তোলনের ক্ষেত্রে। এটি গ্রাহকদের জন্য অনেক সময় আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। 
  • অনেকেই আছেন যারা এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে এখনো সচেতন নন। বিশেষ করে গ্রামের বা অনভিজ্ঞ ব্যবহারকারীরা। যার ফলে তারা সঠিকভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারে না এবং অনেক সময় নানা ধরনের প্রতারণার  শিকার হয়ে থাকেন।
  • এজেন্টদের জন্য ব্যাংকিং সেবা মূলত একটি অস্থায়ী আয়ের উৎস বলা যেতে পারে। ফলে দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা না থাকায় তারা এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রদান যেকোনো পরিস্থিতিতে বন্ধ করেে দিতে পারেন। যা গ্রাহকদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করবে। 
  • মনে রাখবেন, এজেন্ট ব্যাংকিং এ শুধুমাত্র মৌলিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা হয়। তবে সারা দেশের ব্যাংক শাখা গুলোর মত ঋণ, বিনিয়োগ, ডিপোজিট এবং আরো অন্যান্য ধরনের সেবা পাওয়া যায় না বললেই চলে।
  • এজেন্ট এর কাছে সব সময় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ থাকে। ফলে কোন গ্রাহক যদি বড় অংকের অর্থ উত্তোলন করতে চান সেক্ষেত্রে এজেন্টদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা নাও থাকতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় গ্রাহকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
  • তবে এই ব্যাংকিং সেবার লেনদেন পরিধি বেশ কম এবং এই ব্যাংকিং সিস্টেমের লেনদেনের একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। সীমাটি হল ৫ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ পাঁচ লক্ষ টাকার বেশি আপনি এইখান থেকে লেনদেন করতে পারবেন না।
  • তবে সম্প্রতি এই সীমা ১ লক্ষ টাকা বাড়িয়ে ৬ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুতরাং সহজ কথায় আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেমে এক মাসের মধ্যে ৬ লক্ষ টাকার বেশি আর্থিক লেনদেন করতে পারবেন না।
সম্মানিত পাঠক, এজেন্ট ব্যাংকিং একটি সুবিধা জনক সেবা হলেও এর প্রযুক্তিগত, সীমাবদ্ধতা রেকর্ড এর ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। ফলে উপরিউক্ত এই সমস্যা গুলি যদি সমাধান না করা যায় তবে এজেন্ট ব্যাংকিং এর কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা প্রভাবিত হতে পারে

এজেন্ট ব্যাংকিং কি

এজেন্ট ব্যাংকিং এর নানাবিধ সুবিধা অসুবিধা এতক্ষণ জেনেছেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং আসলে কি? তা কি জানেন! বর্তমানে আর্থিক সেবা বঞ্চিত গ্রাহকের দৌড়গোড়ায় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এজেন্ট ব্যাংকিং। সহজ কথায় বলতে গেলে দেশের যেকোনো প্রান্তে বসবাসরত মানুষের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার যে মাধ্যম সেটাই হল এজেন্ট ব্যাংকিং।
 
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চল এবং রিমোট এরিয়া গুলোতে ব্যাংকের ব্রাঞ্চ বৃদ্ধির বিকল্প হিসেবে এবং আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত জনগণের সাথে ব্যাংকগুলোর দূরত্ব কমাতে মূলত এই এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস কাজ করে থাকে। ব্যাংকগুলো একজন টেলার এর পরিবর্তে একটি ভ্যালিড এজেন্সি এগ্রিমেন্ট এর আওতায় নিযুক্ত এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকদের সার্ভিস দিয়ে থাকে।
 
বাংলাদেশের মতো ছোট একটি দেশে ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল স্তরে ব্যাংকিং সার্ভিস পাওয়া যায় না বললেই চলে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর জন্য শহরে একটি ব্রাঞ্চ চালু করার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামাঞ্চলে দুটি ব্রাঞ্চ চালু করার নিয়ম জারি করে। এ কারণে অনেক ব্যাংকের জেলা পর্যায়েও কোন শাখা নেই।
 
ফলশ্রুতিতে সেসব এলাকাতে জনগণ ব্যাংকের পরিবর্তে সাধারণত এনজিও, ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন করে থাকে। ব্যাংকগুলো মূলত এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস এর মাধ্যমে এই গ্রামীন মার্কেটকে ব্যাংকিং সুবিধার আওতায় নিয়ে আসার টার্গেট করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে এজেন্ট ব্যাংকিং এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা সমূহ

এজেন্ট ব্যাংকিং এর নানা ধরনের সুবিধা অসুবিধা ইতিমধ্যেই জেনেছেন। এবার আপনাকে জানাবো এজেন্ট ব্যাংকিং এর বেশ কিছু সেবা সম্পর্কে। তো চলুন এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি কোন ধরনের সেবা গুলো পাবেন তা জেনে নিন-
  • অ্যাকাউন্ট খোলাঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই সঞ্চয়ী একাউন্ট, চলতি একাউন্ট বা ডিজিটাল একাউন্ট খুলতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ব্যাংকের কোন শাখায় যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আপনার নিকটস্থ যেকোন এজেন্টের মাধ্যমেই একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। একাউন্ট খোলার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা জন্ম সনদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং মোবাইল নম্বর ইত্যাদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার পড়বে।
  • টাকা জমা এবং টাকা উত্তোলনঃ যেকোনো ধরনের অর্থ উত্তোলন বা জমার জন্য জন্য আপনি ব্যাংক শাখায় না গিয়ে আপনার কাছের যেকোনো এজেন্ট থেকেই টাকা উত্তোলন বা জমা করতে পারেন। এই সেবা শহর এবং গ্রামের মানুষের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষ করে যাদের  ব্যাংক শাখায় পৌঁছানো সহজ নয়।
  • এক্ষেত্রে বলে রাখি, নগদ অর্থ জমা করার জন্য গ্রাহককে কেবলমাত্র তার একাউন্ট নম্বর এবং জমার পরিমাণ এজেন্টকে জানাতে হয়। তাহলে এজেন্ট টাকা গ্রহণ করে সেটি গ্রাহকের একাউন্টে জমা করে দেয়। 
  • ইউটিলিটি বিল পরিশোধঃ ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। গ্রাহকরা এজেন্ট ব্যাংকিং কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল যেমন- বিদ্যুৎ বিল, পানি বিল, গ্যাস বিল, টেলিফোন বা ইন্টারনেট বিল ইত্যাদি পরিশোধ করতে পারেন। এই সেবার মাধ্যমে যেমন সময় বাঁচানো সম্ভব তেমনি অনেক ক্ষেত্রেই বিল পরিশোধের জন্য কোন শাখায় যাওয়ারও  প্রয়োজন পড়ে না।
  • ব্যাংকের যেকোনো একাউন্টে তহবিল স্থানান্তরঃ এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেমে একাউন্টের তহবিল স্থানান্তর  হলো এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য একাউন্টে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া। ব্যাংকের যেকোনো একাউন্টে তহবিল স্থানান্তর সাধারণত দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এর একটি হল ইন্টারনাল ট্রান্সফার এবং অপরটি এক্সটার্নাল ট্রান্সফার।
  • বৈদেশিক রেমিটেন্স প্রদান করাঃ বৈদেশিক রেমিটেন্স হলো বিদেশে কর্মরত ব্যক্তিদের পাঠানো অর্থ তার পরিবারের জন্য দেশে পাঠানো। বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংক বৈদেশিক রেমিটেন্স গ্রহণ করে থাকে। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা বৈদেশিক রেমিটেন্স গ্রহণের জন্য ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা কিংবা এজেন্ট ব্যাংকিং পদ্ধতিও অবলম্বন করতে পারেন।
  • এই রেমিটেন্স পেমেন্ট ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি জমা হয় এবং এটি অত্যন্ত দ্রুত ও নিরাপদে পৌঁছায়। তাছাড়া একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি রেমিটেন্স পেমেন্ট এর জন্য মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপও ব্যবহার করতে পারেন।
  • অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স জানাঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক তার একাউন্টের বর্তমান ব্যালেন্স খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন। এই সেবার মাধ্যমে একজন গ্রাহক হিসেবে আপনি টেলিফোন, মোবাইল বা ইনফরমেশন টার্মিনাল ব্যবহার করে আপনার ব্যালান্স সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
  • ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবাঃ ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা হল একটি ডিজিটাল সেবা। যার মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদন করতে পারেন। এই সেবার মাধ্যমে একজন গ্রাহক খুব সহজেই অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা, বিল পেমেন্ট করা, চেকবুক রিকোয়েস্ট, ই-স্টেটমেন্ট ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
  • ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধাঃ এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা ও পাওয়া যায়। যেকোনো গ্রাহক তাদের একাউন্টের সাথে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে যেকোনো সময় পেমেন্ট করতে পারেন অথবা টাকা উত্তোলনের জন্য এটিএম ব্যবহার করতে পারেন।
  • বিয়ারিং চেক পেমেন্টঃ বিয়ারিং চেক পেমেন্ট এমন একটি চেক যাতে বিশেষ কোন ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকে না। এই চেকের মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি চেকটি ক্যাশ করে নিতে পারেন। সুতরাং এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের বিয়ারিং চেক পেমেন্ট এর সুবিধাও নিতে পারেন। যেখান থেকে গ্রাহক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তাদের একাউন্টে পেতে পারেন।
  • বীমা প্রিমিয়াম সংগ্রহঃ আপনি কি জানেন এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের বিমা প্রিমিয়ার পরিশোধ করতে পারে। সাধারণত গ্রাহকরা তাদের নিজস্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বা পলিসির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বীমা যেমন ধরুন- জীবন বীমা, স্বাস্থ্য বীমা ইত্যাদি সংগ্রহ করে থাকেন এবং সেগুলোর প্রিমিয়াম সময়মতো পরিশোধ করতে হয়। এই প্রিমিয়াম পরিষদের জন্য গ্রাহকরা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অনায়াসেই টাকা পরিশোধ করতে পারেন।
  • চেক বই প্রদানঃ এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক হিসেবে আপনি আপনার একাউন্টে চেক বইও নিতে পারেন। চেক বই মূলত ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন বা পেমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়। একটি চেক বই এ নির্দিষ্ট কিছু পরিমাণ চেক থাকে যা একজন গ্রাহক তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা খুব কম খরচে এবং সহজে চেক বই সংগ্রহ করতে পারেন।  যা গ্রামীণ অঞ্চলের গ্রাহকদের জন্য এটি খুবই সুবিধা জনক।
  • সরকারের বিভিন্ন ভাতা বিতরণঃ এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় পেনশন, ভাতা, সহায়তা এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী মায়েদের জন্য সহায়তা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর একাউন্ট খোলার নিয়ম

এজেন্ট ব্যাংকিং এর একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ। তবে আপনাকে কিছু শর্ত এবং নিয়ম মানতে হবে। তো চলুন এবারে এজেন্ট ব্যাংকিং এর একাউন্ট কিভাবে খুলবেন সে ধাপগুলো জেনে নিন-
এজেন্ট-ব্যাংকিং-এর-সুবিধা-ও-অসুবিধা-সম্পর্কে-জানুন
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর একাউন্ট খুলতে গেলে আপনার কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। যেমন - জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সাধারণত ব্যাংকের এজেন্ট পয়েন্ট থেকে দেওয়া হয়। তাই আপনার হাতের নাগালে যেসব ব্যাংক বা এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে প্রথমে সেই এজেন্ট পয়েন্ট গুলোতে যোগাযোগ করুন। আপনি চাইলে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে অথবা আপনার মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও আপনার এলাকার এজেন্ট পয়েন্ট খুব সহজেই খুজে নিতে পারেন।
  • অতঃপর এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য আপনি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের এজেন্ট পয়েন্টে গিয়েয়ে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করে ফর্মটি যথাযথভাবে পূরণ করে অফিসে কর্মরত যেকোন ব্যক্তির কাছে জমা দিন।
  • আপনি যে তথ্য অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্রের ছবি এবং অন্যান্য তথ্য ফর্মে দিয়েছেন সেগুলি অফিস কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে দেখবে। তাতে কোন অসত্য বা ভুল তথ্য আছে কিনা।
  • আপনার পরিচয় এবং কাগজপত্র যাচাই বাছাই করা শেষ হলে আপনার একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং একাউন্ট খোলার পর আপনাকে একটি একাউন্ট নাম্বার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখি, আপনার মোবাইল নম্বরে একটি পিন কোড পাঠানো হবে। যা দিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে পারবেন।
  • অনেক ব্যাংক আছে যেগুলি ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম এজেন্ট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে নাম মাত্র ছোট পরিমান অর্থ অর্থাৎ ১০০ বা ৫০০ টাকা জমা নিয়ে থাকে। এই পরিমাণ অর্থ জমা দিলে আপনার একাউন্টে এক্টিভ হয়ে যাবে।
  • ব্যাস আপনার এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার সম্পূর্ণ। এবার আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লেনদেন যেমন- টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, বিল পরিশোধ ইত্যাদি খুব সহজেই করতে পারবেন।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে পারবেন। আশা করছি এজেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য কি কি করতে হবে তা আপনি বুঝতে পেরেছেন।

কোন কোন ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং আছে

এজেন্ট ব্যাংকিং এর বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধা জানার পর এবার আপনি নিশ্চয়ই জানতে চান কোন কোন ব্যাংকে এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা রয়েছে। তাহলে জেনে রাখুন দেশের অনেকগুলো ব্যাংকের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি সেরা এজেন্ট ব্যাংক হল-
  • ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসিঃ ব্র্যাক ব্যাংক তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ব্যাংকিং সেবা খুব সহজেই পৌঁছে দিচ্ছে। ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহক হিসেবে আপনি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, টাকা জমা বা উত্তোলন করতে পারেন এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সেবাও গ্রহণ করতে পারেন।
  • তাছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোই হল ব্র্যাক ব্যাংক পিলসি'র মূল উদ্দেশ্য।
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসিঃ বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রধান ব্যাংক হল ডাচ বাংলা ব্যাংক পিএলসি এবং এই ব্যাংকে অনেক আগে থেকেই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে। ডাচ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা যেমন- টাকা উত্তোলন, টাকা জমা, লোন পরিশোধ, পেমেন্ট সংগ্রহ এবং অন্যান্য সেবার সুবিধাদি প্রদান করে থাকে।
  • এই ব্যাংক তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে সারাদেশে গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্ত প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছে।
  • ব্যাংক এশিয়া পিএলসিঃ ব্যাংক এশিয়া তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা "ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং" নামে পরিচালনা করে আসছে। তবে এটি একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য স্থানীয় এজেন্টদের ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকিং সেবার অন্তর্ভুক্তি বাড়ানোর জন্য ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং খুবই কার্যকরী হয়েছে।
  • দ্য সিটি ব্যাংক পিএলসিঃ সিটি ব্যাংক তাদের গ্রাহকদের জন্য  "সিটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং" সেবা প্রদান করে আসছে। এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা পেতে পারেন। যেমন- একাউন্ট খুলতে, টাকা উত্তোলন করতে, রেমিটেন্স পেতে এবং স্থানান্তর সেবা নিতে। সিটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের দূরবর্তী অঞ্চলে গ্রাহকদের মধ্যে ব্যাংকিং সুবিধা আরো সহজ থেকে সহজতর করেছে।
  • এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসিঃ বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরে একটি পরিচিত নাম হল এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা অত্যন্ত সহজ এবং সুবিধা জনক। এই এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমেও গ্রাহকরা তাদের টাকা জমা ও উত্তোলন করতে পারেন,
  • লোন পরিশোধ করতে পারেন এবং অন্যান্য ব্যাংকিং সেবাও গ্রহণ করতে পারেন। বর্তমানে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার জন্য একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর আয়

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা অসুবিধা তো জানলেন। কিন্তু এজেন্ট ব্যাংকিং আয় সম্পর্কে জানেন কি? মূলত এজেন্ট ব্যাংকিং এর আয়ের মূল উৎস হল কমিশন। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের জন্য এজেন্টরা ব্যাংক থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেয়ে থাকেন। এই কমিশনের হার সাধারণত ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। 
 
সেই সাথে এটি লেনদেনের পরিমাণ অর্থাৎ ফ্রিকোয়েন্সির উপর ভিত্তি করে পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে পারে। সাধারণত এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নানা ধরনের লেনদেন হয়ে থাকে। যেমন ধরুন- টাকা জমা, টাকা উত্তোলন, মোবাইল রিচার্জ, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল পরিশোধ এবং মানি ট্রান্সফার। এই সমস্ত লেনদেনের জন্য এজেন্টরা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন বা ফি পান। 
 
যা ব্যাংকের নিয়মের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এজেন্টের আয় পুরোপুরি নির্ভর করে তাদের দ্বারা করা লেনদেনের পরিমাণের ওপর। অর্থাৎ মোটা অংকের লেনদেন করলে আয় বাড়ে। আবার কিছু এজেন্ট সাপ্তাহিক বা মাসিক ভিত্তিতেও আয় করে থাকেন। পাশাপাশি এজেন্টরা কিছু প্রোমোশনাল সেবা যেমন ধরুন- অ্যাকাউন্ট খোলা বা
 
অন্যান্য ব্যাংকিং পণ্য বিক্রি ইত্যাদি করেও অতিরিক্ত আয় করতে পারেন। তবে এজেন্টের আয় গ্রাহকদের সংখ্যা, তাদের এলাকা এবং লেনদেনের নিয়মানুবর্তিতা অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন  হয়ে থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন,  এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ভালো মানের আয় উপার্জন করা সম্ভব। আশা করছি এজেন্ট ব্যাংকিং এর আয় সম্পর্কে ধারনা পেয়েছেন।

যারা এজেন্ট হতে পারবেন এবং যারা পারবেন না

যারা এজেন্ট হতে পারবেন এবং যারা পারবেন না এজেন্ট ব্যাংকিং এ এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এজেন্ট ব্যাংকিং এজেন্ট হতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমেই চলুন জেনে নিই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে এজেন্ট হতে হলে আপনার কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন-
যারা এজেন্ট ব্যাংকিং এ এজেন্ট হতে পারবেন
  • সাধারণত এজেন্ট হতে হলে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে মাধ্যমিক বা এসএসসি পাস হতে হবে। তবে স্নাতক বা  মাস্টার্স কমপ্লিট থাকলে তা প্রার্থীকে আরো যোগ্য করে তুলবে।
  • সাধারণত বীমা কোম্পানির প্রতিনিধি, ফার্মেসির মালিক, পেট্রোল পাম্প এর মালিক, আইটি ভিত্তিক আর্থিক সেবা দিতে সক্ষম এরকম প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র এজেন্ট হতে পারবে।
  • প্রার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। কেননা বিদেশি নাগরিকদের জন্য এজেন্ট হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
  • প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮-৬৫ বছরের মধ্যেই হতে হবে। তবে বয়স সীমা অনেক সময় ব্যাংক বা ফিনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের নীতি অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে। 
  • ব্যাংকিং এর এজেন্ট হতে গেলে আপনার একটা একাধিক ব্যবসা পরিচালনা করার মত অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। কারণ, এই ধরনের অভিজ্ঞতা ব্যাংকিং সেবায় দক্ষতা বৃদ্ধি করতে বেশ কাজে আসে। 
  • এজেন্ট হিসেবে আপনার  ব্যবসা বা পরিষেবা পরিচালনার দক্ষতা থাকতে হবে। যেমন ধরুন- গ্রাহক সেবা, নগদ লেনদেন প্রক্রিয়া ইত্যাদি। 
  • একজন এজেন্টকে ব্যাংকিং সেবা এবং সাধারণ আর্থিক পরিষেবার ব্যাপারে বেশ জানাশোনা থাকতে হয়। বিশেষত অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া, লোন ডিপোজিট এবং অন্যান্য ব্যাংকিং পরিষেবা সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা থাকা বাধ্যতামূলক।
  • বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং সেবা গুলি অনেকাংশেই প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রার্থীকে কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। 
  • এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য আপনাকে ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমোদন বা লাইসেন্স নিতে হবে। এতে করে এজেন্টের উপর ব্যাংক বা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়মিত নজরদারি রাখতে পারে।
  • যদি কোন প্রার্থী ঋণের অধীনে থাকে তাহলে তাকে সেই ঋণ পরিশোধ করার মত ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • সর্বোপরি, একজন এজেন্ট হিসেবে গ্রাহকদের সাথে সততা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
যারা এজেন্ট হতে পারবেন না
এতক্ষণ আমরা জানলাম কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট বলে যোগ্য হবেন। এবার চলুন জেনে নিই কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট বলে বিবেচিত হবেন না-
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট হওয়ার প্রথম শর্ত হলো আবেদনকারীকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। অর্থাৎ ১৮ বছরের কম বয়স হলে তিনি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন না।
  • যদি কোন ব্যক্তি ফৌজদারি অপরাধে যেমন ধরুন- জাল টাকা বানানো, অর্থ আত্মসাৎ করা, ব্যাংক জালিয়াতি, ঋণ খেলাপি ইত্যাদি কাজে দোষী সাব্যস্ত হন বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতে তাহলে তাকে এজেন্ট হিসেবে নির্বাচন করা হবে না।
  • আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ব্যক্তি, আদালত কর্তৃক দন্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং অন্য ব্যাংকের বিদ্যমান এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি থাকলে এজেন্ট ব্যাংকিং এজেন্ট হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।
  • যদি কোন ব্যক্তি আগে কোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কাজ করেছেন এবং তাকে দুষ্কৃতিকারী হিসেবে ব্যাংক থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য সরাসরি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
  • কোন ব্যক্তি যদি বেআইনি বা অনৈতিক ব্যবসায়ী জড়িত থাকে যেমন- মাদক, জুয়া, মানব পাচার বা অন্যান্য অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে তাহলে তাকে কোনভাবেই এজেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হবে না।
  • নেট ব্যাঙ্কিং পরিচালনার জন্য মৌলিক কিছু ব্যাংকিং জ্ঞান সম্পর্কে অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। যদি একজন ব্যক্তি আর্থিক সেবার সাথে বা ব্যাংকিং সেবার সাথে একেবারেই পরিচিত না হন সে ক্ষেত্রে তাকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় না।
  • এজেন্ট ব্যাংকিং এর এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থীর আর্থিক স্বচ্ছলতা এবং স্থিতিশীলতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিশেষ করে যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আর্থিকভাবে একেবারেই অসচ্ছল থাকে কিংবা একাধিক ঋণের দায়ে ডুবে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য অযোগ্য বলে ধরা হয়। 
  • এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য একজন ব্যক্তিকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ থাকতে হবে। গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন- মানসিক অস্থিরতা, দীর্ঘমেয়াদি যেকোনো রোগ, শারীরিক অক্ষমতা ইত্যাদি থাকলে ওই ব্যক্তি এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য নির্বাচিত হবেন না।
  • সর্বোপরি ব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা বিধি-বিধান এবং শর্তাবলী অনুসরণ করতে না পারলে একজন ব্যক্তি এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য সম্পূর্ণরূপে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এজেন্ট ব্যাংকিং সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকেরই এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সম্পর্কে মৌলিক ধারণা রাখা একান্ত প্রয়োজন। 

বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশে এজেন্ট ব্যাংকিং উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে। মূলত এজেন্ট ব্যাংকিং সিস্টেম চালু করাই হয়েছে সুবিধা বঞ্চিত ও প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারীদের জন্য। যারা দেশের প্রচলিত ব্যাংক সেবার অনেকটাই বাইরে রয়েছেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং পরবর্তী আর্টিকেল পেতে চোখ রাখুন আমাদের পিন পয়েন্ট মাক্স ওয়েবসাইটে। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url