বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন

বরই পাতার উপকারিতা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা জানেন কি? হয়তোবা জানেন না। আজকে আমরা আলোচনা করব বরই পাতার নানামুখী উপকারিতা এবং এই পাতা দিয়ে গোসলের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। 

বরই-পাতার-উপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
সাথে আরো আলোচনা করব বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম এবং চুলকানিতে আপনি এই পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন আজকের মত আলোচনা শুরু করা যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বরই পাতার উপকারিতা

বরই পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা

বরই পাতা নানান গুনে গুনানিত। এর উপকারিতার কথা জানলে আপনি নিজেও চমকে যাবেন। বরই পাতা সেই সুপ্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন ও খনিজ। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শুধু তাই নয়, বরই পাতা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, 
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এবং হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও বরই পাতার চা বা রস সেবন করলে এটি আপনার শরীরকে সতেজ রাখে এবং সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ কমাতেও খুব ভালো কাজ করে। তবে এই পাতা অতিরিক্ত ব্যবহারে আপনার পেটের অস্বস্তি, গ্যাস অম্বলের সমস্যা, 
 
এমনকি এলার্জির সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে আপনারা যারা ঔষধ হিসেবে করছেন তাদের অতি সতর্কতার সাথে বরই পাতা সেবন করা উচিত। কেননা অনেক সময় এটি আপনার ঔষধের সাথে মিথস্ক্রিয়া ঘটাতে পারে। সম্মানিত পাঠক, সংক্ষেপে এই ভেষজের কিছু উপকারিতা অপকারিতা জানিয়ে দিলাম। এবার চলুন মূল আলোচনায় ফিরে আসা যাক।

বরই পাতার উপকারিতা

বরই পাতার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যা আমরা অনেকেই জানিনা। বরই খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন বরই এর পাশাপাশি বরই পাতার গুণের কথা? না জানলেও চিন্তা নেই। আজকে আলোচনা শুরুতেই তাহলে চলুন জেনে আসি এই পাতার কিছু গুণের কথা--
  • প্রথমেই বলি, বরই পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার শরীরে ফ্রি রেডিকেল এর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে কাজ করে। সাথে এটি কোষের ক্ষয় রোধ করে এবং বয়সজনিত রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
  • বরই পাতা সেবনে এটি আপনার পাচন তন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে খুব সহজেই আপনার পেটের গ্যাস, এসিডিটি ও বদহজম দূর হয়।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই পাতা বিশেষভাবে উপকারী। কারণ, এটি ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং রক্তে গ্লুকোজ এর স্তর নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা আপনার ডায়াবেটিসের লক্ষণ অনেকটাই কমাতে পারে।
  • বরই পাতা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি কাশি এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে আপনার শরীর সুরক্ষিত থাকে।
  • আপনি কি জানেন, বরই পাতা ডায়রিয়া সারাতেও বেশ কার্যকরী। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন! হ্যাঁ প্রিয় পাঠক, বরই পাতা সিদ্ধ করে পান করলে এটি আপনার অন্ত্রের ইনফ্লেশন কমায় এবং পাঁচনতন্ত্র সুস্থ রাখে। ফলে ডায়রিয়া দূর হয় হয়।
  • ত্বকের ক্ষেত্রে বরই পাতা প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। ফলে আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের প্রদাহ যেমন- ব্রণ, ব্রনের দাগ, ত্বকের কালো ছোপ দাগ ইত্যাদিতে বরই পাতা ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিয়মিত বরই পাতা সেবনে একটি আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদ যন্ত্রের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। ফলে আপনি হৃদরোগের ঝুকি থেকেও রেহাই পেতে পারেন বরই পাতার গুনে।
  • আপনি জেনে আরো অবাক হবেন যে বরই পাতার চা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে কাজ করে। ফলে মানসিক স্ট্রেস দূর করতে আজ থেকেই আপনি বরই পাতার চা খাওয়া শুরু করুন।
  • বরই পাতার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন আপনার শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ প্রতিরোধে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
  • বরই পাতার রস আপনার গলা ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, শরীর, হাত-পা জ্বালাপোড়া ইত্যাদি সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী।
  • শুধু ত্বক নয়, চুলের খুশকি দূর করতে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বরই পাতা বিশেষভাবে উপকারী। নিয়মিত বরই পাতা চুলে ব্যবহারের ফলে আপনার চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং চুলের গোড়া মজবুত ও শক্তিশালী হয়। 
বরই-পাতার-উপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
  • বরই পাতার রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্যাক্টরি বৈশিষ্ট্য যা আপনার শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে।
  • রক্ত আমাশয় বা আমাশয় নিরাময়েও এই বরই পাতা বেশ কার্যকরী।
  • অনেক সময় আমরা বিষাক্ত কীটপতঙ্গের দংশনের শিকার হই। এতে কামড়ানোর স্থানে প্রচন্ড রকমের জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি হয়। জ্বালাপোড়া তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে আপনি বরই পাতা বেটে এর রস আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দিন। এতে জ্বালাপোড়ার উপশম হবে।
  • যেকোনো ধরনের চর্মরোগ যেমন ধরুন চুলকানি, দাদ, হাজা ইত্যাদি দূর করতে আপনি ৮-১০ টি বরই পাতা ভালো করে বেটে এর থেকে নির্যাস টুকু বের করে নিন। এবার এই রসের সাথে ১ চামচ কালোজিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার চর্ম রোগের সমস্যা চিরতরে দূর হবে।
  • শুধু তাই নয়, আপনার পেটের অস্বস্তি, পেটের ব্যথা কমাতেও বরই পাতা ম্যাজিকের মত কাজ করে। এর জন্য আপনি পানির সাথে বরই পাতা সিদ্ধ করে খেতে পারেন।
  • যারা দীর্ঘদিনের খুসখুসে কাশি বা এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বরই পাতা অত্যন্ত উপকারী। কারণ বরই পাতা শ্বাস যন্ত্রের যেকোনো সমস্যা যেমন- কাশি, এলার্জি ইত্যাদি কমাতে সহায়ক।
  • শরীরে দাদের সমস্যায় অনেকেই ভুগতে থাকেন। এর চুলকানিও হয় মারাত্মক রকমের। দাদের সমস্যা দূর করতে আপনি প্রতিদিন ৬-৭ তুই বড়ই পাতা পেস্ট করে নিয়মিত খেলে দাদ চিরতরে দূর হবে।
  • আপনার শরীরে যেকোনো ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বরই পাতা।
  • আপনার শরীরের এলার্জির সমস্যা দূর করতে দুই মুঠো বরই পাতা পেস্ট করে এর রসের সাথে আধা চা চামচ পরিমাণ লবণ মিশিয়ে সেই রস প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে আপনি এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন।
  • শুধু কি তাই, শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতেও ভালো কাজ করে এই বরই পাতায় এবং সেই সাথে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

বরই পাতার অপকারিতা

বরই পাতার শুধু উপকারিতায় নয় বরং কিছু অপকারিতাও রয়েছে। শুধু বরই পাতা নয় যেকোনো ভেষজেরই উপকারিতার পাশাপাশি কিছু অপকারিতা থাকে। তেমনি এই পাতারও রয়েছে বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। আপনার জেনে রাখা উচিত। তো চলুন এবারে জেনে নিন বরই পাতার অপকারিতা সম্পর্কে--
  • আপনাদের যাদের শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তারা অতিরিক্ত বড়ই পাতা সেবন না করে সীমিত পরিমানে সেবন করবেন। কারণ অতিরিক্ত বরই পাতা সেবনে আপনার শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • যারা ডায়াবেটিসের ঔষধ সেবন করছেন তাদের বড়ই পাতা না খাওয়াটাই ভালো। এই পাতা অনেক সময় আপনার ঔষধের সাথে বিক্রিয়া করে আপনার শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
  • ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বরই পাতার উপকারী হলেও এর অতিরিক্ত ব্যবহারে আপনার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যেতে পারে। যা কিনা হায়পোগ্লাইসেমিয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
  • অতিরিক্ত বরই পাতা সেবনে আপনার ত্বকে এলার্জি দেখা দিতে পারে।
  • তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত বড়ই পাতায় দীর্ঘদিন ধরে খেতে থাকলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া হতে পারে। তাই বরই পাতা সেবনে আপনার এর পরিমাণের দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।
  • গর্ভাবস্থায় বরই পাতা সেবন না করাই ভালো। কারণ, এতে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে।
  • যদিও বরই পাতা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে এটি আপনার রক্তচাপ খুব বেশি কমিয়ে দিতে পারে। ফলে হৃদরোগ এ আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য এটি বিপদজনক হতে পারে।
  • যারা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের অতিরিক্ত বরই পাতা সেবন করা মোটেও উচিত নয়। কারণ, এটি আপনার কিডনির কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
সম্মানিত পাঠক, বরই পাতার উপরিউক্ত অপকারিতা গুলো এড়াতে আপনি নিয়মিত নিয়ম মেনে পরিমিত পরিমাণে এই পাতা সেবন করুন। আরেকটি কথা, বরই পাতা সেবনের পূর্বে অবশ্যই ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নেবেন।

বরই পাতা দিয়ে গোসল করার উপকারিতা

বরই পাতা দিয়ে গোসল করার স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। অনেকেই জানেন না বরই পাতা দিয়েও গোসল করা যায়। শুধু তাই নয়, এই পাতা দিয়ে গোসল করলে এর থেকে আপনি বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন। যেমন ধরুন-
  • ত্বক পরিষ্কার রাখেঃ বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের ময়লা, ব্যাকটেরিয়া ইত্যাদি খুব সহজেই দূর করতে পারে। এতে করে আপনার ত্বক ভালো থাকে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
  • প্রদাহ কমাতেঃ আপনার শরীরের যেকোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে পানির সাথে বরই পাতা দিয়ে গোসল করতে পারেন। এতে আপনার ত্বকে ব্রণের সমস্যা, ব্রনের কালো দাগ, রোদে ট্যান পড়া ইত্যাদি দূর হবে।
  • ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমাতেঃ আপনি আপনার ত্বকের অতিরিক্ত তেল তেলে বা তৈলাক্ত ভাব কমাতে আজ থেকেই বড়ই পাতা দিয়ে গোসল করার শুরু করুন। কারণ, বরই পাতা ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে ত্বককে শুষ্ক ও পরিশুদ্ধ রাখে। ফলে ত্বকের তেলটে ভাব দূর হয়।
  • বয়সের ছাপ কমায়ঃ নিয়মিত বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে পেতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের কোষকে রক্ষা করে। এতে করে আপনার ত্বকের বয়সের প্রভাব কমতে শুরু করে।
  • কীট পতঙ্গ থেকে দূরে রাখেঃ বরুই পাতার গন্ধ সাধারণত প্রাকৃতিক কীটপতঙ্গ নিরোধক হিসেবে কাজ করে। ফলে গোসলের সময় বরই পাতা দিয়ে গোসল করলে এর গন্ধ মশা, মাছি এবং অন্যান্য কিছু পতঙ্গ থেকে আপনাকে সুরক্ষা দেয়।
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ নিয়মিত বরই পাতার জলে গোসল করলে এটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। সেই সাথে ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে তোলে।
  • রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়ঃ বরই পাতায় গোসল করলে কি আপনার শরীরের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়ায় ত্বরান্বিত করে।
  • শ্বাসতন্ত্র ভালো রাখেঃ বরই পাতার গন্ধ সাধারণত শ্বাসতন্ত্র পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে। ফলে নিয়মিত এই পাতা গোসলের সময় ব্যবহার করলে আপনার শ্বাসযন্ত্রের রোগের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।
  • ফুরফুরে ভাব এনে দেয়ঃ বরই পাতা গোসল করলে এটি আপনার শরীরের দুর্গন্ধ, ঘামের গন্ধ ইত্যাদি দূর করে এবং শরীর সতেজ ও ফুরফুরে রাখে।
সম্মানিত পাঠক, জানিয়ে দিলাম বরই পাতা দিয়ে গোসলের উপকারিতা সম্পর্কে। উপকারিতা গুলি পেতে আপনি আজ থেকে গোসলের সময় পানিতে বরই পাতা ব্যবহার করুন। যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম

বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম অনেকেই জানেন না। এর থেকে উপকারিতা পেতে আপনাকে এই পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা সঠিক নিয়মে না খেলে আপনার উপকার তো হবেই না বরং এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাহলে চলুন বরই পাতা খাওয়ার আগে এই পাতা খাওয়ার নিয়ম গুলো জেনে নিন -
বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম
  • বরই পাতা খাওয়ার আগে আপনি প্রথমে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখবেন সেটি হলো পাতাগুলি যেন অবশ্যই জীর্ণ, শুষ্ক এবং পোকামাকড়ে খাওয়া না হয়।
  • বরই পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন সতেজ কচি পাতা খেতে।
  • বরই পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বুঝে পরিমাণ মতো খাবেন। সাধারণত একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ১০-১২ টি বরই পাতা খাওয়াই যথেষ্ট।
  • আপনি চেষ্টা করবেন বরই পাতার সব সময় সকালে খালি পেটে খেতে কিংবা যেকোনো খাবারের আগে খেতে। এতে করে আপনি বরই পাতার পুষ্টিগুণ বেশি পাবেন।
  • বড়ই পাতা কাঁচা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আপনি বরই পাতা সিদ্ধ করে বা এর রস হিসেবেও খেতে পারেন।
বরই পাতা খাওয়ার উপায়
বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছেন। এবার চলুন আপনি বরই পাতা কিভাবে কোন উপায়ে খেতে পারবেন তা জেনে নিন-
  • বরই পাতার রসঃ আপনি এক মুঠো টাটকা সতেজ বরই পাতা ব্লেন্ডারের ব্লেন্ড করে এর রস পান করতে পারেন। এতে আপনার ক্ষুধা বাড়বে এবং সেই সাথে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
  • বরই পাতার চাঃ আপনি চাইলে বড়ই পাতা পানিতে সিদ্ধ করে চা তৈরি করেও খেতে পারেন। বলে রাখি, বরুই পাতার চা কিন্তু অত্যন্ত সুগন্ধি এবং খেতে সুস্বাদু হয়।
  • সালাদের সাথেঃ আপনি যেকোনো ধরনের সালাদের সাথে কচি টাটকা বরই পাতা কুচি কুচি করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে সালাদের স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।
  • স্যুপের সাথেঃ আপনি ভেজিটেবল স্যুপ বলুন আর চিকেন স্যুপ বলুন উভয়ের সাথেই বরই পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে স্যুপের স্বাদ ও পুষ্টি দ্বিগুণ হবে।
  • পনিরের সাথেঃ আপনি বরই পাতা পনিরের সাথে রান্না করে রুটি দিয়ে খেতে পারেন।
  • মসলা হিসেবে বরই পাতা গুড়ো করে এই গুড়ো আপনি মশলা হিসেবে তরকারিতে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার রান্নার স্বাদ আরো বেড়ে যাবে।
বরই পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা
বড়ই পাতা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা উচিত। যা আপনার স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী হবে। যেমন-
  • এই পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিয়ে তবেই খাবেন। কেননা বরই গাছে অনেক সময় বরই খাওয়ার জন্য বাদুড় থাকে। ফলে পাতা ধুয়ে না খেলে আপনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।
  • শিশুদের বরই পাতা খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কেননা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ালে তাতে যেকোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনাদের যাদের কিডনি বা ডাইবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারা বরই পাতা খাওয়ার আগে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে তবেই খাবেন।
সম্মানিত পাঠক, বরই পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম। উপরিউক্ত নিয়ম মেনে বরই পাতা খেলে আপনি এর থেকে সর্বাধিক উপকারিতাই পাবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।

বরই পাতা মুখে দিলে কি হয়

বরই পাতার নানাবিধ উপকারিতা জেনেছেন। কিন্তু বরই পাতার মুখে দিলে কি হয় তা কি জানেন? হয়তো জানেন না। তাহলে জেনে রাখুন বরই পাতা মুখে ব্যবহার করলে এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে করে আপনার মুখে ব্রনের সমস্যা, ব্রনের দাগ দূর হবে এবং সেই সাথে ত্বক উজ্জ্বল ও পরিষ্কার হবে। 
 
শুধু কি তাই, বরই পাতার রস নিয়মিত ত্বকে ব্যবহারে এটি আপনার ত্বকের বলি রেখা কমাতে এবং ত্বকের স্থিতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে একটি কার্যকরী উপাদান হিসেবে আপনি বরই পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বরই পাতা ত্বকের তেলটে ভাব দূর করে। 
 
আপনি জেনে আরও অবাক হবেন যে নিয়মিত বরই পাতা ত্বকে ব্যবহারে এটি আপনার ত্বকের পোরসে জমি থাকা ময়না নিমিষের মধ্যে পরিষ্কার করে ফেলতে পারে। ফলে আপনার ত্বক দিনকে দিন মসৃণ ও কোমল হয়ে ওঠে। তবে একটি কথা, ত্বকে বরই পাতা ব্যবহারের পূর্বে আপনি অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করিয়ে নেবেন। এতে করে এলার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে।

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার

চুলকানিতে বরই পাতার ব্যবহার বেশ কার্যকরী। আপনার শরীরের যেকোনো ধরনের চুলকানি দূর করতে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন বরই পাতা। কারণ এই পাতায় এমন কিছু আন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুব সহজেই চুল চুলকানি দূর করতে পারে। এবার চলুন চুলকানিতে আপনি বরই পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন সেই উপায় সম্পর্কে জেনে নিন -
  • প্রথমেই জানিয়ে দেই, আপনার শরীরের যেকোনো চুলকানোর স্থানে বরই পাতা বেটে এর রস লাগালে চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে।
  • আপনি বরই পাতা বেটে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টের সাথে হলুদ মিশিয়ে আপনি আপনার শরীরের আক্রান্ত স্থানে লাগান। এতেও চুলকানি দূর হবে।
  • বরই পাতা পানিতে সেদ্ধ করে সেই পানিতে স্নান করলে আপনার ত্বকের প্রদাহ কমবে এবং চুলকানিও কমবে।
  • অনেক সময় আমাদের মুখের ভেতরে চুলকানি হয়। এই চুলকানি দূর করতে আপনি বরই পাতার রস গরম পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে মুখের ভেতরের চুলকানি দূর হবে।
  • শুধু তাই নয় বরই পাতা গরম পানিতে সেদ্ধ করে এর চা বানিয়ে খান এতে আপনার শরীরের অস্বস্তি কমবে এবং চুলকানির উপশম হবে।
  • আপনি কি এলার্জির সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে দুই মুঠো বরই পাতা পিষে বা থেঁতো করে এর থেকে থেকে নির্যাসটুকু বের করে নিন। এবার এই রসের সাথে আপনি চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে নিয়মিত পান করুন। এই রস পান করার প্রায় ৩০ মিনিট বা একঘন্টা পর খাবার খাবেন। এই নিয়ম মেনে খেলে আপনার বহু পুরাতন এলার্জির সমস্যা দূর হবে।
  • আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষত এবং চুলকানি কমাতে বরুইপাতা এবং নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
সম্মানিত পাঠক, উপরিউক্ত নিয়মে বরই পাতা ব্যবহার করলে আপনি যেকোনো ধরনের চুলকানি এবং প্রদাহ থেকে খুব সহজে রেহাই পেতে পারেন।

বরই পাতার রস খেলে কি হয়

বরই পাতার রস খেলে কি হয়, জানলে আপনি নিজেও হয়তো আজ থেকে বরই পাতার রস খাওয়া শুরু করবেন। বরই পাতার রস যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। বড়ই পাতার রস খেলে আপনি বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন। যেমন-
বরই-পাতার-উপকারিতা-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জেনে-নিন
  • বরই পাতার রস আপনার পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে কার্যকরী একটি উপাদান। বিশেষ করে পেটে হজমের সমস্যা গ্যাস অম্বলের সমস্যা দূর করতে পারে এই বরই পাতার রস।
  • নিয়মিত বরই পাতার রস খেলে এটি আপনার শরীরের বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে। যা কিনা আপনার রক্ত পরিশুদ্ধ করে এবং ত্বকের সকল সমস্যা দূর করে।
  • বরই পাতার রস আপনার ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে। ফলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়।
  • চুলের জন্যও বরই পাতার রস বেশ উপকারী। নিয়মিত বরই পাতার রস খেলে বা চুলে ব্যবহার করলে আপনার চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, খুশকি দূর হয় এবং অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয়।
  • শ্বাসযন্ত্রের যেকোনো সমস্যা যেমন ধরুন হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, দীর্ঘদিনের খুসখুসে কাশি ইত্যাদি উপশমে আপনি আজ থেকেই বরই পাতার রস খাওয়া শুরু করুন।
  • শুধু তাই নয়, আপনাদের যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তারাও বরই পাতার রস খেতে পারেন। ডায়াবেটিসের বরই পাতার রস অত্যন্ত উপকারী। কারণ এটি রক্তে শর্করার স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • আপনার কি কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে? তাহলে বলবো আজ এখন থেকে বরই পাতার রস নিয়ম করে খান। কারণ, বরই পাতা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এতে করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
  • বরই পাতা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ফলে এই পাতার রস খেলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই বেড়ে যাবে।

বরই পাতার উপকারিতা চুলের জন্য

বরই পাতার শুধু স্বাস্থ্যগত উপকারিতাই নয়। বরং চুলের জন্যও এই পাতার উপকারিতা অনেক। অনেকেই আছেন যারা চুলে বরই পাতার পেস্ট বা রস ব্যবহার করে থাকেন। কেন বলুন তো? কারণ তারা জানে এই বরই পাতা চুলের জন্য কতটা উপকার। সম্মানিত পাঠক, এবার চলুন চুলের জন্য বরই পাতা কতটা উপকারী তা জেনে নিন-
  • বরই পাতা আপনার চুলে প্রাকৃতিক পুষ্টির উৎস হিসেবে কাজ করে। এতে করে চুল মজবুত ও শক্তিশালী হয়।
  • বরই পাতায় রয়েছে ভিটামিন এবং মিনারেল যা আপনার চুলের জন্য উপকারী। নিয়মিত বরই পাতা ব্যবহারে পেতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল গুলি আপনার চুলকে ঝলমলে ও আকর্ষণীয় করে তোলে।
  • বরই পাতা এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনে গুণান্বিত হওয়ায়, এটি আপনার চুল থেকে চিরতরের মতো খুশকি দূর করতে পারে।
  • নিয়মিত চুলে বরই পাতা ব্যবহার করলে আপনার অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ হয় এবং সেই সাথে মাথায় নতুন চুল গজাতে শুরু করে। এতে করে আপনার চুল ঘন হয়।
  • আপনার মাথার ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া করলে বরই পাতার রস বা পেস্ট ব্যবহার করতে পারেন। চুলকানি উপসম হবে।
  • নিয়মিত চুলে বরই পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে এটি আপনার মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। যা চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।
সম্মানিত পাঠক, এক কথায় বলতে গেলে বড়ই পাতা আপনার চুলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনের হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল যেমন মসৃণ ঝরঝরে হবে, তেমনি আপনার চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।

বরই পাতার হাদিস

বরই পাতার নানাবিধ উপকারিতা এতক্ষণ জেনেছেন। কিন্তু আপনি কি জানেন বরই পাতার হাদিস ইসলামেও রয়েছে। বিশেষ করে কোন মুসলমান ব্যক্তি যখন মারা যায় তখন অপর আরেকজন মুসলমানের উপর মৃত ব্যক্তির গোসল, দাফন ও জানাজা আবশ্যক হয়ে পড়ে। আর মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর জন্য
 
যে পানি ব্যবহার করা হয় তাতে বরই পাতা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উম্মে আতিয়া আনসারী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মেয়ে যখন ইন্তেকাল করেন তখন তিনি আমাদের কাছে এসে বলেন, তোমরা তাকে তিনবার, পাঁচবার এবং প্রয়োজন মনে করলে তার চেয়েও বেশি বার বরই পাতার পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দাও।
 
আর শেষ বারে কিছুটা কর্পূর ব্যবহার করবে। তোমাদের গোসল করানো শেষ হলে আমাকে জানাও। অতঃপর বর্ণনাকারী বলেন আমরা গোসল শেষ করার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালাম। ঠিক তখন তিনি তার গায়ের চাদরটি আমাদের দিয়ে বললেন, এটি তার গায়ে জড়িয়ে দাও। (বুখারী, হাদিস, ১১৮০)। 
 
এর একটাই কারণ, তা হলো বরই পাতার অ্যান্টিসেপটিক উপাদান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে এবং পোকা মাকড়ের আক্রমণ ও দ্রুত পচন থেকে রক্ষা করতে পারে। তাছাড়া বরই পাতার গুনাগুন বিজ্ঞানের গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া পবিত্র কোরআনের সুরা আন নাজমের ১৪ নম্বর  আয়াতে বরই গাছের কথাও বলা হয়েছে।

লেখকের মন্তব্য

বরই পাতার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। সাথে এর অপকারিতাও আলোচনা করেছি। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার নিকট বোধগম্য হয়েছে। বরই পাতা প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বরই পাতা এমনই একটি উপকারী পাতা যা আপনার হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের সমস্যা, ত্বকের সমস্যা সমাধানের বিশেষভাবে কার্যকরী।
 
তাছাড়া বরই পাতার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জাদু টোনা নষ্ট করতেও এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। তাই বলবো নিজেকে সুস্থ রাখতে আপনি আজ থেকেই নিয়ম করে পরিণত পরিমাণে বরই পাতা সেবন শুরু করুন। এতে আপনারই উপকার হবে। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। পরবর্তী আর্টিকেল পেতে আমাদের পিন পয়েন্ট ম্যাক্স ওয়েবসাইটের সাথেই থাকুন। আর্টিকেলটা এতক্ষণ পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পিন পয়েন্ট ম্যাক্স এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url