শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে আপনি আজকে নিশ্চয়ই আমাদের ওয়েবসাইটে এসেছেন। খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি হয়তো আজ থেকেই শসা খাওয়া শুরু করে দিবেন।

শসার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
আজকে আমরা আপনাকে বলব শসার উপকারী ও অপকারী দিক সম্পর্কে, যা আপনি খালি পেটে খেলেও উপকারিতা পাবেন। তাহলে চলুন আর সময় ক্ষেপন না করে আজকের মত আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূূচিপত্রঃ শসার উপকারিতা ও অপকারিতা

শসা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের সকলেরই জানা। আমাদের রোজকার খাবারের তালিকায় শসা অতি পরিচিত একটি নাম। হাইড্রেটিং যে সকল শাকসবজি রয়েছে তার মধ্যে শসা অন্যতম। শসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলীয় অংশ ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার। 

আরো পড়ুনঃ  করলার ১০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

এই উপাদান গুলি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ গুলোকে খুব সহজেই বের করে দিতে পারে। শসার পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম আপনার রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয় এই সহজলভ্য এই ডায়াবেটিস রোগীদের ডায়াবেটিস ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

এছাড়াও শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে শসার কোন বিকল্প নেই। তবে অতিরিক্ত শশা খেলে আবার আপনার পেটের অস্বস্তি হতে পারে। বিশেষ করে যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন। সুতরাং সাধারণভাবে সমস্যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও খাওয়ার সময় পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

শসার উপকারিতা

শসার উপকারিতা জানেন না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। শসার ঔষধি গুণ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ওজন কমানো থেকে শুরু করে হার্ট ভালো রাখতে, কিডনি সুস্থ রাখতে দাঁত ও মাড়ির সুস্থতায় শসার কোন বিকল্প নেই। আজকে আলোচনার শুরুতেই চলুন জেনে আসি উপকারী এই সবজির কিছু উপকারিতা সম্পর্কে। যা আমাদের সকলেরই জেনে রাখা খুবই জরুরি।

আরো পড়ুনঃ  মিষ্টি কুমড়ার ২০ উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন

  • শরীর হাইড্রেটেড রাখেঃ শসায় রয়েছে প্রায় ৯৫% জলীয় অংশ যা আপনার শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে গরমকালে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
  • ভিটামিনের শূন্যতা দূর করেঃ আমাদের শরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ ভিটামিনের প্রয়োজন পড়ে তার সিংহভাগই থাকে শসার মধ্যে। হলে শসা খাওয়ায় আপনার শরীরের ভিটামিনের অভাব দূর হবে।
  • কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ শসাতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর মাত্রাই পেকটিন উপাদান। এটি আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
  • পেটের কৃমি প্রতিরোধেঃ শসার ইরেপসিন নামক এনজাইম আপনার পেটে কৃমি প্রতিরোধ করতে পারে। সুতরাং পেটে কৃমির সমস্যা থেকে বাঁচতে আপনি শসা খেতেই পারেন।
  • ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত শসা খেলে এর লিগানন আপনার স্তন জরায়ু ও প্রস্ট্রেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এছাড়াও শসার আরো কিছু উপাদান পিনোর্সিনোল, ল্যারিকিরসিনোল যা সব ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।
  • ওজন কমায়ঃ আপনারা যারা ওজন কমাতে চান আজ থেকেই নির্দ্বিধায় নিশ্চিন্তে শসা খাওয়া শুরু করুন। কারণ, শশাতে রয়েছে সব থেকে কম কেন এটা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • ফাইবারের উৎসঃ শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার বা খাদ্য আঁশ। যা আপনার হজম ক্রিয়া সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
  • ভিটামিন ও মিনারেলঃ শশায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল যেমন- ভিটামিন কে, ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকে। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য ভীষণই উপকারী।
  • ত্বকের জন্য উপকারীঃ শসার রস ত্বকে ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে তোলে। এছাড়াও ত্বকে ব্রণের সমস্যা, কালো দাগ ছোপ, রোদে ট্যান পড়া ইত্যাদি দূর করে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণঃ শসার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ আপনার শরীরকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ফ্রি রেডিকেল থেকে খুব সহজেই রক্ষা করতে পারে।
  • শসা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ শসাতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেই সাথে হৃদপিন্ড সুস্থ রাখে।
  • ডিটক্সিফিকেশনেঃ শসা আপনার শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের সাহায্য করে। ফলে আপনার শরীর ভেতর থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
  • শসা মেটাবলিজম বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত শসা খেলে এটি আপনার শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। এতে করে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বেড়ে যায়। 

শসার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
  • চোখের জ্যোতি বাড়ায়ঃ সৌন্দর্য চর্চার জন্য অনেকেই শসার স্লাইড করে কেটে চোখের উপরে ব্যবহার করেন। এতে করে আপনার চোখের ময়াদা দূর হয় ই। সেই সাথে চোখের জ্যোতি বাড়াতেও ভালো কাজ করে।
  • চুল ও নখ ভালো রাখেঃ নিয়মিত শসা খেলে শশায় থাকা সিলিকা আপনার চুল ও নখ সতেজ রাখে। এছাড়াও সবসময় রয়েছে সালফার ও সিলিকা যা আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
  • বাতের ব্যথা দূর করেঃ গেটে দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে আপনি আজ থেকেই শসা খান। কারণ, শসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা। আপনি যদি গাজরের রসের সাথে শসার রস মিশিয়ে খান তাহলে আপনার শরীরের ইউরিক এসিডের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। এতে করে গেটে বাতের ব্যথাও দূর হয়।
  • মাথার যন্ত্রণা দূর করেঃ অনেক সময় ধরে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের মাথা ধরে থাকে, যন্ত্রণা করে, শরীর ম্যাজ ম্যাজ করে। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি শসা খেয়ে নিন। তাহলে সকালে মাথা যন্ত্রণার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
  • হাড় মজবুত করেঃ শসায় ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম এবং ভিটামিন কে। যা আপনার হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়।
  • দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারীঃ নিয়মিত শসা খেলে এটি আপনার মুখের অ্যাসিডে ও পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে শসা খেলে আপনার দাঁত ও মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।
  • মানসিক স্ট্রেস কমায়ঃ মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে প্রয়োজন ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-৫ এবং ভিটামিন বি-৭। আর এই সবগুলো উপাদান আপনি পেয়ে যাবেন একটিমাত্র শসা খেয়ে।
  • কিডনির সুরক্ষায়ঃ নিয়মিত শসা খেলে আপনার শরীরে ইউরিক এসিডের মাত্রা ঠিক থাকে। এতে করে আপনার কিডনি সুস্থ ও সতেজ থাকে।
  • শসা স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ স্মৃতিশক্তি বাড়াতে আপনি নিয়মিত শসা খান। কারণ নিয়মিত শসা খেলে আপনার মস্তিষ্ক ও ধমনীতে জমে থাকা এলডিএল কমে যায়। এতে করে স্মৃতিশক্তিও বৃদ্ধি পায়।
  • কিডনির পাথর অপসারণঃ আপনি কি কিডনির পাথর জনিত সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে বলব আজ এখন থেকেই শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। নিয়মিত শসা খাওয়ার ফলে এটি আপনার কিডনির পাথর গলাতেও সাহায্য করে।

শসা খাওয়ার অপকারিতা

শসা খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। কিন্তু অনেকেই আবার ভাবেন শসা খেলে হয়তো খাবার খুব দ্রুত হজম হয় এবং ওজন কমতে থাকে। এই ধারণা থেকে অনেকে সারাদিন শসা খেতেই থাকেন। বিপত্তি ঘটে এখানেই। এবার চলুন শসা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জানবেন--

আরো পড়ুনঃ  কাঁচা পেঁপের ১০ উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

  • শসা খাওয়ার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এ কথা ঠিক। কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খেলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • সাথে প্রায় ৯৫ ভাগই জলীয় অংশ থাকে। ফলে অতিরিক্ত শসা খেলে আপনার শরীরে পানির ভারসাম্য বিঘ্নিত হতে পারে।
  • শসাতে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকে। আর অতিরিক্ত শসা খেলে আপনার ফাইবার গ্রহণের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে করে আপনার পেটে গ্যাস বা ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণ শসা খেলে আপনার প্রসাবের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলে আপনার শরীরে পানি শুন্যতার অভাব দেখা দিতে পারে।
  • শসা খেলে আপনার কিডনি জনিত রোগ আরো জটিল হয়ে উঠতে পারে। ফলে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা শসা সীমিত পরিমাণে খান।
  • শসাতে থাকা পটাশিয়াম আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এ কথা ঠিক। কিন্তু অতিরিক্ত শসা খেলে আপনার শরীরে পটাশিয়ামের বাচ্চা বেড়ে গিয়ে হাইপারক্যালেমিয়ার মত রোগ হতে পারে। এতে করে আপনার পেট ফোলা, পেটে গ্যাস ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত শসা খেলে আপনার শরীরে অতিরিক্ত জলীয় অংশের সৃষ্টি হবে। আর শরীরের জলীয় অংশের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া মানে রক্তের পরিমাণও বেড়ে যাবে। এই রক্তের পরিমাণ বেড়ে গেলে এটি আপনার রক্তনালীর উপর এবং হার্টের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
  • শসা একটি কম ক্যালরি যুক্ত খাদ্য উপাদান। তাই অতিরিক্ত শসা খেলে আপনার শরীরে ক্যালরির পরিমাণ কমে যাবে এবং ওজন আরো হ্রাস পাবে। ফলে যাদের ওজন কম তারা অতিরিক্ত শসা না খেয়ে পরিমিত পরিমাণে।
  • এছাড়াও আপনাদের যাদের শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত শসা খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন।
শসা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
শসা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা আপনাকে মেনে চলতে হবে। যেমন ধরুন-
  • শসা খাওয়ার আগে পরিষ্কার জলে খুব ভালো করে ধুয়ে নিবেন। যাতে করে শশার গায়ে কোন পেস্টিসাইড বা রাসায়নিক পদার্থ না থাকে।
  • আপনি শসা খাওয়ার আগে খুব ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে তবেই খাবেন। কেননা খোসা না ছাড়ালে তাতে অনেক সময় টক্সিন থেকেই যায়। এই কারণে অনেক সময় শসা খেতে তিতা লাগে। এই রাসায়নিক উপাদান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • শসা খাওয়ার আগে যদি তেতো লাগে সেক্ষেত্রে অবশ্যই খাবেন না। কেননা শসা তেতো হওয়ার একমাত্র কারণ এর মধ্যে রয়েছে কিউকারবিটাসিন ও টেট্রা সাইক্লিক ট্রাইটারপেনিয়ড। যা মোটেও স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

খালি পেটে শসা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে শসা খাওয়ারও বেশ কিছু বিশেষ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যা হয়তো আপনি নিজেও জানেন না। অনেকেই মনে করেন খালি পেটে শসা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এ ধারণা একেবারেই ভুল। আজকে আপনার এই ভুল ধারণা ভেঙ্গে যাবে। 

আরো পড়ুনঃ  ভুট্টা খাওয়ার ১৫টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

  • খালি পেটে শসা খেলে এটি আপনার শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করে এবং শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
  • শশাতে উচ্চমাত্রার ফাইবার থাকায় খালি পেটে খেলে এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং পাঁচন তন্ত্রের কার্যক্রম সুগম করে।
  • আপনি ওজন কমানোর হাতের হিসেবে খালি পেটে শসা খেতেই পারেন। কারণ, খালি পেটে শসা খেলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে এবং অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি গ্রহণ কমতে থাকে।
  • দিনের শুরুতে খালি পেটে শসা খেলে এটি আপনার শরীরে সারা দিনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও শক্তি সরবরাহ করতে থাকে।
  • খালি পেটে শসা খাওয়ার ফলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি সারাদিনের রোদের তাপ থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষা দেয়।
  • আপনার যদি রক্তচাপের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আজ থেকেই খালি পেটে শসা খাওয়া শুরু করুন। কেননা খালি পেটে শসা খাওয়া রক্তচাপের যেকোনো সমস্যার জন্য ভালো।
  • খালি পেটে শসা খেলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায় এবং সেই সাথে শরীরও সুস্থ থাকে।
  • সকালে খালি পেটে শসা খেলে আপনার রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমবে।
  • নিয়মিত নিয়ম করে খালি পেটে শসা খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতি দ্রুত বেড়ে যাবে।
  • খালি পেটে সরষে খেলে আপনার কিডনি লিভার সুস্থ থাকবে এবং সেই সাথে ইউরিনারি, প্যানক্রিয়াসের মত সমস্যা দূর হবে।

শসা খাওয়ার নিয়ম

শসার উপকারিতা পেতে এবং অপকারিতা এড়াতে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে শসা খেতে হবে। কারণ শসা খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম মেনে খেলে আপনি এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতা পেতে পারেন। তো চলুন এবারে শসা খাওয়ার নিয়ম উপায় সম্পর্কে জেনে নিন--
শসা খাওয়ার নিয়ম

  • প্রথমেই বলি, শসা খাওয়ার আগে আপনি খুব ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেবেন। যাতে শসার গায়ে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ না থাকে।
  • শসা খাওয়ার আগে আপনি সবসময় তাজা এবং সবুজ রংয়ের শসা বেছে নিন। সবসময়ই নরম ও কুঁচকে যাওয়া শসা খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
  • শসা খাওয়ার আগে খুব ভালো করে এর ছাল ছাড়িয়ে তবেই খাবেন। আর শসা খেতে তেতো হলে সেটি খাবেন না।
  • শসা সবচেয়ে কম ক্যালোরি যুক্ত। তাই চেষ্টা করুন অল্প পরিমাণে খেতে। কারণ, অতিরিক্ত খেলে আপনার পেটের অস্বস্তি হতে পারে। সারাদিনে আপনার জন্য ১-২ টি মাঝারি আকারের শসা যথেষ্ট হবে।
  • শসার উপকারিতা পেতে আপনি চেষ্টা করুন কার্বোহাইড্রেট জাতীয় যে কোন খাবার যেমন ধরুন- আলু এবং শসা একসাথে না খাওয়া।

শসা খাওয়ার উপায়

  • আমরা সাধারণত শসা সালাদের সাথে খেতেই বেশি অভ্যস্ত। বিশেষ করে শসা, টমেটো, গাজর একসাথে মিশিয়ে সালাদ করে খাওয়া সুস্বাদু তো বটেই, সেই সাথে স্বাস্থ্যসম্মতও।
  • শসা পাতলা টুকরো করে কেটে আপনি স্যান্ডউইচ এর সাথে খেতে পারেন। স্যান্ডউইচ এর সাথে শসা খেতে দারুন লাগে।
  • আপনি দইয়ের সাথে কুচি করে শসা মিশিয়ে রায়তা তৈরি করেও খেতে পারেন।
  • অনেকেই আছেন যারা শসার জুস খেতে পছন্দ। শসার জুস তৈরি করে তার সাথে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস যোগ করে তাজা পানীয় পান করুন।
  • আপনি যেকোনো ধরনের স্যুপের সাথে মিশিয়েও শসা খেতে পারেন।
  • আপনি চাইলে শসা টুকরো করে কেটে লবণ এবং গোলমরিচ দিয়ে নামকিন হিসেবে খেতে পারেন।

সম্মানিত পাঠক, নিয়ম না মেনে শসা খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন উপরোক্ত নিয়মে নিয়ম মেনে শসা খেতে।

শসা খাওয়ার সঠিক সময়

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। এবার আপনাকে জানাবো শসা খাওয়ার সঠিক সময় সম্পর্কে। কারণ সঠিক সমযে শসা খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে। তাহলে চলুন জেনে নিন আপনি কোন সময়ে শসা খাবেন--

  • সকাল বেলাঃ আপনি সকালে নাস্তার সাথে শসা খেতে পারেন। কিংবা সকালে খালি পেটে ও একটি টাটকা শসা খেতেই পারেন। এতে আপনার শরীর ফুরফুরে থাকবে এবং হালকা অনুভব হবে।
  • দুপুরেঃ দুপুরে খাওয়ার সময় সালাদের সাথে শসা আমরা কম বেশি সকলেই খাই। দুপুরে শসা খাবার বেশ স্বাস্থ্যসম্মত এতে আপনার হজম ক্রিয়া সহজ হয়। শসার সালাদ না খেলে আপনি খাওয়ার পর একটি শসা সিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন।
  • বিকেল বেলাঃ বিকেলের নাস্তার সাথে শসা খাওয়া ভালো। এতে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং পিপাসা দূর করবে।
  • রাতের বেলাঃ সাধারণত রাতের খাবারের পর শসা না খাওয়াটাই ভালো। তবে আপনি যদি খুব বেশি ক্ষুধা অনুভব করেন সেক্ষেত্রে অল্প পরিমাণে শসা খেতেই পারেন। তাতে কোন অসুবিধা নেই।
  • শরীরচর্চার আগেঃ যেকোনো ধরনের শারীরিক কার্যকলাপ যেমন ধরুন ব্যায়াম, জিম ইত্যাদির আগে আপনি একটি সরসা খেতেই পারেন। এতে আপনার শরীর যেমন হাইড্রেটেড থাকবে তেমনি শরীরের শক্তিও বাড়বে।

ওজন কমাতে শসা খাওয়ার নিয়ম

শসার নানাবিধ উপকারিতা ও অপকারিতা এবং শসা খাওয়ার নিয়ম আপনি খানিক আগেই জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন ওজন কমাতেও খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। যে নিয়ম মেনে সোসে খেলে আপনার ওজন অতি দ্রুত কমবে। তো চলুন নিয়ম গুলো জেনে নিন -

  • ওজন কমাতে আপনি শসা বিভিন্ন ধরনের সবজির সাথে মিশিয়ে সালাদ হিসেবে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ, এতে শসার জলীয় অংশ এবং ফাইবার পুষ্টি বাড়ায় এবং দ্রুত পেট ভরায়। ফলে অন্য খাবারের প্রতি আপনার চাহিদা কমে।
  • একবারে বেশি শসা না খেয়ে সারাদিনে অল্প অল্প করে শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন। যা আপনার ওজন কমাতে সহায়ক হবে।
  • শসা খেলে আপনার শরীরে জলীয় অংশের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে তৃষ্ণা কম পায় এবং অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। এতে করে আপনার ওজন প্রাকৃতিকভাবেই কমতে থাকে।
  • আপনি চেষ্টা করুন সবসময় রান্না করা শসা না খেয়ে কাঁচা খেতে। কারণ, উচ্চ তাপমাত্রায় শসা রান্না করলে এর ফাইবার এবং পুষ্টিগুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
  • ওজন কমাতে আপনি রাতে ভারী খাবার না খেয়ে সীমিত পরিমাণে শসা খান। এতে করে রাতে আপনার ওজন বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
  • ওজন কমানোর ডায়েটে সাধারণত স্যুপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আপনি চাইলে শসার স্যুপ তৈরি করেও খেতে পারেন। স্যুপ তৈরি করতে আপনি ৪ টি শসা, ১ কাপ দই, ৩ চা চামচ সতেজ মেথি পাতা, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং ১ কাপ পানি সব উপাদান একসাথে ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আপনার শসার স্যুপ
  • শসা খাওয়ার সময় চেষ্টা করুন তাতে লেবুর রস, পুদিনা পাতা এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খেতে। যা আপনার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা

রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা জানলে আপনি নিজেই চমকে যাবেন। রাতে শসা খাওয়ার মাধ্যমেও আপনি এর থেকে বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। যদিও রাতে শসা কম পরিমাণে খাওয়া উচিত। তো চলুন রাতে শসা খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন নিন-

  • শসা খুবই হালকা এবং জলীয় খাবারের মতো খুব সহজে হজম হয়। তাই রাতে ভারী খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য আপনি শসা খেতে পারেন। এটা আপনার পেটের অস্বস্তি কমবে এবং হজম ভালো হবে।
  • রাতে শসা খেলে এটি রাতের বেলা আপনার শরীরের জলশূন্যতা কমাতে ভালো কাজ করে। বিশেষ করে সারাদিনে আপনি যদি কম পানি পান করেন।
  • সবসময় ক্যালরির পরিমাণ সবচেয়ে কম থাকে। ফলে রাতে শসা খেলে আপনার শরীরে ক্যালরি বৃদ্ধি পায় না। এতে ওজনও কমতে থাকে।
  • শসাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য আঁশ বা ফাইবার রয়েছে। রাতে খেলে দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত আপনার পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এতে করে রাতের বেলা খাবারের পরে আর ক্ষুধা লাগার সম্ভাবনা থাকে না। শসায় রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম এবং পটাশিয়ামের মধ্যে খনিজ। ফলে রাতে শসা খেলে এই উপাদান গুলি আপনার শরীরে সারা রাতভর প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে থাকে।
  • শসাতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম থাকার কারণে এটি আপনার মানসিক স্ট্রেস দূর করে। ফলে রাতে ঘুম ভালো হয়।

ত্বকে শসার উপকারিতা

ত্বকের যত্নে শসার উপকারিতা ও অপকারিতা দুটোই রয়েছে। তবে উপকারিতায় বেশি। তাছাড়া সেই প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় শসার নানান ধরনের ব্যবহার চলে আসছে। শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী। এবার চলুন ত্বকে শসার উপকারিতা জেনে নেবেন-

শসার-উপকারিতা-ও-অপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন
  • ত্বকে শসা ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বককে হাইড্রয়েড রাখে। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যাদের ত্বক রুক্ষ শুষ্ক তারা ত্বকে শসা ব্যবহার করতেই পারেন।
  • ত্বকের যত্নে শসা প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। কারণ ত্বকে শসা ব্যবহার করলে এটি আপনার ত্বকের পোরস সংকুচিত করতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় শসা আপনার ত্বকে টান টান করে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।
  • আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ যেমন ধরুন- ব্রনের সমস্যা, ব্রনের দাগ, ত্বকের কালো দাগ, রোদে ট্যান পড়া ইত্যাদি দূর করতে শসা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কারণ, শসাতে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান।
  • স শসায় রয়েছে ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন যা আপনার ত্বকের বলিরেখা কমাতে দারুন কাজ করে।
  • নিয়মিত ত্বকে শসা ব্যবহার করলে এতে থাকা এন্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • আপনার চোখের নিচের কালি দূর করতেও শসা বেশ কার্যকরী একটি উপাদান।
  • এছাড়াও ত্বকে শসা ব্যবহার করলে প্রতিদিনের সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ত্বক সতেজ ও সুন্দর রাখে।

শসা খেলে কি ওজন কমে

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা আপনার ওজন কমাতেও কাজ করে। অনেকে জানতে চান শসা খেলে ওজন কমে কিনা। সম্মানিত পাঠক, তাহলে জেনে রাখুন শসা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ, শসাতে রয়েছে সবচেয়ে কম ক্যালোরি এবং উচ্চমাত্রার জলীয় অংশ। শসা খেলে এর ৯৫ ভাগ জলীয় অংশ এবং ফাইবার আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ রাখে। 

ফলে আপনার অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে যায়। এছাড়াও শশায় থাকা ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায় এবং টক্সিন মুক্ত করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। যা আপনার ওজন কমাতে ভীষণই দরকার। সুতরাং বুঝতেই পারছেন শসা খেলে আপনার ওজন প্রাকৃতিকভাবেই কমতে থাকে।

শসা খেলে কি ঠান্ডা লাগে

শসার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা হিসেবে রয়েছে ঠান্ডা লাগার কারণ। শসা খেলে সাধারণত ঠান্ডা লাগে কারণ এটি প্রাকৃতিক ভাবেই একটি ঠান্ডা খাদ্য উপাদান। যা আপনার শরীরের তাপমাত্রা কমাতে কাজ করে এবং শরীরকে শীতল রাখে। তাছাড়া শসা খেলে এটি আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি শরীর থেকে

অতিরিক্ত ঘামের ঝরানোর পরিমাণও কমাতে সাহায্য করে। ফলে গরম আবহাওয়াই শরীর গরম হয়ে গেলে, ঠিক তখন শসা খেলে অনেকটাই স্বস্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া শসাতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। ঠিক এই কারণেই গরমের দিনে শসা খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা থাকে।

শসার পুষ্টি উপাদান

শসার এতসব উপকারিতা ও অপকারিতা জানার পর আপনি এবার নিশ্চয়ই উপকারী এই সবজির পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জানতে চান। সম্মানিত পাঠক, প্রতি ১০০ গ্রাম শসাতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদান থাকতে পারে তা নিচে একটি ছকের মাধ্যমে দেখে নিন--

পুষ্টি উপাদান পরিমাণ
জলীয় অংশ ৯৫-৯৬ গ্রাম
ক্যালরি ১৬ কিলো ক্যালরি
মাঙ্গানিজ ০.০৭৯ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম ২৬১ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি ২.৮ মিলিগ্রাম
ফাইবার ০.৫ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৩.৬৩ গ্রাম
ফ্যাট ০.১১ গ্রাম
প্রোটিন ০.৬৩ গ্রাম

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে লেখকের মন্তব্য

শসার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। শসা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং সহজলভ্য একটি সবজি। তাছাড়া সারা বিশ্বে যে সকল সবজি আঘাত করা হয় শ্মশান অবস্থান রয়েছে চার নম্বরে। এটি সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায় এবং এর বহুমুখী উপকার রয়েছে। শসা আপনার শরীরের ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি তো দূর করেই। সেই সাথে ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রেও খুব ভালো কাজ করে। 

এটি এমন একটি সবজি যা আপনি কাঁচা সালাদ হিসেবে খেতে পারেন, জুস হিসেবে খেতে পারেন এবং রান্না করেও খেতে পারেন। আবার গরমে পেট ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি আপনার শরীরের ডিহাইড্রেশন রোধ করতেও শশার কোন বিকল্প নেই। ফলে আপনার সুস্বাস্থ্যর কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিদিন খাবার পাতে এক টুকরো শসা খান। এতে ভালো ফল পাবেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url